আনন্দ – স্বস্তিকা সেন

শেয়ার করুন
মিঠাই আর গোবলু আনন্দে সারা বাড়ি লাফিয়ে চলেছে। খুব মজা কাল পুরী ঘুরতে যাবে। মাম্মা,আমি কিন্তু কাল ট্রেনে অনেক চিপস খাবো আর দিদিকে কিন্তু দেব না। শর্মি ব্যাগ গোছাতে গোছাতে হেসে উত্তর দেয়, আচ্ছা খেও।
বৌদি আমার কাজ হয়ে গেছে, দরজাটা লাগিয়ে দিও।
শোন্ জবা, কাল কিন্তু তোকে সকালে তাড়াতাড়ি কাজ করে যেতে হবে। আমরা সকাল ৭ টায় বেরোব। আর রিমিকে সাথে নিয়ে আসিস, তোর সাথে কাজ এগিয়ে দিলে তাড়াতাড়ি হবে। বৌদি আমি একাই পারবো গো, ওতো এত সকালে ওঠে না।আরে একটা দিনের ব্যাপার তো নিয়ে আসবি কিছু হবে না আর নয়তো তুই একা কাজ শেষ করতে পারবি না, দেরি হয়ে যাবে।
আজকে আর গোবলুকে থেকে ঘুম থেকে ওঠাতে হয়নি, আনন্দে নিজেই উঠে গেছে। মিঠাই নিজের পছন্দের জামা পরে রেডি।শর্মি সব ঘর লক করছে এমন সময়, বৌদি অনেকটা দেরি হয়ে গেল গো এই রিমি ঘুম থেকে উঠছিলই না। তুমি একদম চিন্তা করো না আমি বাসন মেজে দিচ্ছি, আর রিমি ঘর ঝাড়ু দিয়ে দিচ্ছে। হয়ে যাবে তাড়াতাড়ি।
শোন্, ওসব কিছু করতে হবে না। তুই তাড়াতাড়ি আমার রুমে গিয়ে দেখ বিছানায় একটা শাড়ি রাখা আছে আর একটা ফ্রক।ওটা তুই আর রিমি পরে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে।
মানে বুঝলাম না বৌদি, কেন?
মানে আর কিছুই না, তুই আর রিমি আমাদের সাথে পুরী যাচ্ছিস।
বৌদি, কি বলছো গো? আমরা?
হ্যাঁ, তোরা। এত অবাক হচ্ছিস কেন?  আমরা কি এইটুকু করতে পারি না তোদের জন্য?
জোড়ে ট্রেন ছুটছে, আর মিঠাই, গোবলু আর রিমি জানলার ধারে বসে চিপস খেয়েই যাচ্ছে। প্রতিটা ঢেউ আজ সাক্ষী থাকল রিমির প্রথম সমুদ্র দেখার আনন্দের।
শেয়ার করুন

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *