রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডলিপি
বিচিত্র অধরা বাহারী রেণু প্রভাতের নমস্য সূর্য মোম জ্বেলে বরণ করে ডুবন্ত মাতঙ্গিনী ‘কে পুনশ্চঃ তোমাদের বি- শুদ্ধ পুরাতন শ্লোক কাদম্বরী
বিচিত্র অধরা বাহারী রেণু প্রভাতের নমস্য সূর্য মোম জ্বেলে বরণ করে ডুবন্ত মাতঙ্গিনী ‘কে পুনশ্চঃ তোমাদের বি- শুদ্ধ পুরাতন শ্লোক কাদম্বরী
” বারে-বারে একটি সুর এসে যেন বাজে হৃদয়ের মধ্যে নিঃশব্দচরণে নেমে আসে ছিন্নবিচ্ছিন্ন বিস্মৃত দিনের কাহিনী “ কখনো কখনো এমন দিন আসে, চতুর্দিকে যেন ফুটে ওঠে বিষাদের ছায়া। প্রভাতের ফুল ম্লানমুখে পড়ে থাকে কঠোর মৃত্তিকার কোলে।সুখের সমস্ত সুর নস্যাৎ করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে বেয়াদপ পাগলামী।ঘুরে ঘুরে নাচতে থাকে কোনো সর্বনাশের ইঙ্গিত নিয়ে। কবরের ঠান্ডা হাওয়ায়…
আমার আকাশে উঠবেনা আর রবি সেতো আলোয় ভরিয়ে দিচ্ছে অন্য পৃথিবী বন্ধ হচ্ছে শব্দ গান সুর মিলিয়ে যাচ্ছে পরিচিত ডাক এক এক করে নিভিয়ে চলেছি দীপ নিমজ্জিত আমি অন্ধকারে আমি এগিয়ে চলেছি অজানার পথে একা সখা ভালো থেকো তুমি শুধু একটু মনে রেখো আমায় কবিতা গানে গানে ইতি কাদম্বরী
সব আগুনের একটা চকমকি লাগে। সে তুষের ধিকিধিকিই হোক, বা দাবানলের দাউ দাউ। কে জ্বলে ছাই হবে, আর কে হবে চিরদীপ্যমান, সেই দহনের বিস্তারের বহু আগে, অন্ধকারে লুকিয়ে থাকে চকমকিদের গল্প। ইতিহাস সাক্ষী, চিরভাস্বর রবিরও একজন কাদম্বরীর প্রয়োজন হয়েছিলো। সব সোনার একটা কষ্টিপাথর লাগে। যাতে ঘষে দেখতে হয়, আর কত পুড়ে গেলে নিখাদ সোনা পাওয়া…
ওরা খ্যাতির সাগরে কুটো নিয়ে এসেছিল পৌষালি মেয়ে, যার কি বা দাম ! ঠাকুরবাড়ি, তবু তোমাকে প্রণাম | এখন ক্রমশ যাবার সময় আসছে শরীরে মিশেছে অসম্ভবের বিষ মনে পড়ছে রবির বন্দিশ এখন আর কোনো রাগ নেই জ্যোতিবাবু তোমায় গোপন চিঠি লেখেন যিনি, তার কাছে যাও, চলে যাও সরোজিনী | রবি, কেবল তোমার কাছে আর্জি তোমার…
“যেদিন মুক্ত প্রেমের রাংতা পুড়েছিল…… বিরহ প্রেম দগ্ধে মরেছিল …… ঝিলিক দেওয়া রাংতার আবেশ … চোখের জলে অব্যক্ত অশেষ …” অগ্নিদাহ প্রেমের রাংতার টুকরো ভেঙে দায় মনের কামনার অনেক অব্যক্ত দুঃখের অন্তিম নির্যাস । কাদম্বরী দেবীর চোখের কালি বুঝিয়েছিল ভালবাসা কি? আসক্তি কি? কামনা কি?ছোট রবির কাব্য রস মুগ্ধ করেছিল তাকে। কবিগুরুর সাথে অজস্র কথোপকথন…
ছাদের একচিলতে রৌদ্র ছুঁতে চাওয়া রবির কিরন উদ্ভাসিত অনুরনণে সেই প্রথমবার… শুকনো পাতার মর্মরধ্বনি আজো শুনি ঐ বুঝি তুমি এলে? চেনা চৌকাঠ দোলনা আমার না বলা লুকোনো দুপুর পরশে নাজানি কি হরষে আঁখিতলে কাজললতা জ্বলে খাঁচার পাখীর ডানার ঝাপট কুটে মরে দেয়াল থেকে দেয়াল
ওগো দুখজাগানিয়া ( কাদম্বরী দেবীর মৃত্যুতে কবিগুরুর একটি অসম্পূর্ণ দলিল ) রাত্রির মতো ভেসে যাচ্ছে রাত কল্পনার মুখে একচামচ সন্ধ্যা তুলে দিলাম তুমি সেই তাকিয়ে ছিলে – তোমার চোখের থেকে মুক্তা ঝরে অনুরূপ – ওগো দুখজাগানিয়া- তোমায় গান শোনাব নীরবতার কাছে ঘনিষ্ঠ হয়ে যা কিছু ছিল সে সব আমার ছড়িয়ে গিয়েছে কোথায় ছেলেবেলার সেই খেলা…
সময়টা তখন ১৮৭০ থেকে ১৮৮৪ -এর মধ্যে ,ইংরেজদের তখন রাজত্ব কলকাতায়,এক এক করে বাংলার প্রতিভারা উন্মেষিত হচ্ছেন । এই সময় বাংলার ঠাকুর পরিবারও পিছিয়ে নেই , দ্বিজেন্দ্র;নাথ , সত্যেন্দ্রনাথ ছাড়াও ছিলেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর অর্থাৎ রবি ঠাকুরের প্রিয় নতুন দাদা । তাঁর জ্যোতি দাদা প্রসঙ্গে রবি ঠাকুর বলেছিলেন- “জ্যোতি দাদা যাকে আমি খুব মানতুম,বাইরে থেকে তিনি…
সন্ধ্যেটা টুক করে নামছে। তোমার দেশেতো আবার সবসময় সন্ধ্যে। নন্দনকানন? তাও বুঝি আছে। তা যাই থাক আমার কাছে হেকেটি আছে, তোমার কাছে রবি নেই। কিরকম মজা! ধূলো জমা ট্রাঙ্কে হাত দি না, পাছে দাগ থেকে যায়। ওই চিহ্নেরই যত দোষ। যেমন সিঁদুরের চিহ্ন, যে চিহ্নে নাকি তোমরা বন্ধু থেকে বউ হয়ে যাও আর অন্যের জন্য…