|

উশিন – এল বীরমঙ্গল সিংহ

শেয়ার করুন

[লেখক পরিচিতি :– এল বীরমঙ্গল সিংহ’র জন্ম ১৯৫৬ সালে’র ১০ই মার্চ ত্রিপুরায়। মণিপুরি ভাষায় গল্প লেখার পাশাপাশি তিনি বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেন এবং প্রবন্ধ লেখেন। এখন অব্দি মণিপুরি ও বাংলা ভাষায় তার চোদ্দটি বই প্রকাশিত হয়েছে। এরমধ্যে ‘মহাদেবগী ওয়ারী’ গল্পগ্রন্থের জন্য তিনি মণিপুর থেকে মর্যাদাপূর্ণ ‘কামিনীকুমার স্বর্ণপদক’ পান। তার অনূদিত প্রখ্যাত মণিপুরি গল্পকার এন কুঞ্জমোহনের কুড়িটি গল্পের সংকলন ‘একটি ইলিশের স্বাদ ও অন্যান্য গল্প’ সাহিত্য আকাদেমি থেকে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বর্তমানে সাহিত্য আকাদেমি’র মণিপুরি ভাষা উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য। এখানে প্রকাশিত গল্প ‘উশিন’ মণিপুরি থেকে বাংলায় লেখক নিজেই অনুবাদ করেছেন।]

“অটোরিকশা থেকে আমার জিনিসপত্রগুলাে নিয়ে এসাে।”—এ কথা বলে চন্দ্ৰজিনী কুঁজো হয়ে ধীর পায়ে মেয়ে থম্বালের ঘরের দিকে এগিয়ে গেল। থম্বাল তার নিজের মেয়ে নয়, দিদির মেয়ে। তবে চন্দ্রজিনী তাকে যে নিজের মেয়ের মতােই স্নেহ করে। মা-হারা থম্বালও মাসি-কে নিজের মা’র মতােই ভাবে। ছেলে বউয়ের সঙ্গে মন খটাখটি হলেই চন্দ্রজিনী তার দরকারি সব জিনিসপত্র পুঁটলি বেঁধে নিয়ে থম্বালের বাড়িতে প্রায়ই চলে আসে। ইদানীং তার প্রতি বউমার দুর্ব্যবহারের মাত্রা বেড়েছে।

চন্দ্রজিনীর স্বামী সরকারি চাকরি করত। সে এখন স্বামীর পেনশন পাচ্ছে। বৃদ্ধা চন্দ্রজিনীর দুঃখ টাকাপয়সার অভাবের জন্য নয়। দুঃখের কারণ হল ছেলের বউ তাকে বার্ধক্যজনিত সেবা-যত্ন তাে করেই না বরং প্রতি পদে তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। তার দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। ছােটো ছেলে অতিরিক্ত মদ খেয়ে অকালেই মারা গেছে। ছেলেমেয়েরা তার কাছ থেকে কেবল টাকাপয়সা হাতিয়ে নেওয়ার ধান্দাতেই থাকে। তাদের আবদারে অতিষ্ঠ হয়ে স্বামীর জমানাে সব টাকাপয়সা ছেলেমেয়েদের হাতে তুলে দিয়েছে সে। মাসিক পেনশন ছাড়া এখন তার হাতে আর জমানাে টাকা নেই। বড়ো ধরনের রােগ-শােক হলে তার চিকিৎসার কোনো উপায় থাকবে না। এত কিছু করেও সে বউ, ছেলেমেয়েদের তুষ্ট করতে পারেনি। হাতে পয়সা নেই জেনে এখন কেউ তার দায়িত্ব নিতে চায় না, সেবা-যত্নও করে না। স্বামীর ভিটেয় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করবে বলে চন্দ্রজিনী ছেলে-বউয়ের সব অপমান অবহেলা চোখ বুজে সয়ে এসেছে। পরশুদিন বউমা মুখ ফুটে বলেই ফেলল, “ঢের হয়েছে। টাকাপয়সা চাই না আর—মেয়েদের বাড়িতে চলে যাও। আমাদের এখানে আর থেকো না।”

চন্দ্রজিনীর দুঃখের শেষ নেই। ছেলের ঘরের উঠোনের এক কোণে ছােট্ট এক খুপড়ি ঘরে একা থাকে সে। বৃষ্টির দিনে ঝড় এলে সে ভয়ে সিঁটিয়ে থাকে। অমাবস্যার নিশীথ রাতে পেঁচার ডাকে ঘুম ভেঙে যায়, ভয়ে আর ঘুম আসে না, বসেই রাত কাটায়। খিদেয় পেট চু চু করলেও কোনোদিন বউমা তাকে সকাল সকাল রেঁধে খাওয়ায় না। খিদে পেলে খাবে বলে চিঁড়ে, মুড়ি, বিস্কুট যা কিছু কিনে রাখে তা দু’দিনও যায় না। নাতিনাতনিরা এসে, “বােবােক! কী খাবার আছে?”, বলে হানা দিয়ে সব কিছু খেয়ে ফেলে। চন্দ্রজিনী তার জন্য কোনো আক্ষেপ করে না। তার আক্ষেপটা বউমার দুর্ব্যবহারে। সামান্য কথায় গায়েপড়ে ঝগড়া করে সে। শেষে বলবে, “আমাদের এখানে আর থেকো না। মেয়েদের বাড়িতে চলে যাও। তােমার আর টাকাপয়সা চাই না।”

বউয়ের গঞ্জনা সইতে না পেরে, থম্বালের বাড়িতে কিছুদিন বেড়িয়ে আসছি বলে চন্দ্রজিনী। অটোরিকশা ভাড়া করে চলে এসেছে। শাশুড়ি থম্বালের বাড়িতে যাবে শুনে বউমা তার মেয়ে রাধার জন্য কয়েকটা পোঁটলা অটোতে তুলে দিয়েছে। চন্দ্রজিনীর নাতনি রাধার সম্প্রতি থম্বালদের গ্রামে বিয়ে দিয়েছে। জিনিসগুলো নাতনি রাধার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অটোওয়ালাকে বলা হল। অটো থেকে তার সব জিনিসপত্র নামানাে হল কিনা মিলিয়ে দেখতে গিয়ে চন্দ্রজিনী বাড়তি একটা ছােটো থলে দেখতে পেল।

“এই ছােট থলেটা আমার নয়, নিশ্চয় রাধার হবে। কেউ তাকে থলেটা দিয়ে এসাে।”

ঠাকুরমার পাঠানাে ছােটো থলেটা দেখেই রাধার মনে কেমন যেন একটা খটকা লাগল। এখনের মােবাইলের যুগে মুহূর্তে সব খবরাখবর আদান প্রদান হয়ে যায়। ঠাকুরমার কাছে কী কী জিনিস পাঠিয়েছে মা মােবাইলে সব আগাম জানিয়ে দিয়েছে। বাপের বাড়ির সেই অটোওয়ালা কিছুক্ষণ আগে সব জিনিস তাকে সমঝিয়ে দিয়ে গেছে। মার সঙ্গে মন কষাকষি করে ঠাকুরমা যে পিসির বাড়িতে কিছুদিন থাকবে বলে চলে এসেছে সে কথাও মা তাকে বলেছে। মা আর ঠাকুরমার মধ্যে যে তেলে-জলের সম্পর্ক তা রাধার অজানা নয়। মা দিয়েছে বলে ঠাকুরমার পাঠানাে ছােটো থলেটা খুলে দেখল সে। এতে রয়েছে কয়েক মুঠো ধান। সচরাচর দেখা ধানের মতাে নয়, লম্বাটে ধরনের। সন্দেহের বশে সে যখন থলের ধান গুলাে দেখছিল তখন তার শাশুড়ি এসে হাজির হল। রাধার শাশুড়ি খুব চালাক ও ঝগড়াটে মহিলা। গ্রামের বেশির ভাগ লােক তাকে এড়িয়ে চলে।

—এগুলাে কী! কে পাঠিয়েছে?
—মা দিয়েছে বলে ঠাকুরমা পঠিয়েছে।

“হুম! এটা তাে সাধারণ ধান নয়। মনে হয় নিজের দশা অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়ার জন্য এটি উশিন করা দ্রব্য। মাকে জিজ্ঞেস করাে, এই কয়েক মুঠো ধান কেন পাঠিয়েছে? মঙ্গোনজাও মাইবাকে ধানগুলাে দেখাই গিয়ে। সে কী বলে দেখি। আমাদের বাড়িতে কী উশিন যে করল বুঝতে পারচ্ছি নে!”, এ কথা বলে রাধার শাশুড়ি ধানের থলেটা নিয়ে মাইবার কাছে গেল।

রাধাও দেরি না করে ফোনে জিজ্ঞেস করল, “মা, ছােটো ধানের একটা থলে ঠাকুরমাকে দিয়ে কেন পাঠিয়েছ? এই কয়েক মুঠো ধান দিয়ে আমি কী করব?”

—কি বলছিস্! আমি কেন তােকে ধান পাঠাতে যাব? তাের ঠাকুরমা নিশ্চয়ই নিজের দশা তোর উপর চাপিয়ে দেবার জন্য উশিন করেছে। বুড়িটা মােটেই সুবিধের নয়। আমাদের সবার কাছ থেকে আয়ু নিয়ে একশ বছরের উপর বাঁচতে চাইছে সে। তার পাঠানাে উশিন করা দ্রব্যটা তার কাছে আবার ফিরিয়ে দিও।

শাশুড়ি ও তার মার কথা শুনে রাধা রীতিমতাে ভয় পেল। ইদানীং তার খাওয়ার রুচি হচ্ছে না, পেটে ব্যথা লেগেই রয়েছেে, শরীর ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে। অসুস্থ শরীরে সত্যি সত্যিই কেউ যদি উশিন করে তবে তাে বাঁচাই দায় হবে। এ সব কথা ভেবে মনখারাপ করে রাধা বারান্দায় ঝিম মেরে বসে থাকে।

“আমি যা সন্দেহ করেছিলাম তা-ই হয়েছে। মানুষ কত নীচে নামতে পারে।”, গােখরাে সাপের মতাে হিস্‌ হিস্ করতে করতে রাধার শাশুড়ি ঘরে ঢুকল। রাধাকে বারন্দায় বসে থাকতে দেখে গলা আরও চড়াল, “মঙ্গোনজাও মাইবা ধানের থলেটা দেখেই বলেছে, সাধারণ ধান নয় এটা, উশিন করা ধান। যে বাড়িতে এ ধানের একটা বিচি পড়বে সে বাড়িতে মৃত্যু অবধারিত। দেরি না করে ধানের থলেটা বাড়ির সীমানার বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দাও।”

“ঠিকই তাে। স্বামী-সন্তান খেকো বুড়িটা নিজের দশা অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়ার জন্যই ওটা পাঠিয়েছে। আমি এখনই তার পাঠানাে উশিন করা ধান তার কাছেই ফিরিয়ে দিয়ে আসি গে। সব দশাই যেন তার কাছে আবার ফিরে যায়”, এ কথা বলে ধানের ছােটো থলেটা হাতে নিয়ে রাধার শাশুড়ি চন্দ্রজিনীর সঙ্গে মােকাবিলা করার জন্য থম্বালের বাড়ির দিকে পা বাড়াল।

অনেকদিন পর মাসি তার বাড়িতে বেড়াতে আসায় থম্বাল বেজায় খুশি। ঘরের ভেতর পাখার নীচে বসে চা খেতে খেতে মাসির দুঃখের কথা শুনছিল সে। এমন সময় রাধার শাশুড়ি ফটক দরজা থেকেই উচ্চস্বরে ডেকে বলল, “থম্বাল, অ থম্বাল। ঘরে আছাে?” তার ডাক শুনে থম্বাল ঘর থেকে বের হওয়ার আগেই রাধার শাশুড়ি ঘরের দরজায় এসে দাঁড়াল। চন্দ্রজিনীকে দেখতে পেয়ে গলা খেঁকিয়ে বলে উঠল, “আশি বছর পার করার পরও আর কত বছর বাঁচতে চাইছ? নিজের দশা অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার জন্য নাতনির বাড়িতে উশিন করা দ্রব্য পাঠিয়েছ? তােমার উশিন করা দ্রব্য তােমাকেই ফিরিয়ে দিয়ে গেলাম। সব দশা তােমার উপরই ভর করুক।”— এ কথা বলে ধানের সেই ছােটো থলেটা চন্দ্রজিনীর কোলে ছুঁড়ে দিয়েই হন হন করে দ্রুত পায়ে বেরিয়ে গেল সে। চন্দ্রজিনী, থন্বাল কেউই তার কথার জবাব দেওয়ার সুযােগ পেল না।

আগুনের ফুলকি থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটে যাওয়ার মতাে ঘটনাই বলতে হয়। চন্দ্রজিনী নিজের দশা খোদ তার নাতনির উপর চাপিয়ে দেওয়ার জন্য উশিন করেছে বলে রাধার শাশুড়ি গ্রামের সবার কাছে রটিয়ে দিল। ওদিকে তার বউমাও খবরটা ভালো করেই রটিয়েছে।

চন্দ্রজিনীরও ভাগ্য খারাপ বলতে হবে। নিজের নাতনির উপর উশিন করেছে বলে খবর রটনার দিন থেকেই রাধার অসুস্থতা ক্রমেই বাড়তে থাকে। বাড়িতে ডাক্তার-বৈদ্য এনে চিকিৎসা করিয়েও কাজ হয়নি। ভাত খেলেই বমি করে দেয়, পেটের ব্যথায় ছটফট করতে থাকে সে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তারেরা চিকিৎসা করলেও ক্রমেই তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। নাতনির অবস্থা ভালো নয় খবর পেয়েও চন্দ্রজিনী তাকে দেখতে হাসপাতালে যেতে পারেনি। তার ভয়, সেখানে গেলে রাধার শাশুড়ি তাকে অপমান করবে। বউমার ভয়ে সে বাড়িতেও ফিরে যেতে পারছে না। থম্বাল হাসপাতালে রাধাকে দেখতে গিয়েছিল। তার স্বাস্থ্য ভেঙেছে, দুর্বল হয়েছে খুব। থম্বালকে কাছে পেয়ে রাধা আক্ষেপ করে বলেছে, “দেখো পিসি! ঠাকুরমা আমাকে কী অবস্থা করেছে! সে আমাকে উশিন করায় এখন আমি বাঁচব কি মরব বুঝতে পারছিনে। আমার আয়ু নিয়ে সে খুশিতে বেঁচে থাকুক।”

রাধার অবস্থা দেখে থম্বালেরও খুব খারাপ লেগেছে। ঘরে ফিরে এসেই চন্দ্রজিনীকে জিজ্ঞেস করল, “মাসি! তুমি কি সত্যিই রাধাকে উশিন করেছ?”

“অন্যরা যা-ই বলে বলুক, থম্বাল তুইও এ কথা বলছিস্! আমি এখন যাব কোথায়! নিজের খােদ নাতনিকে কি কেউ উশিন করতে পারে। কী করে উশিন করতে হয় সত্যিই আমি জানি না, শিখিওনি। যে অটোওয়ালা সেদিন আমাকে তাের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে গেছে তার ফোন নম্বর জোগাড় করে দাও, ধানের থলেটা কার জিজ্ঞেস করি।”

থম্বালেরও খারাপ লেগেছে। দু’পক্ষই তার আপন জন। মাসি তার মার মতাে। ওদিকে রাধা তার ভাইয়ের মেয়ে। খােঁজখবর করে থম্বাল সেই আটোওয়ালার ফোন নম্বর জোগাড় করে মাসিকে দিল।

“সমীর, সেদিন যে আমাকে এখানে পৌঁছে দিয়ে গিয়েছিলে তাতে আমার জিনিসপত্রের সঙ্গে ধানের একটা ছোটো থলে পাওয়া গেছে। সেটি কার?”, চন্দ্রজিনী তাদের পাশের গ্রামের অটো চালক সমীরকে জিজ্ঞেস করল।

“ধানের থলেটা বুঝি তোমার জিনিসপত্রের সঙ্গে রয়ে গেছে। থলেটা যে কোথায় ফেলে এসেছি, আমি হন্যে হয়ে খুঁজছি। খুঁজে না পেয়ে আমি হয়রান হয়ে পড়েছি। সেটা ব্লক অফিস থেকে পাওয়া হাইব্রিড প্রজাতির ধানের বীজ। পয়সা দিয়ে পাওয়া যায় না। কালই নিতে আসব, যত্ন করে রাখো। খুব দামি ধানের বীজ।”, এ কথা বলে সমীর ফোন রেখে দিল।

চন্দ্রজিনী আপন মনে বিড়বিড় করে বলল, “কোত্থেকে তুমি ধানের থালেটা আমার জিনিসপত্রের সঙ্গে রেখে যাওয়ার কারণে আমি মহা ফ্যাসাদে পড়েছি। এখন আমার অবস্থা নীড়হারা পাখির মতো। মহা উশিন করেও আমার এই দুর্দশা আর কাটবে না।”

[উশিন :- ‘উশিন’ মণিপুরি সমাজে প্রচলিত এক অন্ধ বিশ্বাস। মণিপুরি লােকসমাজের বিশ্বাস মানুষের রোগ-শোক, আপদ-বিপদ, দুর্দশা বিশেষ কোনো দ্রব্যের মাধ্যমে অন্য কোনো প্রাণী, জীবজন্তু বা উদ্ভিদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে লােকটি রােগ-শােক, আপদ-বিপদ থেকে মুক্তি পায়। কিন্তু যার উপর উশিন করা হয় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে, অনেক সময় অকাল মৃত্যু ঘটে।

মাইবা:- মণিপুরি সমাজের গ্রামীণ ওঝা বা বদ্যি। তাছাড়া প্রাক হিন্দু ধর্মাচারে মাইবা পুরােহিতের ভূমিকাও পালন করে থাকে।]

শেয়ার করুন

Similar Posts

One Comment

  1. ছোটগল্প হিসেবে মাননসই। বৃদ্ধার জীবনের গল্প ভালো লাগলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *