তেহরান ট্যাবু: অন্ধকারে আলোকপাত – বিধান রিবেরু

তেহরান ট্যাবু: অন্ধকারে আলোকপাত – বিধান রিবেরু

শেয়ার করুন

সমাজে যা প্রকাশ্যে করা যায় না, যে জিনিস জনপরিসরে নিষিদ্ধ বলে প্রচলিত সেটাই সাধারণ অর্থে ট্যাবু বলে বিবেচিত। ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর নানা কিছুই নিষেধের তালিকায় যুক্ত হয়েছিল। এমনকি চলচ্চিত্রও। সত্তরের দশকের শেষভাগে নজরদারির আওতায় আনা হয় আরো হাজারো জিনিস। সারাক্ষণ একটি ছড়ি যেন ঘুরতে থাকে ঐতিহ্যবাহী পারস্য সমাজের ওপর। সেই ছড়ির নাম ইসলামি অনুশাসন। এই অনুশাসনের কারণে খর্ব হতে থাকে নারীর স্বাধীনতা, হ্রস্ব হতে থাকে শিল্পীর আজাদি। আর শাসনের চাপে মানুষের স্বাভাবিক যৌনতাও যায় বেঁকে, মানে হয়ে পড়ে বিকৃত। যেহেতু সমাজে ‘ঢাকঢাকগুড়গুড়’ ব্যাপারটা আছে, তাই চোরাগুপ্তা পথেই প্রবাহিত হয় যৌনতার স্রোত। এই যে খর্ব হওয়া স্বাধীনতা, বিকৃত হওয়া যৌনাচার, তারই এক শৈল্পিক বহিঃপ্রকাশের নাম ‘তেহরান ট্যাবু’। অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র ‘তেহরান ট্যাবু’ তৈরি করতে স্বভাবতই রোটোস্কোপিং (Rotoscoping) কৌশল ব্যবহার করা হয়। যাতে অভিনয়শিল্পীরা অভিনয় করেন একটি সবুজ পর্দার সামনে, পরে কম্পিউটার অ্যানিমেশনের মাধ্যমে মিজোঁসেন সাজানো হয়। জার্মান-অস্ট্রিয়ো প্রযোজনার ছবিটি নির্মাণ করেছেন ইরানি বংশোদ্ভুত আলি সুজানদে। ২৫ বছর বয়স থেকে আলি জার্মান দেশেই থাকেন। তিনি নিজেই অ্যানিমেটর। ছবির কাহিনীও তাঁর লেখা। কাহিনীর বীজ তিনি পেয়েছিলেন তেহরানে ট্রেন ভ্রমণের সময়, দুই তরুণের কথোপকথন থেকে। ২০১৭ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি প্রথম দেখানো হয়। আর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেয়া হয় ২০১৮ সালে, যুক্তরাষ্ট্রে। এই ছবিটি আলির প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি। আর এতেই তিনি নজর কাড়েন গোটা বিশ্বের। কি আছে ছবিতে? যা আছে ছবিতে, যা দেখানো হয়েছে, সেটা সংক্ষেপে বলব, আর বলব যা ছিল অদৃশ্য আকারে, সেটাও।

Tehran Taboo Film Poster
তেহরান ট্যাবু ছবির পোস্টার


১.ছবিতে আমরা দেখি, এক যৌনকর্মী পরী (এলমিরা রাফিজাদেহ) ও তার বাকশক্তিহীন ছেলে ইলিয়াস (বিলাল ইয়াসার) সংসারে ভাসমান অবস্থায় আছে। অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। পরীর স্বামী মাদকাসক্ত, কারাবাসে। এমন অবস্থায় কাগজে কলমে বিচ্ছেদ চাইছে পরী। কিন্তু ইসলামিক রেভ্যুল্যুশনারি কোর্টের বিচারক (হাসান আলি মেটে) তা দিচ্ছে না। আর এমনি এমনি দেবেই বা কেন? শর্ত দিল তার সঙ্গে শুতে হবে পরীকে। বিনিময়ে পরী পাবে মাথা গোঁজার জন্য একটি ফ্ল্যাট। এই বিচারকের যে আরো নারীর সঙ্গে এমন ‘অবৈধ’ সম্পর্ক আছে তা পরী পরে জানতে পারে। জানতে পারলেই বা কি, মাথার উপর ছাদ তো এই লোকই দিয়েছে। ফ্ল্যাটে থেকেই দেহব্যবসা চালাতে থাকে সে। পাঁচ কি ছয় বছরের ছেলেটাকে রাতে রেখে যায় প্রতিবেশী ফ্ল্যাটে। সেই ফ্ল্যাটে থাকে এক তরুণ দম্পতি। সারা (জারা আমির ইব্রাহিমি) ও তার ব্যাংকার স্বামী মোহসেন (আলিরেজা বেইরাম) শুধু নয়, তাদের সঙ্গে থাকে মোহসেনের মা-বাবাও। বৃদ্ধ বাবা সারাদিন প্রায় টেলিভিশন দেখে। প্রকাশ্যে ইসলামি অনুষ্ঠান দেখলেও, গোপনে সে নারীর উলঙ্গ নাচ দেখায় যে চ্যানেল, সেখানে চোখ আটকে রাখে (এজন্য ডিশ ব্যবসায়ীরা অবশ্য শাস্তিও পায়। চরম শাস্তি। একেবারে প্রকাশ্যে ফাঁসি!)। সারা সন্তানসম্ভবা। তারপরও সে একটি চাকরি খোঁজে, সাবলম্বী হলে শ্বশুরবাড়িতে আর থাকতে হবে না, সেজন্য। কিন্তু ব্যাংকার স্বামী বাধ সাধে। শুধু স্বামী নয়, সমাজও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। চাকরি ঠিকই পায় সারা, তবে সেজন্য সশরীরের এসে স্বামীকে অনাপত্তি পত্রে স্বাক্ষর করে যেতে হবে। স্বামী যেহেতু রাজি নয় এবং চাকরিদাতাও যেহেতু স্বামীর অনুমতিপত্র চায়, তাই সারার আর চাকরি করা হয় না। ওদিকে আরেক প্রতিবেশী ফ্ল্যাটে থাকে এক সঙ্গীতকার তরুণ বাবাক (আরাস মারান্দি)। সে যে ধরনের সঙ্গীত করতে চায়, তা গ্রহণ করতে তেহরান অপ্রস্তুত ও অনাগ্রহী। প্রকৃতিতে পাওয়া নানা শব্দের সমাহার করে নানা ধরনের কম্পোজিশন করতে পছন্দ করে বাবাক। এমনিতেই তো গানবাজনা নিষিদ্ধ সেই সমাজে। তারপরও গানবাজনা ভালোবেসে করতে করতে সে জড়িয়ে যায় আরো এক গভীর সঙ্কটে। দনিয়া (নিগার মোনা আলিজাদেহ) নামের এক মেয়ের সঙ্গে নাইট ক্লাবে মিলিত হয় সে। নেশার ঘোর কাটলেও ভয় ও শঙ্কা গ্রাস করে বাবাক ও দনিয়াকে। কারণ কুমারিত্ব হারিয়েছে দনিয়া। কিছুদিন পরই তার বিয়ে! স্বামী কুমারী স্ত্রী চায়। যদিও পরে জানা যায়, পরিবার বা বিয়ে নয়, এই দনিয়া এক গ্রাম থেকে আসা মেয়ে, যে তেহরানের কাজের সন্ধানে এসেছিল। কিন্তু এখানে এসে পড়েছে নারী পাচারকারী চক্রের খপ্পরে। দেশের বাইরে ইরানের কুমারী মেয়েদের চাহিদা আছে। তাই কুমারিত্ব নষ্ট হয়েছে জেনে বেদম চাপ আর ভয় দেখাচ্ছিল চক্রের লোকেরা। ওদিকে কুমারিত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ছোট্ট অস্ত্রপচার প্রয়োজন। দায় তো বাবাকেরই। বাবাক সেই অর্থ জোগাড় করতে গলদঘর্ম হয়। পারে না। সামান্য গানবাজনা করে খায়। কোত্থেকে পাবে অতো টাকা? বিয়ে বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক তো ভয়াবহ অপরাধ ইরানে। আর সেখানে এমন অপারেশন তো বেশ গোপনীয়তার সাথেই করতে হবে। কাজেই খরচও কয়েকগুণ বেশি। অর্থের ব্যবস্থা হয় এক বিচিত্র উপায়ে। গর্ভবতী সারার ব্যাংকার স্বামী, যাকে সৎ পুরুষ বলে মনে করত পরিবারের লোকজন, সেই সৎ পুরুষ ঘটনাচক্রে হাজির হয় পরীর সামনে, ইচ্ছা ছিল বেশ্যাগমনের। দুজনেই হকচকিয়ে যায়। কিন্তু এই ঘটনায় বেশ বেকায়দায় পড়ে ব্যাংকার মোহসেন। পরী জানতে পারে বাবাকের অর্থ প্রয়োজন। তখন সে বাবাককে নিয়ে মোহসেনের কাছে যায়। আর ওই ঘটনার জন্য মোহসেন অনেকটা বাধ্য হয়েই ঋণের ব্যবস্থা করে দেয় বাবাককে, কোন চালচুলো না থাকা সত্ত্বেও এবং অবশ্যই সেটা অবৈধ উপায়ে।এরইমধ্যে মোহসেনের স্ত্রী সারার সাথে ভালো বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে পরীর। একদিন পরীর ফ্ল্যাটে যায় সারা। কথায় কথায় সারা বলে, সকল পুরুষ এক নয়। যেমন তাদের দারোয়ান। মুখটি তুলে কথা বলে না। বেশ ভদ্র। তখন পরী হেসেই উড়িয়ে দেয় কথাটি। সারার ফোন থেকে দারোয়ানকে ফোন দেয় পরী। আমন্ত্রণ জানায় সে। সঙ্গে সঙ্গে পটে যায় দারোয়ান। কিন্তু গোল বাধে সেখানেই। খোঁজ শুরু হয় এটা কার নাম্বার? খুঁজতে খুঁজতে দেখা যায় নাম্বারটি সারার। কিন্তু সারা বিশ্বাস করাতে পারে না, ওই কাজটি সে করেনি। সামান্য ঠাট্টা রূপ নেয় ভয়াবহ ঘটনায়। স্বামী তাকে বেশ্যা বলে গালি দেয়। আরো অনেক বাজে কথা শোনায়। পরীর সামান্য ভুলের চরম খেসারত দিতে হয় সারাকে। আত্মহত্যা করে সে।ওদিকে, বাবাক শেষ মুহূর্তে আর দনিয়ার জন্য অস্ত্রোপচারের টাকা নিয়ে হাজির হয় না। সম্ভবত সে ইরান থেকে পালিয়ে ইউরোপ বা আমেরিকার বিমান ধরে। আর ভীতসন্ত্রস্ত দনিয়ার হাতে কিছু টাকা গুজে দেয় পরী, পরামর্শ দেয়, গ্রামে ফিরে যাওয়ার। মুক্তি পাক মেয়েটি। বাবাকের আরেক বন্ধুও জানায়, মানুষ ইরানের দমবন্ধ করা পরিবেশ থেকে মুক্তি চায়। তেহরানের আকাশে মুক্ত পাখিদের ডানা মেলতে দেখা গেলেও, একই আকাশের নিচের মানুষগুলো কিন্তু তা নয়। একটা রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় শাসন দ্বারা কঠোরভাবে পরিচালিত। এরই তলে তলে চলে দেদার গোপন যৌনাচার ও মাদকের ব্যবসা। প্রশাসনও সমান তালে দুর্নীতিগ্রস্ত। এমনই এক সমাজের কথা বলতে চেয়েছেন নির্মাতা আলি। ভাগ্যিস তিনি ইরানে থাকেন না। নইলে চিত্রপরিচালক মোহাম্মদ রাসুলফ বা জাফর পানাহির মতো কারাগারে বন্দী থাকতে হত তাঁকে। 
২.ছবিটি দেখতে দেখতে আমার মনে প্রশ্ন জাগে, কেন পরিচালক এমন এক চরিত্র আনলেন, যে চরিত্রটি কথা বলতে পারে না? নির্বাক? পরীর ছেলে ইলিয়াসের কথা বলছি। প্রথম থেকেই এই ছেলেটিকে দেখা যায় শুধু নির্বাক নয়, নির্বিকার। শুরুর দৃশ্যে মা পরী যখন এক নিষ্ঠাবান কন্যার পিতা ট্যাক্সিচালককে ব্লো-জব দিচ্ছে, তখন গাড়ির পেছনে বসে ইলিয়াস তেহরানের দালানকোঠা ও গাড়িঘোড়া দেখছে, ভাবলেশহীন মুখে। যখন রাষ্ট্র নিয়োজিত বিচারক পরীকে গোপন আস্তানায় সম্ভোগ করে, তখন ইলিয়াস বাইরে ফুটবল খেলে। বাগানের ফুল তছনছ করে দেয় প্রতিক্রিয়াহীনভাবে। এমনকি যখন সারা আত্মহত্যা করতে যাবে, তখন সারার অনুরোধে সে বিনা বাক্য ব্যয়ে মোবাইলের ক্যামেরায় বিদায়ী বক্তব্য ধারণ করে। কেবল মাত্র এবং কেবল মাত্র একবারই ইলিয়াসকে ‘কথা’ বলতে দেখা যায়, ইশারা ভাষার মাধ্যমে। যখন তার মা প্রতিবন্ধীদের বিদ্যালয়ের ভর্তির জন্য নিয়ে যায়, তখন প্রধান শিক্ষিকা তাকে জিজ্ঞেস করে ইশারা ভাষা কিছু জানে কিনা। স্কুলের মাঠে এক ছেলেকে সে দেখেছিল ইশারায় কথা বলছে। তখন ইলিয়াস একটা ইশারা শিখে নেয়। এবং শিক্ষক জিজ্ঞেস করার পর ইলিয়াস সেই ইশারাই করে দেখায়। যার তর্জমা দাঁড়ায়— ‘ফাক ইউ’। গোটা সমাজকেই যেন ইলিয়াস এই গালিটা দিল। ইলিয়াসকে একবার পেট ফাটিয়ে হাসতেও দেখা যায়। একদিন কয়েকটি ছেলে পিপিং টমের মতো মেয়েদের স্নানঘরে উকিঝুঁকি মারছিল। যে ছেলেটি সর্বাগ্রে ছিল, সে একটি দূরবীনের সাহায্যে নগ্ন স্নানরতা মেয়ের বর্ণনা দিচ্ছিল অন্য ছেলেদের। বর্ণনা দিতে দিতে হঠাৎ সে খেয়াল করে, সেই মেয়েটি আসলে তারই বোন! ক্ষোভে ফেটে পড়ে ছেলেটি। এই দৃশ্য দেখে ইলিয়াস হেসে কুটিকুটি হয়।আমার কাছে মনে হয়েছে এই ছেলেটি আসলে সময়ের রূপক বা মেটাফোর। যে নীরব থেকে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছে আর ঘটনা জমা করছে স্মৃতিভাণ্ডারে। যেভাবে স্মার্টফোনে সারার আত্মহত্যার পূর্বমুহূর্ত সংরক্ষিত হয়। এই ছবিতে একটি কালো বিড়াল থাকে, মোটিফ আকারে সে বারবার আসে। কালো বিড়ালটিও বোধ করি আরেকটি রূপক। পারস্য পুরাণে বিড়ালকে ধরা হয় মন্দাত্মা ও ট্যাবু হিসেবে। তাই ইলিয়াসের সাথে বিড়ালের সখ্যতা দেখানোর কারণটা অমূলক নয়। ছবির শুরু থেকেই এই কালো বিড়ালের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। বিড়ালটিকে প্রথমে দেখা যায় গাড়ির সামনে দিয়ে রাস্তা পেরুতে। এরপর ধীরে ধীরে দেখা যায় প্রাণীটি ফ্ল্যাটবাড়িরই বাসিন্দা হয়ে গেছে। ইলিয়াসই একমাত্র তাকে খেতে দেয়। একটু খাতির করে। কিন্তু অন্য বাসিন্দারা তাকে তাড়িয়ে দেয়। পরে তো বস্তায় ভরে ফেলে দেয়। সমাজের চোখে যা ট্যাবু, সময়ের চোখে তা ট্যাবু নয়। 

ছবির একটি দৃশ্য


৩.ইরানের আরেক পরিচালক আসগর ফরহাদির ছবিতেও ইরানি সমাজের কপটতার রূপ ধরা পড়ে। যেমন- ‘সেলসম্যান’ (২০১৬)। এই ছবিতেও দেখা যায় এক মধ্যবয়স্ক লোক লুকিয়ে লুকিয়ে বেশ্যাবাড়ি যায়। পরে সে ধরাও পড়ে। কারণ বেশ্যাবাড়িতে নতুন ভাড়াটিয়া দম্পতি এসেছে, যারা আবার নাট্যকর্মী। যাহোক, শুধু ইরানকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। প্রত্যেক সমাজেই এমন কমবেশি কপটতা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কথাই যদি ধরি—সেখানে তো প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যৌন কেলেঙ্কারির ঝড়ে উড়ে যায়যায় অবস্থা—সেই ট্রাম্প ঝড়ের নায়িকার নাম স্টর্মি ড্যানিয়েলস। স্টর্মিও আমাদের আলোচিত ‘তেহরান ট্যাবু’ ছবির পরীর মতোই। প্রত্যেক সমাজেই পরীরা থাকে। তাদের বেদনা থাকে। টিকে থাকার জন্য নিজস্ব লড়াই থাকে। লড়াইয়ে কোন নারী আমৃত্যু লড়ে যায়, কেউ আবার হাল ছেড়ে দেয়, আত্মহত্যা করে সারার মতো। তবে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে প্রায় সকল নারীর স্বাধীনতাই কেটেছেটে দেওয়া হয়। সারা যেমন মৃত্যুর আগে ঘুড্ডি জুড়ে নিয়েছিল পিঠে, উড়তে পেরেছিল কি? পারেনি। ঘুড্ডি দিয়ে ওড়া যায় না। কিন্তু সেই ঘুড্ডিটাই এখন যেন স্বাধীনতার প্রতীক। এই মিথ্যে প্রতীক দিয়েই ভুলিয়ে রাখা হয় নারীদের।আলি সুজানদের মতো কোন ইরানি পরিচালক এর আগে ইরানের রক্ষণশীল ও অসহিষ্ণু সমাজব্যবস্থাকে এতটা রূঢ় ভাষায় সমালোচনা করেননি। হাফিংটোন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলি বলেন, তিনি সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের সূচনা করতে চান ইরানে। এটা ঠিক, সেক্ষেত্রে প্রধান অস্ত্র চলচ্চিত্র হবে না, তবে চলচ্চিত্র অন্তত পক্ষে দর্শককে ভাবতে সাহায্য করবে। আর এই ভাবনার উদ্রেকের মধ্য দিয়েই সমাজে পরিবর্তন আনা সম্ভব বলে মনে করেন আলি।

শেয়ার করুন

ক্যাটেগরি বা ট্যাগে ক্লিক করে অন্যান্য লেখা পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরনো লেখা

ফলো করুন

Recent Posts

Recent Comments

আপনপাঠ গল্পসংখ্যা ২০২২