আলিউজ্জামানের পাঁচটি কবিতা

আলিউজ্জামানের পাঁচটি কবিতা

একটি প্রতিবিম্ব ও তার সহজ সমীকরণ (১) আকাশকে ভেতরে ধারণ করে কাঁপানোর ছলসেইমতো জেনেছি ব্যবহারিক জল, আরজলাকর্ষী প্রতিবিম্বে মূর্ধন্যর মতোসম্মতিহীন ঈশ্বরবিশ্বাস কীভাবেকিলবিল করে মাছরাঙার চোখে। যদিও তেমন কোনো উপার্জন নেই আগুনের,তবু, বিস্তৃত এই বাহুদ্বয় তোমাকে বিঁধতে গিয়েভূমিষ্ঠ ফুলের মতো তাকিয়ে থাকে আততায়ীর দিকে। (২) এই বাতাসে এখন তোমার চুলের প্রভাব কাটিয়েখুব গভীর সম্পর্কে হাঁসগুলো জলে…

প্রিয়া সামন্ত-র পাঁচটি কবিতা

প্রিয়া সামন্ত-র পাঁচটি কবিতা

১ প্রেম ভেঙে গেলে মানুষ কী করে?গান শোনে, বাজার যায়?হুটহাট বেরিয়ে যায় ঠিকঠিকেনি সন্ধেবেলা?হেঁটে যায় অগস্ত্যের পথেফেরে না আর নদীপাড় ঘেঁষা ইটভাটার চুল্লি থেকে! মানুষ তবুও দেখি উৎসবে যায়ফিঙের উৎসাহের মতো বালিকার ইচ্ছের পাশেবসে থাকি অবিচল, তীর্থের স্থবির কাকভাঙা ভাঙা শব্দবন্ধ, অশ্রুত গোটাতিনেক বাক্যওঠে আর ঝরে যায়হিরের কুচির মতো জল, বিন্দু বিন্দু জলঝরে আর মিহিন…

কস্তুরী সেনের পাঁচটি কবিতা

কস্তুরী সেনের পাঁচটি কবিতা

শুরু নারাণ মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু হল এই বর্ষাকাল,যূথী নাই জাতী নাই, প্রতীতি কি হবে?প্রতীতি, শব্দের মানে সহাস্য কুসুম।ঘন রাস্তা লোক ভিড় নতুন ফলের গন্ধ সঙ্গে নিয়ে বর্ষা এল সন্ধে সন্ধে,‘একটি কবিতা চাই’ বর্ষা এল শিয়ালদাবাজারবেঁটে ছাতা ত্রিশ টাকা দরদামে চমৎকার খুশি হয়ে লাফিয়ে ধরেছ যে রানিংয়ের ট্রেন,তোমাকে শোনাই এসো গ্বালিবের প্রেমিকাটি বাঙ্গালিনী ছিল এ প্রবাদ…

বটপাকুড়ের বিবাহবার্ষিকী – সোহেল ইসলাম

বটপাকুড়ের বিবাহবার্ষিকী – সোহেল ইসলাম

১.সানাই বাজার চার বছর পূর্ণ করেওরাও মানুষের মতো আচরণ শুরু করলসর্প দেবতার থানে ফুল চড়িয়েঘাটে ধুয়ে এল গাছ অবতারের জীবনবারান্দার দড়িতে ঝগড়া মেলে দিলবিছানায় পাতল ফুলআঁকা চাদরকাঁথার চেনা সেলাই না করল না ২.একটা কোটর দরজা হলে কেমন লাগেদেখার জন্যধানের আঁটি বাড়ি ফিরছেতাল কুড়ানোর আনন্দ রওনা দিল বলেরাস্তার ধুলোয় পিছলে পড়ছে দুপুরকচু পাতায় টলটল করছে জলের…

জিয়া হকের পাঁচটি কবিতা

জিয়া হকের পাঁচটি কবিতা

ক. বোধগম্য নও, তবু হেসে ওঠা ধর্ম আমারমেরুদাঁড়া ভেঙে যায় রোজ রাত্রিবেলামানুষের ভাষা যেন বুঝতে পারি নাকাউকে পাই না বলে ঈশ্বরাদি ডাকিঈশ্বরকে ডাকি বলে কাউকে পাই নাক্ষমাশীল তিনি—এমনই শুনেছিমায়েদের চেয়ে মাতৃময়মাতৃময়ী না লিখে তাকে আমি পুরুষে রাখলাম‘করুণা করুণা’ বলে ডাকি সেই উঁচু নীরবতাআমার কথারা ঘোরে মনের জঙ্গলে আমারপশুমাংস চাই না আর চাই একটা গাভীর শাবকবিশ্বাস…

শতানীক রায়ের পাঁচটি কবিতা

শতানীক রায়ের পাঁচটি কবিতা

প্রবাহ ১সাধু-চলিত বর্জিত করুণা এখানে কবে কোন্ পাপ গাথা হয়ে আছে ঘূর্ণন তার গতির অঙ্গ হিসেবে আমার এই সবকিছু আগের মতো মুখটা মহার্ঘ্য কোনো মুখকে গোপন করে অক্ষরে অনেক বোধ রেশমের মতো কোমল নরম তারপর এইসব একই শব্দ একই করুণ হঠাৎ কোনো মানুষ তবে অহল্যা হয়ে গেছে ২যেখান থেকে উঠে আসে প্রাণগুলো উপড়ে বেরিয়ে আসে…

…এবং পাঁচটি কবিতা – রাজীব দত্ত, দয়াময় মাহান্তী, অনঞ্জন

…এবং পাঁচটি কবিতা – রাজীব দত্ত, দয়াময় মাহান্তী, অনঞ্জন

রাজীব দত্তের দুটি কবিতা এক্সিট পোল আলাদিন ফোন করেছিল—এ-বছর উৎসবে জেলার কবিরা সবমূল মঞ্চে সমবেত হবে।সামগান, দীপ প্রজ্বলন হলেতাদেরই মিছিল মিশন রো, পার্কস্ট্রিট ঘুরেফিরে যাবে নিজ নিজ স্থানে।অপচয় রোধে আগাম জানাতে হবেশাকাহারী কিনা, তার সাথে নতুন কবিতা। গিন্নিকে ডাল বাটতে বলেবাজারের থলে হাতে রাস্তায় নামি।সিলেটেরই বাতিক বোধহয়—মিক্সিতে বাটা ডাল কখনোই তত মিহি নয়।আচমকা ধাঁধা লাগে,…

সীতা হেমব্রমের পাঁচটি কবিতা

সীতা হেমব্রমের পাঁচটি কবিতা

আখা জ্বলছে, কয়লার বিরাম নেই লেখা আসার আগে, সন্তানজন্ম ফিরে আসে। স্বপ্ন তখন স্বরবর্ণে আসত, ফিরে যেত ভ্রূণ বিষাক্তকরে। মনে হত, মরা বাচ্চা বিয়োব আমি; নীল হয়ে যাওয়া, রক্তনাড়ী জড়ানো গলায় সে মাকেনা বলেই হয়ত ফিরে যাবে সম্পূর্ণ জীর্ণ । দলা পাকানো জরায়ু তছনছ করে গোটা বাড়িটাই ভেঙে পড়ল, সলতে পাকানোএক ফোঁটা জলও নিল না…

অজিত ভড়ের পাঁচটি কবিতা

অজিত ভড়ের পাঁচটি কবিতা

ব্যক্তিগত ভেবেছিলুম যাব মঞ্জুমালা এসে জানলা খুলে দিল।যেন মৃত্যু বেরিয়ে গেল ঘর থেকে। তারপর সন্তুর বিয়েনানারকম রান্নার গন্ধখেয়ে উঠে বেরোতেই সায়ন্তনীর সঙ্গে দেখা: সায়ন্তনী শব্দহীন :যেন ভিনরাজ্যের ঝিলম নদীর বাঁক,আর শিল্পিতা?অনেকদিন আগের ট্রেন ছেড়ে যাওয়া প্ল্যাটফর্ম এখানে এক পা– ওখানে এক পাঘরে ঢুকিজানলা খোলাদেখি– আবার মৃত্যু ঢুকেছে ঘরে… এই বয়সে আর মশারি খাটাতে ভাল্লাগে না!…

পাঁচটি কবিতা – শাশ্বতী সরকার ও সৌম্যজিৎ রজক

পাঁচটি কবিতা – শাশ্বতী সরকার ও সৌম্যজিৎ রজক

শাশ্বতী সরকারের তিনটি কবিতা যেন গান মনে থাকে ১)আর দুঃখ নয়, মা ছেলেকে খাইয়ে দিচ্ছে ভাতঅন্নজল অভাবের দেশে ধানখেতে ফুটে উঠছে খুঁটি, বিদ্যুতের তার জুড়ে বসে আছে শালিকের জোড়তুমি যেন গজে নয়, পাহাড় থেকে সোজা নদীর উপরে চেপে এলেপ্রকৃতই পর্বতদুহিতা এই শাদা জলধারা ২)বিরাট রাজার বাড়ি। সৈরিন্ধ্রী এলোচুলে ঘোরে। কী আশা করেছিলে? শীতকাল — পাথরের…