আলিউজ্জামানের পাঁচটি কবিতা
একটি প্রতিবিম্ব ও তার সহজ সমীকরণ
(১)
আকাশকে ভেতরে ধারণ করে কাঁপানোর ছল
সেইমতো জেনেছি ব্যবহারিক জল, আর
জলাকর্ষী প্রতিবিম্বে মূর্ধন্যর মতো
সম্মতিহীন ঈশ্বরবিশ্বাস কীভাবে
কিলবিল করে মাছরাঙার চোখে।
যদিও তেমন কোনো উপার্জন নেই আগুনের,
তবু, বিস্তৃত এই বাহুদ্বয় তোমাকে বিঁধতে গিয়ে
ভূমিষ্ঠ ফুলের মতো তাকিয়ে থাকে আততায়ীর দিকে।
(২)
এই বাতাসে এখন তোমার চুলের প্রভাব কাটিয়ে
খুব গভীর সম্পর্কে হাঁসগুলো জলে চলে আঁকাবাঁকারকমে।
যেন অমন শালীনতায় মেঠো সম্প্রীতিবিধি
হেঁটে গেছে, মাথা তার নীচু, গ্রামীণ নীরবতায়।
তোমার সাথে এখন এমনই সম্পর্ক রেখেছি যে
অবিভক্ত ওই চিহ্নটুকু সুশীতল হয় ঠান্ডা সাপের বিষে।
(৩)
এভাবে তোমাকে দেখি, পোকা-কাটা পুরোনো উইলের ভেতর।
আর উত্তরাধিকারসূত্রে জেনেছি, সুদখোর মহিলা তুমি!
জিভের কামনায় শুধু বাড়িয়ে দাও,
পরাশ্রয়ী জীবের উৎপাত মাটির শরীরে।
(৪)
এবার থেকে সমস্ত পর্দা খুলে রেখে, দ্যাখো
আঙুল গুনে গুনে কড়ার প্রহার, বিকেলরোদে
দাঁড়িয়ে থাকা মায়ের সংসারবাদিতায়,
তোমার বয়সের ওজন ঠিক রাখতে এমনভাবে
জোৎস্নামালতী বিনুনি দুলিয়ে যায়, যেন জন্মের
প্রথম কান্নার মতো রাত নেমে আসে পাখির সাম্রাজ্যবাদে।
তাই, এখন শুধু তারার সাথেই কথা বলো জাহ্নবী!
নদীও অমন খিলাড়ি। একমুখে আসতে গিয়ে
অন্যমুখে সমুদ্রে মিশে যায়, অনায়াসে।
(৫)
এভাবে একইরকম ঘুরতে ঘুরতে
মুষ্ঠিমেয় হল মাটি, কুমোরের হাতে।
ঠিক এরকমই ঈশ্বরচেতনায়
তোমাকে সংযুক্ত করতে,
বেতনমাফিক ব্যাঙ্ককর্মীর কথায়
গোলাপতাড়িত আকাঙ্ক্ষা বিচ্ছিন্ন করেছে
সংগঠিত শ্রম, মৌমাছিদের।
এখন অপরাগ ফুলের মতো সুস্থির ঝিনুকের হৃদয়
খুব গভীর সম্পর্কে, পিছুটান লেগে থাকে জলের, পাথরের গায়ে।
khub valo lglo
aponpath er kach theke erokom kobita aro chai …
kobita valo hoyeche , kintu aro valo hote parto … suvechha janalam