শতানীক রায়ের পাঁচটি কবিতা
প্রবাহ
১
সাধু-চলিত বর্জিত করুণা এখানে কবে কোন্ পাপ গাথা হয়ে আছে ঘূর্ণন তার গতির অঙ্গ হিসেবে আমার এই সবকিছু আগের মতো মুখটা মহার্ঘ্য কোনো মুখকে গোপন করে অক্ষরে অনেক বোধ রেশমের মতো কোমল নরম তারপর এইসব একই শব্দ একই করুণ হঠাৎ কোনো মানুষ তবে অহল্যা হয়ে গেছে
২
যেখান থেকে উঠে আসে প্রাণগুলো উপড়ে বেরিয়ে আসে ফেনার সমুদ্র ছিনিয়ে নিয়ে পুরোনো রক্তের যা কিছু তোমাকে ভুলতে শিখেছে ছোটোখাটো শরীর সেখানে অতঃপর শরীরের বিভিন্ন দেশের কথন মন গড়ে ওঠে ওই। সব ফুটো এক হয়ে এত অন্ধকার এত জলের রোষ আদিতম গাছের ভেতর পৃথিবীর ভেতর কীরকম একটা গান হয়ে বসে থাকো তোমার কাছে যত প্রাচীন হয়ে এই তো আছি
৩
ঘুমও এত যতিবিহীন হতে পারেনি যে-দেশ গোপন করে গানে ভুবনে এত মৃত্যু এত লাশ উদ্ধার শব্দের ব্যবহার দিয়ে গতিপথ প্রকৃতি অনুসরণে পাখি ওড়া দিয়েই সর্বত্র একই মানুষ একই কথন সহযোগী স্বর ভেদ করে যেখানে যত তদুপরি আমি বেঁচে আছি আশ্বিন মাসে না কি আশ্বিন এক মহৎ লেখা আর তখনই শেষ হ য ব র ল এদিক ওদিক দিয়ে শুধু শরীর
৪
বিষয়শূন্যতা কোথা থেকে শুরু হয়েছে কেউ বলতে পারেনি অযথা কোলাহলপ্রিয় মানুষ সকাল সন্ধ্যা জল তোলে ভুল করে হাসতে থাকে বিস্ময়হীন একটু আগেই দরবারি কানাড়া শ্বাস টেনেছে— দীর্ঘ তারপর একটু করে শহর দেশ গ্রাম মিশে গিয়ে সকালের আনন্দ খিদে পিণ্ডাকারে এসে চোখের ঘোলাটে ভাবও এসে আর কিছু না অমনি তোমাকে বেঁধে ফ্যালার কৌশল আর অপরিহার্যতা থাকে এই গাছ সংঘাতে তবে এমন নির্বোধ আমি প্রতিদিন গড়ে উঠি ঘুমিয়ে কাটাই কোনোদিন কি ইন্দ্রিয়হীন হয়ে উঠি।
৫
কাকে যে ঘুম তাড়িত করে রাখি বিপুল রাতের ভেতর আরেকটি রাত দিন ক্ষণ পৃথক করে এগিয়ে নিয়ে যাই কথা থেকেও বিচ্ছিন্ন হই এখানে পীঠস্থান গড়ে ওঠে মানুষের রঙে লিপ্ত কাকে যে ঘুমে রাখি তলানো গাছপালা ওই ভাসতেই থাকে বিথোবেন বাজে অনবরত যে-লেখা চলেছে কাকে যে ঘুমে জড়িয়ে রাখি নিজেই আবিষ্কার করি দ্বীপের মতো একটি দেশ হয় ইচ্ছার অধিক
অন্যান্য কবিতা পড়তে কবিতা ক্যাটেগরি বা পাঁচটি কবিতা ট্যাগে ক্লিক করুন
খুব ভালো লাগল লেখাগুলি
তুমি নিজেই তোমার প্রবাহ লিখছ। ভালো লাগছে নিজেকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে আনছ। একটা ঘোরের মধ্যে লিখে যাচ্ছ। ভালো লাগছে।
অসাধারণ লেগেছে।