সংগীত সাধক অতুলপ্রসাদ সেনের জন্ম সার্ধশতবর্ষ — দীপক সাহা

সংগীত সাধক অতুলপ্রসাদ সেনের জন্ম সার্ধশতবর্ষ — দীপক সাহা

শেয়ার করুন

লোকমান্য তিলক কারারুদ্ধ হয়েছেন, প্রতিবাদে দেশ উত্তাল। অতুলপ্রসাদের বাড়িতে সেদিন অতিথি বিপিনচন্দ্র পাল ও শিবনাথ শাস্ত্রী। তাঁদের সামনে গাইলেন ‘কঠিন শাসনে করো মা শাসিত’।১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথের নোবেল প্রাপ্তির পর অতুলপ্রসাদের গুরুবন্দনা ‘বাজিয়ে রবি তোমার বীণে/আনল মালা জগৎ জিনে’….।আর শান্তিনিকেতনে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ তাঁকে শোনাচ্ছেন ‘মোর সন্ধ্যায় তুমি সুন্দর বেশে এসেছ, তোমায় করিগো নমস্কার ‘….,প্রত্যুত্তরে অতুলপ্রসাদ গাইছেন, ‘ওগো আমার নবীন সাথী, ছিলে তুমি কোন বিমানে?’ লক্ষ্ণৌ-এ দাঙ্গা লেগেছে। উন্মত্ত মানুষ একে অন্যকে আঘাত করেছে। অতুলপ্রসাদ তাদের মধ্যে গিয়ে বোঝাচ্ছেন। রাতে ঘরে ফিরে রচনা করছেন —’পরের শিকল ভাঙিস পরে/নিজের নিগড় ভাঙ রে ভাই/…..সার ত্যজিয়ে খোসার বড়াই!/ তাই মন্দির মসজিদে লড়াই /প্রবেশ করে দেখরে দু ভাই /অন্দরে যে একজনাই। ‘

‘মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা!/ মাগো তোমার কোলে, তোমার বোলে, কতই শান্তি ভালবাসা!/ কি যাদু বাংলা গানে! গান গেয়ে দাঁড় মাঝি টানে/ গেয়ে গান নাচে বাউল, গান গেয়ে ধান কাটে চাষা।’ এ গানটি আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। সংগীতের এই সাধকের জন্ম ১৮৭১ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকায় তারই মাতুলালয়ে। পৈতৃক বাড়ি ছিল দক্ষিণ বিক্রমপুরে। বাবার নাম রামপ্রসাদ সেন এবং মায়ের নাম হেমন্ত শশী। বাল্যকালে পিতৃহীন হয়ে অতুলপ্রসাদ ভগবদ্ভক্ত, সুকণ্ঠ গায়ক ও ভক্তিগীতিরচয়িতা মাতামহ কালীনারায়ণ গুপ্তের আশ্রয়ে প্রতিপালিত হন। পরবর্তীকালে মাতামহের এসব গুণ তাঁর মধ্যেও সঞ্চারিত হয়। অতুলপ্রসাদ ১৮৯০ সালে প্রবেশিকা পাসের পর কিছুদিন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যয়ন করেন। ১৮৯০ সালে ব্যারিস্টারি পড়তে বিলেত যান। বিলেত যেতে যেতে জাহাজে বসে তিনি লিখেছিলেন ‘উঠ গো ভারতলক্ষ্মী’ গানটি। লন্ডনে গিয়ে তিনি আইন শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং আইন পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হন। বিলেত থেকে ব্যারিস্টারি পাস করে তিনি কলকাতা ও রংপুরে আইন ব্যবসা শুরু করেন এবং পরে লক্ষ্ণৌতে স্থায়িভাবে বসবাস করেন। সেখানে তিনি একজন শ্রেষ্ঠ আইনজীবী হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন এবং আউধ বার অ্যাসোসিয়েশন ও আউধ বার কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাচিত হন। লক্ষ্ণৌ নগরীর সংস্কৃতি ও জীবনধারার সঙ্গেও তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত হয়ে পড়েন। অতুলপ্রসাদ প্রবাসী (বর্তমানে নিখিল-ভারত) বঙ্গ-সাহিত্য সম্মিলন প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন। তিনি উক্ত সম্মিলনের মুখপত্র উত্তরার একজন সম্পাদক এবং সম্মিলনের কানপুর ও গোরখপুর অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন।

রাজনীতিতে তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ না করলেও প্রথমে কংগ্রেসের সমর্থক ছিলেন, পরে লিবারেলপন্থী হন। ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর বঙ্গভঙ্গ কার্যকর করার দিনটি জাতীয় শোক দিবস হিসাবে পালন করা হয়। এই দিনে রবীন্দ্রনাথের আহ্বানে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববন্ধনের প্রতীক হিসাবে ‘রাখিবন্ধন’-এর ব্যবস্থা করা হয়। অতুলপ্রসাদ এই অনুষ্ঠানের জন্য কলকাতায় আসেন এবং ‘রাখিবন্ধন’ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। লক্ষ্ণৌতে ফিরে এসে তিনি স্বদেশি চেতনায় ভারতীয় যুবকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য, ‘মুষ্ঠিভিক্ষা সংগ্রহ’-এর সূচনা করেন। পরে এই সূত্রে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘আউধ সেবা সমিতি’।

উনিশ শতকের শেষ থেকে বিশ শতকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত রবীন্দ্রপ্রতিভার প্রভাববলয়ের মধ্যে বিচরণ করেও যাঁরা বাংলা কাব্যগীতি রচনায় নিজেদের বিশেষত্ব প্রকাশ করতে সক্ষম হন, অতুলপ্রসাদ ছিলেন তাঁদের অন্যতম। সমকালীন গীতিকারদের তুলনায় অতুলপ্রসাদের সংগীত সংখ্যা সীমিত হলেও তাঁর অনেক গানে সাংগীতিক মৌলিকত্ব পরিলক্ষিত হয়; আর সে কারণেই তিনি বাংলা সংগীত-জগতে এক স্বতন্ত্র আসন লাভ করেন। তাঁর গানগুলি অতুলপ্রসাদের গান নামে প্রতিষ্ঠা পায়। বাংলা সংগীতের প্রধান পাঁচজন স্থপতির একজন বলা হয় তাকে। বাংলাভাষীদের নিকট অতুলপ্রসাদ প্রধানত একজন সংগীতজ্ঞ ও সুরকার হিসেবেই পরিচিত। তাঁর গানগুলি প্রধানত স্বদেশীসংগীত, ভক্তিগীতি ও প্রেমের গান এ তিন ধারায় বিভক্ত। তবে তাঁর ব্যক্তিজীবনের বেদনা সকল ধরণের গানেই কম-বেশি প্রভাব ফেলেছে। এজন্য তাঁর অধিকাংশ গানই হয়ে উঠেছে করুণরস-প্রধান।

১৯০২ থেকে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত অতুলপ্রসাদ আইনব্যবসা উপলক্ষে লক্ষ্ণৌতে অতিবাহিত করেন। সে সময় তাঁর বাংলোতে প্রায় সন্ধ্যায় গানের আসর বসত। সে আসরে গান শোনাতে আসতেন আহম্মদ খলিফ খাঁ, ছোটে মুন্নে খাঁ, বরকৎ আলী খাঁ এবং আব্দুল করিমের মতো বিখ্যাত ওস্তাদগণ। ভালো সংগীতের আসর পেলে তিনি আদালত ও মক্কেলের কথা ভুলে যেতেন। অতুলপ্রসাদ অধিকাংশ গান লক্ষ্ণৌতেই রচনা করেন। তাঁর গানের সংখ্যা মাত্র ২০৬ এবং সেসবের মধ্যে মাত্র ৫০-৬০টি গান গীত হয়। অতুলপ্রসাদের মামাতো বোন সাহানা দেবীর সম্পাদনায় ৭১টি গান স্বরলিপিসহ কাকলি (১৯৩০) নামে দু’খণ্ডে প্রকাশিত হয়। তাঁর অপর গানগুলিও গীতিপুঞ্জ এবং কয়েকটি গান নামে দুটি পৃথক গ্রন্থে প্রকাশিত হয়। ১৯২২-২৩ সালের দিকে কলকাতা থেকে প্রথম অতুলপ্রসাদের গানের রেকর্ড বের হয় সাহানা দেবী ও হরেন চট্টোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। বাংলা সংগীতে অতুলপ্রসাদই প্রথম ঠুংরির চাল সংযোজন করেন। এ ছাড়া রাগপ্রধান ঢঙে বাংলা গান রচনা তাঁর থেকেই শুরু হয়। উল্লেখ্য যে, বাংলায় ঠুংরি গীতধারার প্রথম প্রচলন করেন লক্ষ্ণৌর বিশিষ্ট সংগীতজ্ঞ নবাব ওয়াজেদ আলী শাহ্। অতুলপ্রসাদের বিশেষত্ব এ যে, তিনি বাংলা গানের সুর-তালের বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রেখেই হিন্দুস্থানি রীতির প্রয়োগ করতে পেরেছিলেন। জীবনের প্রায় অর্ধেক সময় তিনি উত্তর ভারতে কাটান। সেজন্য ওখানকার সাংগীতিক পরিমণ্ডলের সঙ্গে মিশে গিয়ে তিনি হিন্দুস্থানি গীতিপদ্ধতিকে রপ্ত করতে সমর্থ হন। তাই বাংলা গানে হিন্দুস্থানি ঢঙের মিশ্রণ ঘটানো তাঁর পক্ষে সহজ হয়েছিল। অতুলপ্রসাদের এ প্রয়াস বাংলা গানে একদিকে যেমন নতুনত্ব এনেছে, অন্যদিকে তেমনি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথ উন্মুক্ত করে বাংলা গানের জগতে এক বন্ধনমুক্ত শৈল্পিক আবহ নির্মাণে সক্ষম হয়েছে। হিন্দুস্থানি লঘু খেয়াল, ঠুংরি ও দাদরা সঙ্গীতের সুষমামন্ডিত সুরের সঙ্গে অতুলপ্রসাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল। হিন্দুস্থানি সুর সংযোজনায় বাংলা গানের কাব্যিক মর্যাদা কিছুটা ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে কেউ কেউ মত প্রকাশ করলেও একটি স্বতঃস্ফূর্ত সাংগীতিক ভাব তাঁর সকল গানে পরিলক্ষিত হয়। যেখানে সুর সংগীতের অন্তর্নিহিত মাধুর্য নিয়ে কথার ভাবকে ছাড়িয়ে গিয়েছে সেখানেই অতুলপ্রসাদের সার্থকতা। তাঁর ঠুংরি ও দাদরা ভঙ্গির গানগুলি শৈল্পিক শ্রেষ্ঠত্বের দাবি রাখে। এমন কয়েকটি গান হলোঃ ‘কি আর চাহিব বলো’ (ভৈরবী/টপ খেয়াল), ‘ওগো নিঠুর দরদী’ (মিশ্র আশাবরী-দাদরা/টপ ঠুংরি), ‘যাব না যাব না ঘরে’ (ঠুংরি) ইত্যাদি। তাঁর রাগপ্রধান গানের মধ্যে ‘বঁধু ধর ধর মালা’ (কালিংড়া), ‘তবু তোমায় ডাকি বারে বারে’ (সিন্ধু কাফি) ইত্যাদি গান আজও সংগীতবোদ্ধাদের নিকট সমান প্রিয়। অতুলপ্রসাদ রাগপ্রধান ঢঙে বাংলা গানে যে সুর সংযোজন শুরু করেন, তা পরে একটি শক্তিশালী ধারা হিসেবে বিকশিত হয়। কাজী নজরুল ইসলামের গান এবং রাগপ্রধান অঙ্গের অন্যান্য আধুনিক গান এভাবে একটি স্বতন্ত্র ধারা হিসেবে গড়ে ওঠে। অতুলপ্রসাদের অপর কৃতিত্ব ধ্রুপদ ও কীর্তনের সুরসমন্বয়ে সঙ্গীত রচনা, যেমন ‘জানি জানি হে রঙ্গ রানী’ (তিলক প্রমোদ)। তাঁর গানে খাম্বাজরাগের বহুল ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। এ ছাড়াও নটমল্লার, নায়কী কানাড়া, কাফি, পিলু প্রভৃতি রাগের মিশ্রণেও তিনি গান রচনা করেছেন। তিনিই প্রথম বাংলায় গজল রচনা করেন।

অতুলপ্রসাদের কীর্তন, বাউল এবং রবীন্দ্র আঙ্গিকে রচিত স্বদেশী গানগুলি বাংলা সংগীতের জগতে মর্যাদাপূর্ণ স্থান দখল করে আছে, যেমনঃ ‘হও ধরমেতে ধীর, হও করমেতে বীর’, ‘উঠ গো ভারত লক্ষ্মী’ ইত্যাদি। ছোটবেলায় ঢাকা ও ফরিদপুরে বাউল, কীর্তন ও মাঝি-মাল্লাদের ভাটিয়ালি গানের মূর্ছনা অতুলপ্রসাদের হৃদয়ে স্থায়ী আসন লাভ করেছিল। সে সুরের অভিজ্ঞতার আলোকে রচিত তাঁর বাউল ও কীর্তন ঢঙের গানগুলিতে বাংলার প্রকৃতিকে খুঁজে পাওয়া যায়। অতুলপ্রসাদ প্রেম, ভক্তি, ভাষাপ্রীতি, দেশপ্রেম প্রভৃতি বিষয়ভিত্তিক বহু গান রচনা করেছেন। ‘মোদের গরব, মোদের আশা/ আ মরি বাংলা ভাষা’ গানটিতে অতুলপ্রসাদের মাতৃভাষার প্রতি মমত্ববোধ ফুটে উঠেছে। এ গান বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালিদের মধ্যে অফুরন্ত প্রেরণা জুগিয়েছে। গানটির আবেদন আজও অম্লান। এভাবে বাণীপ্রধান গীতি রচনা, সুললিত সুর সংযোজন, সুরারোপে পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রচলন ও করুণরস সঞ্চারের মাধ্যমে অতুলপ্রসাদ বাংলা সঙ্গীতভাণ্ডারকে ব্যাপকভাবে সমৃদ্ধ করেছেন।

১৯৩৪ সালের ১৫ এপ্রিলে পুরী যান। মহাত্মা গান্ধী এই সময় পুরীতে আসেন। গান্ধীজীর অনুরোধে অতুলপ্রসাদ তাঁকে গান গেয়ে শোনান। ওই বছরই ২৫ আগস্ট লক্ষ্ণৌতে থাকাকালীন তিনি অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন। ২৬ আগস্ট গভীর রাতে মৃত্যুবরণ করেন। এভাবেই থেমে যান এক বর্ণাঢ্য ও বৈচিত্রময় জীবনের অধিকারী অতুল প্রসাদ। লক্ষ্ণৌতে তাঁর শেষকৃত্য হয়। বর্তমান বাংলাদেশের গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলাধীন কাওরাইদ (কাওরাদি) ব্রহ্ম মন্দিরের পাশে সমাধিস্থলে তাঁর চিতাভস্ম সমাহিত করা হয়। এখানে একটি স্মৃতিফলক আছে। এতে লেখা ছিল ‘‘মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা! / তোমার কোলে, তোমার বোলে, কতই শান্তি ভালবাসা!‘‘ — ১৯৭১ খিস্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধের সময় তখনকার স্মৃতিফলকটি পাকিস্তানি সৈন্যদের গুলিতে ভেঙে যায়। পরে নতুন করে করা হয়। নতুন স্মৃতিফলকে লেখা আছে:
অতুল প্রসাদ সেন
জন্ম – ১৮৭১ ২০শে অক্টোবর
মৃত্যু – ১৯৩৪ ২৭শে আগস্ট
শেষে ফিরব যখন সন্ধ্যাবেলা
সাঙ্গ করে ভবের খেলা
জননী হয়ে তখন কোল বাড়ায়ে লবে।

দানশীল অতুলপ্রসাদ জীবনের উপার্জিত অর্থের অধিকাংশই ব্যয় করেছিলেন জনকল্যাণে। এমন কী তিনি তার বাড়িটিও দান করে গিয়েছিলেন। মৃত্যুর আগে তিনি তার লেখা সমস্ত গ্রন্থের স্বত্ব বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে দান করে যান। গানের জন্য অতুলপ্রসাদ নামটি শুকতারার মতো জ্বলজ্বলে। অমর গানের রচয়িতা অতুলপ্রসাদ সেন তাঁর সৃষ্টির জন্যই চিরকাল বাঙালির হৃদয়ে বেঁচে রইবেন। কবি, সুরকার, সংগীত সাধক, দেশপ্রেমিক, মানবতাবাদী অতুলপ্রসাদ সেনের চর্চায় আমরা আত্মনিয়োগ করি—এই হোক সার্ধশতবর্ষে আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য।

ছবি- আন্তর্জাল
ঋণস্বীকার – ১।ইঞ্জিল সেখ, সংগীত শিল্পী ও শিক্ষক
২।প্রগতিশীল শিল্পধারা, পত্রিকা, ২য় সংখ্যা, নভেম্বর ২০২১

শেয়ার করুন

ক্যাটেগরি বা ট্যাগে ক্লিক করে অন্যান্য লেখা পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরনো লেখা

ফলো করুন

Recent Posts

Recent Comments

আপনপাঠ গল্পসংখ্যা ২০২২