রাই শহরের আনাচে-কানাচে – অম্লান চক্রবর্ত্তী
“কি!!! আমার নামে শহর? তাও আবার বিলেতে?” ফোনের ওপারে প্রায় লাফিয়ে উঠল রাই।
“ইয়েস ম্যাডাম, শহরটির নাম রাই।” আমি শান্ত হয়ে উত্তর দিলাম। কর্মোপলক্ষে আমি লন্ডনে আছি। সবে করোনা লকডাউন উঠছে, আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে পৃথিবী। এর মধ্যে আমি ও আরও তিন সহকর্মী মিলে এক শনিবারের ছুটিতে বেড়াতে গেলাম এসেক্স কাউন্টির দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত মধ্যযুগীয় শহর রাই বেড়াতে। শহরটির নাম বহু বিলেতবাসীও জানেন না। তাই পর্যটকও অনেক কম। বলা হয় ইংল্যান্ডের গোপন রত্ন। যেহেতু শহরটির নাম আমার প্রিয়বন্ধু রাইয়ের নামে তাই ফিরে এসে পরদিন আবশ্যক ফোন। আর তার পরেই অপরপ্রান্তে প্রিয়বন্ধুর আনন্দে লাফিয়ে ওঠা।
“বল্ বল্, আমাকে একদম এ টু জেড বল্।” রাইয়ের গলায় অধীর আগ্রহ। “কিচ্ছু বাদ দিবি না। কোন্ স্টেশন, কোন্ ট্রেন সব বলবি আর আমি মনে মনে একেকটা সুন্দর স্টেশন ধরে নেব। সাথে তোর ইনস্টাগ্রামে আপলোডগুলোও দেখব। সবার আগে ইতিহাসটা বল্, তোর ছবিগুলো দেখে বেশ মধ্যযুগ মধ্যযুগ গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।”
“হুম। একেবারে মধ্যযুগের শুরুর দিকের ঘটনা।” আমি একটা সিগারেট ধরিয়ে বলতে শুরু করলাম, “দেখ, জায়গাটা এসেক্স কাউন্টির দক্ষিণ-পূর্বে। একটা দুর্গ শহর। সময়টা দ্বাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি। ইংলিশ চ্যানেলের কাছে ইংরেজ মুলুকে গড়ে উঠল একটি বন্দর। তখন সমুদ্র আরও কাছে ছিল। তাছাড়া রোদার নদী রাই আর ইংলিশ চ্যানেলের মাঝে গাঁটছড়ার মতো বেঁধেছিল। আর বিলেত তখন শাসন করছে রোমানরা। সুদূর লন্ডন বন্দর ততদিনে যে খুব সুরম্য নয় তা বুঝতে পারছিল রোমানরা। তাই, তারাও চাইছিল, দক্ষিণ ইংল্যান্ডে বন্দরের সংখ্যা বাড়াতে। তাই গড়ে তুলল একটা দুর্গ নগর। যার নাম হল রাই। ১০০ বছরের মতো রমরমিয়ে চলল বন্দরটা, তারপর এল দুটি ঝড়। নদীটাও গতিপথ বদলে চলে গেল শহর থেকে একটু দূরে। সবার আগে মার খেল বন্দরটা। আর তারপর প্রতিবেশী ফরাসিরা তো আছেই। ধ্বংস করল গোটা শহরটা।” এই বলে আমি একটু থামলাম।
“ব্যাস, তারপর থেকেই রুইন্ড টাউন?”
“না, আরেকটু আছে। তবে সেটা সময়মতো বলব। একটু কফি খেয়ে নিই।”
কফি বানাতে বানাতে দেখি রাই গুগল করে একটা ১২০০ সালের ইংল্যান্ডের ম্যাপ ডাউনলোড করে আমায় পাঠাল। সত্যিই রাই বন্দরটি অনেকটাই কাছে ছিল নদীটির।
“কফি বানানো হয়েছে? তাহলে কীভাবে গেলি বল্।”
“দেখ ট্রেনে করে গেলে, লন্ডন থেকে রাই যেতে ঘণ্টা খানেক সময় লাগে। তো আমরা করলাম কি, সবাই মিলে বাসা থেকে বেরিয়ে সেন্ট প্যানক্রাস ইন্টারন্যাশনাল স্টেশনে গেলাম। সেখান থেকে ট্রেন। “
“সেন্ট প্যানক্রাস? এখানেই তো সেই বিখ্যাত ব্রিটিশ লাইব্রেরি? এবং স্টেশনটাও শুনেছি অনেক বড়ো।”
“হ্যাঁ ওইটাই। এখানে চারটে টিউবলাইন এসে মিলিত হয়। সাথে ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল রেলওয়ে। মূল স্টেশনটাই মাটির উপর তিন তলা ও নিচে চার তলা।”
“বাপরে !!! তারপর এখান থেকে?”
“এখান থেকে সাউথ-ইস্টার্ন ধরে অ্যাশফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টেশন, তারপর আবার সেখান থেকে সাদার্ন লাইন ধরে একদম রাই স্টেশনে নামলাম।”
“তার মানে রাই স্টেশনও আছে।”
“হ্যাঁ রে, স্টেশন, শহর বন্দর, আছে। একটা গোটা পৃথিবীই আছে রাই নামে।”
“কাজের কথা বল। স্টেশনটা কেমন?”
“তোর নামের স্টেশন যখন, তা অবভিয়াসলি সুন্দর। তবে তোর সাথে সবথেকে বড়ো মিল হল, স্টেশনটাই তোর মতো ছিমছাম। আধিক্য, বাহুল্য কিছুই নেই। সবুজ বনানীর মধ্যে দিয়ে চলা রেললাইন। ছোট্ট স্টেশনে এসে দাঁড়ায়। বলা ভালো, স্টেশনের শান্ত শীতলপাটিতে সাময়িক জিরিয়ে নেয়। আবার চলা শুরু করে। তবে শরৎকালে ঝরাপাতার মরসুমে এলে সবথেকে ভালো লাগবে বলে আমার ধারণা।”
“স্টেশন থেকে মূল শহরটা কতদূর?” রাইয়ের আর তর সইছে না।
“স্টেশন থেকে নেমে সোজা বেরোলেই একটা ইংরেজির টি শেপের রাস্তা। সেই রাস্তা ধরে সোজা চল্। এবার প্রথম মোড়টা ছেড়ে পরেরটা থেকে বাঁদিক নিলেই দেখবি, যেন একটা সাবেক শহরে ঢুকেছিস। আমার ইনস্টাগ্রামে প্রথম ছবিটা দেখ।”
“আরে, তাই তো, বেশ ইঁট-রঙা দেওয়াল, আর টালি দেওয়া সব বাড়ির ছাদ। অনুভূমিক।”
“না সেটা ইউরোপে সর্বত্রই প্রায় পাবি। বরফ এবং জমা জল বেরোনোর জন্য বাড়ির টালি অনুভূমিক হয়। অবশ্য নতুন কিছু এপার্টমেন্ট উঠছে, সেগুলোতে নরম্যাল ছাদ। আমাদের সল্টলেক বা রাজারহাটের মতো।”
“বুঝেছি, বিশ্বায়নের বাজারে সারা পৃথিবীকে ইউনিফর্ম করার সেই সোসিওপলিটিকাল চক্রান্ত। যাই হোক, তারপর বল্।”
“হুম, রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে দুপাশের বাড়িগুলিকে দেখছি। বাড়িগুলির বাইরেটা সাবেকি কিন্তু ভিতরে ক্যাফে, বইয়ের দোকান, ওষুধের দোকান, পাব, রেস্তোরাঁ সবই আছে। এবং অবশ্যই আছে গিফট শপ।”
“দোকানগুলোর ভিতরের ছবি তুলিসনি?”
“না রে বাবু”, আমি একটু হতাশ হয়েই বললাম, “লক ডাউন এখনও তো ওঠেনি সম্পূর্ণভাবে।”
“তোর এবারের ইউকে ট্রিপটা একেবারে মাটি করে দিল করোনা।”
“তা দিল। যাই হোক, রাস্তাটা দিয়ে আরেকটু এগোলেই বাঁদিকে একটা লম্বা পাথরের গেট। ইনস্টাগ্রামের পরের ছবিটা দেখ। ক্যাপশন – ‘ল্যান্ডগেট’।”
“এটার নামই ল্যান্ডগেট?”
“হুম।”
“পাথরের আর্কিটেকচার। আহা, তোর ছবিটা তোলার সময় এর তলা দিয়ে যদি একটা ভিন্টেজ কার যেত…” রাইয়ের গলায় আক্ষেপ।
“অপেক্ষা করেছিলাম রে, পেলাম না।” সত্যিই আমি অপেক্ষা করেছিলাম অনেকক্ষণ। কিন্তু একেক দিন সব পেয়েও পাওয়া হয় না।
“এখান থেকে কোন্ দিকে গেলি?”
“বলছি দাঁড়া, সিগারেটটা ধরিয়ে নিই।” সিগারেটটা ধরিয়ে আমি শুরু করলাম, “এবার এই গেটটা দিয়ে ঢুকে এগোলাম। পাথরের রাস্তা। দুদিকে আটশো-নশো বছরের পুরোনো সব বাড়ি। প্রত্যেকটা বাঁকে-বাঁকে বিস্ময়। একটা ছবি পাঠাচ্ছি দেখ।” আমি রাইকে রাই শহরের রাস্তার একটা ছবি পাঠালাম হোয়াটস্যাপে।
“এ তো পুরো ইতিহাসের মধ্যে দিয়ে হাঁটছিস। টিনটিনের বহু গল্পে তো দেখেছি এরকম রাস্তা, বাড়ি।” ছবি দেখে রাই বলল। “তবে ইউরোপের সব পুরোনো শহরের মধ্যেই এই ফিলিংসটা আছে। তাই না?”
“ঠিক বলেছিস, আর এরকমই অনুভূতি আমার বারবার হয়। কত পুরোনো সব দেওয়াল। প্রত্যেকটি পাথর যেন ইতিহাস। রাস্তার ধুলোর গায়েও যেন লেগে রয়েছে ইতিহাস। হয়তো বঞ্চনার, হয়তো শোষণের, হয়তো রক্তের। তবু তা ইতিহাস।”
অপর প্রান্তে রাই নীরব। আমার চলার সময় রাই শহরটিও মৌনমুখর ছিল। ঈষৎ মেঘলা। শহরটির বেশিরভাগটাই ভুতুড়ে বলে চিহ্নিত। আমি উপভোগ করছিলাম। “স্তব্ধতার গান।”
ফোনের ওপাশ থেকে রাই হঠাৎ বলে উঠল, “In restless dreams I walked alone/ Narrow streets of cobblestone/ ‘Neath the halo of a streetlamp/ I turned my collar to the cold and damp/ When my eyes were stabbed by the flash of a neon light/ That split the night/ And touched the sound of silence”
“কী আশ্চর্য!!!”, আমি প্রায় চিৎকার করে উঠলাম। “আমি নিজেও তো পল সাইমনের এই গানটাই ভাবছিলাম রাস্তাটা দিয়ে চলার সময়।” রাই অবশ্য শুনে বলল, “আমরা যাঁরা সুমন-সাইমন-ডিলান শুনে বড়ো হয়েছি, তাদের মনে এই গানটা আসবে, এটাই স্বাভাবিক।” তারপর একটু থেমে বলল, “তুই এরপর কোথায় গেলি বল্।”
“এর পর আমরা হাঁটতে হাঁটতে গেলাম রাই শহরের সবচেয়ে সুন্দর রাস্তা মারমেইড স্ট্রিটে। এই রাস্তাটার ছবি হোয়াটস্যাপ করলাম দেখ।”
“ওয়াও। এ তো পুরো ছবির মতো, কবিতার মতো রাস্তা। মাই গুডনেস। বাড়ির সামনে এত ফুলগাছ। কবল্ডস্টোন স্ট্রিট, সাথে বাড়িগুলির যেমন স্থাপত্য, তেমন রং, আর কী সুন্দর সব ফুলগাছ প্রত্যেকটা বাড়ির সামনে। কী এস্থেটিক সেন্স এই অঞ্চলের মানুষদের। এ তো পুরো স্বপ্নরাজ্য!!! এই পাড়ায় কোনও মেয়ে পেলি না? প্রেম করে বিয়ে করে নিতিস।”
“আরে আমিও তো রবি ঠাকুরের সেই গানের মতো ভাবছিলাম, এ পাড়ার কোনও ‘নাম না জানা প্রিয়া, নাম না জানা ফুলের মালা নিয়া, হিয়ায় দেবে হিয়া’।”
“তারপর উদাসিনী বেশে কোনও বিদেশিনি বেরোলেন?”
“না রে, ‘উদাসিনী বেশে বিদেশিনি’ ছিলেন, কিন্তু তাঁর ডাগর আঁখি আমার পানে ভুলেও পড়েনি।”
“আহা রে ছেলের কি দুঃখ। কি আর করবি? বরং এই রাস্তাটা ধরে কোথায় গেলি বল্।”
“এই রাস্তাটা ধরে চলতে চলতে আমরা একটু ডানদিকে ঘুরলাম। এই রাস্তাটা ট্রেডার্স প্যাসেজ নামে বিখ্যাত। এটা আরও সুন্দর। এবং ছিপছিপে। এটা যেভাবে বেঁকেছে, সেভাবে চলতে চলতে গিয়ে পৌঁছলাম বিখ্যাত পেরিশ চার্চে।”
“এই চার্চের ছবিটাই কি তোর ইন্সটা এ্যালবামে আছে?”
“হুম। আর চার্চের চারপাশে দুর্দান্ত একটি বাগান। রঙিন সব বাড়ি। এই পাড়াটার নাম ‘চার্চ স্কোয়ার’, প্রচুর ছবি তুলেছি এখানে। এই নে, আরেকটা হোয়াটস্যাপ করলাম।”
“স্বপ্নরাজ্য!!! স্বপ্নরাজ্য!!!” রাইয়ের গলায় বাঁধ-ভাঙা বিস্ময়। খুব স্বাভাবিক। একটু পরে রাই বলল, চার্চটার উপরে উঠিসনি? ইউরোপে তো ওঠা যায় শুনেছি।”
“ওঠা যায়। কিন্তু করোনা পরবর্তী কালে এখনও খোলেনি রে।”
“সত্যিই তোর কপালটা খারাপ। দারুণ টপ ভিউ পেতিস শহরটার।”
“কি আর করব। তবে জানিস তো অদ্ভুত ভালো লাগছিল বাগানটায় বসে। একটা স্নিগ্ধ হাওয়া চলছিল। তার মধ্যে দেখলাম পার্কে এক বুড়ো-বুড়ি বসেছিলেন। মিষ্টি হাওয়া, পুরোনো চাল ভাতে বাড়ার মতো বার্ধক্যের প্রেম, চোখে পড়ল, মৃদু খুনসুটি চলছিল, বৃদ্ধা কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ বৃদ্ধটি তাঁকে জড়িয়ে ধরে ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলেন।”
“আহা, সুমনের সেই ‘কথার আর কি দরকার অনেকদিন পরে আবার লোডশেডিং হল’-র মতো।”
“একদম রে, কি শান্তি এই বুড়ো বয়সের প্রেমে। আমরাও তো মাঝবয়সের দিকে যাচ্ছি বল্।”
“আগে তুই বল এই পার্ক থেকে কোথায় গেলি।”
“হুম। এই পার্ক থেকে একটু এগিয়ে পৌঁছলাম ইয়েপ্রেস টাওয়ারের সামনে। ছবিটা দেখ। এটাই রাইয়ের আইকনিক স্ট্রাকচার। পুরোনো পাথরের তৈরি। এবার এটার সামনের ছবিটা দেখ। ছাড়তে কামান তাক করা। বাইরের দিকে। এই টাওয়ার থেকে নজর রাখা হত বাইরের দিকে। যে ইতিহাসটা পরে বলব বলেছিলাম, সেটা হল, বারোশো-তেরোশো সাল নাগাদ রাই-এর এই অঞ্চলটা ডাকাতদের স্বর্গরাজ্য হয়ে ওঠে। তখন রি টাওয়ার থেকে গোটা অঞ্চলে নজরদারির ব্যবস্থা হয়। আর কিছু ভুলভাল দেখলেই ঠাঁই ঠাঁই ঠাঁই ঠাঁই ঠাঁই ঠাঁই।”
“বাহ্!”
“ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায় এখানে বসে। কিন্তু পেটটা হঠাৎ করে জানাল, অনেকক্ষণ কিছু খাইনি। তাই আবার হাঁটতে হাঁটতে এলাম, আবার সেই মারমেইড স্ট্রিট ধরে এগোলাম। প্রচুর রেস্তোরাঁ ও পাব আছে গোটা রাই শহরে। তার মধ্যে সবথেকে নামকরা হল, মারমেইড ইন। কিন্তু গিয়ে দেখলাম বন্ধ। কার্টেসি করোনা।”
“তারপর কী খেলি?”
“একটু এগোলাম মারমেইড স্ট্রিট ধরে। ওই রাস্তা থেকে বেরিয়ে ঢালু পথ কিছুদূর নেমে গিয়েই একটা ক্যাফে দেখলাম। দ্য ওল্ড গ্রেইন স্টোর্স। ওখানে বসে একটা করে গাবদা বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস আর নরম পানীয়। খুব খিদে পেয়েছিল রে। খেয়ে জুড়োলাম।”
“তারপর?”
“‘তার আর পর নেই, নেই কোনও ঠিকানা।’ মারমেইড স্ট্রিটের রংগুলো মেখে আরেকবার গেলাম ওই পেরিশ চার্চে। বাগানটায় বসে থাকলাম। হালকা বাতাস। সাথে বিয়ার। তার মধ্যেই বন্ধুরা মিলে বসে তাস খেলতে লাগলাম। তারপর সন্ধে সাড়ে আটটার ট্রেন ধরে বাড়ি। নোটে গাছটি মুড়োলো। তোর তো অনেক রাত হয়ে গেছে এখন। যা ঘুমিয়ে পড়।”
“উঁহু, এখন ঘুমাবো না। তোর পুরো কলটা রেকর্ড করেছি। এবার আবার শুনব, আর তোর ছবিগুলো দেখব। চল। টাটা।”
রাই তার সমনামের শহরটি দেখুক। আর সেটাই বন্ধু হিসাবে আমার প্রাপ্তি।