প্রতিশোধ – অম্লান চক্রবর্ত্তী
মাংসের ঝোলে আর একটু বেশী গরম মশলা ও লঙ্কাবাটা দিয়ে নাড়তে লাগল শ্রেষ্ঠা। পাশের বাড়ির রবীনদার আজ আইবুড়ো ভাত খেতে আসা তাদের বাড়িতে। মাংস রান্নার দায়িত্ব নিয়েছে শ্রেষ্ঠা। কারণ, এই সুযোগ।
তখন ষোল বছর বয়স শ্রেষ্ঠার। একদিন দুপুরে ফাঁকা বাড়িতে নতুন কম্পিউটার দেখানোর নাম করে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেছিল বছর বাইশের রবীন। মফস্বল শহরে নানাবিধ ভয়ে জানাজানি হয়নি কিছুই। হজম করেছিল সে।
চারপাশ সন্তর্পণে দেখে ডাক্তারীর ছাত্রী শ্রেষ্ঠা ওষুধটা মেশালো রবীনদার বাটিতে। একটু নেড়ে নিলো। ওষুধের বর্ণ, গন্ধ, স্বাদ চাপা পড়ে গেলো মাংস, গরম মশলা, শুকনো লঙ্কার গুনে। ভূয়সী প্রশংসা পেলো রান্নাটি।
সাতদিন পর জানা গেলো, রবীন আত্মহত্যা করেছে। সুইসাইড নোটে লেখা, শরীরের নিম্নাঙ্গ অসাড় হবার পর মানসিক অবসাদে নিজেকে সে শেষ করে দিয়েছে।