মুসাফির – স্বপ্ননীল রুদ্র

শেয়ার করুন

গুলাম আলির গজলের মুসাফিরের মতন

একটি আত্মহনন অভীষ্ট শুঁকে শুঁকে আমাদের

শহরমুখী হয়েছিল। পকেটে আংশিক উঁকি দেওয়া

রুমালের মতো এক বৃক্ষবয়ন-প্রাণিত গলি

নিরবচ্ছিন্ন ছায়ানির্ভর অবিবাহিত বাড়ির

নামফলক রেখেছিল তার উপোষ-ভারের ঠোঁটে…

 

নেমপ্লেট খেতে খেতে উপাদেয় ঢেকুর তুলেই

তাক থেকে পেড়ে নিয়েছিল ঘুম-উপন্যাস সমগ্র —

 

বরফলজ্জিত বিছানায় পাঠ-প্রতিক্রিয়া শুয়ে…

 

কার্ণিশে ছাদে উত্থিত আনন্দঘন অশ্বত্থ

শেয়ার করুন

Similar Posts

  • কালো দিনের সনেট – অয়ন চৌধুরী

    আমাদের ফ্রিজগুলো ভরে আছে বারুদে বাতাস ভরে আছে তীব্র ঝাঁঝালো সীসাগন্ধে আমাদের সমস্ত পকেট বুলেটে, পিস্তলে আর আমাদের মনের বাক্সগুলি দামি অন্ধকারে প্রতিটি রাতের চাদর ফুটো করে কে ওরা বাইকবাহিনী! ভাতের থালায় ছিটকে পড়ে জমাট জমাট রক্তকাহিনি প্রতিটি বাটিতে মাছের ঝোলের নীচে চাপ হয়ে আছে প্রতিশোধ আগুন প্রতিটি ক্ষতের মুখে কে ওরা ঠেসে দিল মুঠো…

  • মঙ্গল হাজরার পাঁচটি কবিতা

    মৃত জ্যোৎস্নায় ১। ঘুমের ভিতরে কোনো এক যুগের ঘোড়া-হরিণের ঘাস ভরে ওঠে কোনো এক ঘুমের ভিতরে; জ্বলন্ত আগুনে  আমরা হাঁটতে এসেছি আঁকতে শিখেছি নক্ষত্রের ঘর; যেখানে বাঘ আর বুনো মহিষের পরিভাষা আলাদা হয় তবুও ঘুম ভেঙে গেলে—উঠে দেখি,  মৃত নক্ষত্রের মাটিতে আমাদের বিছানা ভরে গেছে। ২। শব্দ শব্দের পাশে বসে রৌদ্র পোহায় অক্ষরে লেগে থাকে…

  • অত্রি ভট্টাচার্য-এর কবিতা 

    মার্জারসুন্দরী  ১. দরজায় দাঁড়িয়ে দেখি,রাতের ঘড়ি বারোটা ছুঁলেও, বাইরে যথেচ্ছ আলোসানাইয়ের সিডিটা বার করে নিয়ে বাড়ির দিকে হাঁটা লাগাচ্ছে পাড়ার সাউন্ডম্যান দু- একটা ক্লান্ত সাইকেল হাওয়া চিড়ে চলে যাচ্ছে  এসময়ে, তোমার ভ্রূ ও পল্লবের মাঝে সাদা বেড়ালছানা হাঁটে যে জানে কার্নিভাল সততই জাগরুক, তার কোনো ইনসোমনিয়া নেই ২. আয়ুর্বেদ মতে, বিড়ালের বিষ্ঠা, ছাগলোম, মেষশৃঙ্গ, বচ…

  • শববাহকের দল – আশিস ভৌমিক

    শববাহকেরা চিরকাল শব বয়ে বেড়ায় তারা জানে সব লাশ চরিত্রগত ভাবে এক কেবল রং বদলায় বয়স বদলায় জাত বদলায় । তার পর রোদ জল বৃষ্টিতে ফুলে ফেঁপে ঢোল । পাশে পাশে হাঁটে বেতাল ; খোশগল্প করে, মন্ত্রণা দেয়, দিন বদলের স্বপ্ন দেখায় কাঁধ বদলের মাঝে দু-এক ছিলিম গাঁজাও ধরিয়ে দেয় ! লাশের ভার বাড়ে ।…

  • ফুলের কাছে – বদরুদ্দোজা শেখু

        ফুলের কাছে যাও নিঃশব্দে দাঁড়াও দ্যাখো, অবলোকন করো অনুভব করো ওর সৌন্দর্যের প্রাচুর্য অনুধাবন করো ওর মুখরিত মধুরিমা অনুসরণ করো ওর অনুচ্চার প্রেমের মাহাত্ম্য ওকে স্পর্শ ক’রে দ্যাখো, কিন্তু তুলিও না তাহলে ও ঝ’রে যাবে, ম’রে যাবে সৌন্দর্য ম’রে যাবে সুগন্ধ ঝ’রে যাবে আনন্দ  ঝ’রে যাবে বাতাস বিবর্ণ হবে পরিবেশ নির্বান্ধব হবে ।…

  • অজিত ভড়ের পাঁচটি কবিতা

    ব্যক্তিগত ভেবেছিলুম যাব মঞ্জুমালা এসে জানলা খুলে দিল।যেন মৃত্যু বেরিয়ে গেল ঘর থেকে। তারপর সন্তুর বিয়েনানারকম রান্নার গন্ধখেয়ে উঠে বেরোতেই সায়ন্তনীর সঙ্গে দেখা: সায়ন্তনী শব্দহীন :যেন ভিনরাজ্যের ঝিলম নদীর বাঁক,আর শিল্পিতা?অনেকদিন আগের ট্রেন ছেড়ে যাওয়া প্ল্যাটফর্ম এখানে এক পা– ওখানে এক পাঘরে ঢুকিজানলা খোলাদেখি– আবার মৃত্যু ঢুকেছে ঘরে… এই বয়সে আর মশারি খাটাতে ভাল্লাগে না!…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *