কিছুতেই বোঝাতে পারছি না আমি কী ভীষণ যন্ত্রণায় আছি:
লেখার খাতাও দেখি কলম ছোঁয়ালে লাল হয়ে যাচ্ছে এক লহমায়
পাথর চিবিয়ে যে পেট ভরে না সে কথা বলি কাকে,
এখন সবাই পাথর চিবিয়ে দিন কাটাচ্ছে আমার মত
শুধু মনে হয়ে যে যার বাড়ির রাস্তা ভুলে
একদিন এক খোলা মাঠে জড় হবে
আর স্লোগানে না- কবিতায় কবিতায় মুখরিত হবে আমার পৃথিবী
আসলে বিপ্লব কখনও মানুষের ভাষা নয়,
কারন বিপ্লব পাখিদের ভাষা… পাতাদের খসখস শব্দ
চাঁদের আলোয় যে ছেলেটা মেয়েটির হাত ধরে রাস্তা পারাপার হল
তার হাতে অস্ত্র কখনও মানায়?
আমি সেই হাতের ছোঁয়াতে বিপ্লব দেখেছি
আজ একজন অন্ধের দুচোখে যত অন্ধকার ছিল
তারও বেশি অন্ধকারে আমরা নিজেদের মানিয়ে নিয়েছি:
আমরা শিখে গেছি কিভাবে এড়িয়ে যাওয়া যায় লাশের পাহাড়
স্রোতস্বিনী রক্তের নদীতে কত সহজেই স্বপ্নের তর্পণ দিয়েছি
এবং দেখেছি কিছু খোঁচর দালাল আর স্তাবকের দল
গলে যাওয়া আইসক্রিমের মতো
প্রতিদিন চুমুকে চুমুকে পান করে আমাদের ঘিলু
মেধাশূন্য ঘোলাজলে আমরা তাই ভাসিয়েছি স্বপ্নের প্রদীপ
যথেষ্ট বাতাসে যারা প্রতিদিন মৃত্যুভয় কাঁপে
কিন্তু একটাই কথা মাঝেমাঝে এখনও ভাবায় আমাকে
দুটো বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে
নিশ্চয়ই আরও অনেকগুলো বিশ্বযুদ্ধ হবে আর হতে থাকবে
আর এটাও সত্যি যে প্রতিবারেই অকাতরে মরেছি আমরাই
তবু দেখুন বছর বছর তারও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছি আবার
কয়েকটা ব্যারিকেড আর বেয়নেট
একদিন এত ভিড় সামলাতে পারবে তো!