কারন বিপ্লব একটি মিথ – ঔরশীষ ঘোষ

খেললে তো অনেক রক্তের খেলা, ইতিউতি ছড়ানো শবের মেলা, এনেছো ডেকে অকাল বসন্ত, হিংসার আগুন জ্বলছে অনন্ত, নিয়েছ কেড়ে কতো নিরীহ প্রাণ, অনাথ হয়েছে অগণিত সন্তান, বিবর্ণ করেছ সিঁথি, তোমার দীর্ঘশ্বাসে, মায়ের শূন্য কোল চোখের জলে ভাসে, ভাইকে পাঠিয়েছ অচিন পরপারে, বোনের নিস্ফল আকুতি তোমার দরবারে, মৃত্যুপুরীর শোকের বেদনার্ত হাহাকার, তোমায় কি করে না একটুও…
সেভাবে দেখলে দীর্ঘশ্বাস ফেলে আগাছাও.. আত্মহত্যার আগের রাত… স্বপ্নের মাঝে মসগুল আমরা শব্দের ধ্বণি আবেগে খামচে ধরেছে বুক… সুখের বাতি সাবেকি চামড়ায় একা। এতো এতো আবেগের ভ্রূণ, খুন হয়েছে অভিজাত দোলনায়! তবু চুপ… মৃত্যুর বোবা প্রতিবাদ… বৌঠান… সেই গান ঠোঁটে লেগে…আর সুঘ্রাণ… ছায়াঘেরা জানলায় প্রশ্রয়ী মুখ… একান্ত… সব অভিমুখ ঘুরিয়ে ফেলেছি সঞ্জানে.. অভিমানে তুমি সরে…
ডিপ্রেশনের দিনগুলো সব হাওয়ায় ওড়াও, পেরেক খুলে যীশুর দেহ নামাও নীচে, হাসতে হাসতে এ জন্মটা মনকে বোঝাও, কাল থেকে আর ঘুরতে না-যাক আমার পিছে। বাহান্নটা মানুষ পেলে আমায় ছাড়াও, তাদের কেউই তোমার কোনো যজ্ঞে লাগে? নইলে আরও পাঁচশো কুড়ির ব্যবস্থা নাও, তোমায় আমি দেখতে চাইবো সবার আগে। যাজ্ঞসেনী, তোমার মতো আমার মা’ও সবার সাথে যুদ্ধে…
চুপ কথা যত গল্প হয়ে ছড়াক কথার মেঘ, মেঘালয়া কথারা চলে দিনের পিছে পিছে, মোহ জড়ানো আবেশ দ্যাখে নির্ভার সে আবেগ আমার আমিকে হারাই যখন ধূপছায়ারই বাঁকে! মনে রাখা সেই রূপকথারই সম্মোহনের ডাক, সব ফেলে দিয়ে ছূট্টে আসা…… বাঁশিওয়ালার হাঁক, উপেক্ষিত আদর তখন জানালার ফাঁকে ফাঁকে হৃদয় যেভাবে বুক পেতে দেয়….. নিরলস ছবি আঁকে।
সব আগুনের একটা চকমকি লাগে। সে তুষের ধিকিধিকিই হোক, বা দাবানলের দাউ দাউ। কে জ্বলে ছাই হবে, আর কে হবে চিরদীপ্যমান, সেই দহনের বিস্তারের বহু আগে, অন্ধকারে লুকিয়ে থাকে চকমকিদের গল্প। ইতিহাস সাক্ষী, চিরভাস্বর রবিরও একজন কাদম্বরীর প্রয়োজন হয়েছিলো। সব সোনার একটা কষ্টিপাথর লাগে। যাতে ঘষে দেখতে হয়, আর কত পুড়ে গেলে নিখাদ সোনা পাওয়া…
যাও সুখ উড়ে, প্রাসাদটা ছেড়ে, যাও তুমি ওদের কাছে ; যারা দীন হীন, অনাহারে ক্ষীণ, প্রতিদিন ব্যথা নিয়ে বাঁচে । শোন তুমি বলি ওগো সুখডালি, যে প্রাসাদে আছ তুমি আজ ; তার গায়ে কত আছে শত শত শ্রমিকের শোণিতের কাজ ! এ সমাজ তবু দেয় না তো কভু, গণিতে শোণিতের মান ; অনাহার…