Similar Posts
গুচ্ছ কবিতা – রাজদীপ রায়
মারী ১ অথচ পৃথিবীতে শুরু থেকেই জীবাণু ছিলমৃত্যু-সম্ভাবনা নিয়ে গড়ে উঠেছিলপোকার জীবন এই তবু, তারই মধ্যে কোথাও কোথাওনক্ষত্রের সংকেতেমনে হয়েছিল বেঁচে থাকলে, পৃথিবীকে আরও সুন্দর দেখায়। ২ আরও একটু দূরে পড়ে আছে অজানা শরীর শীতকাল এখনও আসেনিতবুও বরফ পড়ে, হাড় জুড়ে যায় শকুন নেমেছে, ছিঁড়ে খাচ্ছেশরীরের অবশেষ পোশাকের অংশ দেখে মনে হয়চিনি, তবু আমি তাকে…
মৃগশিরা আর কালপুরুষ – গৌতম চৌধুরী
১.যে-সর্বনামকে বিদায় দেওয়া হইয়াছিল ঘোর কোনও তমসাতীরে, ঘুড়িটি ভাসিতেছে, এতই উঁচুতে, যে কাটিয়া যাওয়া টের পাওয়া যায় না। মেঘ জমিলে চিলেরাও সেইখানে। তাহাদের চোখে নদী সামান্যই দূরে। জলই সম্পর্করেখা। বন্দর বলিলেই কেন বৃষ্টির কথা মনে হয়। তাহার কত লিপ্ততা, ঘাম ও মুদ্রা বিনিময়, তবু পথে পথে ভিজিবার আমন্ত্রণ। রংবেরঙের কাপড় কাচিয়া মেলিয়া দেওয়া হইয়াছে প্রান্তরে।…
পক্ষপাঠ – শান্তা কর রায়
আয়না যেন অনন্ত এক শব্দ আকর মুখ দেখে নেয় নীলবিবরে মৌসুমিরাত দৌড়ে তুমি ছুঁয়ে দেখো কবির বাড়ি দৃপ্ত মুখে পাটাতনে চলছে মিছিল । স্বপ্ন নিয়ে কবি জানি একাই মিছিল একাই তিনি জাগিয়ে রাখেন নদীর টানে রমণীয় শিশির যেন জমা হীরে ভিতর থেকে বাইরে ওড়ে পানসি ঘুড়ি । জেগে ওঠা রক্ত তখন কোঁচকানো মেঘ খরার সময়…
ব্যাকুল খুশবু – জামাল হোসেন
জন্মের সাংঘাতিক এই অনাগ্রহের কালে , আমাদের পবিত্র ভূমিতে মৃত্যু ভীষণ চর্চিত এখন। আমার চোয়ালে লোহিত বিস্ফোরণ দেখেই তুমি জানবে দরদী, এই মৃত্যু চর্চা আমার ভীষণ পবিত্র লাগে । বিশুদ্ধ পুরাণের মত। মাংসের গন্ধে আমার সমস্ত চেতনা নমিত হয়ে আসে। সারা শহর কামে সুবাসে ভরে দিবে, এমন একজন সুহৃদ খুজেছি অনেকদিন। আমরা শহরের লোকেরা। আজ…
ভারতীয় মে দিবস – অমিতাভ গুপ্ত
হে মার্কেটে মিলিত প্রাণ জ্বালিয়ে ধরেছে দীপ্ত গান। জাগো শ্রমিক জাগো কিষাণ এই ভারতের সব শ্মশান। পূর্ণ হোক ফসলে আর ধন্য হোক শেষ অশোক। আজ কৃষকের প্রতিবাদ আর প্রতিজ্ঞা নিয়ে মে দিবসের রুদ্র দীপকে জাগো ঝংকার, জাগো ঝংকার।
অজিত ভড়ের পাঁচটি কবিতা
ব্যক্তিগত ভেবেছিলুম যাব মঞ্জুমালা এসে জানলা খুলে দিল।যেন মৃত্যু বেরিয়ে গেল ঘর থেকে। তারপর সন্তুর বিয়েনানারকম রান্নার গন্ধখেয়ে উঠে বেরোতেই সায়ন্তনীর সঙ্গে দেখা: সায়ন্তনী শব্দহীন :যেন ভিনরাজ্যের ঝিলম নদীর বাঁক,আর শিল্পিতা?অনেকদিন আগের ট্রেন ছেড়ে যাওয়া প্ল্যাটফর্ম এখানে এক পা– ওখানে এক পাঘরে ঢুকিজানলা খোলাদেখি– আবার মৃত্যু ঢুকেছে ঘরে… এই বয়সে আর মশারি খাটাতে ভাল্লাগে না!…


