কৃষক আন্দোলন — একাধারে জীবনের কার্নিভাল ও রাজনৈতিক শিক্ষা – পাঞ্চালী কর

শেয়ার করুন

বিজেপি সরকারের গতিবিধি সামান্য পর্যবেক্ষণ করলে দেখতে পাওয়া যায় যে তাদের মূল অবস্থান বরাবরই সাধারণ মানুষের বিপক্ষে। খেটে খাওয়া মানুষের সাথে তাদের সম্পর্ক বৈরিতার। অন্যদিকে বড়ো ব্যবসায়ী, কর্পোরেট, ধনী সম্প্রদায়ের মানুষ বরাবরই বিজেপির নেক নজরে থেকেছে। বিজেপির মূল কৌশল সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্ম, জাত, লিঙ্গ পরিচয় ইত্যাদির নিরিখে বিভাজন ঘটানো, যাতে তারা নিজেদের মধ্যে হিংসায় লিপ্ত থাকে এবং নিজেদের মৌলিক চাহিদা, খাদ্য সুরক্ষা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মূল্যবৃদ্ধি, সংকীর্ণ আইন ব্যবস্থা, যথেচ্ছ বেসরকারিকরণ ইত্যাদি নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় না পায়। এর মূল্য দিতে হয়েছে সংখ্যালঘু মানুষকে, কখনও অধিকার হারিয়ে, কখনও প্রাণ হারিয়ে।

ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে বিভেদ ঘটানো বিজেপির তুরুপের তাস। হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তান এজেন্ডার ওপর ভর করে মানুষকে খেপিয়ে তোলা তাদের মূল লক্ষ্য। সখ্যাগুরু মানুষ যখন ধর্মের নেশায় বুঁদ হয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুর টুঁটি টিপে ধরবে, তখন তলায় তলায় দেশ বিক্রি হয়ে যাবে আম্বানি-আদানিদের কাছে। গোমাংস খাওয়ার সন্দেহে যখন একের পর এক মুসলমান মানুষকে হেনস্থা হতে হচ্ছে, প্রাণ দিতে হচ্ছে, তখন পৃথিবীতে গোমাংসের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানি সংস্থা ভারতীয় কর্পোরেট। একদিকে দলিত, বহুজন মানুষ জাতিবিদ্বেষের শিকার হচ্ছে অহরহ, অন্যদিকে উন্নয়নের নাম করে অরণ্যবিনাশ হয়েই চলেছে যার ফলে বাস্তুহারা হচ্ছে আদিবাসী মানুষ। হঠাৎ লকডাউন ঘোষণার ফলে পরিযায়ী শ্রমিকদের চূড়ান্ত আতান্তরের মধ্যে পড়তে হয়েছে। তাদের হাজারো মাইল পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে হয়েছে, রাস্তায় প্রাণ হারাতে হয়েছে। সরকার করোনা পরিস্থিতির অজুহাত দিয়ে ন্যূনতম ব্যবস্থা নেয়নি, অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতির জন্য রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন থেমে থাকেনি।

করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিজেপি ফাঁকা ক্যাবিনেটে একের পর এক জনবিরোধী বিল পাস করিয়ে নিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম লেবার কোড―যা কিনা শ্রমিককে তার ন্যূনতম মজুরির অধিকার, সর্বাধিক আট ঘণ্টা কাজ করার অধিকার ইত্যাদি থেকে বঞ্চিত করে; এবং কৃষি বিল―যা এক আধারে কৃষক এবং সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মারে। এই কৃষি আইনের বিরুদ্ধেই উত্তর ভারতে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থানের কৃষকেরা অবস্থানরত এবং সারা দেশের সুবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ সেই আন্দোলনের পক্ষে সোচ্চার হচ্ছেন।

সবুজ বিপ্লবের ভাঁওতার ফলে কৃষিকাজে রাসায়নিক ব্যবহারকে মান্য প্রক্রিয়া বানিয়ে ফেলায় চাষাবাদ সংকটের মুখে পড়েছে। ফসল উৎপাদনের খরচ বেড়েছে তরতর করে, অন্যদিকে জমির উর্বরতা হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে উৎপাদন কমেছে দিনকে দিন। উৎপাদন বাড়াতে আরও রাসায়নিক, আরও খরচ, এবং ফলত জমির গুণমান আরও নিম্নমুখী হওয়া। এই চক্রব্যূহের মধ্যে পড়ে একাধিক কৃষক ঋণের বোঝা সামলাতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন এবং গত কয়েক বছরে এই আত্মহত্যার হার সর্বাধিক স্পর্শ করেছে। এরপরও কৃষি ঋণ মুকুব হয়নি। কৃষক সম্প্রদায়ের মানুষ বারবার বিভিন্ন আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারের এবং সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছেন। তার মধ্যে তামিলনাড়ুর কৃষকদের নাট্যাভিমুখী প্রতিবার এবং মহারাষ্ট্রের কিষান লং মার্চ অন্যতম। এই ঘোরতর অব্যবস্থার মধ্যে নতুন সমস্যার সংযোজন এই নতুন কৃষি আইন। তারই বিরোধিতায় সিংঘু, টিকরি, গাজীপুর ইত্যাদি সীমান্তে কৃষকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান ধর্নায় বসেছেন এবং এই আইন সম্পূর্ণ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে তাঁরা বদ্ধপরিকর।

২০২০ সালে কেন্দ্রীয় সরকার তিনটি কৃষিবিল পাস করায়, যা ইতিমধ্যে আইনে রূপান্তরিত হয়েছে। আইনগুলো যথাক্রমে— ‘Farmers produce Trade and Commerce (Promotion and Facilitation) Act, 2020’ অর্থাৎ কৃষকের উৎপাদন ব্যবসা ও বাণিজ্য (প্রচার ও সুযোগ-সুবিধা) আইন ২০২০, ‘Farmers (Empowerment and Protection) Agreement of Price Assurance, Farm Services Act, 2020’, অর্থাৎ কৃষকের (ক্ষমতায়ন ও সুরক্ষা) মূল্য নিশ্চয়তার চুক্তি, খামার পরিষেবাসমূহ আইন ২০২০, এবং ‘The Essential Commodities (Amendment) Act, 2020′, অর্থাৎ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য (সংশোধনী) আইন ২০২০।

প্রথম দুটি আইন বলবৎ হওয়ার ফলে কৃষকরা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, বড়ো ব্যবসায়ী, কর্পোরেট, হোলসেলার, রফতানিকারী সংস্থা, ইত্যাদির সাথে একক চুক্তিতে যেতে পারবেন এবং নিজেদের ফসল বেচতে পারবেন। সরকার নির্ধারিত মন্ডিতে তাদের ফসল বেচার প্রয়োজন পড়বে না। সরকারের যুক্তি অনুযায়ী এর ফলে বিভিন্ন সংস্থার সাথে সরাসরি ব্যবসা করে এবং দালালদের এড়িয়ে কৃষকরা ফসলের ন্যয্য মূল্য পাবেন।

সত্যিটা যদিও এত সহজ নয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে কৃষকরা তাদের পণ্য মন্ডিতে বিক্রি করে ন্যূনতম বিক্রয় মূল্য বা মিনিমাম সেলিং প্রাইস (MSP) পান, যার ফলে উৎপাদন যথেষ্ট না হলেও তাদের লোকসান কম হয়। বন্যা, খরা, ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে চাষিদের ভরসা এমএসপি। এমএসপি থেকে সংগৃহীত টাকার একাংশ যায় রাজ্যের কোষাগারে। যদি বেশিরভাগ কৃষক বেশি টাকার লোভে সরকার অনুমোদিত মান্ডির বাইরে ফসল বিক্রি করতে থাকে, তার ফলে মান্ডির মতো একটা জোরালো স্ট্রাকচার যা খাদ্যসামগ্রী বন্টনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তা নিজের গুরুত্ব হারাবে, এবং তা অল্প সময়ের মধ্যেই অচল হয়ে পড়বে। চাষিরা এমএসপির অধিকার হারাবে। ইতিমধ্যে কর্পোরেট তার স্বমহিমায় এসে চাষিদের লাভের হার কমাতে থাকলে তাদের কাছে ফসল বিক্রি করার কোনো বিকল্প বাজার থাকবে না।

নতুন আইন অনুযায়ী, কর্পোরেট যদি চুক্তি অনুযায়ী মূল্য দিতে অস্বীকার করে তো চাষিরা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবে না, তাদের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে হবে। এর ফলে গুণমান, পরিমাণ ইত্যাদি অজুহাত দিয়ে ব্যবসায়ী সংস্থা চাষিদের ঠকাতে এলে তারা আইনি সাহায্য পাবেন না। যদি বা আইনের দ্বারস্থ হওয়ার সুযোগও থাকে, বলাই বাহুল্য যে ছোটো এবং ভূমিহীন কৃষক, যাদের বৃহত্তম অবদান আমাদের জিডিপিতে, তারা কর্পোরেটদের তুলনায় যে পরিমাণ অসম অবস্থানে আছেন, তারা ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার পর আইনি লড়াই চালিয়ে গিয়ে নিজেদের অধিকার অর্জন করে নেবেন, এটা তাদের কাছে অত্যন্ত অন্যায্য প্রত্যাশা। আমরা দেখেছি মধ্য ভারতের কৃষকদের পেপসিকোর সাথে আলু চাষের চুক্তিতে গিয়ে কী ভয়ঙ্কর অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছে। কোনো বস্তায় একটা আলু পচা বেরোলে সমস্ত বস্তা ধরে বাতিল করা হয়েছে। উপরন্তু লে’জ চিপ্সে ব্যবহৃত আলু অন্যত্র বিক্রি করার অভিযোগে চাষিদের বিরুদ্ধে মামলা করে পেপসিকো। চুক্তি চাষের ফলে চাষিদের নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরায় তারা।

তৃতীয় আইনটি সরাসরি খাদ্য বন্টন এবং খাদ্যের লভ্যতাকে প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দেয়। এই আইন অনুযায়ী চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তৈলবীজ আর আবশ্যিক পণ্য হিসেবে গণ্য হবে না। এর ফলে এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা যাবে যথেচ্ছ এবং কর্পোরেট এসব পণ্য নিজেদের গুদামে কত পরিমাণে মজুদ করতে পারবেন তার কোনো ঊর্ধ্বসীমা বাঁধা থাকবে না। এই আইনটি কৃত্রিম খাদ্যসংকট তৈরি করার চাবিকাঠি। মানুষ খাবার পাবে না, হা-হুতাশ করবে, তখন খাদ্যশস্য পচবে কর্পোরেটদের গুদামে। তারপর ওরা চড়া দামে মাল ছাড়বে বাজারে এবং সেই পণ্য অস্বাভাবিক দাম দিয়ে কিনতে বাধ্য থাকবে সাধারণ মানুষ।

এই জনবিরোধী আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে কৃষক, কৃষিকাজে নিযুক্ত মানুষ এবং তার সাথে সাধারণ জনগণ। কৃষি আইন সম্পূর্ণ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। এই আন্দোলন চলার পথে একাধিক মাইলফলক রেখে গিয়েছে যা রাজনৈতিক ইতিহাসে অভূতপূর্ব। করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন। মূল দাবির ঊর্ধ্বে গিয়ে এই আন্দোলনযাপন, সহমর্মিতা, শ্রেণী একতা, দৃঢ়তা, আন্দোলনকারীদের মধ্যে লৈঙ্গিক ভূমিকার বন্টন ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষণীয় নিদর্শন রাখছে।

এই আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান ছাপিয়ে জীবনের কার্নিভালে উত্তীর্ণ হয়েছে―অধিকারের উৎসব, রঙের উৎসব, লড়াইয়ের উৎসব। সিঙ্ঘু বর্ডারে কাটানো তিন দিনে একবারও মনে হয়নি যে আমি বহিরাগত। আসলে তো আমি বহিরাগত নই, এটা তো আমারও লড়াই। আমার, আমাদের হকের লড়াই। পুরুষ, মহিলা, শিশু, বৃদ্ধ, সকলে হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই আন্দোলনকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছে, কারণ এটা সকলের আন্দোলন। শহুরে আন্দোলনের স্পেসে অনেক সময়ই দেখা যায় যে পুরুষ কমরেডরা মূলত রাজনৈতিক আলোচনা, বক্তৃতা, মিছিলের মুখ হয়ে উঠছে, অন্যদিকে তাদের মা-বোনেরা সেই আন্দোলনে খাবারের ব্যবস্থা করছে। এখানে পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে লঙ্গরে খাবার তৈরি করছেন এবং একই সঙ্গে তাত্ত্বিক আলোচনা করছেন, চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন কেন এই সরকার মানুষের শত্রু সেই বিষয়ে। রাজনীতি এখানে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাই লঙ্গরে রুটি ডালের ঠিক পাশেই উঁচু গলায় স্লোগান উঠছে। তাই মেডিকেল ক্যাম্পের পাশে একটা চেয়ারে বসে সর্দারজি তার পরিবারের গল্প বলছেন। তাই নিহাঙ সম্প্রদায়ের মানুষ এক হাতে তলোয়ার ধরে অন্য হাতে ফুটন্ত চায়ে চিনি মেশাচ্ছেন। এই সবটা মিলিয়েই এই আন্দোলন। মহিলা কৃষি সংগঠনের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা দেখতে পাওয়া যায় এই আন্দোলনে। মহিলা কৃষকের সমস্যা, জমির অধিকার, মহিলা কৃষি শ্রমিকদের পুরুষ কৃষি শ্রমিকের সমান মজুরি এবং শ্রমিক হিসেবে মান্যতা পাওয়া ছাড়াও একাধিক বিষয় আলোচিত হচ্ছে।

এই আন্দোলনের আর একটি শিক্ষণীয় দিক আন্দোলনের বিভিন্ন ফর্মে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা। যেখানে যেভাবে প্রতিবাদ করা সম্ভব সেইভাবে প্রতিবাদ করছে মানুষ এবং এই বহুতাকে সসম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করেছে আন্দোলনরত মানুষ। ২৬ নভেম্বর অবস্থান আন্দোলন শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকে কৃষকরা আম্বানি-আদানির বিরুদ্ধে শক্ত হাতে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। সেপ্টেম্বর মাস থেকেই পাঞ্জাব হরিয়ানার কৃষকরা মানুষকে কর্পোরেটদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বোঝানোর কাজ করেছেন। আম্বানি-আদানির মালিকানায় যে সমস্ত পণ্য আছে তা বর্জন করার ওদের পেট্রোল পাম্প থেকে তেল না কিনতে আহ্বান করা হয়েছে। দলে দলে মানুষ আম্বানি আদানি ব্র্যান্ডের মোবাইল টাওয়ার ধ্বংস করার কাজে সামিল হয়েছেন। শান্তিপূর্ণ এবং বলপ্রয়োগ করে দুই আন্দোলনই একই সঙ্গে চলেছে সময় সুযোগ অনুযায়ী, কারণ আন্দোলনের ব্যাকরণের চেয়ে শত্রুকে সমূলে উৎখাত করা বেশি প্রয়োজনীয় তা এঁরা বুঝেছেন। ২৬ জানুয়ারির বিহ্বল করে দেওয়া ট্র্যাক্টর র‍্যালি পৃথিবীর ইতিহাসে নিদর্শন রেখে যাবে।

সরকারের তরফে এই আন্দোলনকে কলুষিত করার অভিপ্রায়ে বলা হয়েছিল যে এটি একটি কুলাক আন্দোলন, ধনী বুর্জোয়া চাষীদের খামখেয়ালি আস্ফালন। কিন্তু সত্যি এটাই যে এই আন্দোলনে ধনী কৃষকদের পাশাপাশি ছোটো চাষি, ভাগচাষি, কৃষি শ্রমিকরা এককাট্টা হয়ে লড়ছেন। দিল্লির হাড় হিম করা ঠান্ডায়, রোদে, বৃষ্টিতে, মাসের পর মাস খোলা আকাশের নিচে, তাঁবুতে রাত কাটাচ্ছেন। ১৫০এর বেশি কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বুর্জোয়া মানুষ মনের খেয়ালে শখে আন্দোলন করলে তা এই স্পেক্টাকল তৈরি করতে সক্ষম হয় না, হওয়া সম্ভবই নয়। জাত, ধর্ম, শ্রেণীর ব্যবধান মুছে এই আন্দোলন ভাতের দাবিতে মানুষের আন্দোলন, কারণ মানুষ জানে তাদের কানের পাটায় ঠান্ডা বেয়নেটের যে ছোঁয়া, সেই সবকটা ট্রিগারে আঙুল একই―সেই আঙুল ফ্যাসিবাদের, বিজেপি সরকারের।

শেয়ার করুন

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *