Similar Posts
আলিউজ্জামানের পাঁচটি কবিতা
একটি প্রতিবিম্ব ও তার সহজ সমীকরণ (১) আকাশকে ভেতরে ধারণ করে কাঁপানোর ছলসেইমতো জেনেছি ব্যবহারিক জল, আরজলাকর্ষী প্রতিবিম্বে মূর্ধন্যর মতোসম্মতিহীন ঈশ্বরবিশ্বাস কীভাবেকিলবিল করে মাছরাঙার চোখে। যদিও তেমন কোনো উপার্জন নেই আগুনের,তবু, বিস্তৃত এই বাহুদ্বয় তোমাকে বিঁধতে গিয়েভূমিষ্ঠ ফুলের মতো তাকিয়ে থাকে আততায়ীর দিকে। (২) এই বাতাসে এখন তোমার চুলের প্রভাব কাটিয়েখুব গভীর সম্পর্কে হাঁসগুলো জলে…
একজন পৃথিবী বিক্রেতা – শুভ্র সরকার
এরপর, অনধীত সমগ্র বর্ষার পতনধ্বনি— একজন পৃথিবী বিক্রেতার ঘুমসংক্রান্ত দুঃস্বপ্ন বিচ্ছুরিত হ’য়ে পড়ে চতুর্দিক। দ্যাখো মানুষগুলো তলিয়ে যাচ্ছে ঘুমঘুম হিমে। মা’র ঘুম থেকে উঠে আসা হাঁসের পালকাবৃত পথের পাশে—তুমি একটা ‘স্নান’ রেখে গ্যাছো। একজন পৃথিবী বিক্রেতার জন্য রেখে গ্যাছো— শেকড়। দ্যাখো, রৌদ্রপ্রখর এক নির্জন জলাশয়ে শেকড় ছড়িয়ে আছে সূর্যাস্ত। আর তোমার বুকের বাঁ-পাশে সব আলো…
শক্তিরূপেণ – শুভঙ্কর দেব
ডিপ্রেশনের দিনগুলো সব হাওয়ায় ওড়াও, পেরেক খুলে যীশুর দেহ নামাও নীচে, হাসতে হাসতে এ জন্মটা মনকে বোঝাও, কাল থেকে আর ঘুরতে না-যাক আমার পিছে। বাহান্নটা মানুষ পেলে আমায় ছাড়াও, তাদের কেউই তোমার কোনো যজ্ঞে লাগে? নইলে আরও পাঁচশো কুড়ির ব্যবস্থা নাও, তোমায় আমি দেখতে চাইবো সবার আগে। যাজ্ঞসেনী, তোমার মতো আমার মা’ও সবার সাথে যুদ্ধে…
কালো দিনের সনেট – অয়ন চৌধুরী
আমাদের ফ্রিজগুলো ভরে আছে বারুদে বাতাস ভরে আছে তীব্র ঝাঁঝালো সীসাগন্ধে আমাদের সমস্ত পকেট বুলেটে, পিস্তলে আর আমাদের মনের বাক্সগুলি দামি অন্ধকারে প্রতিটি রাতের চাদর ফুটো করে কে ওরা বাইকবাহিনী! ভাতের থালায় ছিটকে পড়ে জমাট জমাট রক্তকাহিনি প্রতিটি বাটিতে মাছের ঝোলের নীচে চাপ হয়ে আছে প্রতিশোধ আগুন প্রতিটি ক্ষতের মুখে কে ওরা ঠেসে দিল মুঠো…
তৃষাতুর পরমা : নীরবতার নীলকণ্ঠ পালক – ঐন্দ্রিলা মহিন্তা
যজ্ঞপথের প্রবাসী নাবিক চড়ে বসলেন বটমূলের প্রাচীন ঘূর্ণিতে । মধ্যরাতে আঙুল কেটে নতুনের আভাস — এশুধু অগরু নয় যেন আস্ত ব্রহ্মপুত্র… একে একে পেরোতে থাকলো বৃদ্ধ স্ফটিক । যুবকের দ্রোণাচার্য আকাশের বুকে এঁকে দিল হাহাকারের বাণিজ্য । এলো কিশোর পাতার মাতাল আঁচল , যে আঁচলে শঙ্কা নয় ‘ মায়ার খেলা ‘ য় স্নেহ বোনা ”…
অরূপরতন হালদারের পাঁচটি কবিতা
১ অবদমন বেড়ালের থাবার নীচে উদ্ভূত গানেরপ্রতিটা নিঃশব্দ এঁকেছে আমার দেওয়ালে,আয়নাটি স্বপ্নের শ্বাস মুছে নেয় প্রহরে প্রহরে,তার মকররেখায় ক্লান্ত সূর্য, তবু ভেঙে যাওয়াথেমে আছে লক্ষ্মণরেখায়। পর্দার বিভঙ্গ দেখেতুমি উন্মত্ত হয়েছিলে, ক্ষিপ্ত পতঙ্গের মতো শিসউড়ে গিয়েছিল তোমার গলাবন্ধ থেকে—সেসবদিন আজ ক্লিশিত পানপাত্রে পড়ে আছে, তুমিওনখের রং পাল্টে ফেলেছ কবেই। কমলা ঝরিয়ারসন্ধ্যা ফিরে গেল, এবার শনির থানে…