দুটি কবিতা – মহাদেবাশা
বাতাসে লতিয়ে ওঠা ঢেউ
বাতাসে ঝড় উঠেছে, তুমি কুড়িয়ে রেখেছো নদী,তোমার & চাওয়া পাওয়ার সিঁড়িগুলো ছোটো হতে হতে দূরবীণ হয়ে উঠেছে, রাস্তার ঘরে ঘাসফুলের মলাট, ঘ্রাণে ঘ্রাণে ভরে যাচ্ছে আঁচল, আয়না হয়ে উঠেছে টিপ, একেই সংস্কার বলি, আর চোখকে নদী, বারান্দায় অনায়াসে পৌঁছে যায় রোদ, রোদের পেয়ালায় চুমুক উঠে ঘোড়ার, এসময় অন্ধকারে মেঘ উঠে, গম্বুজ গম্বুজ মেঘ, চিৎকারের শ্লেষ্মায় ভিজে থাকে ছোলা আর ছোলাহীন জীবন, অঙ্কুরিত পাথরের বিষাদ মাখে আস্ত একটা মাছ, পালকহীন মাছের পাশে তুমি ছায়া হয়ে ওঠো, বালিশে লুকিয়ে রাখো কবিতা, আস্ত একটা কবিতা তোমার বুকের মাঝে তিন ভাঁজ হয়ে শুয়ে থাকে, শুকনো খটখটে গাছের ভিতর মলাটহীন চোখ, বেপোড়োয়া ছুটে যাওয়াকে তুমি নাচ বলো; আমি বলি নূপূর। একেই বোধহয় সভ্যতা বলে, আর তোমার ঠোঁটের বলিরেখাকে বলে আয়ু, এবার বুঝতে পারছো কাকে বলে তোমার বুকের কান্না। কাকে বলে দরজার কৈবল্য; যদি না বুঝে থাকো তাহলে চলো অঙ্ক কষি,
মৃতহীন শরীরে উঁইপোকার গন্ধ
১)
করিডোরে ঝুলিয়েছো রাগ
বুকের ভিতর ঝুলে থাকে ডাস্টার,
২) মৃত্যুর বৃত্তে পুড়িয়েছো শরীর
আমি কি জানি না, তুমি কী নও?
৩)
গোপনে বেড়ে যায় বটের ঝুড়ি
ক্ষততে মুছে ফেলি বিকলঙ্গ দড়ি
৪) নদীর জলের মতো ফর্সা রোদ
চিবুক ছুঁয়ে নামিয়ে রাখো ঘ্রাণ
তুমি কী বুঝেছো কাকে বলে প্রাণ?
৫) যেভাবে চলে যায় দিন
পড়ে থাকে হাত
পড়ে থাকে চোখ
পাথরে শুকায় তোমার রোদ
৬) উঠে পড় হে,
আমাকে ক্ষমা করো
তোমার ক্ষমাহীন শিশিরে
দূরবীণে ঝোলাও মন
ঘরের ভিতর সাজিয়ে রেখেছি আরেকঘর