চেনা শব্দ অচেনা শূন্য – রঞ্জন ভট্টাচার্য

শেয়ার করুন

সকাল বেলায় আবার পা-টা মচকালো তবুও আমার ঘুমটা কেন ভাঙছে না একোন ছাত্রী যাকে তুমি প্রবোধ দাও সে-তো তোমার কোনো কথাই শুনছে না তোমার আকাশ ঈশ্বরময় সর্বদা প্রসাদ-টসাদ খাচ্ছো আবার ছড়াচ্ছো মাইক দিয়ে নামগান আর অত্যাচার বন্ধ পড়া পাশের বাড়ির ছোট্টোটার কেইবা তোমার ভক্তিবোধের হিসেব চায় এসব কথা বলতে নাইকো দুম করে প্রশ্ন করো কবিকে কেন পড়ছে বই কবির বউ কেন সিঁদুর পরছে না জবাবদিহি চাইছে পোষা গুণ্ডাটা এই কারণে রাষ্ট্র তাকে মাইনে দেয় ঘুষের টাকায় ভরছে যাদের পেটের খোল চিনছে তারাই আসল জীবন যুদ্ধটা পায় না খেতে যখন বাড়ির দুর্গাটা ঠাকুরবাড়ি ভাবছে তাদের জন্য কী বলছে নাকী সব মানুষই পাক খেতে প্রার্থনা আর বিশাল যাগে যজ্ঞেতে ভরতে যে চায় নিজের নিজের গর্তটা এটাই হলো সমাজবোধের উন্নতি বুঝতে চায় না আমার অবুঝ ছাত্রীটা কতো মানুষ দেশে আজও অভুক্ত হিসেব রাখো হয়তো তুমি শতাংশে এইভাবে কি পাল্টানো যায় সমাজটা ওদের জন্য আজকে তুমি রাশভারি বুঝবো যতই শক্ত তোমার রেস্তটা করছ দয়া এসব কিন্তু মানব না

শেয়ার করুন

Similar Posts

  • নিমাই জানার পাঁচটি কবিতা

    ভূমধ্যসাগর ও আইজাক নিউটনের পঞ্চম গতিসূত্র একটি বিষধর ভাইপার সুবর্ণ বালির ভেতরে ক্রমশ ডুবে যাচ্ছে, অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির গাঁদা ফুলের পাতায় একেকটা ভূমধ্যসাগর আর বাবার সাদা চুলের মতো নির্জন দরজা শুয়ে আছেআমি শুধু বৃষ্টিকে অপেক্ষা করি যার কোনো আলাদা লম্ব উপাংশ থাকে না, নীল প্লাইয়ের দোকানে আইজ্যাক নিউটন পঞ্চম গতিসূত্র আবিষ্কার করবেনহরপ্পাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখেছি প্রতিটি…

  • মুসাফির – স্বপ্ননীল রুদ্র

    গুলাম আলির গজলের মুসাফিরের মতন একটি আত্মহনন অভীষ্ট শুঁকে শুঁকে আমাদের শহরমুখী হয়েছিল। পকেটে আংশিক উঁকি দেওয়া রুমালের মতো এক বৃক্ষবয়ন-প্রাণিত গলি নিরবচ্ছিন্ন ছায়ানির্ভর অবিবাহিত বাড়ির নামফলক রেখেছিল তার উপোষ-ভারের ঠোঁটে…   নেমপ্লেট খেতে খেতে উপাদেয় ঢেকুর তুলেই তাক থেকে পেড়ে নিয়েছিল ঘুম-উপন্যাস সমগ্র —   বরফলজ্জিত বিছানায় পাঠ-প্রতিক্রিয়া শুয়ে…   কার্ণিশে ছাদে উত্থিত আনন্দঘন…

  • পৌষালী চক্রবর্তীর পাঁচটি কবিতা

    চৌষট্টি যোগিনীর একজনকে পুরোনো জমিদার বাড়ির পরিত্যক্ত আঘাটায়জমে থাকা শ্যাওলার মতোতোমাকে আহ্বান করি,একবার এ সংসারে এসোদু-এক দিন কাটিয়ে যাও আমাদের রোজনামচায়দেখে যাও জলে ভেজা সলতে কতটা অগ্নিশলা ধারণ করতে পারে, আদৌ পারে কিনা?এই মন্দ্র মেঘে বেজে ওঠা সহজিয়া বীণে,রন্ধ্রপথে ঢুকে আসা নৈরামণি আলোতার অজস্র পতঙ্গ-প্রলাপ নিয়েআমাদের পতন উত্থানপ্রতিদিন জ্বলে ওঠেপ্রতিদিন নিভে যায় অনন্ত ব্যোমে ওহে…

  • নীঃশব্দে প্রতিবাদ – শ্রী চৌধুরী

    পেশিবলে গির্জা নিল লিখিয়ে গৃহবন্দী গালিলিওকে দিয়ে “পৃথিবী ঘুরছে না!” কিন্তু কি আর আসে যায় তাতে, পৃথিবী ঘুরত,  পৃথিবী ঘুরছে, পৃথিবী ঘুরবেও! সৌর ঔরস জারিত পৃথিবী, প্রত্যক্ষ করবে সৃষ্টি স্থিতি লয় ঘুরতে ঘুরতে, নিজের কক্ষ পথে।

  • ঘোলাটে মায়া – আকাশ সাহা

    ঘষা কাচে গুমোট অন্ধকারের মাঝে, মুখ রাখি পড়ন্ত বেলায় আমার নির্ভেজাল হৃদয়ের শার্সিতে কখনও বা হাত রাখি জানালার শিকলে , কখন আবার ঘোলাটে জীবনের প্রেমহীন অনুকম্পায় হেটে চলি একমুঠো ঝড়ের আশায় জানি আমি, জানালার ওপারে, ঘোলাটে ঘষা কাচের ওপ্রান্তে পৃথিবীর আর একটা রূপ ওপর হাতে আমার জন্য, সন্ত্রাস,হানাহানি,বিস্বাসঘাতকতা.অরাজনৈতিকতা প্রেমহীন মানবত্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে. তার আলোকরাশিতে,…

  • পাঁচটি কবিতা – প্রীতম বসাক

    একটি কাব্য ও তাহার খোসা ১. হে আলোচ্য জীবন! সঠিক শব্দটি আমি খুঁজিতেছি শূন্য পূরণের নিমিত্তে। এত নগণ্য শস্যের সূচি। এত আলোর অভাব। দূরত্ব হেতু আমি পৌঁছাইতে অপারগ তোমার ঔষধি অবধি। অথচ একটি দুটি গান পাইলে মাঠের ঘুম ভাঙিত। সহজ হইত মাটি। দেখো কী আবেগ করিয়া আসিতেছে দিগ্বলয় জুড়িয়া। কত করুণ ওই সজল। হে অপঠিত…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *