বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট (পর্ব ১২) – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়
|

বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট (পর্ব ১২) – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়

পর্ব ১২ ১৯৪১-৪২ মরশুমের সময় আন্তর্জাতিক ও জাতীয় রাজনৈতিক পদ্ধতি ক্রমাগত জটিল হয়ে উঠছিল। বসু কংগ্রেসের সঙ্গে সরাসরি সমস্যা ব্যাপক আকার ধারণ করছিল। আসামে জরুরি অবস্থা জারি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওদিকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ফিলিপাইন প্রায় আত্মসমর্পণ করার জায়গায় চলে যায়।কলকাতায় একফোঁটাও বিরাম ছিল না ক্রিকেটের। সেই সময় ২৫ ডিসেম্বর, ১৯৪১; কলকাতায় স্থানীয়…

ভোজ কয় যাহারে (একাদশ পর্ব) : কাকরোল – সত্যম ভট্টাচার্য

ভোজ কয় যাহারে (একাদশ পর্ব) : কাকরোল – সত্যম ভট্টাচার্য

যেকোনো জিনিসের ক্ষেত্রেই মনে হয় যে আমরা পরিশ্রম করতে খুব একটা পছন্দ করি না। মানে এটাই স্বাভাবিক যে মস্তিষ্কই মানুষকে চালিত করে সেই পথে যে পথে পরিশ্রম কম করে সহজে উতরে যাওয়া যাবে। এইজন্যই মনে হয় যে ধরা যাক ২৫শে বৈশাখ বা অন্য যে কোনো ওই ধরনের মনীষীর জন্মদিনে আমরা তাঁকে নিয়ে যতটা আবেগে গদগদ…

বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট (পর্ব ১১) – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়
|

বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট (পর্ব ১১) – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়

একাদশ পর্ব ১৯৪০ এল বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রায় বন্ধ হয়ে গেল। ভারত বাদে সর্বত্র প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটও বন্ধ। কিন্তু ভারতে স্থানীয় ক্রিকেটের সর্বোৎকৃষ্ট রূপ এই সময়ে দেখা যায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ভারতীয় ক্রিকেটকে ব্রিটিশ নির্ভরতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়মিত উন্নত মানের ঘরোয়া ক্রিকেটের মাধ্যমে দলের জাতীয় ভিত্তি মজবুত করে। এই পর্বে…

ভোজ কয় যাহারে (ঢেঁকি শাক) : দশম পর্ব – সত্যম ভট্টাচার্য

ভোজ কয় যাহারে (ঢেঁকি শাক) : দশম পর্ব – সত্যম ভট্টাচার্য

সেই যে সত্যজিৎ রায়ের খাতায় কবিগুরু লিখে দিয়েছিলেন— “বহু দিন ধরে বহু ক্রোশ দূরেবহু ব্যয় করি, বহু দেশ ঘুরেদেখিতে গিয়েছি পর্বতমালাদেখিতে গিয়েছি সিন্ধু। দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়াঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়াএকটি ধানের শিষের উপরএকটি শিশির বিন্দু।” প্রকৃতিও ঠিক যেন এমনটাই। আমাদের মন ভালো করে দেবার মতো যাবতীয় উপাদান সব আমাদের আশেপাশেই ছড়িয়ে আছে।…

বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট (পর্ব ১০) – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়
|

বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট (পর্ব ১০) – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়

পর্ব ১০ ১৯৩৭ সালের মরশুম বাংলা তথা ভারতের ক্রিকেটে খুবই গুরত্বপূর্ণ সময়। সেই বছর শেষের দিকে এম সি সি তার সরকারী দল নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যায়। ফলে লর্ড টেনিসনের (কবির ভ্রাতুষ্পুত্র) দল ভারত সফরে এসে বেসরকারি টেস্ট খেলে। তবে সেটা ১৯৩৭-৩৮ মরশুমে। তার আগে ১৯৩৬-৩৭ মরশুমে কলকাতায় CU বেশ কটা আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় ম্যাচ খেলেছিল।…

ভোজ কয় যাহারে (নবম পর্ব) : কচু – সত্যম ভট্টাচার্য

ভোজ কয় যাহারে (নবম পর্ব) : কচু – সত্যম ভট্টাচার্য

নবম পর্ব কচু আপাতভাবে যে কোনো জিনিসের আসল ব্যাপারটাই হল তার এফেক্টিভনেস। শিক্ষাগত দিক থেকে দেখলে যদিও নম্বর কখনোই মেধার পরিচায়ক নয়, কিন্তু সেই মেধাও কোনো কাজেরই নয় যদি তা থেকে আপনি দু-চার কথা লিখতে বা বলতে না পারেন। মনে করুন, আপনি অনেক কিছু জানেন কোনো বিষয়ের ওপর, কিন্তু যখন আপনাকে সেই বিষয়ের ওপর কিছু…

বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট (পর্ব ৯) – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়
|

বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট (পর্ব ৯) – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়

নবম পর্ব ১৯৩৫ সালের পর থেকে ভারতীয় রাজনীতি অন্যদিকে মোড় নেয়। বোঝাই যাচ্ছিল যে কোনও ভাবেই ব্রিটিশরা আর এই দেশ ধরে রাখতে পারবে না। এমতাবস্থায় ভারতীয় ক্রিকেট বিশেষ করে বাংলার ক্রিকেটেও পরিবর্তনের ছোঁয়া লক্ষ করা যায়। ইডেনে গোটা শীতকাল ধরে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলা হয়। প্রথমেই ডিসেম্বর মাসে (১৯৩৫) রোহিন্টন বারিয়া ট্রফির দুটো ম্যাচ হয়।…

ভোজ কয় যাহারে (অষ্টম পর্ব) : ঝিঙে – সত্যম ভট্টাচার্য

ভোজ কয় যাহারে (অষ্টম পর্ব) : ঝিঙে – সত্যম ভট্টাচার্য

অষ্টম পর্ব তখন কলকাতায় মানে বেলঘড়িয়াতে মেসে থাকি। এবারে বেলঘড়িয়াকে কলকাতা বলা যায় কি যায় না এই বিষয় নিয়ে অনেকের প্রশ্ন থাকতেই পারে বা করতেও শুনেছি, কিন্তু আজ থেকে কুড়ি বছরেরও বেশি সময় আগে আমার মতো উত্তরবঙ্গের মফঃস্বলের ছেলের কাছে নৈহাটি-ব্যান্ডেলও কলকাতা ছিল আর বেলঘড়িয়ার তো কথাই উঠবে না কারণ শিয়ালদা থেকে মেইন লাইনে বেলঘড়িয়া…

বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট (পর্ব ৮) – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়
|

বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট (পর্ব ৮) – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়

অষ্টম পর্ব ১৯২৮ সালে বোর্ড তৈরি হওয়ার পরেই স্থির করা হয় ১৯৩০-৩১ মরশুমে এম সি সি আসবে ভারতে। তখন ইংল্যাণ্ডের ক্রিকেটের নিয়ম স্থির করত এম সি সি। ট্যুর ম্যাচ এই নামেই খেলত তাঁরা। টেস্ট খেলত ইংল্যাণ্ডের নামে। কিন্তু ওই বছর ভারতের রাজনৈতিক আবহাওয়া খুব একটা ভালো ছিল না ইংরেজদের পক্ষে। মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে তখন শুরু…

ভোজ কয় যাহারে (সপ্তম পর্ব) :  দে দোল দে দোল – সত্যম ভট্টাচার্য

ভোজ কয় যাহারে (সপ্তম পর্ব) : দে দোল দে দোল – সত্যম ভট্টাচার্য

দে দোল দে দোল বেশি কোনো কিছুই ভালো নয়। আমাদের যৌবনকালে মেয়েদের সাথে কোনো কিছু বাড়াবাড়ি করলে যা তাদের ভালো লাগছে না, একটু মুখটা বেঁকিয়ে ‘উঁ’ মতো একটা আওয়াজ করে তারা বলত—বেশি বেশি। যাই হোক, এই লাইনে কথা আর বেশি বাড়িয়ে লাভ নেই কারণ সেই যৌবনকালও আর নেই আর ফ্লার্ট করবার মতো বান্ধবীও আজকাল আর…