কাদম্বরী… তোমাকে… – সুদীপ ব্যানার্জী

কাদম্বরী… তোমাকে… – সুদীপ ব্যানার্জী

সেভাবে দেখলে দীর্ঘশ্বাস ফেলে আগাছাও.. আত্মহত্যার আগের রাত… স্বপ্নের মাঝে মসগুল আমরা শব্দের ধ্বণি আবেগে খামচে ধরেছে বুক… সুখের বাতি সাবেকি চামড়ায় একা। এতো এতো আবেগের ভ্রূণ, খুন হয়েছে অভিজাত দোলনায়! তবু চুপ… মৃত্যুর বোবা প্রতিবাদ… বৌঠান… সেই গান ঠোঁটে লেগে…আর সুঘ্রাণ… ছায়াঘেরা জানলায় প্রশ্রয়ী মুখ… একান্ত… সব অভিমুখ ঘুরিয়ে ফেলেছি সঞ্জানে.. অভিমানে তুমি সরে…

ইউনিক মেনিয়া – ফারজানা মণি

ইউনিক মেনিয়া – ফারজানা মণি

সান্ত্বনা ছিলো রিবনের গোড়ায় ব্যাঙের ছাতা ছুঁয়ে এক ফোঁটা বরফগলা চোখ।ত্রিভুজ মেনিয়ায় কারো আত্মসমর্পণ সেতুর কাছে এক সারি নৌকা।আলোক পিদিমে পুড়ে যায় লাইফবোট গন্তব্য।কারো কম্বলের কোণায় বিবর্ণ ঘটনা – যেন কেউ ঘুমিয়ে আছে দোতলা সিঁড়িপথে জোড়াপুকুরের চাঁদ কেটে দেওয়া মধ্যরাত।রেখাবিন্দু আচ্ছন্নতার অবসর।গর্ভে বেড়ে উঠছে অণুজীব শূন্যতা।

গুচ্ছকবিতা  – সুদর্শন প্রতিহার

গুচ্ছকবিতা – সুদর্শন প্রতিহার

(১) সূর্য ওঠা থেকে ডোবা অবধি তুমি উজ্জ্বলা হৃদমাঝারে … কালির দোয়াতের সেই হামাগুড়ি আজও পঁচিশ বছরের ছবি আঁকে । (২) যে প্রশ্ন গুলো উত্তর খুঁজতে খুঁজতে আজও প্রশ্ন হয়েই বেঁচে রয়েছে সেখানেই তোমার অফিম মৃত্যু হয়েছিল । (৩) যাকিছু থেকে গিয়েছিল … অসম্পূর্ন সবই উড়িয়ে দিয়েছিলে নস্টালজিক হওয়াতে…নেশার ঘরে । (৪) যে মদিরা একটু…

কবিতাময় অলিন্দে ঝোলা বিকেল – স্বপ্না ভট্টাচার্য্য

কবিতাময় অলিন্দে ঝোলা বিকেল – স্বপ্না ভট্টাচার্য্য

আহত শেকলের সুখ কেনার দিনে আমাদের পাম পাম শোক মেঘ পোষা শিকড়ে আ-কারান্ত বিসর্জন অক্সিজেনে পালক আঁকে নীলাম্বরী সুতোয় হে র বালিঢালা গোধূলি কবিতায় পুতুল ঢালে ভেসে ওঠে তিনকোনা ঝুলন বিষণ্ণ ক্যাকাফনির জোছনাহাসি একটা বিকেলও আর ফিরিয়ে দেয়নি

দ্যা লেডি উইথ এ হিডেন ল্যাম্প – ব্রতশুদ্ধ
|

দ্যা লেডি উইথ এ হিডেন ল্যাম্প – ব্রতশুদ্ধ

বুলেটবিদ্ধ নিঃসঙ্গ জীবন… ছবি হয়ে বেঁচে থাকা সুইসাইডাল উপাখ্যান । একটা এপ্রিল ২১ আরো আসবে দাবানল হয়ে , আরো শাড়ীর আঁচল জ্বলে উঠবে করোনার শ্বাসরুদ্ধ কোর্টের মিথে । কাদম্বরী নামে কোন ফুল নেই । আফিম বাগান খুঁড়েও পাওয়া যায়নি কোন নিঃসঙ্গ স্পেসিমেন । বুনিয়াদ ভিটার ভিড়ে আজো কাদম্বরী কাঁদে। শত বছর ডিঙিয়ে সে রোদ হয়ে…

সে এক একাগ্র শীতের কথা  –  অতনু বন্দোপাধ্যায়
|

সে এক একাগ্র শীতের কথা – অতনু বন্দোপাধ্যায়

‘ঠিক বেড়িয়ে যাবার মুখে জ্যামিতি ভাঙল বড় একটা বায়ুরেখা’ বারীনবাদের কোন শিষ্টাংশ নেই। কারণ এটা কোনো বাদই নয়৷ এটা একটা প্ৰকরণ৷ টুলস। যা কেউ ব্যবহার করতেই পারে নাও করতে পারে৷ এই প্রক্রিয়া কোনো ইজম এর ধার ধারেনি কোনোদিন তা বারীনের কবিতা পড়লেই স্পষ্ট বোঝা যায়৷ চেতনার ইঙ্গিত থাকে বলেই তার বহতা থাকে৷ বারীন সেটাই বলতে…

চরিত্র – তাপসকিরণ রায়

আমার ছিঁড়ে যাওয়া পকেটে একদিন তোমার প্রেমপত্র ছিল প্রেমিকা বদলাবার আগে আগুনে জ্বালিয়েছি সব— আমি কথা।  রাত্রি জেগে ছিলাম মনের দ্বন্দ্ব চলছিল জানি বিস্তৃত বলে গেল তার তর্জমা সাধারণ নামের মাঝে ব্যর্থতা তুমি তাকাও নি অথচ সাজানো ছিল পবিত্রতা তোমার নাক নথির কারুকাজে ধরা ছিল আমার চরিত্র।

খিলান – সৌরদীপ গুপ্ত

খিলানে হেলান দিয়ে এলোচুল বসন্তকে বসিয়ে রেখেছি ওকে নিদারূণ শাস্তি দিও, জালের এপার থেকে ওর পৌরুষ ঢেকে দিয়েছে পেলব অমৃতগন্ধ তারুণ্যের অমোঘ প্রকাশ খিলানে হেলান দেওয়া বসন্তবিকেলগুলো, রাতভর জেগে থাকা জেনে নিক, নিয়মের বাইরে থাকা শাস্তিভোগ হয়ে যায় তোর দেশে বসন্তের হাতে থাক নির্বাক অসীম আকাশ।

অভিন্ন – অরিন্দম ভাদুড়ী

মেয়েদের শরীরে আলাদা আলাদা গন্ধ থাকে, মুখের আর বুকের গন্ধ একরকম না। প্রতিটা মেয়ের ঘামের গন্ধ আলাদা, ভিন্ন তাদের আবেদন, ইশারা। প্রতিটা মেয়ের স্বপ্নের একটাই গন্ধ- “মাটির হোক, আমাকে একটা ছাদ দিও”

একজন পৃথিবী বিক্রেতা – শুভ্র সরকার

এরপর, অনধীত সমগ্র বর্ষার পতনধ্বনি— একজন পৃথিবী বিক্রেতার ঘুমসংক্রান্ত দুঃস্বপ্ন বিচ্ছুরিত হ’য়ে পড়ে চতুর্দিক। দ্যাখো মানুষগুলো তলিয়ে যাচ্ছে ঘুমঘুম হিমে। মা’র ঘুম থেকে উঠে আসা হাঁসের পালকাবৃত পথের পাশে—তুমি একটা ‘স্নান’ রেখে গ্যাছো। একজন পৃথিবী বিক্রেতার জন্য রেখে গ্যাছো— শেকড়। দ্যাখো, রৌদ্রপ্রখর এক নির্জন জলাশয়ে শেকড় ছড়িয়ে আছে সূর্যাস্ত। আর তোমার বুকের বাঁ-পাশে সব আলো…