বজ্র আঁটুনি তবু রাষ্ট্রের ফস্কা গেরো – সরোজ দরবার

শেয়ার করুন

পরাক্রম প্রবল, তবু রাষ্ট্র কখন যে কোথায় হেরে যায়, সে নিজেই জানে না।

অথচ বজ্র আঁটুনি; যাতে এই হারের মুখে পড়তে না হয়। দিকে দিকে তার ‘আইনের শাসন’ চলে। মানুষ তো ধরেই নেয়, এই আইনের শাসন, জনতার স্বার্থেই। সে-কথা যে একেবারে অমূলক, এমনটা এক কথায় বলা যায় না। কেন-না, আইনের শাসন থাকলেই আমরা ন্যায়-অন্যায় নিয়ে খানিকটা মাথা ঘামাই। মনে করি, রাষ্ট্রও সেই একইরকম ঘামায়; যা-ইচ্ছে-তাই করতে পারে না, কিছু নিয়মকানুন তাকেও মেনে চলতে হয়।
অবশ্য, এই আইনের শাসন আছে বলেই, রাষ্ট্র কী-না-কী করতে পারে তারও তালিকা তৈরি করা যায়। সেজন্য বেশি খাটতেও হয় না। ইতিউতি চোখ মেলে তাকালেই দেখা যায়, এমন এমন আইন সে আস্তিনে লুকিয়ে রাখে আর সময়-সময় তা বের করে জনতাকে কবজা করে ফ্যালে, যে, স্পষ্ট হয়, আইনের শাসন বস্তুত রাষ্ট্রেরই দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত। কেন যে ব্যাপারটি ‘নিতান্তই মায়াময়’ তা একটা নিবন্ধে বিশদে ব্যাখা করেছেন শ্রদ্ধেয় রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য। এই প্রসঙ্গে তাঁকেই উদ্ধৃত করি,— ‘যে-কোনো সভ্য দেশে মুখোশের মতো একটা আইনের শাসন থাকে। কিন্তু দরকার পড়লেই সে মুখোশ না-খুলেও জঙ্গলের শাসন কায়েম করা যায়। তার জন্য একদলীয় শাসন লাগে না, ফ্যাশিস্ত একনায়কের দরকার পড়ে না। গণতন্ত্রের সব ভড়ং বজায় রেখেই স্বেচ্ছাচারতন্ত্র কায়েম করা যায়।’ এইটেই রাষ্ট্রের বজ্র আঁটুনি। তা সচরাচর টোল খায় না। সম্প্রতি, যখন হাথরাসের ঘটনায় দেশবাসী ব্যথিত-বিমূঢ় ও ক্রুদ্ধ, টুইটারে একটি ছবি দেখলাম, যেখানে একটা পথনির্দেশিকায় লেখা— এই অবধি আইনের শাসন। এর পর থেকে যোগীর শাসন শুরু। দেখে মনে হল, হায়রে বিশ্বাস! আমরা তো আইনের শাসন-কে ঈপ্সিত রামরাজ্য ভেবে এসেছি। সেখান থেকে একটুও সরিনি। সরলে জানতাম, পথনির্দেশিকার ছবিটি আদতে ভুল। কারণ, পৃথক নয়, আসলে দুটো রাস্তাই এক। যে-পথে হেঁটে যায় পরাক্রমী রাষ্ট্র।

আমরা সম্ভবত, রাষ্ট্রের খানিকটা তুলনামূলক নরম চেহারা দেখতে অভ্যস্ত। কিন্তু সেটিই কি একমাত্র চেহারা! অন্তত পৃথিবীর ইতিহাস তো তা কখনও বলে না। আদর-আপ্যায়ন করে রাষ্ট্রের আগে ‘কল্যাণকামী’ নয় বসিয়ে দেওয়া গেল। এবার তাহলে দাঁড়ানো যাক, ‘কল্যাণ কার?’ এ-প্রশ্নের কাছে। কিছুটা মানুষের। কিন্তু রাষ্ট্র তো ‘ফকির আদমি’ নয় যে কেবল মানুষের কল্যাণ চাইবে আর মন চাইল তো ঝোলা নিয়ে বেরিয়ে পড়বে; অমনটা যে হয় না, তা আমরা খুব জানি। যে রাষ্ট্র বস্তুত একটা যন্ত্র, সে যখন কল্যাণকামী হয়ে ওঠে, তখন কার কল্যাণ সেটা অবশ্যই খুঁজে দেখা উচিত। তাহলেই মালুম হয়, নরম চেহারার উপযোগিতা কোথায় কতখানি। ভিতরে বদল শুরু হলেও, নরমে-গরমে এভাবেই যা হোক চলছিল।

এবার হল কি, মহামারী এসে সব ওলট-পালট। হঠাৎ প্রায় চোখে আঙুল; বোঝা গেল, কল্যাণকামী রাষ্ট্র কিছুতেই আর তার সাধারণ মানুষের কল্যাণ করতে পারছে না। এর জন্য সে যে সব ব্যবস্থা অতীতে নিয়েছিল, সেগুলো সব মুখ থুবড়ে পড়ছে; এতটাই বেহাল দশা। তার মানে কি এইসব ছাড়াই এতদিন মানুষের চলছিল? তা নয়। পাশাপাশি যদি আমরা এই তথ্য রাখি যে, এই মহামারীকালে কতজন বিলিওনেয়ার হলেন, দেশের ধনী ব্যক্তির ঘণ্টায় কত কোটি করে উপার্জন হল, তা হলে সমস্তটাই খোলসা হয়। কল্যাণ আর রাষ্ট্রের তুলনায় নরম চেহারার রহস্য ফেলুদা ও তোপসে কারও কাছেই অস্পষ্ট থাকে না। কিন্তু এভাবে আর সত্যিই চলছে না। গোটা পৃথিবীর তাবড় চিন্তক ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পুঁজির যে চলতি মডেল তা দিয়ে পুঁজির নিজেরই কাজ মিটবে না। নিজের স্বার্থেই তাকে অবশ্যম্ভাবী কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। কল্যাণকামীর দ্বিতীয় কোনও প্রচ্ছদ, যাকে বলা যেতে পারে ‘ওয়েলফেয়ার স্টেট 2.0’, তা দ্রুত ছকে ফেলতে হবে তাকে। এবং তাতে সাধারণ মানুষকে বেশি গুরুত্ব দিতেই হবে। সরকারের ভূমিকাও এখানে ফেলে দেওয়ার নয়। তাকে আরও দায়িত্ব নিয়ে মানুষের একেবারে ভিতরে চোট-আঘাত যা লেগেছে, সেসবের শুশ্রূষা করতে হবে। সেগুলো ঠিক কী উপায়ে সম্ভব, তা নিয়ে বিস্তারিত চিন্তাভাবনা চলছে। এবং তা রূপায়িত হতে থাকলে এই পৃথিবীর চেহারাটা বেশ কিছুটা তো পালটানোই উচিত। পরিবর্তন অতএব অবশ্যম্ভাবী। এমাইটি-র অর্থনীতির অধ্যাপক Daron Acemoglu এই প্রসঙ্গে অমোঘ একটি কথা বলেছেন, ‘উই আর প্রেগন্যান্ট উইথ চেঞ্জ।’

এই পরিবর্তনের ভূমিষ্ট হতেও তো খানিকটা সময় লাগবে। এই সময় রাষ্ট্র নামক এই যন্ত্রটার পাগল-পাগল দশা। এমনিতে তার দেউলিয়াপনা তেমন গোপন ছিল না। এখন তো হাল এমন, যে, খেমটা আর ঘোমটার মধ্যে জোড়াতালি দিয়েও কোনও পারস্পরিক সম্পর্কই প্রতিষ্ঠা করা যাচ্ছে না। সে তাই আপ্রাণ ক্ষমতাকে আঁকড়ে রাখা ছাড়া দ্বিতীয় কোনও উপায় দেখছে না। যত সে ক্ষমতাকে এককেন্দ্রে আনতে চায়, তত সে নানা বিভাজনকে উসকে দিতে থাকে। যত ভাগাভাগি তত শাসনের কেন্দ্রীকরণ। একদিকে তথ্যের বিস্ফোরণ ঘটছে, অন্যদিকে সেই তথ্যভাণ্ডার এসে মানুষকে রাষ্ট্র ও পুঁজির সামনে একেবারে নগ্ন করে দাঁড় করাচ্ছে। এমনকি মানুষের মনের রহস্য-ও ক্রমে অপহৃত। তাকে এখন যেভাবে ইচ্ছে, যে-কোনো দিকে হোক চালিত করা তেমন আয়াসসাধ্য ব্যাপার নয়। ফলে, জাতিতে-জাতিতে, ধর্মে-ধর্মে, সীমান্তে-সীমান্তে যত বেশি ঠোকাঠুকি লাগিয়ে দেওয়া যায়, ক্ষমতার অলিন্দ তত বেশি নিরাপদ, এমনটাই ভাবনা রাষ্ট্রের। দেখতে-দেখতে গোটা বিশ্বতেই এখন তাই উচ্চফলনশীল বিদ্বেষ। সেই সঙ্গে এসে জমছে মানুষের ভালো না-থাকার ক্ষোভ। মহামারীতে ভেঙে যাওয়া জনজীবন তার দাবি-দাওয়া, অভাব-অভিযোগ নিয়ে সোচ্চার। এর মোকাবিলা কীভাবে সম্ভব? রাষ্ট্র কার্যতই দিশাহীন। এমতবস্থায় সে নিজের কঠোর চেহারাটা ঘনঘন দেখাতে থাকে। আইনের শাসন থেকে লুকোনো আস্তিনের তাস বারংবার বেরিয়ে আসে।

এদিকে বিশ্বাস থেকে সরে না-আসার ফলে, আমরা আইন ও বিচারব্যবস্থা নিয়েও ইতিমধ্যে যারপরনাই উদ্বিগ্ন। যেমন, এখন আমরা বিচার চাইছি। সুবিচার চাইছি। বিচারব্যবস্থার দোরগোড়ায় বারবার গিয়ে মাথা ঠুকছি নানা ইস্যুতে। আর বিচারব্যবস্থা আমাদের প্রায়শই বিস্মিত করে চলেছে। এর গোড়াতেও থেকে যায় আমাদের একটি ভুল ভাবনা। আমরা ভুলে যাই, সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে ‘বেআইনি আইন’ অব্দি পাশ করানো যায়। সুতরাং, বিচারব্যবস্থাকে সবকিছুর উপরে ভেবে ফেলাও আর-এক মুশকিল। আবার রামকৃষ্ণবাবুকেই উদ্ধৃত করি, ‘দেশের বিচারব্যবস্থাকে শ্রেণিনিরপেক্ষ ভাবাটা শুধু ভুল নয়, মারাত্মক ভুল। নেই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো– এমন ভাব করে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা ও প্রতিষ্ঠার চেষ্টা অনেকেই চালান।’ কিন্তু তাতে যে কিছুতেই কিছু হওয়ার নয়, সেইসব মোহ আমাদের অতীতে বহুবার এবং অতিসম্প্রতি ভেঙে যাচ্ছে আবার।

অর্থাৎ, এতদূর পর্যন্ত যা বলা গেল, তাতে বোঝা গেল, যে আইনের শাসন বা বিচারব্যবস্থার জন্য আমরা চাতক, বর্তমানে, তা আসলে আমাদের মূল গন্তব্যই নয়। হতে পারেও না। যদি সত্যিই এগুলো মানুষের পক্ষে থাকত, তবে এতদিনে আখ্যান বদলে যেত। নারীর উপর, দলিতের উপর, অন্য ধর্মের মানুষের উপর, নিম্নবর্গের প্রতি উচ্চবর্গের উৎপীড়নের দীর্ঘ ইতিহাসে বদল আসত। দলিত শব্দটিকেই আর আলাদা করে বাঁচিয়ে রাখতে হত না। কিন্তু অন্তত স্বাধীনতার পরবর্তী ইতিহাসও আমাদের সেই ইঙ্গিত দেয় না। আখ্যান আজও এক এবং একই। শুধু গল্প বদলে যায়। ফলে, আজ আমরা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বা আইনের শাসন ভেঙে-পড়া নিয়ে যত উদ্বিগ্ন হয়েই পড়ি না কেন, আমাদের বুঝতে হবে, রাষ্ট্র বিলোপ না হলে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসেরও শেষ নেই। সে কবে সম্ভব, আমরা জানি না।

তাহলে আমাদের প্রত্যাশা কী? খুব সহজ কথায়, ওই কানা মামা ব্যবস্থাটিই চলুক। আইনের শাসন আর বিচার খানিকটা ওপর-ওপর হলেও স্বস্তি দিক জনজীবনকে। তা-ই যদি হয়, তবে সবার আগে, আমাদের নিজেদেরও বদলাতে হবে। রাষ্ট্রকে তার মতো করে চলার অনুমোদন দিলে, সে তার কঠোরতম দিকটি দেখাবেই। এ-কথা মেনে নিয়েই, আমাদের মনে রাখতে হবে, এই আমরাও কিন্তু দেখেও দেখিনি যখন তথ্য আমাদের হাতের সামনেই আছে এবং তা বলছে, দেশে দিনে অন্তত ১০ জন দলিত মহিলার নির্যাতনের খবর আসে প্রতিদিন। তা-ও ক-টা আর নথিবদ্ধ হয়। অপর এক সমীক্ষার তথ্য জানাচ্ছে, এই বছর ছয়েক আগেও, প্রতি চার জনে একজন ব্যক্তি প্রকাশ্যে অস্পৃশ্যতার কথা স্বীকার করতে দ্বিধা করে না। গুজরাতের ভূতপূর্ব মুখ্যমন্ত্রী, সারা দেশবাসীকে যিনি নিও লিবারেল রামরাজ্যের ইউটোপিয়া ফিরি করলেন, তিনি নিজেই তো বাল্মীকি সম্প্রদায়ের জন্য কী-কাজ বরাদ্দ তা প্রকাশ্যে বলতে এমনকি লিখতেও কসুর করেননি। অর্থাৎ, কার স্থান কোথায় সে কথা জানিয়ে ক্লাস ইউটোপিয়াকেই নয়া প্যাকেজে বেচে দিয়েছিলেন তিনি, আমরা লুফে নিয়েছি। এ সবই আমাদের চোখের সামনে ছিল। সেই সঙ্গে ঘাড়ের উপর চেপে ছিল বর্ণবাদী কর্তার ভূত। ফলে যা আমরা দেখেও দেখিনি, সেখানে আসলে দেখেছি বর্ণবাদী শামুকের খোলস। আমাদের এই মন-গহন পড়তে তো রাষ্ট্রের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। যেখানে যুগসঞ্চিত বিভাজনের রত্নভাণ্ডার রাখা আছে, তা সে ব্যবহার করবে না কেন! আমরা রাষ্ট্রের আর-একটু মানবিক চেহারার জন্য কান্নাকাটি করতেই পারি, কিন্তু তার সে দায় তো নেই। সুতরাং, রাষ্টের সামনে নগ্ন হয়ে দাঁড়ানো যখন দস্তুর, তখন একবার আয়নার সামনেও সে-কাজ জরুরি। অন্তত, নিজেদের প্রশ্ন করা উচিত, আর-কতদিন এই বর্ণবাদী বৈষম্যের শ্বেতী লুকিয়ে আমরা প্রগতিশীল সাজব! এই আত্মিক প্রশ্নটি যেমন নিষ্ঠুর, তেমন যন্ত্রণাদায়ক। সচরাচর এটিকে আমরা এড়িয়ে যাই বলেই রাষ্ট্রযন্ত্রকে দোষারোপ করার সহজ রাস্তাটি নিই। রাষ্ট্রও বুঝে যায়, সিলেবাসে বদল নেই।

এতক্ষণে শুরুর সেই ছেড়ে-আসা হেরে যাওয়ার গল্পটার কাছে ফিরি। নেহা দীক্ষিত নামে একজন সাংবাদিক তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে একটি ঘটনা সামনে এনেছেন। হাথরাসে নির্যাতিতার বিচার চেয়ে যন্তর-মন্তরে যে প্রতিবাদ চলছিল, সেখানে উপস্থিত ছিলেন দুই তরুণী- জাগিশা অরোরা ও নার্গিস সইফি। তাঁদের উপস্থিতি এই কারণে গুরুত্বপূর্ণ যে, তাঁদের সঙ্গীদ্বয় ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রের হাতেই বন্দি। জাগিশার সঙ্গী প্রশান্ত কানোজিয়া উত্তপ্রদেশের সরকারের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আর, নার্গিসের সঙ্গী খালিদ সইফি সিএএ নিয়ে প্রতিবাদ করে একই ফল ভোগ করছেন। ব্যক্তিজীবনের এহেন বিপর্যয় সত্ত্বেও এঁরা দুজন এসেছেন, বিচার চাইতে। যুগে যুগে যেভাবে নারীরা অত্যাচারিতা হয়েছেন, তারপরও সবকিছু তুচ্ছ করে সবার আগে সেই অত্যাচারের মুখে রুখে দাঁড়িয়েছেন তাঁরাই। রঞ্জনের বিপদ জেনেও এই দুই নন্দিনী রাজার চোখে চোখ রেখে কথা বলেছেন, ঠিক তখন, যখন রাষ্ট্র তার কঠোরতম চেহারাতেই বিরাজমান; আইনের শাসনের নরম মুখোশখানা খুলে ফেলেছে। এরপর তার হাতে আর কী থাকে তাহলে! জানা নেই! ঠিক এইখানটাতে এসেই সে খানিক ঠেকে যায়। বিরোধী নেতা থেকে মিডিয়া, গোপনে লাশ দাহ থেকে প্রমাণলোপ, মিথ্যে মামলা থেকে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, মহামারী আইন থেকে সাংবাদিক গ্রেপ্তার- হেন কোনও ব্যবস্থা নেই যা সে নেয়নি। এমনকি এই দুই তরুণীর ব্যক্তিজীবনেও সে বড়ো আঘাত হেনেছে। কিন্তু, ব্যক্তির প্রতিরোধই যখন বড়ো হয়ে ওঠে এবং একসময় সমষ্টিকে ছুঁয়ে ফেলতে পারে, তখন রাষ্ট্র বেকায়দায় পড়ে বইকি! এই ছক তার কাছে অজানা! আর, এটাই সেই ছক যা আমাদের গন্তব্যের কাছে পৌঁছে দিতে পারে। ব্যক্তিকে গুরুত্ব দিয়ে, ব্যক্তিকে উপলব্ধি করেই ব্যক্তিকে অতিক্রম করে যাওয়া। ছোটো ছোটো স্তরেও যদি এই প্রতিরোধের স্থানিক মেডেল গড়ে ওঠে তবে কেন্দ্রহীন এই প্রতিরোধকে সামলাতে রাষ্ট্রকে বেগ পেতেই হবে।

এটাই তার ফস্কা গেরো। নইলে এমনিতে তার বজ্র আঁটুনি, পরাক্রম প্রবল। তবু, কখন কোথায় যে রাষ্ট্র নিজেও খানিকটা হেরে যেতে পারে, সে নিজেই জানে না।

অন্যান্য প্রবন্ধ পড়তে প্রবন্ধ ক্যাটেগরিতে ক্লিক করুন। লেখকের অন্যান্য লেখা পড়তে সরোজ দরবার ট্যাগে ক্লিক করুন।

শেয়ার করুন

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *