অনিবার্য অক্ষমতার দূরাস্ত চোখ – উদয় শংকর দুর্জয়
অকারণে চূর্ণতা জমায় শরৎমেঘ। কলতান মুখর
সেইসব প্রিয় অবসর কখন যেন ফাঁকি দিয়ে
এক অনিবার্যকে মেনে নিয়েছে। নিয়তি বলে কিছু নেই
যে এতদিন মেনেছিল, সে এখন বেলান্তে বসে ভাবে
এই গ্রীলের ওপারে মাথাটা বের করতে পারলেই
আকাশজল ছোঁয়া যেত—মেঘলা—অঢেল।
বুকের কপাটগুলো অতিশয় উদ্বিগ্ন, পেরুবার অক্ষমতাকে
কিছুতেই পেরুনো যায় না। এর বাইরে এক বিশালতা
তবু দৃষ্টি স্থবির, ক্রোধ ভিড় করে আছে বিদগ্ধ নাবিকের মতো।
শুধু পালাবার পথটাই অমন নির্ভার চেয়ে থাকে; চোখগুলো চেনা
তবু বিশ্বাসের খোদাই নকশা দেখলেই ঝুম-নিশা পিছু দাঁড়ায়।
অবচেতন বলতে কিছু নেই এখানে, পুড়ে গেছে সব
পুড়ে গেছে যার আগমনধ্বনিতে লেখা হয়েছিল
একশ’টা রক্ত জবার নাম। এ এক ঠুনকো প্রতিরোধ!
টুকরো স্পর্শে গুঁড়িয়ে দেয়া যায় তবু আঙুলের অগ্রভাগে
সামর্থ্যের কোনো চিহ্ন অবশিষ্ট নেই।
সত্যিকার অবশিষ্ট বলে কিছু থাকে না
অবশিষ্টের নামেই নিজের সাথে নিজের প্রতারণা।
চিত্রঋণ মৌমিতা ভট্টাচার্য্য