কারন বিপ্লব একটি মিথ – ঔরশীষ ঘোষ


দূরত্বের চিৎকার শুনেছিলো ক্রাচের কিশোর তখনি অন্ধকারের সাহস দুপায়ে বেঁধে নেয় সূর্য লাল হয় চন্দ্র গোল হয় বালুর নিচ থেকে উঠে আসে উটপাখিদের ডিম, ডানা ঝাপটায় নিস্ফলা পৃথিবীতে আলো-প্রান্তরের রেখার ওপর দাঁড়িয়ে শেখায় মরুদৌড় হতাশ উটপাখিদের। গাধার কাফেলাকে বলে, মশক খুলে চুমুক দাও মনিবের রক্তে, কেননা এই অরণ্য শুধু স্টালিওনের নয়। সন্ধ্যাকে থামিয়ে দেয় সমুদ্রের…
হেথা হতে যাও, পুরাতন। হেথায় নূতন খেলা আরম্ভ হয়েছে। আবার বাজিছে বাঁশি, আবার উঠিছে হাসি, বসন্তের বাতাস বয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চলে গেছি আমি, দূরে, বহুদূরে, শত-অভিমান ভরে ফিরবো না জেনো কোনোদিন, বিদায় চিরোতরে। শুভ্র মেঘ য্যামন অস্পৃর্ষনীয় সুন্দর সুদূর আকাশে তারা-ফুল শুধুই দেখা যায় নক্ষত্র প্রকাশে। শ্রান্ত দিঘিতে ফোটে যেমন ক্ষণিকের আলো-ছায়ার খেলা তোমার জীবনে…
বাংলাভাষার দেয়াল। কয়েকদিন পরপর খোলনলচে পাল্টে যায়। কী ভাষায় প্রথম কথা বলেছিলাম? কিছু কি বলেছিলাম? কোনও স্মৃতি থাকলে ভাল হত। অন্ধকার ঘরের ভেতর আরেকটা অন্ধকার ঘর। শূন্যতা। গর্ভ। জীবন। জ্যোতি বসুর বাংলায় লোডশেডিং। আমাদের মফস্বলে বুকে হেঁটে শুয়ে থাকা একের পর এক রোয়াকের শ্বাস নেওয়া। শীতঘুম না। বড় বেশিই জ্যান্ত। আমার বাংলা ভাষায় সেই রোয়াকের…
বৃষ্টি আঁকা নদী অনেক ছায়া সামনে পেছনে তবু ফুলে কত রং সুগন্ধি রোদ যেভাবে প্রিয় প্রশ্বাসের মতো ছুঁয়ে যায় রোম শিরা নাভি বুক তুমিও তো আছো তেমনি বাতাসে সঙ্গমের গন্ধ দুটি পায়রা ইভ আদমের মতো উড়ে গেল যেই দেখে ফেললাম তোমার চোখ বহু বছরের বৃষ্টি সঞ্চয়ে সমুদ্র লিখেছে তারায় তারায় শূন্যতাই ওঁ, শূন্যতাই ভালোবাসা ধরে…
শববাহকেরা চিরকাল শব বয়ে বেড়ায় তারা জানে সব লাশ চরিত্রগত ভাবে এক কেবল রং বদলায় বয়স বদলায় জাত বদলায় । তার পর রোদ জল বৃষ্টিতে ফুলে ফেঁপে ঢোল । পাশে পাশে হাঁটে বেতাল ; খোশগল্প করে, মন্ত্রণা দেয়, দিন বদলের স্বপ্ন দেখায় কাঁধ বদলের মাঝে দু-এক ছিলিম গাঁজাও ধরিয়ে দেয় ! লাশের ভার বাড়ে ।…
এ ক্লিন ডেথ তারপর এক দুঃখ শেষ হইতে না হইতে অপর দুঃখ আসিল। সে বুঝিল জগতে ঢেউ কাহাকে বলে। বা জগৎরূপী ঢেউ সে বুঝিল। তাহার আতঙ্কের সম্মুখে দ্বিপ্রহরের ন্যায় মুখব্যাদান করিয়া সে গর্জন করিল, ‘চোপ্, চিৎকার করলে জ্যান্ত তুলে নিয়ে যাবো’। তখন তাহার পেছনে আরও তিন-চার লাইনের সেনা ছিল। আবছা অন্ধকার বলে তাদের পড়া যাচ্ছিল…