কুমায়ুন ভ্রমণ ও তার নানা কিস্‌সা – শিবু মণ্ডল (পর্ব ৫)

শেয়ার করুন

পঞ্চম পর্ব

কেএমভিএন( KMVN) রেস্ট হাউস ও এক স্বর্গীয় চাতাল

রাস্তা থেকে সাদা রঙের দোতলা বাড়িটায় প্রবেশ করতে হবে দোতলা দিয়েই। সেখানেই রিসেপ্‌শন। রুম আগে থেকেই অনলাইনে বুক করেছিলাম। সবে বিকেল চারটে বাজলেও চারদিকে মেঘমল্লার রাগ বইছে। সামনের পাহাড়ের ঢাল বেয়ে উঠে আসছে মেঘ, অদূরের জঙ্গল থেকে নেমে আসছে মেঘ। একে একে তারা জানলায় উঁকি মেরে দেখে যায় নতুন অতিথিদের। দূর থেকে দেখলে এদের গানের কথার মতোই সলিড মনে হয় অথচ কাছে এলে সুরের মতো এক অশরীরী স্পর্শ! জানালা খুলতেই সেই স্পর্শে যেন শরীর মন ভিজে গেল! সামনের বাগানের নানা রঙের ফুলগুলিও যেন হেসে উঠল। যদিও পরিচর্যা করার জন্য মালি আছে, হয়তো তারা প্রায় সারা বছর এখানে থাকেও, তবুও পর্যটক কিন্তু বছরের সবসময় আসে না এখানে। বিশেষত গ্রীষ্মকালটাই ভিড় থাকে। এইসময় বাইরের নতুন নতুন মানুষ দেখে বাগানের ফুলগুলিও যেন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। মনে মনে ভাবে কেউ তো এসেছে ওদের সৌন্দর্য দেখবার জন্য।

—তবুও কিছু একটা অভাব বোধ হচ্ছে—

—দু’কাপ চা অর্ডার কর–শিখা বলল

—এই তো! ঠিক এই ঠান্ডা ঠান্ডা আমেজে গরম গরম এক কাপ চা-

—আচ্ছা এমন মনোরম একটি স্থানে এসে যদি এক কাপ চা না হত তবে কি আনন্দ কিছুটা কমে যেত?

—না, হয়তো কমত না। তবে কি জানো, মনের আনন্দ হলে শরীরও তার আনন্দগুলো পেতে চায়। এই যেমন রুটিনের চা শরীরের একটি চাহিদা, আর মন কিছুটা সেই মায়ায় আবদ্ধ হয়ে থাকে। কিছুটা ক্ষুধা, কিছুটা মায়া এই নিয়েই তো জীবনের আনন্দ!

—চলো, চলো, অন্ধকার হবার আগে একবার বাইরেটা দেখে আসি। চা-পান শেষ হলে শিখা তাড়া দেয়।

রেস্ট হাউসের পিছন দিকটায় বাগান। বাগানে হেঁটে বেড়াবার জন্য রাস্তা করা আছে। বাগানের পরেই তার সমান্তরালে একটি বড়োসড়ো চাতাল। এটি আসলে নীচের ধাপে গড়ে ওঠা অন্য একটি ঘরের ছাদ। এর নীচেও বেশ কিছু রুম আছে। রেলিঙে ঘেরা সাদা মার্বেল পাথরে সাজানো চাতালটিতে এসেই মনে হল যেন একটি স্বর্গীয় বারান্দায় উঠে এলাম! অথবা যেন এক জাদু কার্পেটে করে শূন্যে ভেসে চলেছি। এর তিনটে দিকে পাহাড় তার বনরাজি নিয়ে ক্রমশ নেমে গেছে আলমোড়ার দিকে, জাগেশ্বরের দিকে! গাছগুলির সবুজ মাথা উঁকি দিয়ে এই স্বর্গীয় বারান্দার নিকটতম সীমানার পটভূমি রচনা করেছে। কখনও সাদা ঘন মেঘ, কখনও পাতলা মেঘ আসছে আর যাচ্ছে। তারই মাঝে দেখা যায় ওই দূরের সীমানার পটভূমিতে দাঁড়িয়ে আছে নন্দাদেবী, নন্দাঘুণ্টি, চৌখাম্বা, কেদারনাথ, ত্রিশূল, ও পঞ্চচুল্লীরা! সারা বিকেলটা মেঘেদের সাথেই কেটে গেল ভাবনাহীন। সন্ধের পর আর মেঘ নেই। হয়তো কোনও মেষপালক তার মেষেরপাল ভেবে মেঘগুলিকে ধরে ধরে নিজের ডেরায় ঢুকিয়ে দিয়েছে। আকাশের দিকে মাথা তুলে তাকাতে একটাই গান মনে পড়ে—

‘আজি যত তারা তব আকাশে

সবে মোর প্রাণ ভরি প্রকাশে।।’

এই অনন্ত আকাশ আমার ক্ষুদ্রতা জেনেও আমার সীমাবদ্ধতা জেনেও আমার কাছে নেমে আসতে চাইছে অসংখ্য নক্ষত্র নিয়ে আমার একটি আকাশ হয়ে। এলে কি হবে আমি তো অক্ষম তার প্রকাশ অনুভবে, মনেপ্রাণে গ্রহণ করতে। ভয়ে পালিয়ে আসি নৈঋতে ঝুঁকে থাকা একাদশীর আধখাওয়া চাঁদের দিকে। ওগো চাঁদ আমায় গ্রহণ করো, তোমাকেই আমার নিকটজন বলে মনে হয়। তোমার কাছে আমার কোনও ভয় নেই, কোনও লজ্জা নেই। তুমি তোমার পূর্ণ ক্ষুধা নিয়ে আমার ক্ষুধাকে গ্রহণ করো…    

—স্যার ডিনার কা টাইম খতম হোনে বালা হ্যাঁয়। বস্‌ আপলোগ হি বাকি হ্যাঁয়। জলদি আইয়ে। ফির ন- বাজেকা বাদ লাইট নেহি রাহেগা—দেখি রুম সার্ভিসের ছেলেটি পাশে দাঁড়িয়ে।

কাকতালীয়ভাবে রানিক্ষেতের রেস্টহাউসের রুম সার্ভিসের ছেলেটির মতো এর নামও দীপক!

ছেলেটির মুখের দিকে কিছু মুহূর্ত তাকিয়ে রইলাম। ভাবছি লক্ষ কোটি কিলোমিটার দূর থেকে হাজারো লক্ষ নক্ষত্রের আলো এসে পড়ছে এই গ্রহে। আবার আমাদের মাথার ঠিক ওপরেই সোলার ল্যাম্পের আলো জ্বলছে। আর এসবের তলে এক মানবরূপী আলো প্রকাশিত আমার সামনে।

—লাইট নেহি রহেগা তো কিয়া হুয়া, দীপক তো রহেগা!

আমার এই হালকা রসিকতায় দীপকের মুখমণ্ডলে হিমালয়ের হিমশুভ্র আলো ফুটে উঠল।

ডাইনিং হলে আমরাই শেষ ব্যাচ। খাবারের এলাহি ব্যবস্থা। আমিষ বর্জিত হলেও ডিম এখানে ব্রাত্য নয়। বয়েল, অমলেট থেকে আণ্ডাকারি এটুকুই আমিষের উপস্থিতি। বুফে সিস্টেমে যে যার খুশিমতো রুটি, পরোটা, ভাত, ডাল নানা সব্জি থেকে মিষ্টি পাতে তুলে নাও। রুম রেন্টের সাথেই ব্রেকফাস্ট আর ডিনার ফ্রি। শুধু দুপুরে খেলে আলাদা বিল দিতে হবে। খেয়েদেয়ে রুমে আসা মাত্রই সৌরবিদ্যুতের আলো বুজে গেল। এখানে এটাই নিয়ম। প্রচলিত বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই বলে সৌরবিদ্যুতেই সন্ধ্যে সাতটা থেকে রাত্রি নটা পর্যন্ত প্রয়োজনীয় কাজ চালাতে হয়। তার পর মোমবাতি অথবা সাথে নিয়ে যাওয়া টর্চই ভরসা। শ্রীজা ও অদ্রিজার তো ক্যান্ডেল লাইট দেখে খুব আনন্দ! বাইরে বিস্তীর্ণ অন্ধকারের মধ্যে একমাত্র চাতালটি ফুটে আছে আলো হয়ে যেন। চারিদিকে মেঘেরা আবার ভিড় করেছে। ভিড় থেকে দুটি কালো মেঘ নেমে এল চাতালে। হাতে হাত ধরে তারা চাতালের চারদিকে হেঁটে বেড়াল ঘনিষ্ঠ হয়ে। তারপর চারপাশ শুনশান হয়ে গেলে একটি মেঘ অন্য মেঘটি থেকে সামান্য দূরত্ব তৈরি করে গাইতে লাগল- ‘ ভালোবেসে, সখী, নিভৃতে যতনে/ আমার নামটি লিখো- তোমার/ মনের মন্দিরে…’  

এই রাবীন্দ্রিক মেঘ, এই অশরীরী মেঘ আজ সারারাত গান গাইবে, নৃত্য করবে এই স্বর্গীয় চাতাল জুড়ে সবার অলক্ষে!

লতা হতে চাওয়া বৃক্ষ হতে চাওয়া এক মনভোলা মানবী 

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি উপরে হোটেলের সামনের চত্বরে উদ্বিগ্ন হয়ে মৌসুমি মাসিমা পায়াচারি করছে। মুঠোফোনটি কানের কাছে কিছুক্ষণ সেঁটে থেকে নেমে আসছে। পরমুহূর্তেই আবার কানের পাশে চলে যাচ্ছে। কোনও বার্তালাপ তো শুনতে পাচ্ছি না।

—কী হল মাসিমা? কাকে ফোন করছেন।–

—আর বোলো না। আমার হয়েছে যত জ্বালা! মুনু (দেবশ্রী বৌদির ডাক নাম) ঘুম থেকে উঠেই কাউকে কিচ্ছুটি না জানিয়ে একা একা বেরিয়ে পড়েছে। বলো দেখি, এই জঙ্গলে একা একা কেউ এমনি বের হয়? কোনও আক্কেল নেই মেয়েটার। আর স্বরূপ আমার উপরে এই নিয়ে রাগ করছে—স্বাভাবিক! এদিকে ফোনও লাগছে না। কী যে করি…

—আচ্ছা আপনি দুশ্চিন্তা করবেন না। কাছেই আছে নিশ্চয়ই। চলে আসবে ঠিক। আমি দেখছি একটু বাইরে গিয়ে।

—হ্যাঁ হ্যাঁ বাবা দেখো তো। স্বরূপ আর বাবিও গেল খুঁজতে।

শিখা রইল মাসিমার কাছে। আমিও বেরিয়ে গেলাম আপাত হারিয়ে যাওয়া এক মানবীকে খুঁজতে। রেস্ট হাউস থেকে বেরিয়ে তিনটি দিক আমার সামনে খোলা। পিচের মূল রাস্তাটি নীচের দিকে নেমে চলে গেছে যে পথে আমরা গতকাল এসেছি সেদিকে আলমোড়ার দিকে আর সামনের দিকে চলে গেছে ফরেস্ট রেস্ট হাউসের দিকে। মূল রাস্তা থেকে একটি কাঁচা একফালি পথ বনের মধ্যে উঠে গেছে জিরো পয়েন্টের দিকে। একলা একজন মানুষ কোনপথে হাঁটবে এটা একান্তই তার ব্যক্তিগত চিন্তা ও বিবেচনাজাত। অন্য কেউ সেটা জানতে পারবে না। প্রতিটা মানুষই আলাদা, তাদের চিন্তা করার পদ্ধতি আলাদা, দেখা ও ভাববার ক্ষমতা আলাদা আলাদা। তাই প্রতিটা মানুষের জার্নিটাও আলাদা হয়। অন্যে শুধু অনুমান করতে পারে। সেই অনুমানে ভিত্তি করেই আমি জিরো পয়েন্টের দিকে হাঁটতে লাগলাম। কুয়াশামাখা কাঁচা বনপথে শুকনো পাতার মর্মর ধ্বনি শুনে চমকে উঠি। আশেপাশে তো কেউ নেই। এতো নিজেরই পদধ্বনি। পাখিদের ডাক আছে আর সেই ডাক ছাপিয়ে আছে বিশাল বিশাল বৃক্ষের চুপ হয়ে থাকা। আছে পাহাড়ের মৌনতা, লতা ও পাতাদের শব্দহীন কথা বলা। পথের ইশারা আছে অথচ জানিনা এই পথ কোথায় নিয়ে যাবে, আদৌ কোথাও নিয়ে যাবে কিনা। অথবা সামনের বাঁকের আড়ালে কী রহস্য অপেক্ষা করে আছে? মানুষ চিরকাল রহস্য খোঁজে। মনকে রহস্যে মুড়ে রাখতে ভালোবাসে। তাই হয়তো তার মন চায় হারিয়ে যেতে সবার থেকে আলাদা হয়ে।

এই যে মানবীটিকে খুঁজতে বেরিয়েছি তারও হয়তো ইচ্ছে প্রবল হয়েছে একলা হতে, এই প্রকৃতির মায়াতে হারিয়ে যেতে। হয়তো মানুষের বাস্তবতায় থাকতে থাকতে সে হাঁপিয়ে উঠেছে। সে নিজেকেই হয়তো খুঁজতে চেয়েছে, দেখতে চেয়েছে, জানতে চেয়েছে। এই খোঁজে এই অনিশ্চিত পথই হয়তো তার সঙ্গী হতে পারে, এই কুয়াশার আস্তরণ পেরিয়েই হয়তো সে যা খুঁজছে তা পেয়ে যেতে পারে অথবা নতুন কোনও রহস্যের মায়ায় পড়ে আনন্দ পেতে পারে। কোনও চেনা পাখির ডাক সে এড়িয়ে চলে গেছে হয়তো অথবা অচেনা কোনও পাখির ডাক শুনে খুঁজতে লাগল তাকে, খুঁজে পেয়ে সেই পাখিটিকে কোন নাম দিল, তার রূপ রং দেখে শিহরিত হল, তার গান শুনে মুগ্ধ হল কিন্ত তাকে বেঁধে রাখতে পারলো না, হয়তো সে চায়ওনি। সে এগিয়ে গেল আরও গভীর বনে। শূন্য আকাশের দিকে দুবাহু ছড়ানো যে বৃক্ষগুলি তাকে এই নির্জনতার শান্তি দিয়েছে সে সেই বৃক্ষ হতে চাইল। সে সেই বৃক্ষকে জড়িয়ে ধরে মানুষ থেকে বৃক্ষ হয়ে যেতে চাইল। যে লতাগুল্মফুল তাদের গন্ধ দিয়ে তাকে মুগ্ধ করেছে সে সেই লতাগুল্মফুলের গন্ধ হয়ে প্রকৃতির পায়ে লুটিয়ে পড়তে চাইল।

এমন চাওয়া তো যেকোনো মানুষেরই হতে পারে। সে নারী কিংবা পুরুষ। এই একলা হতে চাওয়া, নির্জনে থাকার অধিকার, এই উদাসী পথে পাড়ি দেবার স্পর্ধা তো কেবল পুরুষের দৈবোত্তর সম্পত্তি নয়। যেকোনো নারীরও এই অধিকার আছে। এতে তার উপরে কারো রাগ করার অথবা তাকে কটু কিছু বলা অন্যায্য। অহেতুক দুশ্চিন্তা করে তার পিছু পিছু তাকে খুঁজতে যাওয়াটাও তার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হবে বলে মনে হল। তাই হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে গেলেও তাকে আর খুঁজিনি। আমিও কুয়াশার মন্ত্রণায় থেমে গেলাম একটি বাঁকে এসে। এখানে তিনটি পথ কুণ্ডলী পাকিয়ে গোল একটি সমতল বেদির আকার ধারণ করেছে। দুটি বিশাল পাইন গাছের মাঝে একটি বেদী তৈরি করে দিয়েছে বন দপ্তর পথচারীদের বিশ্রামের জন্য। সেখানে বসেই পাখির ডাক শুনছি। এতক্ষণ ধরে চলছি অথচ কোনও জনমানব দেখছি না তো। আমিও কেমন বোকার মতো ভাবছি। যে বন বন্যপ্রাণীদের জন্য সংরক্ষিত সেখানে তো বন্যজন্তু দেখার কথা, মানুষ নয়। তবে এটাও ঠিক সভ্য মানুষ তার ভোগবিলাসের জন্য বনজঙ্গল ধ্বংস করতে লেগেছে। আর এখন এমন অবস্থা যে বনের অধিকারী বন্যপ্রাণীদের জন্য সেই বনকে আলাদা করে সংরক্ষণের প্রয়োজন পড়ছে। বিনসারের জঙ্গলটিকেও ১৯৮৮ সালে সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ভাগ্যিস হয়েছিল, নয়তো এই পাহাড়েও গাছ কেটে অর্থলোভী মানুষেরা রিসর্ট, হোটেল খুলে ব্যবসা শুরু করে দিত। তা হয়নি বলেই এই বনে এখনও পাখিরা নিশ্চিন্তে ডাকে, হরিণেরা খেলে বেড়ায়, লেপার্ডেরা নির্বিঘ্নে হরিণ শিকার করে। তবে এখনো পর্যন্ত পাখি, বানর ও কিছু লেঙ্গুর ছাড়া আর কিছু চোখে পড়েনি। আমি দেখি বা না দেখি, কিন্তু ওরা তো আছে, হয়তো আশেপাশেই আছে। আড়াল থেকেই আমাকে দেখছে, অসভ্যের মতো সামনে এসে বাধার কিংবা ভীতির সৃষ্টি করছে না। গতকাল আসার পর শুনেছিলাম এক পর্যটক আসার পথে নাকি লেপার্ড দেখেছে। তবে লেপার্ড নাকি খুব লাজুক হয়। দূর থেকেই মানুষের গতিবিধি টের পেলে গভীর জঙ্গলে লুকিয়ে পড়ে। তাদের সংখ্যাও নিশ্চয়ই খুব কমই হবে। তাই হয়তো এখানে পর্যটকদের দিনের বেলা নির্বিঘ্নে হাঁটাচলা করতে বনদপ্তর কোনও আপত্তি করে না। কী ভেবে সামনের ঢাল বেয়ে একটু নীচের দিকে যেতেই দেখি একটি বার্কিং ডিয়ার এই ঢাল থেকে অন্য ঢালে স্প্রিঙের মতো লাফ দিয়ে দিয়ে জঙ্গলের আড়ালে চলে গেল। আমিও আর এগলাম না। ফিরে এলাম রেস্ট হাউসে। এসে দেখি দেবশ্রী বৌদি ফিরে এসে মাসিমা ও শিখার সাথে গল্প জুড়ে দিয়েছে। কিছুক্ষণ পর সকন্যা স্বরূপদাও ফিরে এল। ঘরের পাখি ঘরে ফিরে এসেছে দেখে মুখে এক চওড়া হাসি খেলে গেল তার।        

শেয়ার করুন

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *