কুমায়ুন ভ্রমণ ও তার নানা কিস্‌সা – শিবু মণ্ডল (পর্ব ৩)

শেয়ার করুন

তৃতীয় পর্ব

কুমায়ুন রেজিমেন্ট মিউজিয়াম ও এক জাপানি সৈনিক

সবুজ রঙের টোপরের মতো দেখতে টিনের চৌচালা ছাদ দেওয়া সংগ্রহশালা চত্বরে ঢুকতেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালীন দুটি কামান আমাদের স্বাগত জানাল। কুমায়ুন রেজিমেন্টাল সেন্টার মিউজিয়াম শহরের একটি বিশেষ দ্রষ্টব্য স্থান। জেনারেল টি এন রাইনা-র উদ্যোগে ১৯৭৬-এ এই সংগ্রহশালাটি গড়ে ওঠে। কথায় বলে নাম দিয়ে যায় চেনা; মিউজিয়ামটির নাম থেকে বোঝা যাচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কুমায়ুন ও নাগা রেজিমেন্টের গৌরবগাথা, তাদের বীরত্বের ও দেশভক্তির নানা নিদর্শন, ইতিহাস সংরক্ষিত আছে এখানে।

বর্তমান রানিখেত শহরের গোড়াপত্তন হয়েছিল ১৮৬৯ সালে মূলত ব্রিটিশ সেনাদের জন্য সেনেটোরিয়াম গড়ে তুলবার মধ্য দিয়ে। তবে অতীতে তাকালে আমাদের ফিরে যেতে হবে ১৮১৫ এ। নেপালের গোর্খা শাসনের কবল থেকে কুমায়ুন ও গাড়োয়ালকে মুক্ত করে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনা ও প্রতিনিধি দল প্রথম পা রাখল রানিখেতে। তারপর ধীরে ধীরে এলেন তাদের পরিবার ও বন্ধু পরিজনেরা। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জলবায়ু তাদের মুগ্ধ করল। তবে এই মুগ্ধতার পাশাপাশি তাদের দূরদৃষ্টি দিয়ে এখানে চা ও ফল চাষের সাথে সাথে ঔপনিবেশিক নগর স্থাপনের অপার সম্ভাবনাও দেখতে পেলেন। ভারতীয় উপমহাদেশে বাণিজ্য করাই যে তাদের আসল উদ্দেশ্য! দেখতে দেখতে তারা গ্রামবাসীদের কাছ থেকে প্রচুর জমি কিনে বসবাস ও চাষবাস করতে শুরু করেন। তাদেরই অন্যতম ছিলেন ব্রিটিশ অভিযাত্রী নরম্যান ট্রুপ। ১৮২৪ সাল নাগাদ তিনি দুটি বিশাল বিশাল টি এস্টেট গড়ে তোলেন। তবে পরিস্থিতি বদলে গেল ১৮৫৭ সালের পর। ভারতবর্ষে তখন প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম সিপাহী বিদ্রোহের আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। সমতল ভারতবর্ষ অত্যাচারী ও লুঠেরা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসকদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ভারতবর্ষের শাসনভার রানি ভিক্টোরিয়া নিজের হাতে তুলে নিয়ে সরাসরি ব্রিটিশরাজ চালু করলেন। তটস্থ সরকার নতুন করে শাসনব্যবস্থা সাজাতে লাগলেন। হিল স্টেশনের গুরুত্ব বুঝতে পারলেন তারা। একে তো হিমালয়ান রাজ্যগুলির বাসিন্দারা সহজসরল হওয়ায় গোলমাল বাঁধার সম্ভাবনা কম। ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের সময়তেও পাহাড়ি অঞ্চলগুলি সমতলের তুলনায় শান্তই ছিল। তাছাড়া আহত সেনাদের সেবা-শুশ্রূষা ও স্বাস্থ্যোদ্ধারের জন্য পাহাড়ি জলবায়ুর কোনও বিকল্প নেই। ততদিনে পাইন ও ওক গাছে আচ্ছাদিত রানিখেতের ঢেউখেলানো উপত্যকা, চওড়া ও প্রশস্ত রিজ্‌ ও অতুলনীয় জলবায়ু তাদের মন কেড়ে নিয়েছে। তবে মুসৌরি, সিমলা, নৈনিতালের মতো ব্যস্ত নগরী না গড়ে রানিখেতে একটি সেনা ছাউনি গড়ে তোলবার বড়ো প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। অ্যাংলো-নেপালি (১৮১৪-১৬) যুদ্ধ জেতার পর চম্পাবত জেলার লোহাঘাটে একটি সেনাছাউনি গড়ে উঠেছিল বটে। কিন্তু ১৮৪৬ এ কিছু স্থানীয় বিদ্রোহের কারণে সেই ছাউনি উঠে চলে যায় হাওয়ালবাগে। শেষে ১৮৬৯ সালে রানিখেতের সারনা, কোটলি ও টানা গ্রাম যার মধ্যে ট্রুপ সাহেবের হল্ম এস্টেট ছাড়া বাকি সব এস্টেটও ছিল, ১৩,২০৪ টাকায় অধিগ্রহণ করে সেনাদের জন্য পাকাপাকিভাবে ছাউনি গড়ে তুলেছিলেন ব্রিটিশ সরকার। স্বাধীনতার পর ইংরেজরা ব্যারাক খালি করে চলে যাওয়ার পর ১৯৪৮ এ কুমায়ুন রেজিমেন্টাল সেন্টারকে আগ্রা থেকে রানিখেতে সরিয়ে আনা হয়। বর্তমানে রানিখেত ও কুমায়ুন রেজিমেন্টাল সেন্টার যেন সমার্থক!

টিকিট কেটে বাড়িটির ভিতরে প্রবেশ করে সিঁড়ি দিয়ে একটি হলঘরে নামতেই আমাদের স্বাগত জানাল অবসরপ্রাপ্ত সেনা ক্যাপ্টেন পি আর আর্য। তিনিই আমাদের গাইড হয়ে ঘুরে ঘুরে দেখাবেন মিউজিয়ামটি। শুরুতেই নাগা সংস্কৃতির নিদর্শন বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের সাথে পরিচয় করালেন তিনি। পালিশ করা কাঠের একটি ফ্রেম থেকে ঝুলে আছে ঢাউস আকারের ব্রোঞ্জের কাঁসর। অনেক পুরানো হলেও নিয়মিত ঝাড়পোঁছের ফলে চকচক করছে! ক্যাপ্টেন পি আর সাহেব পাশের টেবিলে রাখা কাঠের একটি হাতুড়ি তুলে নিয়ে পরিমিত শক্তি দিয়ে সেই কাঁসরে আঘাত করতে লাগলেন। বেশ কয়েকবারের পুনঃপুনঃ আঘাতে বদ্ধ মিউজিয়ামটি এক বুককাঁপা আওয়াজে এমন গমগম করে উঠল মনে হল যেন কোনও যুদ্ধের দামামা বাজছে। দেওয়ালে বাঁধানো রয়েছে দুই রেজিমেন্টের ইতিহাস। ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের একমানুষ সমান দীর্ঘ তরোয়ালটির ফলায় এখনও বীরত্ব ঝলকাচ্ছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর নবীনতম নাগা রেজিমেন্ট ১৯৭০ এ গঠিত হওয়ার পর থেকেই তার সদর দপ্তর রানিখেতের এই কুমায়ুন রেজিমেন্টের সাথে কার্যকর। অন্যদিকে কুমায়ুন রেজিমেন্ট প্রথম গঠিত হয় ব্রিটিশ অধীনস্থ ভারতে ১৮১৪-১৬ সাল নাগাদ। তাদের এই দীর্ঘদিনের বীরত্বের নানা কাহিনি ও ইতিহাস বিশেষ করে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে শুরু করে হালের কার্গিলের যুদ্ধ পর্যন্ত নানা তথ্য ও গৌরবগাথার বর্ণনা দিয়ে চলেছে ক্যাপ্টেন সাহেব তাঁর নিজস্ব বাচন শৈলীতে। ক্যাপ্টেন পি আর আর্য অবসরপ্রাপ্ত সেনানী হলেও বেশ রসবোধের অধিকারী। নানা তথ্যের মাঝে মাঝে ধাঁধা ও মশকরাতেও আমাদের মাতিয়ে রাখলেন। নানা শোকেস জুড়ে কোথাও ইয়া বড়ো তাজা গ্রেনেড, পেল্লাই মেশিন গান, কোথাও বিশ্বযুদ্ধকালীন জাপানি রেডিও তথা টেলিফোনের নানা সরঞ্জাম! দেখলাম হেরো পাকিস্তানের একটি পতাকা উলটো করে টাঙানো রয়েছে দেয়ালে। যত্ন করে রাখা আছে এলটিটিই-র থেকে বাজেয়াপ্ত অস্ত্র বোঝাই কাঠের সরু বোট নৌকা! এসব কিছুই কোনও না কোনও যুদ্ধে শত্রুসেনাকে পরাজিত করে বাজেয়াপ্ত করেছিল কুমায়ুন রেজিমেন্টের বীর সেনারা। ভারতের প্রথম পরমবীর চক্র মেজর সোমনাথ শর্মা ও প্রথম মহাবীর চক্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল ধরম্‌ সিং এই কুমায়ুন রেজিমেন্টেই ছিলেন। এখানে সংরক্ষিত আছে তাঁদের ও অন্যান্য বীর সেনা অফিসারদের ব্যবহার্য পোশাক-আশাক ও নানা যুদ্ধ সরঞ্জাম। এসব শৌর্যবীর্যের প্রদর্শন দেখে আমরা যখন জাতীয়তাবোধে ভীষণ উদ্বুদ্ধ ও আবেগতাড়িত ঠিক তখনই একটি হোঁচট! এই হোঁচট শারীরিক নয়, মানসিক! এই হোঁচট একান্তই ব্যক্তিগত!

একটি কাচের শোকেসে সংরক্ষিত রয়েছে সাদা, মলিন কাপড়ের লম্বা পট্টি জাতীয় একটি জিনিস। ক্যাপ্টেন তাঁর সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিলেন। এটি কোনও এক জাপানি সেনার ব্যবহার করা বেল্ট জাতীয় কিছু। জাপানি ভাষায় একে বলে সেন্নিনবারি (Thousand person stitches)। জাপানি রীতি অনুযায়ী কোনও বাড়ির পুরুষ যখন যুদ্ধে যাবার জন্য প্রস্তুত, তখন বাড়ির মেয়েরা সে মা হতে পারে, বোন হতে পারে অথবা হতে পারে স্ত্রী, তারা হাজারটা সেলাইয়ের ফোঁড় দেওয়া একটি কাপড়ের বেল্ট তৈরি করে। রীতি অনুযায়ী এই সেন্নিনবারির হাজারটি সেলাই বা ফোঁড় হাজারটি ভিন্ন ভিন্ন নারীর হাতে বোনা হতে হয়। ঘরের ছেলে যাতে যুদ্ধ শেষে সুস্থ শরীরে ঘরে ফিরে আসতে পারে সেই মঙ্গল কামনার উদ্দেশ্যে সেনার পরম আত্মীয়াটি তখন মন্দির চত্বরে, কখনও স্টেশনে, কখনও বাজারের ভিড়ে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করে আর পথে হেঁটে যাওয়া মহিলাদের অনুরোধ করেন সেই কাপড়ের বেল্টটিতে একটি ফোঁড় তুলে দিতে। জাপানিদের বিশ্বাস শৌর্যের ও সৌভাগ্যের প্রতীক এই বেল্ট তাদের প্রিয়জনটিকে যুদ্ধক্ষেত্রে সবরকম বিপদ থেকে রক্ষা করবে।

আমার সামনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়া কোনও এক তরুণ জাপানি সেনার সেই সেন্নিনবারি। চোখের সামনে ভেসে উঠছে—সেই সদ্য কিশোর অথবা তরুণটি নিজের দেশের হয়ে লড়াই করতে যাবার জন্য প্রস্তুত। সে দাঁড়িয়ে আছে পাড়ার কোনও মন্দির অথবা প্রার্থনা গৃহের সামনে। তার মা, তার বোন, তার প্রিয়তমার চোখে জল। সে দ্বিধাগ্রস্থ! শেষে মায়ের হাতে সেই সেন্নিনবারি পড়ে নিয়ে দ্রুত পায়ে উঠে পড়ল সেনা কনভয়ে। সে আর বাড়ি ফিরে আসতে পারেনি, তার শেষ অশ্রুবিন্দুটুকু হয়তো এখনও লেগে আছে তার মায়ের হাতের তালুতে। যুদ্ধের ময়দানে তাঁকে হত্যা করে তার রক্ষাকবচ সেই কাপড়ের বেল্টটি জয়ের প্রতিক স্বরূপ বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গেছে এক ব্রিটিশ-ভারতীয় সেনা। তার শেষ রক্তবিন্দু, তার শেষ অশ্রুবিন্দু শুকিয়ে গেলেও তার ছোপ ছোপ চিহ্ন রয়ে গেছে সেই সেন্নিনবারিতে। সেই ছোপ এক অন্য দেশের মানচিত্র এঁকে দিয়েছে যেখানে ফুটে উঠেছে এক মায়ের স্নেহ, বোনের ভালোবাসা ও এক প্রিয়তমার আদরের গল্প। সেখানে কোনো সেনাবাহিনী নেই। সেখানে কোনো যুদ্ধ নেই, শুধু স্নেহ, প্রেম আর ভালোবাসা! যুদ্ধহীন একটি পৃথিবীর কল্পনা করতে করতে সেই যুদ্ধের খেলনাবাড়িটি থেকে বেরিয়ে আসি। দিনের তীব্র উষ্ণতা অনেকটা কোমল হয়ে এসেছে তখন!

বাউলের আখড়া ও একটি সন্ধ্যা
রানিখেতের এই বাউলের আখড়ায় আজ আমাদের শেষদিন। কাল সকালে চলে যাব বিনসার। জুনের শেষ সপ্তাহ, মেঘমুক্ত আকাশ, খুব শীত নেই, গরম কী ভুলে গেছি। আজ আর আলাদা আলাদা নয়। এই উদার বারান্দা আজ আমাদের সবার, এই মুক্ত লন আমাদের সবার, এই সন্ধ্যা আমাদের সবার। একজনের চায়ের কাপের উষ্ণ ধোঁয়া পাহাড় ছোঁয়ার আগে অন্যজনকেও ছুঁয়ে যায়। আড্ডা মানে কথার রেওয়াজ, তবে মাঝে মাঝে বিরতি। এই বিরতি, এই সাময়িক শূন্যতা আমাদের পূর্ণ করে থাকে, এই পূর্ণতাই আমাদের মনকে সুন্দর করে তোলে। এই রেওয়াজে রেওয়াজে আমরা কখনও বক্তা, কখনও শ্রোতা হয়ে উঠি ক্রমশ। তখন কথা বললেও ছন্দে নেচে ওঠে, চুপ থাকলেও সুর গড়ে ওঠে। এমন ম্যাজিক মুহূর্তে কোনো নৃত্যশিল্পী কী করে স্থির থাকতে পারে? আমাদের কত্থক নৃত্যশিল্পী দেবশ্রী তার দুই সখী শিখা ও পূর্ণিমাকে নিয়ে এই আখড়ার মুক্ত আঙিনাকে আলোকিত করে তোলে। শিখা ও পূর্ণিমা তেমন নৃত্যপারঙ্গমা না হওয়াতে দুএকবার অনুশীলন করে নিল চূড়ান্ত পারফর্মের আগে। তবে এই মুক্ত আকাশতলে অনুশীলন ও চূড়ান্ত বলে কিছু আছে কি? হয়তো যা-কিছু জাগতিক বা মহাজাগতিক সব কিছুই এক অনুশীলন অথবা এক অভ্যাস অথবা পুনঃ পুনঃ পারফর্ম। মাঝে শুধু একটু বিরতি, একটু স্পেস, একটু শূন্যতা! এই শূন্যতা না থাকলে তো সবকিছুই ছন্দহীন! বিরতির পর আবার ফিরে আসা। নাচে, গানে একটুকরো সাঁওতাল পরগণা যেন উঠে এসেছে রানি পদ্মিনীর বিলাসক্ষেত্র এই রানিখেতের পাহাড়ে। একছায়া অন্ধকারের আড়ালে থাকা এই পাহাড়, এই পাইনের বন, তার বাসিন্দারা এই গান শুনছে, এই নাচ দেখছে আর দুলে দুলে উঠছে নিশ্চিত। এই রেস্ট হাউসের প্রতিটি রুমের মাঝে মাঝে লবিতে সেজে আছে ফুঁসিয়া ফুলের লতা। তার বেগুনি রঙের নৃত্যরত ফুলগুলি সারাদিন ধরে অতিথিদের নাচের ভঙ্গিমা দেখাতে দেখাতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। আমাদের পাগলামি দেখে তারা আবার জেগে উঠেছে। একে একে চলে এসেছে নক্ষত্রখচিত আকাশের নীচে। তারাও যোগ্য সঙ্গত দিচ্ছে আমাদের নৃত্যশিল্পীদের সাথে। শীতকাল হলে নিশ্চিত আমাদের মাঝে নৃত্য করতে হাজির হত বোনফায়ার। তবে আমাদের হৃদয়েও এক আগুন আছে, টের পাচ্ছি, আর সেই আগুনেই আমরা সেঁকে নিচ্ছি আমাদের সম্পর্ক, আমাদের যা-কিছু ভালো, আর যা-কিছু মন্দ! আর সেই ফাঁকে আমাদের পটভূমিতে দেখা যাচ্ছে আখড়ার রান্নাঘরে আলো জ্বলে উঠেছে। তার উনুনে আমাদের রাতের খাবার পাক হচ্ছে। একটু বাদেই আমাদের এই দুদিনের অন্নদাতা দীপক খাবারের জন্য তলব করবে। আমরা এই মোহময়ী আঙিনা ছেড়ে কখন উঠতে পারব জানি না, খাবার কখন খাব সেটাও জানি না। শুধু জানি এই আড্ডা এর আগে কখনও এই বারান্দায় হয়নি, এই নাচগান এই আঙিনায় কখনও রচিত হয়নি!

সেন্নিনবারি

কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ কুমায়ুন রেজিমেন্ট মিউজিয়াম এর ভেতরে ছবি তোলার অনুমতি না থাকায় সেন্নিনবারির ছবিটি গুগল সাইট থেকে নেওয়া হয়েছে। 

শেয়ার করুন

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *