কলম কেন লিক করে – মলয় রায়চৌধুরী

শেয়ার করুন
যুদ্ধ চলতেই থাকে, ছোটো হোক বা বড়ো

আমরা ভাবি কবিতা লিখে যুদ্ধ থামিয়ে দেবো

কবিদের কেউই পাত্তা দেয় না

পাত্তা দেয় বিজ্ঞানীদের, যাঁরা

নতুন নতুন অস্ত্র আবিষ্কার করে চলেছেন

তা প্রয়োগ হয়ে চলেছে ছোটো যুদ্ধগুলোয়

বাড়ি ঘর শহর মনে হয় পাঁপড়ের তৈরি

যুদ্ধ কখনও ফুরোবে না, আমরা ফুরোবো

দেশে-দেশে সৈন্যদল থাকবে, আমরা হাত কামড়াবো

একদল শাসককে টেনে নামাবে এক যুদ্ধ

তাদের টেনে নামাবে আরেক যুদ্ধ

আমরা সাধারণ মানুষ সিঁটিয়ে থাকবো

বড়ো যুদ্ধ ছোটো যুদ্ধ মাঝারি যুদ্ধের ভয়ে

যাই হোক, তবুও যদি কবিতা কোনো কাজে দ্যায়

কবিদের তো এছাড়া আর কোনও গতি নেই…

শেয়ার করুন

Similar Posts

  • জাদু – শুভজিৎ দাস

    দুধের মলমে যত মেরামত পুষে রাখি বুকে,কুম্ভ শিথিল করি, নুন-রঙা রাগ, উৎসুকে।পাহাড়ি ফুলের পায়ে দেবতার হাত খুলে রাখি,ডানা বন্ধক রেখে মানুষ হয়েছে প্রিয় পাখিআজকে উড়াল দিক ফ্যান্টাসি ফ্যান্টাসি খেলানিয়মেরা ভেঙে গেলে উবে যাবে সব অবহেলা। অপার ইথার থেকে মানুষের মুখ ভেসে আসে,নগ্ন নৃত্যে তারা শিশুদের সরগম-এ হাসে।।

  • শিবসাগর দেবনাথের পাঁচটি কবিতা

    পরমাণু তোমাদেরও হারাবার আগেজেনে রাখি, অনিশ্চয়তা প্রকৃত সামান্য বিষয়সংখ্যালঘু বৃষ্টির ভয়ে যেরকম জলাধার হয় মহাকাশ আমাদের বিনয়-যাজকঅশেষের মাঝে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শেষ হই রোজই —এই জ্ঞান যুগপৎ ভয় ও ভুলের,যেভাবে দেহাতি ভোরদূরোদয় মোরগের ডাক আদায় করেছে …ও বধির স্কুল নিজের ফাটলগুলি কখন-ই বা আলোয় ধরেছি?বোতাম ঘরের তীরে বাড়ন্ত ববিনের সায়যে আমি তস্য বধির, অচিরেই চেয়ে নিতে…

  • |

    প্রেম – সুতপা

    শব্দ। প্রতিশব্দ। সাতচললিশ, একাত্তর, বিরানব্বই, বিশ উনিশ… তলিয়ে যাওয়া স্মৃতি রাত জাগে অতীতের গহন ফুঁড়ে। জন্মভূমি জরাসন্ধ হয় বিনা দোষে। তবু জেন… এ আমার দেশ। আমার জন্মভূমি। আমার ভাষা। আমার প্রেম। সবুজ ঘাস আর লাল প্রান্তরের ডাকে তোমার কপালে মুছে দেব সীমানার বলিরেখা।

  • ঘর – অয়ন চৌধুরী

    শরীর ছুঁয়েছে অদম্য বিষ রাত্রির কিনারে এক একটি খোলা ভেঙেছে জ্যোৎস্নার মতো যেটুকু পর্ণমোচী বিকেল লুকোনো ছিল একান্ত নিঃস্তব্ধতায় কখন যেন বছর পেরিয়ে হারিয়ে গেল জীর্ণতায়! বুকের উপর যে দুটি শালুক সান্ধ্য-কোলাজে আজ না-হয় বৃষ্টি নামুক একটা ঘর সাজুক মোমবাতিতে না কোনও শোকের সিম্ফনিতে যে ঘরের প্রথম ও শেষ একটা সমুদ্রের বুকের মতো ধরে থাকবে…

  • আছি বেঁচে বেশ – সমীরজিৎ রায়

    ভিড়ের মধ্যে আছি বেঁচে বেশ। আমার বারান্দায় মাতাল রোদ এক উন্মত্ততায় ক্রমাগত মানুষ আর দানবের ভিড় আমি আঙুলের কড় গুনে যাই দিনের ওপর দিন। দেওয়াল জুড়ে দেওয়াল ভাঙার ডাক কাজে আর কথায় অনেক ফাঁক লেগে আছে কত আঁচড় এলোমেলো আমি দিন গুনে যাই। আমার বারান্দায় ভাঙা বেড়া দেখে যাই – লাশের ওপর লাশ চলে গুনীজনের…

  • অলক্ষীগাথা – তনিমা হাজরা

    ভোর হোলো যে, ও মেয়েটি জাগো, লক্ষী হয়ে অনেক বছর ঘুমিয়েছিলে, এবার অবাধ্য হও,  কিংবা একটু অলক্ষীও, জোর গলাতে নিজের প্রাপ্য মাগো। অসম্মানে একাই রুখে দাঁড়াও, আঘাতে দাও প্রতিঘাতের শেল, মেয়েলি জীবনের খোলস খুলে এখন থেকে নারী হয়ে ওঠো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *