নিদাঘবেলা – শিবানী
(১)
শোকের ওপর রোদ এসে পড়ে,
ঝিকমিকিয়ে ওঠে অশ্রু-ঘাম…
ধাঁধা লাগা চোখ তখন অলঙ্কারভ্রমে ঈর্ষিত হতে দেখি…
দেখি, তপ্ত গ্রীষ্মদুপুর কীভাবে খরতাপে
নীরবে পুড়িয়ে চলেছে
অ-সুখ, সম্পর্ক…
(২)
ক্লান্ত দুপুর বেয়ে
ভাঙাচোরা সংসারের টুকরো ভরা গাড়ি
টেনে নিয়ে চলেছে
কপাল থেকে ঘামের ফোঁটা ঝরে পড়ছে খই-এর মতো
আর ওর সাথে
পিচগলা পথের পিছুটান কাটিয়ে
ধ্বংস শেষে অপেক্ষার হাসিমুখের ঢাল বেয়ে
গড়িয়ে যাচ্ছে বাতিল আসবাবেদের ভাগ্য…
(৩)
ক্লান্তি জুড়োতে যে ছায়ায় বসেছে,
গাছের দোষ তাকে আপন ভেবে নেওয়া-
সুশীতল মমতা উজাড় করে আগলে ধরে,
হাত-পা নেড়ে বাতাস করে ঘাম শুকোয়,
ঘুমন্ত পান্থের বুকে চুপিচুপি ছুঁইয়ে দেয়
পাতার আদ…
পুনরাবৃত্ত সুরে দুপুর পেরোলে
শুকনো পাতা ঝেড়ে ফিরতি পথ ধরে পথি…
ফিরেও দেখে না,
অপরাহ্নলোকে দীর্ঘতর হয়েছে বিষণ্ন ছায়ার…
আর
তার ছায়াকে ছায়া দিয়ে ছুঁয়ে আছে বোকা তরু,
যতদূর সম্ভব…
সন্ধ্যার আঁধারে
মাঝমাঠে নিকষ অন্ধকারের একাকিত্বে মিশে
ভগ্নস্তূপের মতো দাঁড়িয়ে থাকে গাছ,
আবার কোনো দগ্ধদুপুরে পথিকের ফেরার অপেক্ষা…
চমৎকার সব লেখা। ৩ নং ‘আদর’-কে ‘আদ…’, ‘পথিক’-কে ‘পথি…’— এই শব্দগত অসম্পূর্ণতা কি ইচ্ছাকৃত?
” ক্লান্তি জুড়োতে যে ছায়ায় বসেছে,
গাছের দোষ তাকে আপন ভেবে নেওয়া “- দারুন 👌
দারুণ লিখেছ শিবানী।
Bah khub sundor tinte lekhata Shibani Di… Aro lekho aro porbo…
অসাধারণ।
ভালো নিকেচেন গো দিদিমনি
অনবদ্য