শুভঙ্কর দাসের কবিতা

শেয়ার করুন

সুড়ঙ্গস্থাপন


আগুনের ভেতর থেকে ছাইমাখা গাছগুলো
বেরিয়ে আসছে, নগ্ন সন্ন্যাসেরর মতো
যা উড়ছে বেলুন, শিকড়ের দিন হয়েছে গত!

অথচ একদিন শিকড়ের শ্বাসে জেগে উঠত মাটি
মাটিই তো দিত নারীর স্তনের আকার অথবা
পুরুষের শরীরের ভেতর শরীর
জন্মর জল্পনা অলৌকিক, বাসি খই-গুড়-ক্ষীর!

ক্ষীরের পুতুল কবে আবার রক্তমাংসের হবে
বদলে দেবে নিসর্গচিত্র, নদী-চাঁদ-পারিজাত বাগান
পেটে তার রঙের পেনসিল বাঁধা
চাই না প্রেমপ্রস্তাব যাকে দিই, সে হোক রাধা!

দরজার মাথায় ঝোলানো শ্মশানের অস্থি-অন্ধকার

আমি সুড়ঙ্গ হয়ে বেঁচে আছি,এই হল লীলা,এই হল উদ্ধার!


বহুরূপী

জন্মর সংখ্যা মনে রেখেছে এমন বাতাসকে
পরানো হল, সম্রাটের পোশাক!
ক্ষুধার্তের কাছে সব সমান, শালুক বা শাক!
তবু সে কি বাতাস? দক্ষিণ খোলা, শীতের তীর অথবা কালবৈশাখী ঝড়!
সুস্বাস্থ্যের বাগান, সহাস্য চিকন, আড়ালে থাকে জ্বর!


সমগ্র

স্বপ্নের সন্ধ্যায় গুহা হেসে ওঠে!
সিংহাসনের পাশে পড়ে আছে রাজবস্ত্র, মুকুট, রক্ততিলক!
সিদ্ধিলাভের সুবিশাল আয়োজন
শিব ঠাকুরের সভ্যতা! লজ্জাবস্ত্র, উপাদেয় ভোজ, সুরম্য বাগান অথবা অধরা আকাশ যেন নারীর মন,
সন্ন্যাসী গুহায় ঢুকে যায়
দেখে ফেলে পিতা-মাতার আদিম রমণ, প্রণাম করে ফিরে আসে সংসারে

পিছু নেয়, অদম্য শিৎকার আর প্রসববেদন!



দিগম্বর

নিরর্থক নগ্নতা বলে কিছু কি আছে?
গাছ,নদী আর পাথর নগ্ন আছে বলেই
শ্বাস নিতে, পারাপার করতে আর স্থাপত্য বানাতে কোনো বাধা নেই, বাঁধন নেই, বিড়ম্বনা নেই!

শুধু চোখ থেকে নখ, নখ থেকে চুলের অগ্রভাগে
জিহ্বা থেকে পাদমূল পর্যন্ত

শেয়ার করুন

ক্যাটেগরি বা ট্যাগে ক্লিক করে অন্যান্য লেখা পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরনো লেখা

ফলো করুন

Recent Posts

Recent Comments

আপনপাঠ গল্পসংখ্যা ২০২২