৪ঠা আষাঢ়, ১৪২৮:- একটি শোকগাথা – শোভন ভট্টাচার্য
(কবি গৌতম বসু স্মরণে)
অগ্নিকে ছুঁয়ে-থাকুক প্রকৃত শ্মশানবন্ধু… জল…
একদিন বন্ধুর সাথে গিয়ে ‘রাজেশ্বরীদের বাড়ি’
পেয়েছি প্রথম দেখা। সবে লেখা হচ্ছে ‘রসাতল’।
‘অতিশয় তৃণাঙ্কুর পথে’ ছিল কি আভাষ তারই!
দূরভাষে যোগাযোগ মোটেই ছিল না বলা ভালো;
মাঝেমধ্যে দেখা হলে হয়ে যেত, না-হলে হত না;
কিন্তু দেখা হলে সেই হাসিমুখ-উপচে-ওঠা আলো
মনে পড়ছে খুব। আপনি, বিশ্বাসে-সংশয়ে আনাগোনা
করতে করতে ইদানীং ডুব দিচ্ছিলেন কোন জলে,
শুনতাম খানিক আর খানিক নিঃশব্দে টের পেতাম।
গৌতম দা, এরকমই সবেগে আপনার যাওয়া চলে?
প্রস্তাব করলেন আজ আকস্মিক কে আপনার নাম?
পাতালে নিহিত ছায়া হাত বাড়িয়ে স্বয়ং ডাকলেন?
নাকি হালিশহরের কালীখেকো রামপ্রসাদ সেন?