তিনি অগ্নিশিখা, তিনি তরবারি – বনবাণী ভট্টাচার্য ( পর্ব ১ )

তিনি অগ্নিশিখা, তিনি তরবারি – বনবাণী ভট্টাচার্য ( পর্ব ১ )

শেয়ার করুন

এখানে ভুবনবিখ্যাত যে ভারততত্ত্ববিদের কথা বলা, আসলে সে এক ‘আত্মদীপা’-র উপস্থাপনা। গৌতম বুদ্ধ তাঁর এক প্রণামরত শিষ্যাকে আশীর্বাদ করেছিলেন–- “আত্মদীপা ভব”। সেই শুভাশিস হয়তো যুগ-যুগান্তর পেরিয়ে কপোতাক্ষ তীরের দত্ত পরিবারের সাধারণ মেয়েটির জীবনেও সত্য হয়ে উঠল। জন্মলগ্নে, বাবা সরসী কুমার আর মা শান্তবালা দত্ত মেদিনীপুরের বাড়িতে বসে কি সেদিন কল্পনা করতে পেরেছিলেন, ভারততত্ত্ব জানতে, বুঝতে সারা বিশ্বের বিদগ্ধ সমাজ তাঁদের জ্যেষ্ঠাকন্যা সুকুমারীর প্রভাব আলোয় আলোকিত হবে? সমস্ত সংশয় ও কল্পনার অবসান ঘটিয়ে, বিশ্বের দরবারে একটা বিশ্বাস গভীরে প্রোথিত হয়েছে যে, ভারততত্ত্ববিদ হিসেবে যাঁর বীক্ষা চোখ-কান বুজে গ্রহণ করা যায়, তিনি প্রয়াত সুকুমারী ভট্টাচার্য, যিনি ২০২০ সালের ১২ই জুলাই শতবর্ষে পা দিলেন।

পরিবারের শিকড় ওপার বাংলার যশোর জেলা এবং এপার বাংলার মেদিনীপুর জন্মস্থান হলেও তাঁর বেড়ে ওঠা মূলত শহর কলকাতায় শহুরে পরিবেশে। সুকুমারী ছিলেন সেন্ট মার্গারেট স্কুলের নামী এক মেধাবী ছাত্রী। স্কুলজীবনের পর ভিক্টোরিয়া গার্লস কলেজে তাঁর স্নাতকের শিক্ষা। সংস্কৃত অনার্স ও পাসের সমস্ত বিষয়ে প্রথম হয়েও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি স্নাতকোত্তর পড়ার সুযোগ পাননি। ওখানেই পড়লেন ইংরেজি সাহিত্য। ইংরেজি সাহিত্যে কৃতিত্বের সাথে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে দশবছর পর ওই কলকাতা ইউনিভার্সিটি থেকেই তিনি আবার সংস্কৃত সাহিত্যে স্নাতকোত্তর হলেন। ইংরেজি সাহিত্যের কৃতি ছাত্রী সুকুমারী কলকাতার বিখ্যাত লেডি ব্রেবোর্ন কলেজে ইংরেজির অধ্যাপিকা হিসেবে শিক্ষকজীবন শুরু করেন। বাংলা–ইংরেজি–সংস্কৃত সহ অন্যান্য বহুভাষাবিদ সুকুমারী সগৌরবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা শুরু করে তাঁর ‘প্রথম প্রেম’ সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষাদান করেন এবং সেখান থেকেই ১৯৮৬ সালে তাঁর অবসর গ্রহণ।

তাঁর বিদ্যাবত্তার আয়তন এবং গভীরতা পরিমাপ করার চেষ্টা একান্তই বাতুলতা। কীসে তাঁর বিশেষ দক্ষতা, কীসে তাঁর সীমাহীন পাণ্ডিত্য, অথবা তিনি কী জানতেন বিশেষভাবে— সেই হিসেব করার থেকে বোধহয় সহজ, তিনি কি জানতেন না বা বুঝতেন না অথবা কি ছিলেন না। বিদগ্ধ পণ্ডিত যেমন তাঁর লেখা বইয়ের পাতায় আলোর সন্ধান পান, তেমনি জ্ঞানের তরুণ অভিযাত্রীরাও যেন তাঁর যুক্তি-কটাক্ষ-গাম্ভীর্য কিন্তু অপার মাধুর্য্যে রোমাঞ্চিত-পুলকে এক অনন্য প্রেমে শিহরিত হয়ে ওঠে। তিনি যেন তাঁর ছাত্র-ছাত্রী-গবেষকদের বৃত্তে এবং তার বাইরেও ছিলেন জীবন্ত এক এনসাইক্লোপিডিয়া বা হয়ে উঠেছিলেন আধুনিক ইন্টারনেট।

মার্কসবাদীদের মূল্যায়নের ধরন-ধারণ প্রচলনের থেকে বরাবরই আলাদা হয়ে থাকে। দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদই প্রকৃতি জগৎ থেকে শুরু করে বিশ্বসংসারের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে তাদের ভিত্তি। সেই দিক থেকে ব্যক্তি বা তাঁর সৃজন, মতামত, তাদের সপ্রশংস অভিমত খুব কম ক্ষেত্রেই অর্জন করতে সক্ষম হয়। মতামত প্রকাশের প্রশ্নেও তারা অত্যন্ত সতর্ক। কিন্তু সুকুমারী ভট্টাচার্যের অগাধ পাণ্ডিত্য, অসাধারণ প্রজ্ঞা এবং প্রখর বাস্তববোধের পরিচয় পেয়ে অসামান্য এক মার্কসবাদী ব্যক্তিত্ব তাঁর সম্পর্কে লিখেছেন— “অধ্যাপক সুকুমারী ভট্টাচার্য আমাদের রাজ্যে শুধু নয়, সারা পৃথিবীর বিদ্বজ্জনের মধ্যে একটি উজ্জ্বল নাম। সারা পৃথিবী জুড়ে তাঁর ছাত্রছাত্রীরা ছড়িয়ে আছেন। …তাঁর দার্শনিক চিন্তা, ভারতীয় সমাজ সম্পর্কে তাঁর গভীর অনুসন্ধান, ভারতবাসীর প্রতি তাঁর মমত্ববোধ নানা দিক দিয়ে আমাদের উপকৃত করেছে। সুকুমারী ভট্টাচার্য একজন পৃথিবীবিখ্যাত ভারততাত্ত্বিক। প্রাচীন ভারতের বহু বিষয়, ভারতবাসীর জীবনচর্চা, প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ, সামাজিক ঘটনাবলি, জনমানসের ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষার বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ তিনি করেছেন গভীর আন্তরিকতার সঙ্গেঁ। তাঁর এই কাজ ভারততত্ত্বকে যেমন নির্দিষ্ট মাত্রাতে পৌঁছে দিয়েছে, তেমনি তিনি জায়গা করে নিয়েছেন বিদ্বৎসমাজের পাশাপাশি অসংখ্য সাধারণ মানুষের হৃদয়ে। আমরা তার জন্য গর্ববোধ করি। অধ্যাপক ভট্টাচার্যের কাছে আমাদের ঋণ আরও এই কারণে যে, ভারতের মতো মহান দেশের সামাজিক বিন্যাসের প্রতি তিনি যে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রবর্তন করেছেন, যে যুক্তিনিষ্ঠা নিয়ে নিবিড় অধ্যয়নে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন তার ফলে আগামী প্রজন্ম উপকৃত হবে শুধু তাই নয়, একটি নতুন দিশাও পাবে।”

এই মূল্যায়নে সুকুমারীর বৈদগ্ধ্যের গভীরতা ও ব্যাপ্তিই শুধু নয়, আছে এই বিদুষীর এক অতুলনীয় জীবনবোধ ও সমাজবোধের ইঙ্গিত; যাঁর লেখা বই, আজও সেমিনার বা অন্য সভায় যেতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ব্যাগে করে নিয়ে যান এবং যিনি নোবেলজয়ী তার্কিক বৈদিক যুগের গার্গী হয়ে আছেন।

সাধারণত, জ্ঞানতাপসিক যাঁরা, তাঁরা নিজের চারপাশ, সাধারণের জীবনযাপন বা জ্ঞানের নির্দিষ্ট পরিধির বাইরের জগৎ সম্পর্কে নিস্পৃহ এবং উদাসীন থাকেন। সুকুমারী ভট্টাচার্য কিন্তু শুধু বইয়ের পাতার মধ্যে মগ্ন থাকেননি। তিনি বাস্তব পৃথিবীটাকেও প্রতিনিয়তই নিরীক্ষণ করেছেন, বিশ্লেষণ করেছেন এবং জীবনের রঙের খেলায় মেতেছেন। তাঁর জীবনটা কখনোই কেবলমাত্র বইঠাসা লাইব্রেরির স্তব্ধতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। তাই তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে, তাদের জ্ঞান অর্জন, অনুসন্ধিৎসা-গবেষণার এক চুম্বক শক্তি, তেমনি অত্যন্ত স্নেহশীল এবং সংবেদনাপূর্ণ এক ব্যক্তিত্ব এবং তেমনি ছাত্রছাত্রীসহ অন্যান্য কাছের সমস্ত মানুষের হাসি-গান-আনন্দের উৎস।

তাঁর অত্যন্ত স্নেহধন্যা ছাত্রী এবং পরবর্তীকালে তাঁর সহকর্মীর কাছ থেকে জানা গেছে, জীবে প্রেম শুধু নয়, কত তুচ্ছ, কত ক্ষুদ্রের প্রতি তাঁর মনোসংযোগ, যেন বহু উঁচুতে নীল আকাশে ভাসতে ভাসতে ধূলিকণাময় নীচের পৃথিবীতে নেমে আসা। সম্ভবত কোনো এক ছুটির পরে, সুকুমারী ইউনিভার্সিটির ক্লাসরুমে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াচ্ছেন পশ্চিম-মুখি টেবিল-চেয়ারে। ছাত্রছাত্রীরা যথেষ্ট মনোযোগী, কিন্তু তিনি খুব অস্বস্তিবোধ করছেন— কারণ চোখে মুখে এসে পড়ছে পড়ন্ত বেলার সূর্যের প্রখর আলো ওদিককার একটা জানলা দিয়ে। কিছুক্ষণ বাদে অধ্যাপিকা ওই জানলার কাছাকাছি এক ছাত্র বা ছাত্রীকে বললেন, জানলার খসখস্‌টা নামিয়ে দিতে। এক ছাত্রীর মুখে যেই তিনি শুনলেন ওই বেশ কিছুদিনের গোটানো খসখসের মধ্যে চড়ুই পাখি বাসা বেঁধেছে এবং রয়েছে তাদের ডিমও, সাথে সাথে তিনি খসখস্ নামাতে বারণ করলেন যে নামাতে গেলে ডিম ফেটে যাবে – বাচ্চাগুলো ঠিকমত ফুটে বেরোতে পারবে না – চড়ুইদের কত কষ্ট হবে। জ্ঞান সাধনাই যাঁর জীবন তাঁর এত সামান্য কিছুর প্রতি এত দরদ, তা নিয়ে এত বিবেচনা, এত বেদনাবোধ, সামান্য নিয়ে অসামান্যর এক খেলা হয়তো।

সুকুমারী বোধহয় নিঠুর দরদি। লেখাপড়ায় অবহেলা, অমনোযোগিতার জন্য ছাত্রছাত্রীরা যখন তাঁর তীব্র তিরস্কারের লক্ষ্য হয়েছে, প্রচণ্ড ধমক খেয়েছে, তখন তারা এক নির্মম কঠোর ব্যক্তিত্বের উত্তাপে দগ্ধ হয়েছে। বিপ্রতীপে পেয়েছে এক মমতাময়ী হৃদয়ের উষ্ণতা। কলকাতা থেকে বহুদূরের কোনো একটি জেলা থেকে একটি ছেলে এসেছে, সুকুমারীর বিভাগের ছাত্র হয়ে। কিছুদিন পর ছেলেটি খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে। অধ্যাপিকা জানতে পারেন যে ছাত্রটি নিজের হাতে রান্না করে খায় অর্থাৎ কোনোদিন রান্না করতে পারে, কোনোদিন হয়তো কিছুই হয়ে ওঠে না। এখানে-ওখানে রেষ্টুরেন্ট বা দোকান-টোকান থেকে কিছু কিনে-টিনে খায়— এভাবেই দিন চলে। ফলে অযত্ন-অবহেলা, অনিয়ম-অনাহার-অর্ধাহারে শরীরে রোগ বাসা বাঁধে। রোগ যথেষ্ট জটিল হওয়ায় ছাত্রটিকে ভর্তি করতে হয় হাসপাতলে কি নার্সিংহোমে। ছাত্রটির পারিবারিক অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য বিশেষ ছিল না। তখন মূলত শিক্ষক-শিক্ষিকারা মিলেই ছাত্রটির চিকিৎসা এবং পুষ্টিকর খাবার ইত্যাদির ব্যয়ভার বহন করে তাকে সুস্থ করে তোলেন এবং এই সমস্ত ব্যবস্থাপনার প্রধান উদ্যোক্তা অধ্যাপিকা সুকুমারী ভট্টাচার্য। তিনি অবশ্য এখানেই থেমে রইলেন না। তাঁর প্রস্তাব-পরিকল্পনা এবং উদ্যোগে গড়ে উঠল একটি ‘ছাত্র কল্যাণ ফান্ড’– শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়মিত অনুদানে। বহু ছাত্রছাত্রী এই সহায়তা লাভ করে সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। শুধু দরিদ্র ছাত্রছাত্রী নয় কোনো কারণে কারোর হয়তো তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটাবার সামর্থ্য নেই, ঐ ফান্ড তার সহায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরে যখন সময়-সুযোগ হয়েছে সেই ছাত্র বা ছাত্রী সেই অর্থ হয়তো ফেরত দিয়েছে অথবা যে পেরেছে ওই ফান্ডকে নিজের অনুদানে সমৃদ্ধ করেছে। তাঁর অবসরের পরেও ‘ছাত্র কল্যাণ ফান্ড’ সচল ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখন তার অস্তিত্বের কি দশা বা আদৌ আছে কিনা, কিছুই স্পষ্ট নয়, কারণ করোনার অভিঘাতের অনেক আগে থেকেই তো একটা নিউ নর্ম্যাল পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে— অনিয়ম-বেনিয়ম নানান অমান্যতা-উচ্ছৃঙ্খলতাই এখন স্বাভাবিকতায় পরিণত হয়েছে, শিক্ষাক্ষেত্র থেকে সমাজজীবনের নানান আঙিনায়।

হরপ্রসাদ শাস্ত্রী লিখেছেন – “তিনি হাসিতে হাসিতে নগিয়া নগিয়া পড়িতেন। এক এক সময় মনে হইত তিনি বুঝি-বা চেয়ার হইতে পড়িয়া যান”। লেখক এই ‘তিনি’ সর্বনামটি বিদ্যাসাগরের পরিবর্তে ব্যবহার করেছেন। কঠোর কঙ্কাল বিশিষ্ট, ‘উৎকট বেগবতী ইচ্ছার’, উনিশ শতকের সেই বিদ্রোহী, ‘গাম্ভীর্যের মহামূর্তি’ মানুষটি ‘নগিয়া নগিয়া’ পড়ে যাচ্ছেন হাসির দমকে, ভাববারও সাহস সঞ্চয় করা দুরূহ। অধ্যাপিকা সুকুমারী সেই ‘গাম্ভীর্যের মহামূর্তি’ যদি না-ও হন, তবু প্রায় সারাজীবন যিনি বেদ-পুরাণ, প্রাচীন লিপি থেকে জীর্ণ পাণ্ডুলিপির মধ্যে নিজের শ্রম-ধৈর্য-নিষ্ঠা ব্যয় করেছেন, ছাত্রছাত্রীদের প্রতি কর্তব্যনিষ্ঠ, নারী-স্বাধীনতার আপোষহীন যোদ্ধা, তিনি ঘনিষ্ঠদের সাথে জমাটি আড্ডা দিচ্ছেন, হালকা কথার পালে হাওয়া লাগাচ্ছেন— এ দৃশ্যও যেন খানিকটা অভাবনীয়। কিন্তু সুকুমারী এমনিই হেসে ভেসে যাওয়া এক ব্যক্তিত্ব। তাঁর জ্ঞান-সাধনা কখনোই জীবনকে নানাভাবে উপভোগ করার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়নি। তিনি পারতেন অনায়াসে সুরের রসে হারিয়ে যেতে, খুঁজলে হয়তো তাঁকে কখনও পাওয়াও যেতে পারত ডোভারলেন মিউজিক কনফারেন্সে অথবা রবীন্দ্রসদনের কোনো সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায়। এই সুকুমারী ভট্টাচার্য আবার সমান অধিকারের দাবিতে মুখর হয়েছেন— অন্যায়ের প্রতিবাদে জ্বলে উঠেছেন— পরোয়া করেননি কোনো শক্তিকে। কিন্তু জীবনের দাবিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন সবসময়।

সুকুমারী ভট্টাচার্য আদ্যোপান্ত একজন জীবন-রসিক মানুষ। তাই ভগ্নস্বাস্থ্যেও তিনি জীবনের রসের-স্রোতে ভেসেছেন। তিনি যে কী ছিলেন আর কী ছিলেন না, সেই যোগ-বিয়োগ এক কঠিন কাজ। তাঁর চরিত্রের জানা ঐ দিকগুলো একত্রে করলেও, তিনি যেন অসম্পূর্ণ। এরকম অসামান্যদের কথাই সম্ভবত জোসেফ শ্যূমপিটার খুব সংক্ষেপে বলেছেন – “the whole is always more than the sum of its parts”। না একজন পরিপূর্ণ মানুষকে কখনোই তার অংশের যোগফলের মধ্যে পাওয়া যায় না।

[ক্রমশ]

শেয়ার করুন

ক্যাটেগরি বা ট্যাগে ক্লিক করে অন্যান্য লেখা পড়ুন

2 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরনো লেখা

ফলো করুন

Recent Posts

Recent Comments

আপনপাঠ গল্পসংখ্যা ২০২২