মানিক আর ভবানী জেঠু – অনিন্দ্য দত্ত

মানিক আর ভবানী জেঠু – অনিন্দ্য দত্ত

শেয়ার করুন


যাঃ, ভো-কাট্টা।
মানিকদের তিন তলার ছাদে নেমে পড়ল পেটকাটা। রাস্তায় একটা হইচই উঠল, কিন্তু মানিকদের তিন তলার ছাদে তো কেউ উঠবে না, কারণ, মানিকদের বাড়িতেই তো কেউ ঢুকবে না।
তাদের একতলায় সতীশ জেঠু থাকেন যে। পোস্ট অফিস থেকে রিটায়ার করবার পর তিনি সর্বদাই তাঁর একতলার দরজা হাট করে খুলে বসে থাকেন, আর ছোটো সাইজের কাউকে দেখলেই ক্যাঁক করে চেপে ধরেন। ধরা পড়ায় প্রাণ তখন টিঁটিঁ করতে থাকে। সতীশ জেঠুর গায়ে ভীষণ জোর, বাবা বলেন যে পাগলদের গায়ে নাকি সাধারণ মানুষের থেকে অনেক বেশি শক্তি থাকে। তাঁর হাতে ধরা পড়লে আর রক্ষা নেই। গুলির মতো প্রশ্ন শুরু হবে, “বল্ গ্যালিলিও কার কার সাথে ডাংগুলি খেলতেন? বল্ তেত্রিশের নামতা। বল্ হামুরাবি ও টুট-এন-খামনের মধ্যে কে বড়ো ধ্রুপদীয়া ছিলেন? বল্ জাঞ্জিবারে কালো সাকি বাঁদরদের কটা ট্রেনিং স্কুল আছে? বল্ দেখি গোষ্ঠ পালের ঠাকুমার নাম কি? সূর্য সেন আক্রমণের সময় তাঁর নস্যির বাক্স কেন বাঁ পকেটেই শুধু রাখতেন? ক্লিওপেট্রা কি খেতে ভালোবাসতেন? টানা লজেঞ্চুস নাকি বুড়িমার চানাচুর? কিচ্ছুই জানিস না দেখছি, একেবারে অজ্ঞ মুর্খের দল।” চলতেই থাকবে… এই ফাঁদে জেনেশুনে কেউ পা দেয়, পাগল না ছন্ন!
যদিও বা কেউ খিচেমিচে ছুটে দোতলায় উঠেও পড়ে, তবুও নিস্তার নেই। সেখানে থাকেন মানিকের সুমিত্রা পিসি, ইনি আবার সরলাবালা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন, তাই রিটায়ার করার দশ বছর পরেও প্রচণ্ড দাপট রয়ে গেছে। দরজা এনারও থাকে খোলা, আর আধখোলা দরজার পেছনে ইনি বাঘিনীর মতো শিকারের অপেক্ষা করেন। তুমি বেশ নিশ্চিন্ত মনে উপরে উঠে যাচ্ছ, শুনতে পাচ্ছ টিভিতে হরিকুমার ফ্লুটওয়ালা হচ্ছে অথবা রেডিওতে “ছাগল কী করে আরও বাড়াবেন”-এর কথিকা শোনা যাচ্ছে বা পাশের বাড়িতে তাপসী একমনে ঘোর দুপুরে গাইছে “রাত্রি এসে যেথায় মেশে, দিনের পারাবারে…” মানে সবকিছুই একেবারে স্বাভাবিক আর কি! তুমি জানোও না তুমি কার হাতে পড়তে যাচ্ছ, হঠাৎ সুমিত্রা পিসি তাঁর প্রায় টাক-পড়া বল্ড ঈগলের মতো মাথায় তোমাকে ছোঁ মেরে তুলবেন। “আয়, আয়, নারকেল নাড়ু খাবি? আয়, আয়”- এ কথায় বিশ্বাস করে তুমি ঘরে ঢুকলে তো, তোমার সাড়ে সব্বনাশ হল।
পিসি একথালা নারকেল নাড়ু দিয়ে তোমাকে বসিয়ে দেবেন, উপরন্তু দেবেন একবাটি আমচুর।


খুশি মনে তুমি খাওয়া শুরু করেছ কি, পিসির মুখও চালু হয়ে গেল “হ্যাঁ রে শুনেছিস, ইন্দিরার বেড়াল শ্যামার চার রংয়ের চারটে ছানা হয়েছে, সাদা, কালো, পাটকিলে আর কমলা ছোপ-ছোপ— বুঝে দেখ কি কাণ্ড, একই মায়ের চার রংয়ের চার-চারটে ছানা, তাই তো কবি বলেছেন, মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম, হিন্দু মুসলমান…” সেকি বাজখাঁই গলারে বাবা, কান ফেটে যায় একেবারে! এতেও ছাড়ানছুড়ন নট কিচ্ছু। শুনতে হবে, পিসির ছোটোবোন সুচিত্রার কথা (যিনি প্রায় চোদ্দ বছর আগে দেহরক্ষা করেছেন), ছোট্ট বেলায় কি সাংঘাতিক বুদ্ধিমতি ছিলেন— পিসিরা যখন জামতাড়াতে থাকতেন তখন নাকি ওই সাত বছরের মেয়ে, জামগাছে না উঠেই গাছে কত জাম আছে বলে দিতে পারত, ওই জামগাছতলাতেই তো দাঁড়িয়ে উনিশশো চৌত্রিশের বিহার ভুমিকম্পের ভবিষ্যৎবাণী করেছিল মাত্তর দশ বছর বয়েসে। “ভাবতে পারিস, ভূমিকম্পের দেড় মাস আগেই বলেছিল” ভয়ংকর ভূমিকম্প, দেখেশুনে বুকে কম্প “…এমন আজগুবি কথা কখনো শুনেছ? কিন্তু, ভুলেও প্রতিবাদ করতে যেও না, তাহলেই পিসি নারকেল নাড়ুর থালা, আমচুরের বাটি উঠিয়ে নিয়ে যাবেন, আর গম্ভীর হয়ে বলবেন, “তোর শরীরটা আজ অসুখ করেছে দেখছি, একটু শরবত খা দেখিনি”। না, ভুলেও ভেবো না বেশিদূর যাবেন, তোমাকে পালাতে দেবেন, দরজা আগেই ভারী খিল দিয়ে বন্ধ তাই মিষ্টি-মিষ্টি হেসে তোমার হাতে তুলে দেবেন ক্যাস্টর ওয়েলের শরবত। ঠ্যালা বোঝো এবার। তাই কক্ষনো মানিকদের বাড়িতেই কেউ ঢোকে না, সবাই জেনে গেছে কিনা।
যাইহোক, গেল পেটকাটা। বর্ষার সময়, ছাদে একা-বোকা পড়ে থেকে সারা দিনরাত ভিজতে হবে। দুদিনেই কাগজ কাঠি খুলে গিয়ে এলিয়ে পড়ে থাকবে। কাকেরা বাসা বাঁধার জন্য কাঠিগুলো নিয়ে যাবে।
তপন বলে একটা ছেলে ছিল। মানিকদের সাথে ক্লাস সেভেন অব্দি পড়েছিল। তারপর বহরমপুর চলে গেছে। নিজের বাড়ির জানলায় বসে ভরা বর্ষায় একবাটি তেল জবজবে মুড়ি আর একথালা বেগুনি-ফুলুরি হজম করে দরদ দিয়ে গাইত, “পাইখানাতে যেতে বোলো না, পথে যেতে ভয় করে মা, পাইখানাতে যেতে বোলো না…”, পথে যে কীসের ভয়, তা অবশ্য জানা যেত না।
আবার সেই ঝাঁঝালো এমোনিয়ার গন্ধটা আসছে, রেললাইনের দেওয়ালে লোকে শর্টকাটে কারখানায় যাবার সময় যথেচ্ছ মোতে। গন্ধে দেওয়ালের কাছে যাওয়া যায় না। একটা হলদে টিনের বোর্ডে কালো দিয়ে লেখা ছিল “এখানে প্রসাব করিবেন না…”। কেউ খচড়ামি করে নরুন দিয়ে যত্ন করে ‘না’-টাকে তুলে দিয়েছে। লোকে তাই জলের নলের মতো তোড়ে পেচ্ছাব করে বোর্ডটাকে এমন করে ভিজিয়ে দেয় যে, সেটা কিছুক্ষণ ধরে ঠকঠক করে কাঁপতে থাকে, অনেকটা সময় ধরে ফোঁটা ফোঁটা মুত তার গা দিয়ে পড়তে থাকে।


দূরে, হাইওয়ে দিয়ে রাতে লরি যায়। জানলা দিয়ে দেখা যায়। ঊষাদের “শিব বাড়ি”-র আনাচে-কানাচে সাপ ঘোরে, ইঁদুরেরা খুব সাবধান হয়ে যায়। বছর ছয়েক হল ঊষার বর জয়দেববাবু বাস এক্সিডেন্টে মারা যাওয়ার পর, সে তার দাদু বামাপদ বাবুর কাছে চলে এসেছে, ওই শিব বাড়িতে। ওদের বাড়িতে একটা শিবঠাকুরের মন্দির আছে, তাই ওই নাম। আর কিছু নয়, তার ভাতটা একটু বেশি লাগে, আর লেবুর আচার৷ লঙ্কার আচার এনে দিলে খুব খুশি হয় ঊষা, বাঁধানো ইন্দ্রজাল কমিকস পড়তে দেয়। ওই সব কমিকসে নার্দার চান করবার সময় পাশ থেকে যেমনটি দেখা যায়, মানিক দেখেছে ঊষার বুকও তেমনিই তেজি। রাতে, মনে পড়লে কেমন গা শিরশির করে। হাফপ্যান্ট এর ভিতর হাত চলে যায়। নিজের যন্তরটা ফুলে কলাগাছ হয়ে থাকে।
রাতে কারখানার দিক থেকে টং টং করে শব্দ আসে। কিন্তু ওখানে তো শোনা যায় যে ওষুধ বানানো হয়। তাহলে লোহা কে পেটায়? তার ক্লাস সেভেনে মা মারা যাওয়ার পর থেকে মানিক একা ঘরেই ঘুমোয়, তাই অনেক রাত্তিরের শব্দ সে শুনতে পায়।
পাকড়াশি জেঠুদের বাড়ির সিঁড়িটা বাড়ির বাইরে দিয়ে দোতলায় উঠে গেছে, মস্ত দেওয়ালের গায়ে আঁকা আছে, কাস্তে, হাতুড়ি, তারা। বিকাশ কাকু স্লোগান দিত, “বামফ্রন্ট সরকার, সংগ্রামের হাতিয়ার”। আজ একবছর হল কাকু আমেরিকা চলে গেছে। ইলিনয়-এর ‘স্প্রিংফিল্ড’ বলে একটা শহরে নাকি থাকে। ম্যাপে দেখেছে মানিক, কালো অক্ষরে ছাপা একটা নাম, তার পাশে একটা কালো ফুটকি। এখানে কাকে খুঁজে পাওয়া যাবে?
কাঁচা আমের ফালি নুন মাখিয়ে খেতে কি মজা, আর শীতকালে তিন চারটে বই নিয়ে, রোদে দেওয়া লেপের তাঁবুতে বসে, কমলালেবু খেতে খেতে পড়া, সেই মজার ও তুলনা কোথায়? এক-একবছর কিন্তু ভয়ানক বৃষ্টি আসে। তখন দুদিন একটানা হলেই বাড়ির নীচে আমাজন নদী। গোপালদাদুদের রোয়াক ডুবে, ওনাদের ভাড়াটে, বুকনদের ঘরে জল ঢুকলেই নাকি চারফুট জল, মিউনিসিপ্যালিটি থেকে একবার লোক এসে, মেপে বলে গিয়েছিল। এই জল দেখে কিন্তু গা গুলোয়। কেমন যেন ঘোলাটে মতো, বিচ্ছিরি গন্ধ। রোদ উঠে গেলে তো আরও খারাপ। আকাশ কালো মেঘে ঢেকে নেই, অথচ দিনের পর দিন, এক মাথা রোদ নিয়ে ঘোলাটে জল, কোথাও যাবার উপায় নেই, অসহ্য একেবারে।

ওই পাকড়াশি জেঠার বাড়িতেই দোতলায় ভাড়া থাকেন ভবানীপ্রসাদ চত্রুবর্তী, মানিকের ভবানী জেঠু। মানিককে তিনি খুব ভালোবাসেন। শোবার ঘরে বিছানার পাশে একটা র‍্যাকে অনেকগুলো “দেশ” তাগাড় করা আছে, তার মধ্যে একটাতে জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী বলে একজন লেখকের একটা গল্প “সোনালী দিন”। সে গল্প পড়ে মনের মধ্যে একরাশ হালকা প্রজাপতি যেন ফড়ফড় করে উঠেছিল। পেটের তলার দিকে গল্পটার শব্দগুলো পিঁপড়ের কামড়ের মতো টুকটাক করে বিঁধছিল। গল্পের ছবিতে মেয়েটাকে দেখে, কমলালেবুর কথা মনে আসছিল। আর ছবির ছাতাওয়ালা বুড়োটা যেন ভবানী জেঠুই, একটা ছায়া-করা গাছের তলায় দাঁড়িয়ে ওই কমলা সুন্দরীর কাছ থেকে, জোয়ান হবার পরামর্শ নিচ্ছেন।
পথের ধুলোয় পড়ে আছে ধুলোমাখা শিরীষের ফুল। কে যেন কানের কাছে ফিসফাস করে আওড়াচ্ছে, “নাম কী তোমার- গিরিশ, বয়স কত- তিরিশ, হাতে কী ফুল- শিরীষ।”


ভবানী জেঠুর বাড়ি গেলেই, টক-ঝাল চানাচুর পাওয়া যায়। আজকাল মানিক নিজেই রান্নাঘরের তাক থেকে চানাচুরের শিশিটা নামিয়ে নিয়ে, বেশ কয়েকটা “দেশ” নিয়ে বসে পড়ে। ভবানী জেঠু তাকিয়ায় ঠেস দিয়ে দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকেন, আর খুব নীচু স্বরে গান করেন। কোনোদিন “ওরা চাহিতে জানে না দয়াময়”, আবার কোনোদিন “ওই মহাসিন্ধুর ওপার হতে…”। জেঠু মাঝে মাঝেই মানিককে বলেন, “দেখ তো খোকা, আমার আঙুলগুলো পচে যাচ্ছে কিনা?” হাসি পায় মানিকের, কিন্তু হাসে না, সে যে খুব ভালোবাসে এই লোকটাকে, জেঠু যে তার বন্ধু। খুব বুড়ো হয়ে গেছে জেঠু, মাথার চুল সব সাদা, চোখদুটো নীল মতো। এমন করে বাইরের কাঁঠাল গাছটার দিকে তাকিয়ে থাকেন যেন ওর ডালে একটা কোয়েশ্চেন পেপার টাঙানো আছে, আর উত্তর দিতে সময় আছে মাত্র তিনঘন্টা। আর এ কী অদ্ভুত কথা, কারো আঙুল পচে যাবেই বা কি করে! তবুও মানিক জেঠুকে বলে যে, তাঁর আঙুলগুলো সব ঠিকই আছে। জেঠু যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন।


বিকেলের দিকে বৃষ্টিটা ধরে গেল। এখনও টুপটাপ করে পড়ছে বটে তবে সকালের সেই তোড় নেই। মানিক ছাতা নিয়ে ভবানী জেঠুর বাড়ির একতলার সিঁড়িতে পা রাখল। ধাপ গোনা আছে। প্রথমে তিরিশটা উঠে একটা চাতাল, তারপর আরও দশ। বেলা প্রায় সাড়ে চারটে বাজে। মেঘভাঙা রোদ পড়েছে সিঁড়িতে। উঠতে উঠতে জেঠুর গতকাল বিকেলে বলা একটা স্বপ্নের কথা মনে এল মানিকের। “বুঝলে খোকা, দেখলুম কি, একটা খুব লম্বা বালির চরে একটা বাঘিনী আর মানুষের ছেলে খেলা করছে। বাঘিনীর পেটের ভিতর একটা স্বচ্ছ থলিতে একটা বাঘের বাচ্চা। সে ওই বাইরে মানুষের ছেলেটার সাথে খেলতে চায়। কিন্তু বাইরে আসতে পারছে না বলে তার খুব মনখারাপ। আর বাচ্চার মনখারাপের কারণে মা-রও বিরস বদন, একেবারে মনমরা হয়ে সে মানুষের ছেলেটাকে খেলা দিচ্ছে। হঠাৎ কী হল জানো খোকা? একদল বাচ্চা ছেলেমেয়ে সেখানে এল, তাদের ঘাড়ের উপর মাথাগুলো ঠিক মতো বসানো নেই, প্রাণপণে তারা পরস্পরের মাথা ঠিক করে বসাতে চাইছে। কি বোকা সব দেখ, আরে নিজের মুণ্ডুটা মাথায় ঠিকঠাক বসাতে পারলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়, তাই না? আর এইখানেই ঘুমটা গেল চটে— বুঝলে?”

দরজার কাছে উঠে এসে মানিক সদরটা আধ-ভেজানো পেল।
দরজার ফাঁকে একটুকরো রোদ খুব কষ্টেসৃষ্টে ঘরে ঢুকে গেছে— মানিক দরজা ঠেলে আলোর টুকরোটাকে আরও বড়ো করে বাইরের ঘরে ঢুকে পড়ল।
বাইরের ওই তেরচা আলোটুকু একটা তিনকোনা টুকরো হয়ে অন্ধকার ঘরে উঁকি মারছে দেখে মানিকের মনে হল, বিরাট একটা অন্ধকার হাঁয়ের মধ্যে, ওই টুকরো আলোটা যেন একটা নড়াচড়া করা জিভ।
শোবার ঘরে এসে সে দেখল ভবানী জেঠু কেমন যেন এঁকেবেঁকে মুখ হাঁ করে শুয়ে আছেন। তাঁর জিভটা মুখের থেকে বেশ খানিকটা বাইরে বেরিয়ে আছে। মুখের উপর দু-চারটে মাছি ঘোরাঘুরি করছে। তার মানে মানিকের ভবানী জেঠু নিজের তক্তপোষেই ঘুমের ভেতরই মারা গিয়েছেন। দরজাটা বন্ধ করবারও সময় পাননি।


মুম্বাইতে তার এক কামরার ফ্ল্যাটে ঘুম থেকে উঠে মানিক বসুর মনে পড়ল, এটা দু-হাজার কুড়ির এপ্রিল মাস। ভরা লকডাউন চলছে, আর সে এতক্ষণ ঘুমের ভেতর উনিশশো আটাত্তর সালে ঘুরে বেড়াচ্ছিল।

শেয়ার করুন

ক্যাটেগরি বা ট্যাগে ক্লিক করে অন্যান্য লেখা পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরনো লেখা

ফলো করুন

Recent Posts

Recent Comments

আপনপাঠ গল্পসংখ্যা ২০২২