সত্যের সন্ধানে আরজ আলী মাতুব্বর – দীপক সাহা
An unquestioned life is not worth living–সক্রেটিসের এই বিখ্যাত উক্তির মধ্যেই নিহিত আছে যুগযুগ ধরে মানুষের সত্য অনুসন্ধানের চাবিকাঠি। মানবসভ্যতায় বৈজ্ঞানিক উত্তরণের দীর্ঘ ইতিহাস মোটেও মসৃণ নয়। বহু জ্ঞানী ব্যক্তিকে এজন্য কঠোর সাধনা ও ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। অনেক সত্যসাধক সত্যান্বেষণ করতে গিয়ে প্রাণদান করেছেন। ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।’ বুদ্ধির মুক্তি ও উৎকর্ষতার জন্য প্রশ্ন উত্থাপন এবং এর যৌক্তিক সমাধানই একমাত্র পথ। এই সুদীর্ঘ প্রশ্নোত্তর পথের অন্যতম পথিক লৌকিক দার্শনিক, চিন্তাবিদ এবং লেখক আরজ আলী মাতুব্বর।
আরজ আলী এক ব্যতিক্রমী মানুষ। তিনি বলেছেন, “বিদ্যাশিক্ষার ডিগ্রী আছে জ্ঞানের কোনো ডিগ্রী নেই; জ্ঞান ডিগ্রীবিহীন ও সীমাহীন।” তাঁর জীবনচর্চায় জ্ঞানান্বেষণের তীব্র আকাঙ্ক্ষার মধ্যেই তাঁর কথার প্রতিফলন বাস্তবে আমরা দেখতে পাই। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই স্বশিক্ষিত হয়ে সচেষ্ট ছিলেন জীবন ও জগতের গূঢ় রহস্য উন্মোচনে। ১৯০০ সালের ডিসেম্বর মাসের ১৭ তারিখে বাংলাদেশের বরিশাল জেলার লামচরি গ্রামে আরজ আলী জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর নিজের কথায়, ‘লামচারী গ্রামের বাড়িতে বাংলা ১৩০৭ সনের ৩রা পৌষ আমার জন্ম হয়।’ তাঁর জন্মের চার বছর পর ১৯০৪ সালে তাঁর পিতা এন্তাজ আলী মাতুব্বর মারা যান। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল আরজ আলী। আঞ্চলিক ভূস্বামী হওয়ার সুবাদে তাঁরা ‘মাতুব্বর’ নামে পরিচিত হন। তাঁর বয়স যখন তেরো বছর তখন লামচরি গ্রামের আবদুল করিম মুন্সী নামে এক বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তি আরজ আলীর পড়াশুনার প্রতি প্রবল আগ্রহ দেখে তাঁকে বিনা বেতনে তাঁর মক্তবে ভর্তি করে নেন। কিন্তু ছাত্রদের বেতন অনাদায়ে অচিরেই বন্ধ হয়ে যায় মক্তবটি। আরজ আলীর প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনাও বন্ধ হয়ে যায়।
আরজ আলী দমে যাবার পাত্র নন। জ্ঞান পিপাসা মেটাতে তিনি বরিশাল শহরের পরিচিত ছাত্রদের পুরনো বইপত্র সংগ্রহ করে পড়তে থাকেন। লামচরি গ্রাম থেকে প্রায় নয় কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে বরিশাল শহরের একটি পাবলিক লাইব্রেরিতে তিনি নিয়মিত পড়াশোনা করতেন। বরিশালে ‘ব্যাপটিস্ট মিশন লাইব্রেরি’র গ্রন্থাগারিক স্কটল্যান্ডবাসী মিস্টার মরিস আরজ আলীর সত্যান্বেষণে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে প্রচুর বই পড়তে দিতেন। আরজ আলী তাঁর ৮৫ বছরের জীবনকালে ৭০ বছরই লাইব্রেরিতে কাটিয়েছেন। নিজের সামান্য জমি নিজেই চাষাবাদ করতেন। এছাড়া জীবিকার জন্য জমি-জমা পরিমাপের কাজ শিখে ‘আমিন’-এর পেশাও গ্রহণ করেন। নিজের অর্জিত অর্থ দিয়ে গড়ে তুলেছিলেন ‘আরজ মঞ্জিল পাবলিক লাইব্রেরি’। শিশু শিক্ষার্থীদের তিনি খুব স্নেহ করতেন। বাচ্চাদের সার্বিক উৎকর্ষের জন্য তিনি ‘আরজ বৃত্তি’ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
সৃষ্টিকর্তা, জগৎ ন্যায়, অন্যায়, সত্য-মিথ্যা, বস্তু ও জীবনের সংজ্ঞা, জীব-জড়ের প্রার্থক্য প্রভৃতি মৌলিক বিষয়ে কৈশরেই নানা প্রশ্ন তাঁর মনে ভিড় করে এবং সেইসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেন। সেই জিজ্ঞাসু মন নিয়েই তিনি নিজ চেষ্টা ও সাধনায় বিজ্ঞান, ইতিহাস, ধর্ম ও দর্শনসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর জ্ঞান অর্জন করেন। পরবর্তীতে ধর্ম, জগৎ ও জীবন সম্পর্কে নানামুখী জিজ্ঞাসা তাঁর লেখায় উঠে এসেছে। তাঁর বিশ্বাস ও অভিজ্ঞতার কথা তিনি একাধিক গ্রন্থে প্রকাশ করেন। তাঁর লিখিত বইয়ের মধ্যে ‘সত্যের সন্ধান’, ‘সৃষ্টি রহস্য’, ‘সীজের ফুল’, ‘শয়তানের জবানবন্দী’ অন্যতম। আরজ আলীর রচিত পাণ্ডুলিপির সংখ্যা মোট ১৫টি। এর মধ্যে তাঁর জীবদ্দশায় প্রকাশিত হয়েছিল ৪টি। এই বইগুলো হল–‘সত্যের সন্ধান’ (১৯৭৩), ‘সৃষ্টি রহস্য’ (১৯৭৭), ‘অনুমান’ (১৯৮৩), ও ‘স্মরণিকা’ (১৯৮৮)। কাজের ব্যাপ্তির তুলনায় আরজ আলীর সম্মাননা ও পুরস্কারের সংখ্যা নগণ্য। তিনি বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্যপদ পেয়েছিলেন ১৯৮২ সালে, বাংলাদেশ লেখক শিবিরের ‘হুমায়ুন কবির স্মৃতি পুরস্কার’ পান ১৯৭৮ সালে ও ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর (বরিশাল শাখা) সম্মাননা লাভ করেন। না, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘একুশে পদক’ পাননি। বাংলার উজ্জ্বল সন্তানের কর্মকাণ্ড নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উদাসীন। ১৯৮৫ সালের ১৫ মার্চ (বাংলা: ১ চৈত্র, ১৩৯২) ৮৫ বছর বয়সে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে বার্ধক্যজনিত কারণে বাংলার এই উজ্জ্বল সন্তান ও মহান সত্যসাধকের জীবনদীপ নিভে যায়।
বাঙালির শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, দর্শনের নির্মাতা মধ্যবিত্ত শ্রেণি। বাঙালি বুদ্ধিজীবীদেরও আবির্ভাব এই শ্রেণি থেকেই। মধ্যবিত্ত সুবিধাভোগী শ্রেণি থেকে বহুদূরে আরজ আলীর জীবনযাপন। তাঁর অসাধারণত্ব এখানে যে, তিনি উঠে এসেছেন তৃণমূলের গভীর স্তর থেকে। নানা প্রতিকূলতাকে জয় করে তিনি কুপ্রথা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সাহসী অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তাঁর সাহসের উৎস পরিচ্ছন্ন চিন্তা ও যুক্তিবাদিতা। শৈশবের একটি ঘটনা মাতুব্বরের জীবনদর্শনে গভীরভাবে রেখাপাত করে। মাতুব্বর লিখেছেন– “১৩৩৯ সালে আমার মা মারা গেলে আমি আমার মৃত মায়ের ফটো তুলি। তা দেখে আমার মায়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সমাধান করতে যেসব আলেম ও মুসল্লি এসেছিলেন, তারা আমার মায়ের জানাজা ও দাফন ত্যাগ করে লাশ ফেলে চলে যায়; যেহেতু ফটো তোলা নাকি হারাম। অগত্যা কতিপয় অমুসল্লিকে নিয়ে জানাজা ছাড়াই আমার মায়ের মৃতদেহটি সৃষ্টিকর্তার হাতে সোপর্দ করতে হলো কবরে। আমার মা ছিলেন অতিশয় ধার্মিকা নারী। তার নামাজ-রোজা বাদ পড়া তো দূরের কথা, ‘কাজা’ হতেও দেখিনি কোনোদিন আমার জীবনে, বাদ পড়েনি কখনও তার তাহাজ্জুদের নামাজ মাঘ মাসের দারুণ শীতের রাতেও। এ হেন পুণ্যবতী মায়ের জানাজা হলো না আমার একটি দুষ্কর্মের ফলে। হায় রে পবিত্র ধর্ম।” এই তিক্ত অভিজ্ঞতা ধর্মীয় মূঢ়তার বিরুদ্ধে তাঁকে প্রতিবাদী হতে শেখায়।
প্রকৃত সত্যের সন্ধানে বিশ্বাস অপেক্ষা মৌলিক প্রশ্নকেই তিনি প্রাধান্য দিতেন। ধর্ম, দর্শন, বিজ্ঞান বিষয়ে মাতুব্বরের স্পষ্ট বক্তব্য প্রতিক্রিয়াশীল ক্ষমতাবান গোষ্ঠীকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল। অকপট সত্য উচ্চারণের জন্য মাতুব্বরকে নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। ফলস্বরূপ বিধর্মী অপবাদে দেগে দিয়ে তাঁকে বারে বারে হেনস্থা করা হয়। জনৈক ম্যাজিস্ট্রেট কেন তাঁকে তাঁর চিন্তাভাবনার জন্য সাজা দিয়ে তাঁকে কারাগারে আটক করা হবে না, তার কারণ দর্শানোর জন্য কৈফিয়ত তলব করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। কিন্তু শত প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েও মুক্তমনা আরজ আলী সত্যের সন্ধানে তাঁর চিন্তাভাবনা থেকে পিছপা হননি।
বস্তুবাদ ও যুক্তিবাদের ওপর ভিত্তি করে আরজ আলী মাতুব্বর সত্যের সন্ধান করেছেন। তাঁর অকাট্য প্রশ্ন: “ধর্মজগতে মতানৈক্যের অন্ত নাই। যেখানে একই কালে দুইটি মত সত্য হইতে পারে না, সেখানে শতাধিক ধর্মের প্রচলিত মত সত্য হইবে কীরূপে?” শুধু বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে মতান্তর নয়। মাতুব্বর লক্ষ্য করেছেন, একই ধর্মের মধ্যে বিপরীত মতবাদের উপস্থিতি। হিন্দু ধর্মের বেদ ও উপনিষদের অন্তঃসারের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। খ্রিষ্টধর্মে প্রোটেস্ট্যান্ট ও ক্যাথলিকদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। ইসলাম ধর্মের মধ্যে শিয়া, সুন্নি, মুতাজিলা, ওহাবি, খারিজি প্রভৃতি সম্প্রদায়ের মত ভিন্ন। এই উদাহরণগুলো উপস্থাপন করে মাতুব্বর লিখেছেন–“এতোধিক মতানৈক্য থাকা সত্ত্বেও ভক্তদের নিকট আপন আপন ধর্মই একমাত্র সত্য ধর্ম, অন্য কোনো ধর্মই সত্য নহে। এ যেন বাজারের গোয়ালাদের ন্যায় সকলই আপন আপন দধি মিষ্টি বলে।”
এক সাক্ষাৎকারে আরজ আলী মাতুব্বর বলেছিলেন–’“মানবতাই একটা ধর্ম। আমি এটা পালন করি এবং অন্যকে পালন করতে পরামর্শ দেই।” তিনি ধর্মকে কেবল বিশ্বাসের রূপক হিসেবে দেখেননি, তিনি যুক্তি-তর্কের সাহায্যে ধর্মকে বিশ্লেষণ করেছেন। কিন্তু প্রচলিত ধর্মীয় আচারের প্রতি অনীহা থাকা সত্ত্বেও স্ত্রীর (সুফিয়া খাতুন) ধর্মীয় কার্যকলাপে কখনও তিনি বাধা দেননি। এখানেই তাঁর উদারতার পরিচয়।
আরজ আলী মাতুব্বরের অন্যতম মূল্যবান বই ‘সৃষ্টি রহস্য’। এ বইয়ে বিজ্ঞানীর মনোভাব সম্পর্কে তিনি যে যুক্তিসম্মত ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তা প্রকারান্তরে ধর্মান্ধ প্রতিক্রিয়াশীলদের বিরুদ্ধে শাণিত অস্ত্র। তাঁর লেখায়–“এই যুগে যুগমানবের আসনে সমাসীন বিজ্ঞানীরা, সমাজপতিরা নহেন। বিজ্ঞানীরা হইলেন নীরব সাধক।” সৃষ্টিতত্ত্বের ধর্মীয় ব্যাখ্যাকে গ্রহণ করেনি মাতুব্বরের যুক্তিবাদী মন। মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রার তাঁর বিজ্ঞানমনস্ক ব্যাখ্যা–“সৃষ্টিতত্ত্বের ধর্মীয় ব্যাখ্যায় যুক্তির কোনো স্থান নাই। কার্যকারণ সম্পর্ক বজায় রাখিয়া যুক্তির সাহায্যে জগতের প্রত্যেকটি ঘটনা ব্যাখ্যা করিবার চেষ্টা করিল দর্শন। পরবর্তীকালে দর্শনশাস্ত্রে কার্যকারণ সম্পর্ক ও যুক্তিসমূহের ওপর ভিত্তি করিয়া প্রমাণসহ জাগতিক ঘটনা ব্যাখ্যা করিবার চেষ্টা করিল বিজ্ঞান।”
আরজ আলী কোপার্নিকাস, গ্যালিলিওর মতো বিশ্ববরেণ্য মনীষীদের উত্তরসূরি বললে অত্যুক্তি হবে না। তাঁরা প্রত্যকেই প্রচলিত রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও সমাজ ব্যবস্থা দ্বারা নিপীড়িত হয়েছিলেন। লৌকিক সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করা সার্থক দার্শনিক আরজ আলী মুক্তচিন্তা, বিজ্ঞানমনস্কতা দিয়ে উপলব্ধি করেছিলেন ইহজাগতিকতার গুরুত্বকে। নিজের দেহকে মানবকল্যাণে দান করে গেছেন। বাংলাদেশে প্রথম মরণোত্তর দেহদান করেছিলেন আরজ আলী মাতুব্বর। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য নিজের দেহটি দান করেছিলেন তিনি।
আরজ আলী বলেন, “বিদ্যাশিক্ষার ডিগ্রী আছে জ্ঞানের কোনো ডিগ্রী নেই; জ্ঞান ডিগ্রীবিহীন ও সীমাহীন।” তিনি নিজে প্রশ্ন করেছেন, অপরকে প্রশ্ন করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। মৃত্যুর পর কী, বেহেশত, দোজখ কোথায়—এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন তিনি। ইন্দ্রিয় তাড়না-জর্জরিত এই দেহই কি বেহেশতে ফিরে যাবে অফুরন্ত ইন্দ্রিয় তৃপ্তির জন্য? এক ইন্দ্রিয়পরায়ণ পৃথিবী থেকে ভোগ-লালসার জন্য অধিকতর ইন্দ্রিয়পরায়ণ জগতে প্রবেশই কি বেহেশত প্রাপ্তি? অন্ধবিশ্বাস নয়, যুক্তিতর্ক দিয়ে এসব প্রশ্নের মীমাংসা করার চেষ্টা করেছেন। এতে তিনি কতটুকু সফল হয়েছেন, সে প্রশ্নে না গিয়েও বলা যায় একটি প্রচলিত, বদ্ধ সমাজ কাঠামোকে তিনি শক্ত হাতে নাড়া দিয়েছেন।
বিশ্বব্যাপী এক অসহিষ্ণুতার কাল অতিক্রম করছি আমরা। নিজের ধর্ম ও বিশ্বাস একমাত্র সত্য, বাকিসব মিথ্যা—এমন অবান্তর ধারণা থেকে অসহিষ্ণুতা ও উগ্রতার জন্ম হয়। যেকোনো ধর্মের উগ্রতা ও অসুহিষ্ণুতার মোকাবিলা করা আজ আমাদের কাছে এক বড়ো চ্যালেঞ্জ। সেক্ষেত্রে কুসংস্কার ও ধর্মান্ধতার বিপরীতে আরজ আলী মাতুব্বরের জীবনদর্শন আমাদের কাছে এক সত্যের পথনির্দেশক। একবিংশ শতাব্দীতে যখন ধর্মীয় উগ্রতা ভয়ংকরভাবে ডানা মেলছে, মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করেছে, তখন দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বরকে স্মরণ করা ও তাঁর লৌকিক দর্শনকে চর্চা করা আমাদের চলার পথকে সমৃদ্ধ করবে। তিনি মানবতার কল্যাণে নিজের দুটি চোখ এবং জ্ঞানচক্ষু দান করে গিয়েছেন। তাঁর বিকশিত জ্ঞানালোক সমাজের অন্তিম স্তর পর্যন্ত ছড়িয়ে দিতে পারলেই তাঁর প্রতি প্রকৃত সম্মান জানানো হবে।
ছবি ঋণ – আন্তর্জাল