পুজোর সিনেমা, আহ্ এবং ধুস্ – সম্রাট মুখোপাধ্যায়

পুজোর সিনেমা, আহ্ এবং ধুস্ – সম্রাট মুখোপাধ্যায়

শেয়ার করুন

প্রথম পরকীয়া

মেয়েদের গোপন ‘পরকীয়া’ ব্যাপারটা ঠিক কীরকম, তা বুঝে গিয়েছিলাম বেশ শৈশবেই।

আর আমার এই ‘অকালপক্কতা’র জন্য যদি কেউ দায়ী থাকেন, তবে তিনি ছিলেন আর কেউ নন।
স্বয়ং উত্তমকুমার।

তাঁর নামটা বলার সময় মহিলাদের চোখে কেমন ঝিলিক মেরে ওঠে, তা তো দেখতামই, গলার স্বরগুলোই বদলে যেত। কিন্তু তার থেকেও তীব্র দেখেছি, তাদের ছুটে যাওয়া। উত্তমকে দেখতে।

সিনেমা-হলের পর্দায়।

আমি যে শহরে বড়ো হয়েছি, সেই শহরে দুটি অস্ত্র কারখানা আর তিনখানা সিনেমা হল ছিল। শহরের ৬৫শতাংশ পুরুষ কাজ করতেন ওই কারখানাদুটিতে। আর তিনখানি সিনেমা হলের একখানি, ‘নিউলাইট’, তার নাম, সংরক্ষিত ছিল উত্তমকুমারের, মানে মহানায়কের সিনেমার জন্য। এমত বলার কারণ, ওই সিনেমা হলে উত্তমকুমারের সিনেমার বাইরে ক’টা সিনেমা আর এসেছে তাঁর জীবদ্দশায় ও আমাদের শৈশবে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। এমনকি যেসব উত্তম-খচিত ছবি পরবর্তীকালে জেনেছি তেমন ব্যবসা নাকি পায়নি, স্মৃতি বলে আমাদের শহরে ওই হলে তার টিকিট নিয়েও হইচই কাড়াকাড়ি হতে দেখেছি। শ্রীকৃষ্ণের গোপিনীর সংখ্যা নির্ধারিত ছিল, গোকুলের সব নারী একসঙ্গে তাঁর অনুগামী ছিল না। কিন্তু আমাদের ছোটোবেলার সেই ছোট্ট জনপদটির সব নারীই বয়স নির্বিশেষে বোধ করি উত্তমের প্রতি মনে মনে ধাবিত ছিল!

বস্তুত মেয়েরা (বিশেষত সাতের দশকের রক্ষণশীল পরিবেশে গৃহকোণ সংলগ্ন মেয়েরা) প্রকাশ্য স্থানে মারপিট করলে কেমন দেখতে লাগে, তা দেখার জন্য একটা ছোটোখাটো ভিড় জমে যেত প্রতিদিন তিনবার, তখন ওই হলের টিকিট কাউন্টারের সামনের জমিতে। চুল টেনে এক সুবেশ গৃহবধূ মাটিতে শুইয়ে দিচ্ছে প্রায় এক যুবতীকে। উপলক্ষ একটি টিকিট! আর পাশে ওই গৃহবধূটির ছোটো বাচ্চাটি কাঁদছে মায়ের রণরঙ্গিনী মূর্তি দেখে, এমন দৃশ্যের ‘লোভ’ সামলানো সত্যিই মুশকিলের ছিল। বলাই বাহুল্য, সমবেত বহিস্থ দর্শকদের নিরানব্বুই শতাংশ ছিল পুরুষ। সিনেমা হলের সামনে এমনতর ফাঁকা জমি থাকলে, তাতে সাধারণত ব্যবসা-বাণিজ্য চালাতে ভিড় করে বাদাম, চপ কিংবা ফুচকাওয়ালারা। কিন্তু ‘নিউলাইট’-এর সামনের জমি ছিল ব্যতিক্রম। ফেরিওয়ালা বসত রাস্তা পেরিয়ে হলের উলটোদিকে ড্রেনের সামনে একফালি জায়গায়। হলের সামনের জমি নির্ধারিত ছিল রোজকার ‘ফ্রি স্টাইল’-এর জন্য।

একমাত্র পুজোর ক’দিন ছিল শান্তি। কারণ তখন সবাই পুজোর শাড়ি পরা। ফলে তাকে অটুট রাখতে হবে।
সুতরাং শান্তিকল্যাণ বিরাজ করত ওই কদিন। মণ্ডপে মায়ের রুদ্রমুর্তি বিরাজ করলেও, হলের বাইরে মায়েরা শান্তমূর্তিতে বিরাজমান হতেন।

বড়োজোর প্রতিযোগিনীর দিকে চোখ বড়ো করে তাকানো! তাতে ভাসানো ইঙ্গিত, যে পুজোটা যাক…।
তবে পুজোর ক’দিন ব্ল্যাকারের দাপট বাড়ত। বলাই বাহুল্য, মহিলা দর্শকের হলে ব্ল্যাকাররাও ছিল মহিলা।নারীরূপেন সংস্থিতা।

পর্দার পান্ডারা

হলের ফিরিওয়ালাদের কাছে অবশ্য ‘নিউলাইট’ বড়ো আকর্ষণ ছিল না। ছিল ‘রাজকৃষ্ণ’। সেখানে হিন্দি ছবি মুক্তি পেত। তখন কিশোরকুমারের জমানা। ফলে ছবি হিট হোক-না-হোক গান হিট হচ্ছেই। আর হলেই ছুটে আসবে, উড়ে আসবে রাশি রাশি পয়সা। ভারী কয়েন অবধি। পর্দার দিকে। নায়ক ও গায়কের প্রতি নগদ বিদায়। আর তখন গান শুরু হলেই বিশেষ ব্যবস্থাক্রমে ফেরিওয়ালারা ঢুকে পড়বে হলের ভেতর। পর্দার সামনে গিয়ে কুড়োতে শুরু করবে ওইসব পয়সা। কুড়িয়ে নিয়ে এসে হলের লবিতে বসে সব একজায়গায় ক’রে হিসেব হবে। একটা ভাগ যাবে হলের কর্মচারীদের তহবিলে। আর অন্য ভাগটা সমান ভাগে ভাগ করে নেবে ফেরিওয়ালারা।

তবে এখানে শুধু পয়সা নয়, হলের স্বার্থও তারা দেখত।কিছু ‘অসভ্য’ দর্শক ছিল, যারা পয়সা ছুঁড়ত নায়িকাদের বিশেষ বিশেষ অঙ্গ লক্ষ্য করে। তাতে পর্দার ক্ষতি হত।এইসব টলটলায়মান বা উত্তেজিত উত্থিত দর্শকদের বিরত করে, তাদের হাত থেকে সরাসরি পয়সা নিয়ে নিতে দেখেছি এদের। অনেক মন্দিরে পয়সা ছোঁড়া বারণ।পুরোহিতের হাতে তা তুলে দিতে হয়। সেই কথা মনে হত এদের দেখে।

বলাই বাহুল্য, পুজোর সময় এই ‘প্রণামি’র পরিমাণ বেড়ে যেত। বহু দর্শককে সোজা হেঁটে পর্দার সামনে গিয়ে টাকা উড়িয়ে আসতে দেখেছি। পুজোর সময়ে এই ‘মুদ্রাস্ফীতি’র কারণেই সম্ভবত, ফিরিওয়ালাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকত গানের সময়। পরিষ্কার পোশাক পরা হলের লাইটম্যানেরাই তখন নোটগুলো নিত। সেলাম সহযোগে।
পুজোর ক’দিন সিনেমা মন্দিরে ‘পুরোহিত’দের চেহারায় কৌলিন্য যোগ হত।

মফস্বলি ‘ডেলি ড্রামা’

আবার বাংলা সিনেমা ও বাঙালি মা-বোনেদের গল্পে ফিরি।

আমাদের শহরে বাংলা সিনেমার হলে শো টাইম ছিল দেড়টা-সাড়ে চারটে-সাড়ে সাতটা। কলকাতার মতো বারোটা-তিনটে-ছটা-নটা নয়। কেন এমন ব্যবস্থা?

একটু আগেই লিখেছি শহরে দুটো কারখানাতেই কাজ করতেন অধিকাংশ পুরুষ। ওই দুই কারখানার টিফিন টাইম ছিল দুপুর বারোটা থেকে একটা। অর্থাৎ খাওয়া-দাওয়া সেরে তাঁরা কারখানার দিকে রওনা হয়ে যাবেন পৌনে একটার ভেতর।
আর এই যে তারা বেরিয়ে গেল, এবার শুরু হবে ঝটিকা গতিতে মহিলাদের প্রস্তুতি সিনেমা দেখতে যাবার জন্য।বাচ্চারা বাবার সঙ্গেই খেয়ে নিয়েছে। কোনো রকমে নাকেমুখে গুঁজে খেলেন এবার স্ত্রী। না-খাওয়া হলেও সই।দুটো জিনিস আগেই করা আছে। পরনে আটপৌরে শাড়ি হলেও, ভেতরে ব্লাউজটা ভালো পরে রাখা। আর পাড়ার বিশ্বস্ত রিক্সাওয়ালাকে আগেই বলে রাখা আছে। সে পাড়ার মোড়ে বসে যেই দেখল ‘দাদা’ বেরিয়ে গেল, রিক্সা নিয়ে বাইরে এসে হাঁকল ‘বৌদি’।
কোনো কোনো কল্পনাপ্রবণ পাঠক এখানে বটতলার চটি বইয়ের গন্ধ খুঁজে পাচ্ছেন হয়তো। পান গে যান, আমার কিন্তু জেরম কে জেরমকে মনে পড়ছে।

প্রখ্যাত সেই ব্রিটিশ রসসাহিত্যিক বিবরণ দিয়েছিলেন সকালবেলার স্টেশনধারের ব্যস্ত রাস্তার।‌‌ ‘এ ডেলি ড্রামা’। কৌতুককর সে বিবরণ। একরাশ মানুষ লম্বা-মোটা-বেঁটে-সরু-রাগী-পাগলাটে-নিরীহ দৌড়চ্ছে, পড়ে যাচ্ছে, আবার ছুটছে ট্রেন ধরার জন্য। পরে যখন পড়েছি সে রচনা, আমার ছেলেবেলার দুপুর একটা-সওয়া একটার স্মৃতি মনে পড়ত। শহরের রাশি রাশি রিকশা ছুটে চলেছে শহরের অলিগলি জুড়ে বড়ো রাস্তার দিকে। প্রত্যেকে প্রাণপণে। কারণ টিকিট পেলে ‘বৌদি’ বাড়তি কিছু দেবে। অন্তত প্রশংসাসূচক একটা চাওনি। যুবক রিক্সাওয়ালার ‘দিল’ যা এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেবে।
ফলে প্রতিদিন আমাদের সেই কারখানা-শহরে ‘ঘোড়দৌড়’ হত। রিক্সার ঘোড়দৌড়।

এর মাঝে ‘নন-রোম্যান্টিক’ ঘটনাও ঘটত। যথা, রিক্সা ওলটানো। মফস্‌সল শহরের সরু, আধপাকা রাস্তা, প্রাণপণে দৌড়তে গিয়ে রোজ এক আধখানা ওলটাতোই। সেই আমলে সবারই প্রায় খান তিন-চারেক সন্তান।সংখ্যাটা আরও বেশিও হত। রিক্সা অবশ্য একখানাই সম্বল। ফলে সেক্ষেত্রে দু-একজন বসে থাকত রিক্সার পাদানিতে। বা পেছনের রডে দাঁড়িয়ে।
উদ্ধারকারী দল জুটে যেত নিমেষে। বহুক্ষেত্রেই বাড়ির সদ্য কৈশোর ছাড়ানো মেয়েটির সঙ্গে উদ্ধারকারী যুবকের প্রথম আলাপটি ঘটে যেত। পরে আবার কোনোদিন এমনই কোনো ফাঁকে মায়ের নজর এড়িয়ে চিঠি হাতবদল এমনকি!
দুঃসাহসের ঘাটতি ছিল না।

মেয়ের।

মায়েরও। গোটা সিনেমা-অভিযানটা দিনের পর দিন যিনি গোপন রাখতেন বাড়ির কর্তার কাছ থেকে!
বাংলা ছবি। বিশেষ বড়ো নয়। একেবারে সময় মেপে কাজ। দেড়টায় শো শুরু। বিজ্ঞাপন, হাবিজাবি নিউজ রিল সবমিলিয়ে আরও ১০-১২মিনিট। আসল ‘বই’ শুরু একটা চল্লিশে। আর শেষ পৌনে চারটে-চারটের আশেপাশে। আবার হলের সামনে রিক্সা। বাড়ি ফিরে আসা সাড়ে চারটের ভেতর। সবকিছু ঠিকঠাক আগের মতো আটপৌরে পরের এক ঘণ্টায়। সাড়ে পাঁচটায় কর্তা ফিরবেন। তার আগে জলখাবার বানানো শেষ। ধরার উপায় নেই।

শুধু একটু আনমনা। আর সেদিন সন্ধ্যা-রাত জুড়ে গুনগুন করে দেখে আসা সিনেমার গান।

এ ‘পরকীয়া’ দেখে বড়ো হয়েছি।

সমস্যা হত শুধু পুজোর ক’দিন। সেসময় লুকিয়ে যাবার উপায় নেই।

সপরিবারেই যাওয়া হত। কিন্তু মা-কাকিমা-মাসিমা-পিসিদের মুখ দেখে বুঝতাম সেই ‘সুখ’ পাচ্ছে না।একান্তে, নিভৃতে, অসংখ্য নারীচাওনির মাঝখানে ব’সে স্বপ্নের পুরুষকে দেখার সুখ।

মা-কাকিমাদের কাছে তাই পুজোর ছবি দেখা বিশেষ সুখের ছিল না।

ব্যালকনির প্রতিপক্ষ

প্রসঙ্গত মনে পড়ে যাচ্ছে, সাতের দশকে কলকাতা থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরের মফস্‌সলে বাংলা সিনেমার টিকিটের দাম ছিল সাদা-কালো ৯০ পয়সা। রঙিন ১টাকা ১০ পয়সা। সেটাই ব্যালকনি হলে বেশ খানিকটা বেড়ে যেত। আর লেডিস হলেই কমে গিয়ে হয়ে যেত যথাক্রমে ৫৫ ও ৬৫ পয়সা। আরও মজার কথা হল এই যে ব্যালকনি আর লেডিজ হত ওপরে পাশাপাশি। মানে একইরকম অবস্থান থেকে সিনেমা দেখা যাবে। শুধু ব্যালকনির সিটে একটু গদির ছোঁয়া থাকত (যদিও সেসময় সিনেমাহলে গদিওলা চেয়ার ছিল আমাদের কাছে আতঙ্ক, কারণটা ছারপোকা)। তবুও ব্যালকনির টিকিটের দামের অর্ধেকের কম হত লেডিসের টিকিটের দাম! কারণটা সহজেই অনুমেয়। মহিলা দর্শকদের প্রলুব্ধ করা।

‘নিউলাইট’ হলে ব্যালকনি ব্যাপারটাই কালক্রমে উঠে যায়। পুরোটাই হয়ে যায় ‘লেডিস’।

জানি না, এখন কোনো সিঙ্গল স্ক্রিন হলে আর এই ‘লেডিস’ ব্যাপারটাই আছে কিনা।

পুজোর সময় ওপরে লেডিসে বসা মা-মাসিমাদের দেখেছি ঝুঁকে পড়ে নীচের দিকে দেখতে। বাড়ির বা পাড়ার কোনও মেয়ে পুজো দেখতে বেরোনোর নাম করে ‘বন্ধু’ ছোকরার সঙ্গে হলে এসে ঢুকেছে কিনা তা দেখতে। বহু অবিবাহিত কমবয়েসি মেয়েকেও তাই দেখতাম নীচে বসলে একগলা ঘোমটা টেনে বসতে!

হাফ টিকিট

পুজোর সময় আমাদের অনেকের সিনেমা দেখার খরচ অবিশ্যি ‘হাফ’ হয়ে যেত। ‘ডবল’ টিকিট কাটতে হত না যে।
না ‘ডবল’ টিকিট মানে সঙ্গী বা সঙ্গিনীর টিকিট কাটা নয়।তখন আমাদের স্কুলবেলা। ফলে দ্বিতীয় সম্ভাবনা তো নেই-ই।
‘ডবল’ টিকিট মানে দুবার টিকিট কাটা। একই সিনেমার আলাদা আলাদা শো-এর। বাড়িতে না-জানিয়ে দেখা।লুকিয়ে-লুকিয়ে। স্কুলের শেষ দিকের ক্লাস কেটে বা ব্যাচের পড়া পালিয়ে, খেলার মাঠে না-গিয়ে…। সব মিলিয়ে আড়াই-তিন ঘণ্টা এক লপ্তে ম্যানেজ করা একটু চাপের। তাই এক-একটা সিনেমা দেখতাম দু’ভাগে।দু’বারে। তাতে বহুবারই এমন হয়েছে দ্বিতীয় ভাগটা আগে দেখেছি। প্রথম ভাগটা পরে। বিশেষত হিন্দি সিনেমার প্রথমার্ধে যে কত ফালতু ‘গ্যাঁজানো’ বিষয় থাকে, তা এই পথে বুঝতে পারতাম। দ্বিতীয়ার্ধ দেখেই গল্পটা বেশ বুঝতে পারতাম। প্রথমার্ধ দেখতে গিয়ে তখন হতাশ হতাম ও ফালতু ব্যয়ের শোকে কিছুদিন মুহ্যমান থাকতাম। আর প্রতিজ্ঞা করতাম, নিজেরা প্রেম করলে হিন্দি ছবির নায়ক-নায়িকাদের মতো এত ফালতু বকব না। স্ট্রেইট…।

আবার সময়ের জটিলতায় কোনও কোনও ছবির শেষটাই দেখা হত না। কল্পনা করে নিতাম। কল্পনাশক্তির ব্যায়ামের কাজ করত।

সিনেমা হল আমাদের জীবনের কত গোপন ‘পাপ’-এর কথা যে জানে! আমাদের আত্মজীবনীর ছাঁচটা ওখানেই অনেকটা গড়া হয়ে গেছে।

তা যাই হোক, পুজোয় অনেকটা সময় বাইরে থাকার সুযোগ থাকত। সিনেমা দেখারও অনুমতি ছিল। অতএব এক টিকিটেই কেল্লা ফতে হত।

ফলে আমাদের কাছে পুজোর সিনেমা দেখা ছিল সততই সুখের।

পুনশ্চ

পুজোর সিনেমা-সুখে সবচেয়ে মধুরেণ সমাপয়েৎ হবে আমাদের বন্ধু প্রদীপের (পদবি বলছি না, নামটাও গোপন রাখছি) গল্পে। প্রদীপের ফুটবল বুট কেনার গল্পে।

যা সে কিনতে পেরেছিল পুজোর সময় রাজকৃষ্ণ সিনেমা হলে মিঠুনের সিনেমার টিকিট ‘ব্ল্যাক’ করে। প্রদীপ প্রফেশনাল ব্ল্যাকার ছিল না। ফলে হলের লোকজনের সঙ্গে যোগসাজশে ভেতর থেকে একগোছা টিকিট হাতে পাওয়া তার সম্ভব ছিল না। আমরা তার ক্লাসমেটরাই সকাল সকাল পালা করে লাইন দিয়ে ‘অ্যাডভান্স’ টিকিট কাটি ও তাকে দিই।

মিঠুন নয়, নিজেদের তখন ‘ডন’ বা ‘দিওয়ার’-এর অমিতাভ বচ্চন মনে হয়েছিল!

শেয়ার করুন

ক্যাটেগরি বা ট্যাগে ক্লিক করে অন্যান্য লেখা পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরনো লেখা

ফলো করুন

Recent Posts

Recent Comments

আপনপাঠ গল্পসংখ্যা ২০২২