Similar Posts

রামকৃষ্ণ মাহাতো-র পাঁচটি কবিতা
ঝুমৈরা সংসারটা ছোটো নয় , দু-দুটো পেট আছেসেই পেটের ভরণ-পোষণ আছেআছে ভাদ্রের দুপুর; সেই দুপুরে চলে চৈত বৈশেখের বাড়তি গাঁজন,ঝুমৈর গাঁজন। মাঝে মাঝে মুখ চেয়ে ঝুমৈর শুনে নতুন বৌ ঝুমৈর হাঁকাই গা ভিজে, মন ভিজেভাদরের চাল ভিজে নাই। মোরগ লড়াই দুটো মোরগ। দু-জন রসিক।মৃত্যু মৃত্যু খেলা;আখড়ার ভিতর জুড়ে বীর রক্তের তিলক, এই বীর রক্ত সূর্যাস্তে…

নান্দনিক পঙক্তিমালায় লুকোনো বিষণ্ণতা – মুহিম মনির
‘Poetry is the affair of sanity’ বলেই হয়তো কবির কলমে লেখা হয়– ‘জলের রং নেই, কান্না আছে থৈথৈ এসব অবৈজ্ঞানিক ভাবনাই আমার জৈবনিক সদাইপাতি– জীবনে রোদকে বৃষ্টি ভেবেছি, বৃষ্টিকে প্রেমিকা আর প্রেমিকাকে শিল্প; এও জীবনের আধুনিক ভুল স্মৃতির দুর্মর অশ্ব যখন আস্তাবলে ঘুমায় তখন আমি সাহিত্যের ক্লাসে রবীন্দ্রনাথের অধরা মানসীর গল্প শুনিয়ে নিজেরই কথা বলে…

কবিতাময় অলিন্দে ঝোলা বিকেল – স্বপ্না ভট্টাচার্য্য
আহত শেকলের সুখ কেনার দিনে আমাদের পাম পাম শোক মেঘ পোষা শিকড়ে আ-কারান্ত বিসর্জন অক্সিজেনে পালক আঁকে নীলাম্বরী সুতোয় হে র বালিঢালা গোধূলি কবিতায় পুতুল ঢালে ভেসে ওঠে তিনকোনা ঝুলন বিষণ্ণ ক্যাকাফনির জোছনাহাসি একটা বিকেলও আর ফিরিয়ে দেয়নি

তোমায় ভুলিনি – অভিষেক মিত্র
এইতো সেদিন বাসের ভিতর, তোমায় ছেঁড়ার ক্ষত, একটা দেখি ষোলো বছর, ফ্রন্ট পেজেতে ফটো। এদিক ওদিক কথার মাঝে তোমার কথা এলে, চেঁচিয়ে বলি হেন কারেগা, ওই ব্যাটাদের পেলে। ফেরার পথে ট্রেনেই দেখি দাড়িয়ে তুমি সাথে, আলতো করে পিঠ ছুঁয়ে দি, ভিড়ের অজুহাতে। দিনের শেষে কাজের ফাঁকে একটু সময় পেলে, তোমার জন্য প্রতিবাদী, মোমবাতিটা জ্বেলে।

আঁধার-প্রবাসী – সাগর সূত্রধর
হেথা হতে যাও, পুরাতন। হেথায় নূতন খেলা আরম্ভ হয়েছে। আবার বাজিছে বাঁশি, আবার উঠিছে হাসি, বসন্তের বাতাস বয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চলে গেছি আমি, দূরে, বহুদূরে, শত-অভিমান ভরে ফিরবো না জেনো কোনোদিন, বিদায় চিরোতরে। শুভ্র মেঘ য্যামন অস্পৃর্ষনীয় সুন্দর সুদূর আকাশে তারা-ফুল শুধুই দেখা যায় নক্ষত্র প্রকাশে। শ্রান্ত দিঘিতে ফোটে যেমন ক্ষণিকের আলো-ছায়ার খেলা তোমার জীবনে…

রূপায়ণ ঘোষের পাঁচটি কবিতা
মোজার্টের স্তব ও সমুদ্রসিম্ফনি I thank my God for graciously granting me the opportunity of learning that death is the key which unlocks the door to our true happiness. — Mozart …

রামকৃষ্ণ মাহাতো-র পাঁচটি কবিতা
ঝুমৈরা সংসারটা ছোটো নয় , দু-দুটো পেট আছেসেই পেটের ভরণ-পোষণ আছেআছে ভাদ্রের দুপুর; সেই দুপুরে চলে চৈত বৈশেখের বাড়তি গাঁজন,ঝুমৈর গাঁজন। মাঝে মাঝে মুখ চেয়ে ঝুমৈর শুনে নতুন বৌ ঝুমৈর হাঁকাই গা ভিজে, মন ভিজেভাদরের চাল ভিজে নাই। মোরগ লড়াই দুটো মোরগ। দু-জন রসিক।মৃত্যু মৃত্যু খেলা;আখড়ার ভিতর জুড়ে বীর রক্তের তিলক, এই বীর রক্ত সূর্যাস্তে…

নান্দনিক পঙক্তিমালায় লুকোনো বিষণ্ণতা – মুহিম মনির
‘Poetry is the affair of sanity’ বলেই হয়তো কবির কলমে লেখা হয়– ‘জলের রং নেই, কান্না আছে থৈথৈ এসব অবৈজ্ঞানিক ভাবনাই আমার জৈবনিক সদাইপাতি– জীবনে রোদকে বৃষ্টি ভেবেছি, বৃষ্টিকে প্রেমিকা আর প্রেমিকাকে শিল্প; এও জীবনের আধুনিক ভুল স্মৃতির দুর্মর অশ্ব যখন আস্তাবলে ঘুমায় তখন আমি সাহিত্যের ক্লাসে রবীন্দ্রনাথের অধরা মানসীর গল্প শুনিয়ে নিজেরই কথা বলে…

কবিতাময় অলিন্দে ঝোলা বিকেল – স্বপ্না ভট্টাচার্য্য
আহত শেকলের সুখ কেনার দিনে আমাদের পাম পাম শোক মেঘ পোষা শিকড়ে আ-কারান্ত বিসর্জন অক্সিজেনে পালক আঁকে নীলাম্বরী সুতোয় হে র বালিঢালা গোধূলি কবিতায় পুতুল ঢালে ভেসে ওঠে তিনকোনা ঝুলন বিষণ্ণ ক্যাকাফনির জোছনাহাসি একটা বিকেলও আর ফিরিয়ে দেয়নি

তোমায় ভুলিনি – অভিষেক মিত্র
এইতো সেদিন বাসের ভিতর, তোমায় ছেঁড়ার ক্ষত, একটা দেখি ষোলো বছর, ফ্রন্ট পেজেতে ফটো। এদিক ওদিক কথার মাঝে তোমার কথা এলে, চেঁচিয়ে বলি হেন কারেগা, ওই ব্যাটাদের পেলে। ফেরার পথে ট্রেনেই দেখি দাড়িয়ে তুমি সাথে, আলতো করে পিঠ ছুঁয়ে দি, ভিড়ের অজুহাতে। দিনের শেষে কাজের ফাঁকে একটু সময় পেলে, তোমার জন্য প্রতিবাদী, মোমবাতিটা জ্বেলে।

আঁধার-প্রবাসী – সাগর সূত্রধর
হেথা হতে যাও, পুরাতন। হেথায় নূতন খেলা আরম্ভ হয়েছে। আবার বাজিছে বাঁশি, আবার উঠিছে হাসি, বসন্তের বাতাস বয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চলে গেছি আমি, দূরে, বহুদূরে, শত-অভিমান ভরে ফিরবো না জেনো কোনোদিন, বিদায় চিরোতরে। শুভ্র মেঘ য্যামন অস্পৃর্ষনীয় সুন্দর সুদূর আকাশে তারা-ফুল শুধুই দেখা যায় নক্ষত্র প্রকাশে। শ্রান্ত দিঘিতে ফোটে যেমন ক্ষণিকের আলো-ছায়ার খেলা তোমার জীবনে…

রূপায়ণ ঘোষের পাঁচটি কবিতা
মোজার্টের স্তব ও সমুদ্রসিম্ফনি I thank my God for graciously granting me the opportunity of learning that death is the key which unlocks the door to our true happiness. — Mozart …

রামকৃষ্ণ মাহাতো-র পাঁচটি কবিতা
ঝুমৈরা সংসারটা ছোটো নয় , দু-দুটো পেট আছেসেই পেটের ভরণ-পোষণ আছেআছে ভাদ্রের দুপুর; সেই দুপুরে চলে চৈত বৈশেখের বাড়তি গাঁজন,ঝুমৈর গাঁজন। মাঝে মাঝে মুখ চেয়ে ঝুমৈর শুনে নতুন বৌ ঝুমৈর হাঁকাই গা ভিজে, মন ভিজেভাদরের চাল ভিজে নাই। মোরগ লড়াই দুটো মোরগ। দু-জন রসিক।মৃত্যু মৃত্যু খেলা;আখড়ার ভিতর জুড়ে বীর রক্তের তিলক, এই বীর রক্ত সূর্যাস্তে…

নান্দনিক পঙক্তিমালায় লুকোনো বিষণ্ণতা – মুহিম মনির
‘Poetry is the affair of sanity’ বলেই হয়তো কবির কলমে লেখা হয়– ‘জলের রং নেই, কান্না আছে থৈথৈ এসব অবৈজ্ঞানিক ভাবনাই আমার জৈবনিক সদাইপাতি– জীবনে রোদকে বৃষ্টি ভেবেছি, বৃষ্টিকে প্রেমিকা আর প্রেমিকাকে শিল্প; এও জীবনের আধুনিক ভুল স্মৃতির দুর্মর অশ্ব যখন আস্তাবলে ঘুমায় তখন আমি সাহিত্যের ক্লাসে রবীন্দ্রনাথের অধরা মানসীর গল্প শুনিয়ে নিজেরই কথা বলে…