নেই-রাজ্যের, নৈরাজ্যের বাসিন্দা… – সুমন চক্রবর্তী
গলি ছাড়িয়ে হাইরোডে পড়ার ঠিক মুখটাতেই গাড়ির চালক ভদ্রলোককে সঙ্গে নিয়েই ঢুকে পড়েছিলাম একটা ক্যাফে কফি ডে-তে। সেখানে ঢুকেই চোখে পড়ল— একদল মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস ও কথকতায় কর্পোরেট উচ্চারণের আরোপিত ছোঁয়াচসম্পন্ন মাঝবয়সি মানুষ দেশ-রাজনীতি-অর্থনীতি, ট্রাম্প-বাইডেন ইত্যাদি প্রভৃতি বিষয় নিয়ে কফির পেয়ালায় রীতিমতো তুফান তুলে বসেছেন। অনেক চেষ্টা করেও বুঝে উঠতে পারলাম না— এই বহুজাতিক সংস্থাতে কাজ করার সুবাদে হঠাৎ করেই বহুবিধ বৈদগ্ধ্যের দাবিদার হয়ে ওঠা মানুষজনেরা কার বা কীসের পক্ষে এবং বিপক্ষে। এরই মাঝে এক বছর চল্লিশ-পঁয়তাল্লিশের ভদ্রলোক বলে উঠলেন, “শালা এই সিপিএম গুলো আবার এই ছাব্বিশে নভেম্বর একটা নাকি সারা ভারত বন্ধ ডেকে বসেছে! অল দিজ ক্র্যাপ স্টারটেড উইথ দিজ গডড্যাম জ্যোতিবাবু এ্যান্ড হিজ ব্লাডি লাল ঝান্ডা…” ইত্যাদি, প্রভৃতি! এই দলের মধ্যে যিনি বয়সে সবচেয়ে বড়ো তিনি এবার সুরে সুর মিলিয়ে বলতে থাকলেন— “চ্যানেলগুলোতে যে বলে ‘কর্মনাশা বন্ধ’ কথাটা একশো ভাগ ঠিক। বন্ধ করে কার কবে কী লাভ হয়েছে, ভাই! যারা দিন-আনা, দিন-খাওয়া লোক তাদের কথা একবার ভেবে দ্যাখো তো… এই সবজি বিক্রেতা, অটো রিকশাওয়ালা, ওলা-উবারের ড্রাইভারদের কথা কেউ ভাবে! নিশ্চয়ই ভাবে না, ভাবলে এই লোকগুলোর পেটে কেউ লাথি মারত না। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, আমার গাড়ির চালক আগে উবারের গাড়ি চালাতেন, তাই উবার শব্দটি উচ্চারিত হতেই উনি কেমন যেন চনমনে হয়ে উঠলেন, কিন্তু ওনাকে সম্মতিসূচক কোনো শব্দ উচ্চারণের সুযোগ না দিয়েই আমি কফির কাপে শেষ চুমুকটা দিতে দিতেই অনলাইন পেমেন্ট করে চালক ভদ্রলোককে ওঠার ইশারা করলাম। উঠতে যাবো এমন সময় হঠাৎ করেই দেখলাম আমারই এক সহকর্মী সুস্নাত আমার দিকে এগিয়ে এসে করমর্দনের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়ে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। সুস্নাতর সাথে কথা বলে বুঝলাম যে ও অফিসের গাড়ির পিক্-আপের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে, হাতে আধ ঘন্টাটেক সময় থাকায় ক্যাফে কফি ডে-তে ঢুকে ঐ দলটার সাথে দেখা হয়ে যাওয়াতে আড্ডায় মেতেছিল। সুস্নাত হয়তো আরও কিছু কথা বলতে চাইছিল, কিন্তু ওকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্যেই দেরি হয়ে যাচ্ছে এই অজুহাত দেখিয়ে এগিয়ে গেলাম গাড়ির দিকে।
গলি ছাড়িয়ে হাইরোডে আমার গাড়িটা পড়তেই চোখে পড়ল ছেলে-ছোকরাদের বড়ো একটা জটলা। বুঝে ওঠার আগেই, আমার সারথি বলে বসলেন, “স্যার, গাড়িটা ঘুরিয়ে নিই। লকডাউনের বাজারে বেকার ঝুট-ঝামেলায় যাব না।” তাকে থামিয়ে আমি বললাম, গাড়ি ঘোরানোর কোনো প্রশ্নই নেই, যেতে যদি হয় তাহলে আমি ওদিক দিয়েই যাব, তাতে যা হয় হোক। সারথির প্রবল অনিচ্ছা সত্ত্বেও গাড়ি এগোতে থাকল জটলার দিকে। প্রথম যেটা ঠাহর করার চেষ্টা করলাম সেটা হল, ওরা কারা? সেটা জানা না হলেও, যা বোঝা গেল সেটা হল জনৈক এক পেঁয়াজ চাষি ফসলের ন্যায্য দাম না পেয়ে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে এবং এখন তার খাবি-খাওয়া অবস্থা। গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্র পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকার দোহাই দিয়ে হাত তুলে দেওয়ায় এখন গত্যন্তর রোগীকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া। কিন্তু পৌঁছবে কী করে? একের পর এক গাড়িকে হাত দেখিয়ে থামানোর চেষ্টা করা হলেও কাজের কাজ কিচ্ছু হয়নি। বাধ্যত আমিই আমার গাড়ির চালকের ওজর-আপত্তির তোয়াক্কা না করে মুমূর্ষু রোগী ও তার দুজন পরিজনকে আমার গাড়িতে চাপিয়ে রওনা দিলাম কলকাতার উদ্দেশ্যে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই কলকাতার একটা সরকারি হাসপাতালে পৌঁছে ওদের হাতে যৎসামান্য টাকা গুঁজে দিয়ে, বিশাল এক নাগরিক কর্তব্য পালন করেছি– এমন এক তৃপ্তিকে বহন করতে করতে পারি দিলাম সেক্টর ফাইভের ঝাঁ-চকচকে অফিসটার দিকে। কিন্তু কাজে মন বসাতে পারলাম কই! আমার জুনিয়রকে ডেকে বলে দিলাম যাতে আজ পারতপক্ষে সাগরপাড়ের ক্লায়েন্টদের কোনো ফোনকল আমাকে না ডাইভার্ট করা হয়। ততক্ষণে আমার মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগল সেই প্রশ্নটা– কারা ওরা? চিনি কি ওদের? চিনবোই বা কীভাবে? ছোটোবেলা থেকে শেখানো হয়েছে, ওদের কিছু নেই– স্থিতি নেই, ভীতি নেই, রীতি নেই, নীতি নেই, আইন নেই, কানুন নেই, বিনয় নেই, ভদ্রতা নেই, শ্লীলতা-শালীনতা নেই, ঘেঁষবি না ওদের কাছে। কেনই বা ঘেঁষব না– এসব প্রশ্ন সেদিন করা মানা ছিল, আজও তা এড়িয়ে যাওয়াটাই বোধহয় দস্তুর। আজ বুঝলাম ওরা এক অতিকায় নেই-রাজ্যের, নৈরাজ্যের বাসিন্দা। ওদের ফসল আছে, ঠিক দরে বিক্রি করার ক্রেতা নেই, ওদের জন্য কলেজ আছে কিন্তু বিশেষ কারণে সিট নেই, চাকরির পরীক্ষা আছে, চাকরি নেই, নতুন কারখানা, কাজ– কোনোটাই নেই। খেলার-মেলার হিরিক আছে অথচ হাসপাতালে বেড নেই, বরাদ্দ শুধুই ওয়ার্ডের মেঝে, জবকার্ড আছে, জবের নিশ্চয়তা নেই… বাড়ি আছে, ঘর বাঁধার স্বপ্ন নেই, খেলার মাঠ থাকলেও, খেলাটাকে খেলার ছলে নেওয়ার শিক্ষা নেই। দশদিক-দশ দিগন্ত জুড়ে শুধু নেই আর নেই… গণমাধ্যমের পক্ষপাতহীনতা নেই, প্রতিষ্ঠিত রীতি বা প্রণীত নীতির প্রতি শ্রদ্ধা নেই, প্রেরণা জাগানো প্রেম নেই… ওদের প্রতি সম্ভাষণে কারুর দরদ নেই– ঘরে-বাইরে উদাহরণ যা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তা ক্ষুধাহরণের, সুধাক্ষরণের উদাহরণ নয়; তা সুধাহরণের ক্ষুধাভরনের উপকরণ মাত্র। অফিসের দশ বাই দশ কিউবিক্লটা মুহূর্তের মধ্যে হয়ে উঠল রাতের রেলগাড়ি, যেন কোনো এক অজানা অচেনা তমসাচ্ছন্ন ভবিষ্যতের দিকে আমাকে টেনে নিয়ে চলেছে আর সর্পিল ভাবনাগুলো ছড়িয়ে পড়ছে আমার সমগ্র অস্তিত্ব জুড়ে আর একটু একটু করে কুঁড়ে-কুঁড়ে খেতে লাগল আমার মধ্যে থাকা ‘আমি’-টাকে। চোখের সামনে ভাসতে লাগল দিগন্ত বিস্তৃত সেচহীন খেত, মণিহীন চোখ, আর চোখহীন মুখগুলো– যেন একটা স্ফুলিঙ্গহীন ভিজে বারুদের স্তূপের ওপর বসে সাপ-লুডো খেলা। শিক্ষিত মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ সম্মান নিয়ে বাঁচার ন্যূনতম অধিকারটাকেও খর্ব করতে উদ্যত আজ সর্বগ্রাসী রাষ্ট্রশক্তি। তাই এরা বোধহয় আজ পথে এসে দাঁড়িয়েছে। সড়কের মাঝখানে, অদৃশ্য বেয়নেটের মুখোমুখি দাঁড়িয়েও স্পর্ধিত ভঙ্গিতে রাষ্ট্রশক্তির কাছে করছে কৈফিয়ৎ তলব।
কেন্দ্রের সরকার একের পর এক শ্রমিক-কৃষক ও জনবিরোধী নীতি গ্রহণ করে চলেছে… পাশাপাশি জোরকদমে চলেছে রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থাগুলোকে নিলামে তুলে মুনাফাভোগী পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দিয়ে তাদের ওপর থেকে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণকে প্রত্যাহার করার বিপুল আয়োজন। এরকম একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে আক্রান্ত গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, এমনকি সাংবিধানিক কাঠামোর পবিত্রতা রক্ষার মতো গুরুদায়িত্ব পালনের প্রশ্নও আজ অবহেলিত। সারাদিন স্প্রেডশীটে ফর্মুলা বানাতে বানাতে নিজেরাই বুঝে উঠতে পারিনি আমাদের চিন্তন, মনন, ভাবনার ঊষর কতটা নিজেদের অজান্তেই হয়ে উঠেছে বিশ্বাসবর্জিত বোধের ফর্মুলায় বাঁধা অবয়বহীন সংহিতা যেখানে বোধগুলো কতকগুলো জ্যামিতিক আকৃতি আর বিশ্বাসগুলো শুধুই যেন কতকগুলো পেলবতায় মোড়া শব্দতরঙ্গ বিশেষ। আসলে আমাদের দশাটা হয়েছে কতকটা সেই উপকথার গরু হারানো আল ধরে হাঁটা রাখাল বালকটার মতো– আল শেষ হয়ে গেলেও যে হাঁটা যায়, এটাই আমরা ভুলতে বসেছি। এরপর গোদের ওপর বিষফোঁড়া টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর অর্ধসত্য আর অপসত্য দিয়ে গাঁথা ব্রহ্মলোকের নাভিমূল থেকে উঠে আসা তত্ত্বাদির ‘নিরপেক্ষ’ পরিবেশন। স্ক্রিপটেড সব টক-শোতে আমন্ত্রিত হয়ে আসা তথাকথিত সুশীল, সুপণ্ডিতরা তাদের মতো করে গসপেলের ঢঙে দিয়ে যাবেন নতুন কোনো দিশার হদিশ, আঁকবেন বর্ণিল ছবি, ঠিক যেমন শিশু থেকে কিশোরেরা এঁকে থাকে পাড়ায় পাড়ায় ‘যেমন খুশি আঁকো’ প্রতিযোগিতায়… কেউ আবার গ্ৰাফিক্স সম্বলিত কর্পোরেট প্রেজেন্টেশনের কায়দায় সকলের জ্ঞাতার্থে রাখবেন সুজলাং-সুফলাং আত্মনির্ভর ভারতের প্রতিচ্ছবি। আচ্ছা আমরা কি উলটো রাস্তায় হেঁটে উদ্ভুত পরিস্থিতিকে নিজেদের মতো করে বিশ্লেষণ করে ভাবার চেষ্টা করতে পারি না? বোঝাতে পারি না মানুষকে লড়াইটা ঠিক কীসের– জাতের না ভাতের? সুধাহরণের না ক্ষুধাভরনের? যদি তাই হয়, দেশব্যাপী এ লড়াই লড়ছে কারা? সংসদের অভ্যন্তরে বা বাইরে এইসব প্রশ্নে সরব কারা? ভাবুন, ভাবার চেষ্টা করুন।
মহামারীর সময়ে মানুষের জীবন-জীবিকা বিপন্ন; অসংগঠিত ক্ষেত্রের একটা বড়ো অংশ আজ জীবিকা হারিয়ে আয়হীন হয়ে পড়েছে। এই সময়ে বিপন্ন মানবতার পাশে না দাঁড়িয়ে, সহানুভূতির হাত না বাড়িয়ে দিয়ে, রাষ্ট্র বেছে নিয়েছে দমনপীড়নের নীতি– কর্ণপাত পর্যন্ত করেনি, আয়করদাতা নয় এমন সমস্ত পরিবারকে মাসে নগদ ৭৫০০টাকা করে দেওয়া বা রেশনে মাথাপিছু মাসিক ১০কেজি খাদ্যশস্য দেওয়ার দাবিতে। মহামারীর সময়ে যখন রাষ্ট্রের লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবিকাহীন হয়ে পড়েছেন, ঝাঁপ নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে একটার পর একটা কলকারখানার, নতুন কর্মসংস্থানের দিশা দেখাতে রাষ্ট্র সততই ব্যর্থ হচ্ছে, তখন অর্ধাহারে বা অনাহারে দিন কাটানো দীনহীন মানুষের কাছে দুবেলা অন্নাহরণের ব্যবস্থাকে সুনিশ্চিত করতে গ্ৰামের চৌহদ্দি ছাড়িয়ে শহর, আধা-শহর, মফস্সলকে রেগা প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করে ১০০দিনের পরিবর্তে ২০০দিনের কাজ নিশ্চিত করার দাবিকেও নস্যাৎ করেছে এই সরকার। ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’ সুনিশ্চিত করার জন্য ক্ষমতায় আসা সরকার আজ শ্রমিক-কৃষকের আয়বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্ৰহণের পরিবর্তে কর্পোরেট ট্যাক্সে বিপুল ছাড় দিয়ে বড়ো পুঁজিপতিদের পয়োন্নতির পথকে প্রশস্ত করতে দৃঢ়সংকল্প। এর পাশাপাশি কৃষক স্বার্থ পরিপন্থী বিপজ্জনক কৃষি আইন পাশ করিয়ে রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিপুষ্ট নয়া মোড়কে সামন্ততন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাও আমাদের নজর এড়াচ্ছে না। যে দেশের ৯৭% শতাংশ শ্রমিকই অসংগঠিত ক্ষেত্রে নিযুক্ত সেখানে শ্রম বিলকে শ্রম কোডে পরিণত করে মজদুরদের পিঠকেই যে আসলে দেওয়ালে ঠেকিয়ে দেওয়া হল–এটা বুঝতে রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক বিশ্লেষক হওয়ার প্রয়োজন বোধহয় নেই।
এইসব সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতেই দেখলাম সুস্নাতর নম্বর থেকে একটা ফোন এসে ঢুকল। ফোনের অন্য প্রান্ত থেকে ধরা গলায় সুস্নাত জানাল ওকে তিন মাসের অ্যাডভান্স স্যালারি দিয়ে টার্মিনেশন লেটার ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রায় কান্না ভেজা গলায় জানাল নতুন হাউজ বিল্ডিং লোন নিয়েছে, মাসে বত্রিশ হাজার টাকার ইএমআই। এরপর ঠিক আকুতির সুরে বলল, “স্যার অন্যত্র কোনো সুযোগ থাকলে জানাবেন, নয়তো আমার কাছে অপশন বলতে দুটো– এক, বউ-বাচ্চা নিয়ে পথে বসা, দুই আত্মহত্যা।” আমি আমার মতো করে সান্ত্বনা জানালাম বটে, লাভের লাভ খুব হল বলে মনে হল না। মনে পড়ে গেল জেট এয়ারওয়েজের পারভিন, আয়ুষ্মানদের কথা… ওরা সেদিন মোটামুটিভাবে এই কথাগুলো বলা ছাড়াও একটা আপশোশের কথা বলেছিল– “কাস ও লাল ঝান্ডে কে নীচে হামলোগ ভি হরতাল কা দিন সামিল হোতে।”
সর্বোপরি, আপনি স্বাধীন একজন ব্যক্তি মানুষ, তাই বিবেচনার ভার আপনার ওপরেই ছাড়লাম– এই বন্ধকে সমর্থন করবেন কি করবেন না। তবে একটা কথা মাথায় রাখা খুব জরুরি– রাস্তা মেরামতির জন্য রাস্তা বন্ধ রাখাটা কখনও কখনও আবশ্যিক হয়ে পড়ে।