মুসাফির বাঙালি – দময়ন্তী দাশগুপ্ত
সঙ্গের ছবি – বাঙালির চিরকেলে চেনা দার্জিলিং (ম্যল), আলোকচিত্রী – রত্নদীপ দাশগুপ্ত
সঙ্গের ছবি – বাঙালির চিরকেলে চেনা দার্জিলিং (ম্যল), আলোকচিত্রী – রত্নদীপ দাশগুপ্ত
এমনটাই কি কথা ছিল নিবারণ বাবু? তুমিই না একদিন চেয়ে ছিলে এক-একটা কবিতা যেন ফিরিয়ে আনে সুতানুটি-গোবিন্দপুরের রাত্রিকে … তোমারই না দাবী ছিল কবিতারাশি যেন অকস্মাৎ ঠেলে দেয় ময়দানের সবুজ গালিচাকে গঙ্গাসাগরের দিকে এগিয়ে যাওয়া যাত্রি-বোঝাই নৌকার দিকে? তোমার কবিতারই না কথা ছিল নিয়তির কণ্ঠস্বর হওয়ার ঝড়ের ভিতরে … তোমার কবিতারই না কথা ছিল বিষাক্ত…
দুই প্রতিটি শুরুর আগে তার কোনো একটা আসল শুরু থাকে। যেমন থাকে চমৎকার রান্নার আগে ঠিকঠাক মাপমতো তরকারিটা কাটা। না হলে কোনোটা বেশি সিদ্ধ হয়ে যায় আবার কোনোটা পড়ে থাকে সিদ্ধ না হয়েই। আমার এই ঘোরাঘুরির আসল শুরু কিন্তু বন্ধু তাপসের দেখা পাবার পরই। সেই গল্পটা একটু বলে না নিলে কেমন জানি একটু অসম্পূর্ণ থেকে…
ষষ্ঠ পর্ব টিম অদ্রিজার ঝান্ডিধার অভিযান সকাল সকাল রেস্ট হাউসের কর্মচারী এক বালতি গরম জল দিয়ে গেল। এটা শেষ হলে পরে আরেক বালতি দেবে বলল। বিদ্যুৎ নেই বলে এখানে রুমের বাথরুমে গিজারের ব্যবস্থা নেই। বাইরে কাঠের উনুনে গরম জল করে শুধু স্নানের জন্য বালতি করে রুমে রুমে সাপ্লাই দেয়। আমরাও কোনওমতে স্নান সেরে ব্রেকফাস্ট করতে…
সপ্তম পর্ব ভাগ্য ভালো যে পাশে বসা এক শ্বেতাঙ্গ ভদ্রলোক আমাকে আনাড়ি বুঝতে পেরে সিটবেল্টটা পরে নিতে বলেছিলেন, না হলে যে কী হত কে জানে! কারণ প্লেনটা রানওয়ে দিয়ে দৌড় শুরু করে কয়েক মিনিটের মধ্যে এমন উচ্চতায় নিয়ে এল যে কিছুই আর কহতব্য নয়। একে তো প্লেনেও কোনো পাব্লিক এড্রেসের ব্যাপার নেই, যেরকম আমাদের এখানে…
দশম পর্ব সব শেষ-এরও এক নতুন শুরু থাকে এই যে এখন এক ছুটির সকালে যখন আমি হরিদ্বারের সরকারি আবাসনে বসে লেখাটা লিখছি ঠিক সেই সময়ে মৌসুমি মাসিমা নিশ্চয়ই গানের রেওয়াজ সেরে এককাপ চা নিয়ে বসেছে ব্যালকনিতে। কাজের মেয়েটি হয়তো চলে আসবে কিছুক্ষণের মধ্যে। হাঁক দিতে দিতে চেনা মাছ বিক্রেতার সাইকেলটি এসে দাঁড়াল নীচের রাস্তায়। ‘ভালো…
আজ গল্প বলব দার্জিলিং জেলার এক ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম আহালদারার। আমাদের গাড়ি কালিঝোরা পার করে সিটংয়ের রাস্তা ধরল। প্রথমে লোয়ার সিটং তারপর আপার সিটং, সৃষ্টি কর্তার এক অপরূপ কীর্তি এই সিটং গ্রাম। ছোটো ছোটো কাঠের বাড়ি আর কমলালেবুর বাগান। সিটং পেরিয়ে শেলপু বাজার অতিক্রম করে পড়লাম চার রাস্তার সঙ্গম স্থলে, এখান থেকে সোজা চড়াই রাস্তা…