মুসাফির বাঙালি – দময়ন্তী দাশগুপ্ত
সঙ্গের ছবি – বাঙালির চিরকেলে চেনা দার্জিলিং (ম্যল), আলোকচিত্রী – রত্নদীপ দাশগুপ্ত
সঙ্গের ছবি – বাঙালির চিরকেলে চেনা দার্জিলিং (ম্যল), আলোকচিত্রী – রত্নদীপ দাশগুপ্ত
শহর জুড়ে তখন প্রস্তুতি চলছিল উৎসবের। আয়োজন শুরু হয়েছিল অবশ্য অনেক আগে থেকেই। গেল বছর প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে মোক্ষকামী জনতার দিকে ফিচেল হাসির সাথে অঞ্জলি অঞ্জলি গঙ্গাজল ছিটিয়ে দিয়ে ছেলেটা যেই বলে উঠেছিল ‘আসছে বছর আবার হবে’ অথবা ঢাকির পাওনা চুকিয়ে ক্লাব সেক্রেটারি যখন বললেন ‘সামনের বছর চলে এসো ভাই দলবল নিয়ে’ তখন থেকেই আয়োজন শুরু। তারপর সময় রথের চাকা ঘুরতে ঘুরতে সারা হয় খুঁটিপুজো; মাটি লেপা হয় কাঠামোয়; বায়না দেওয়া হয় কুমোরপাড়ায়; প্রতিমার সাজ নিয়ে সান্ধ্য জটলা বসে।
দ্বিতীয় ও অন্তিম পর্ব সামনে সারি সারি পাহাড় না পাহাড়ের ছায়া! সব একাকার। তবে ছায়া আছে। জৌনসার-বাওর এর পাহাড়ে ঢেউ খেলানো চাঁদের আলো। মাঝে মাঝে ছায়া দেখে বোঝা যায় পাহাড়ের শরীর আছে, আছে নানা ভাঁজ, আছে লোমশ অরণ্য। এই বৈশাখী পূর্ণিমায় সে শুয়ে আছে না জেগে আছে আমি বুঝতে পারি না। তার শীত শীত করছে…
এমনটাই কি কথা ছিল নিবারণ বাবু? তুমিই না একদিন চেয়ে ছিলে এক-একটা কবিতা যেন ফিরিয়ে আনে সুতানুটি-গোবিন্দপুরের রাত্রিকে … তোমারই না দাবী ছিল কবিতারাশি যেন অকস্মাৎ ঠেলে দেয় ময়দানের সবুজ গালিচাকে গঙ্গাসাগরের দিকে এগিয়ে যাওয়া যাত্রি-বোঝাই নৌকার দিকে? তোমার কবিতারই না কথা ছিল নিয়তির কণ্ঠস্বর হওয়ার ঝড়ের ভিতরে … তোমার কবিতারই না কথা ছিল বিষাক্ত…
পাঁচ কাজ না থাকলে যা হয় আর কি। পরদিন সকালে আমরা সকলেই ঘুম থেকে উঠলাম অনেক দেরিতে। তবে এছাড়াও একখানা কারণ আছে। একপ্রস্থ নাটক হয়ে গিয়েছে ভোর ভোর। তাপসের সহকর্মী অগ্রজ শ্রদ্ধেয় তপনদা গিয়েছিল টয়লেটে। এবারে সেখানে তো গুচ্ছের কল এবং আরও যা যা থাকে। এবারে তপনদা ঘুম চোখে কোন্টা ঘোরাতে গিয়ে কোন্টা ঘুরিয়ে দিয়েছে।…
অষ্টম পর্ব যত কাণ্ড ক্র্যাঙ্কস্ রিজে স্বামী বিবেকানন্দের দেখানো পথ ধরেই কাঁসারদেবীর এই পাহাড় নানা লেখক, দার্শনিক, শিল্পী, সত্যানুসন্ধিৎসুদের কাছে যেন এক অনিবার্য গন্তব্য হয়ে ওঠে। বিশেষ করে ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে নানা বিদগ্ধ মনীষীরা এখানে এসে ডেরা বাঁধেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন ওয়াল্টার ইভান্স ভেন্তজ্, আলফ্রেড সোরেনসেন (শূন্যতা বাবা), জার্মান চিত্রশিল্পী, কবি ও দার্শনিক…
সকাল বেলায় আবার পা-টা মচকালো তবুও আমার ঘুমটা কেন ভাঙছে না একোন ছাত্রী যাকে তুমি প্রবোধ দাও সে-তো তোমার কোনো কথাই শুনছে না তোমার আকাশ ঈশ্বরময় সর্বদা প্রসাদ-টসাদ খাচ্ছো আবার ছড়াচ্ছো মাইক দিয়ে নামগান আর অত্যাচার বন্ধ পড়া পাশের বাড়ির ছোট্টোটার কেইবা তোমার ভক্তিবোধের হিসেব চায় এসব কথা বলতে নাইকো দুম করে প্রশ্ন করো কবিকে…