খেমটির মন – সুমন মহান্তি

খেমটির মন – সুমন মহান্তি

শেয়ার করুন

চাঁপাশোলের কুলিতে দুপুরের লু বইছে, রোদে ঝলমল করছে শালপলাশের জঙ্গল। সেদিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎই নিজের মরে যাওয়া মা-কে মনে পড়ল সবিতার। রোগা শরীরে তার মা দিনরাত জঙ্গলে ঘুরত, শালপাতা তুলে মাথায় করে বোঝা বয়ে নিয়ে আসত, কাঠি দিয়ে বুনে থালা তৈরি করে বিক্রি করত মহাজনের আড়তে। কত কষ্টই না করত তার মা। মা তো নয়, সাক্ষাৎ লক্ষ্মী। তাদের অভাবের সংসারে মায়ের জন্যই খাওয়া-পরা জুটত। দু-বছর আগে তিনদিনের জ্বরে মা মরে গেল। সেই থেকে সবিতা একেবারে একা। মন তার হু-হু করে ওঠে মাঝেমধ্যে।

বাপটা তার বেজায় ঢ্যামনা, আয়েস করেই এদ্দিন দিব্যি কাটিয়ে দিল। সংসারে মন নাই, উড়ু উড়ু ভাব, মা মরে যাবার পর থেকেই সেটা বেড়েছে। এখন দিনরাত বাগদি পাড়ায় পড়ে থাকে। ভারতী বাগদিতে মজেছে তার বাপ। ভারতী বাগদিকে দু-চোখে দেখতে পারে না সে। ঢলোঢলো ভাব, শরীরে যৌবন উপচে পড়ছে, বেহায়া মেয়েমানুষ। সবাই ওকে ভারতী খেমটি নামেই চেনে। খেমটা নাচটা ভালোই পারে, আবার মাদলের ধিতাং ধিতাং বোলেও সে পা মিলিয়ে বেশ নাচে। লোকে প্রশংসা করে খুব। শুধু ওই গুণ থাকলে সবিতা তাকে অপছন্দ করত না। ভারতী প্রায়ই নেশায় চুর হয়ে থাকে, টাকা পেলেই সে নাকি বাবুদের কোলে উঠে পড়ে। এমন কথা তার কানে এসেছে। ভারতী বাবুদের কোল থেকে বিছানায় যায় কিনা তা বোঝা দায়। এই ভারতীতে মজেছে তার বাপ। কানে কথা ভেসে আসে। সেগুলো শুনে বুক জ্বলে তার।“ভারতী! উ তো রাখু মাহাতোর রাখনি।”

রাখনি রাখার বেলায় বাপের টাকার অভাব হয় না।

আজকাল রোজগার নাকি ভালোই হচ্ছে। খেমটি নাচের আসর প্রায়ই বসছে এখানে সেখানে। খেমটি নাচের সময় স্বয়ং রাধাকেষ্ট নামেন আসরে। লীলা কেত্তন শোনে সবাই। কেষ্ট তো লয়, রঙ্গলাল। ঢঙচঙ দেখানোই তার কম্ম। আসরে ভারতী রাধা সাজে, তালে তালে লেচে কেষ্টকে মজাতে চায়। কেষ্ট বেজায় রসিক, ছলাকলা দেখলেই মন ভরে। সেই আসরে তার বাপ হারমোনিয়াম বাজায়। বাপের আঙুল হারমোনিয়ামের রিডে সাংঘাতিক সড়গড়। কেষ্টলীলার মাহাত্ম্য শোনায়, শুনে ভাবে গদগদ হয় লোকজন। মুগ্ধ হয়ে তারা বলাবলি করে, “উস্তাদ লোক বটে রাখু মাহাতো।’’

এসব শুনে মেয়ে হয়ে বুকটা গর্বে ফুলে ওঠার কথা। তেমনটা মোটেই হয় না। 

সবাই তো গদগদ হয় না, ফোড়নও কাটে। আড়ালে-আবডালে বলে, “রাখু মাহাতো! উ আবার মরদ নাকি? উ তো ভারতী খেমটির ডিগিতবলা! উয়াকে তালে তালে লাচায়। শিরদাঁড়াটা উ ভারতীর কাছ্যে বন্দক রাখ্যেছে।’’

শুনে তার প্রবল কান্না পায়। বাপের কম্ম, বাপের জীবনকে ঘেন্না ধরে। মরে যেতে ইচ্ছে করে। চাইলেও কী আর অত সহজে মরণ আসে! মরতে গেলেও মনের জোর লাগে। খালি মনে হয় যে তার কেউ নাই, তার সুখদুখ বোঝারও কেউ নাই। মায়ের কথা খুব মনে পড়ে। আজ মনে পড়ল যেমন।


কান্না চেপে ঘরের দিকে পা বাড়াল সবিতা। ঘর বলতে মাটির বাড়ি, দু’খান অন্ধকার খুপরি, মাথায় খড়ের ছাউনি। এটাও তার অকম্মা বাপ করেনি, মা গায়ে-গতরে খেটে করিয়েছিল। মা চলে যাবার পর ঘরেও একদন্ড মন বসে না তার। কোথাও পালিয়ে যেতে সাধ হয়। পালিয়ে যাবার তেমন জায়গা থাকলে কবেই সে চলে যেত। তার কোনও পিছুটান নাই এই জীবনে।

#

শালপলাশের বনে অন্ধকার নামছে। সন্ধ্যা ঘন হয়েছে, কুমড়োফালির মতন চাঁদ দেখা যাচ্ছে আকাশে। সাঁওতাল পাড়ায় মাদল বাজছে ধিতাং ধিতাং। ছন্দময় সেই বোল ছড়িয়ে পড়ছে বাতাসে।

চাঁপাশোল গাঁয়ের লোক বলাবলি করছে, “ইবার খেমটা হবেক। ভারতী লাচবেক খেমটা। তার লাচ দেখে বায়না ধরবে্ক কুসুককানালির লোক। মারুতি ভ্যান চাপ্যে চারজন বাবু আসেছেঁ, চোখেমুখে জেল্লা, পকেটে ফোন। ভারতীর লাচ মনে ধরলে সামনের শনিবার কুসুককানালিতে হাটের শেষে লাচাবেক। ভারতীর লাচ মনে ধরবেক লাই তা হত্যে পাঁরে কখনো?’’  


কুসুককানালির হাটে কাঁচা পয়সা ওড়ে, দূরদূরান্ত থেকে গরুর ব্যাপারীরা আসে, কাঁচা সবজির পাইকাররা আসে, চুড়ি আর খাবারদাবারের দোকান বসে। ভারতীর পসার জমবে, রাখুরও গতর ফুলবে, পকেট গরম হবে। চারজন বাবুর সামনে ভারতী আজ খেমটা লাচবে তাই। তাকে দেখাতে হবে তার নাচের যাদু, তবেই বাবুরা বায়না করে যাবের। ভারতী সাজগোজে ব্যাস্ত, তাঁতির মাকুর মতন এদিক সেদিক দৌড়ঝাঁপ করছে রাখু। এমন আসরে সমস্ত কিছুর দেখভাল তাকেই করতে হয়। খুঁত থাকলে ভারতী বিগড়ে যায়, তাকে আদর-সোহাগ না করে মুখঝামটা দেবে।

মাহাতো পাড়ার দুই জোয়ান রবি আর লখিন্দর পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। রাখু দাওয়ায় বসে বিড়ি ফুঁকছিল আয়েস করে। এতক্ষণে সে একটু জিরানোর সময় পেয়েছে।রবি জিজ্ঞাসা করে, “কী হে রাখুখুড়া, কারা যেন আসেছে এ গাঁয়ে?’’“কুসুককানালির বাবুরা।”“খেমটা হবেক নাকি?’’ “হুঁ,’’ রাখু ধোঁয়া ছেড়ে বলল, “ক্যানে?’’“না, এমনিই বলছিলম। খেমটা হল্যে খেতি তো নাই। তুমার পসার জইমছে বেশ। ভারতীরও জইমছে। তুমার খুড়া ষোলো আনাই লাভ। টাকাও খাচ্ছ, গতরও খাচ্ছ! কপাল বটে তুমার।’’রবির চোখে ব্যঙ্গের হাসি। তেলেবেগুনে জ্বলে বিড়ি ছুঁড়ে দিয়ে রাখু ভেতরে চলে গেল। রবি চোখে নাচিয়ে লখিন্দরকে বলল, “সবিতা কুথায় রে?’’লখিন্দর উত্তর দিল, “কুথায় আর যাবেক। ঘরেই থাকবেক।’’“উয়াকে ডাইকতে পারবি?’’“কেনে?’’“শালা ঢ্যামনা, কিছুই বুঝুস নাই?”লখিন্দর মাথা নাড়ে, “উ তোর ডাকে ক্যানে আসবে্ক? সবাই কি ভারতী খেমটি?’’মুখ ভেঙিয়ে রবি বলল, “ক্যানে আসবেক! রাঁড়খোরের বিটি, অত সতী ভাব দেখালে চলবেক? দু’দিন বাদে শিয়াল-কুকুরে ছিঁড়ে খাবেক। রাখু এখন ভারতী মাগীকে লিয়ে মাইতে থাকবেক। ই সুযোগ ছাইড়লে চলবেক?’’বিবর্ণ প্যান্টের পকেট থেকে একশো টাকার নোট বের করে লখিন্দরের হাতে গুঁজে দিল রবি। মুখে হাসি, “যা, উয়াকে শালজঙ্গলের কাছে মহুয়া গাছটার নীচে আসত্যে বলবি। উইঢিপির পাশেই থাকব। আলেই আরও টাকা দিব। কান কামড়্যে বুঝাবি। পয়সা পাল্যে ঠিক আসব্যেক উ।’’  “না লেয় যদি?’’“তখন আলাদা ফিকির আঁটব। উয়াকে আমার চাই বটে।” মাটির মেঝেতে বসে শালপাতার থালা বুনছিল সবিতা। লখিন্দরের পায়ের শব্দ পেয়ে সে চমকে ওঠে। ভুরুতে বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট। লখিন্দর তার পাশে মাটিতেই বসে পড়ে একগাল হেসে বলল, “তোকে দেখত্যে আইলম।’’সবিতা ঝাঁঝালো গলায় বলে, “বটে? তোকে চিনতে বাকি নাই আমার। তুই ঐ হারামি রবি বাগদির চামচা আছুস। দূর হ, ইখানে ক্যানে আসেছিস?”লখিন্দর সবিতার হাত ছুঁয়ে বলল, “অমন বলিসনি রে সবি। আমি তোর শত্তুর লই।”“রবিটা চামখোর। উয়ার মাগ আছে, দু’দিন পরে বাচ্চা হবেক। উয়ার মতলব মন্দ, চোখ দেখলেই বুঝা যায়।  অমন লোকের সাথে তোর অত গুজগুজ কীসের? লখা, লোকে তোকেও খারাপ চোখে দ্যাখে। উয়াকে ছাড়তে পারছিস নাই? চামচা হয়েঁ ক’ টাকা পাস?” সবিতা রাগে কাঁপে তিরতির।“ছাড়্যে দিব ইবার। তুই লোটটা রাখ,” পকেট থেকে একশো টাকার নোটটা বের করে লখিন্দর। চোখ সরু করে তাকায় সবিতা, “টাকা লিব ক্যানে? মতলব কী তোর?’’“কুনো মতলব লাই রে সবি। এমনিই দিচ্ছি ধরে লে। তোর কেউ নাই, মা-টা মরে গেল, আর বাপটাও ঘুরে দ্যাখে না। ভালোমন্দ খাবি একটুকু।’’উদাস হয়ে গেল সবিতা, “বাপটা রাখনি পায়েঁছে, আমাকে দেখবেক ক্যানে বল?’’টাকাটা হাতে গুঁজে দিয়ে উঠে দাঁড়াল লখিন্দর, “চলি রে সবি।’’সবিতার মনে যে কী হয়ে গেল! লখাকে ভালো মানুষ বোধ হচ্ছে, তার হাতের ছোঁয়ায় বাঁশপাতা হয়ে কাঁপতে চাইছে শরীর। এমনটা আগে তো হয়নি!সে আবেগে লখিন্দরের হাত শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল, “তুই আমাকে লিয়ে যাবি?’’“কুথায়?’’“অনেক দূরে। এই গাঁয়ের লোক যেথায় যাত্যে লারবেক। সিখানে তুই থাকবি আর আমি। লাচ দেখাব, গান গাইব, বাবুরা আসবেক, ঢের টাকা দিবেক। চ’ না, সিখানেই পালায়েঁ যাই। ইখানে মন বসে না, মর‍্যে যাতে সাধ হয়।”হতচকিত লখিন্দর দাঁড়িয়ে থাকল। কোথা থেকে কী যে হয়ে গেল! এসেছিল চামচাগিরি করতে, অতশত ভাবেনি। এখন মায়ার বাঁধনে আটকে পড়ে যাচ্ছে।সবিতার চোখে জল, “কথা কইছিস না যে! জবাব দিবি নাই তাহলে? লিয়ে যাবি নাই তালে?’’ লখিন্দর কম্পিত স্বরে শুধু বলতে পারে, “দিব। একটুকু ভাবত্যে দিবি তো?’’

#

বরাবাজার, মানবাজার, ঝালদা জুড়ে সবি খেমটির খুব নামডাক এখন। এক রাতে দশ হাজার এক টাকা। শুধু খেমটা নয়, ঝুমুরনাচেও ওস্তাদ তার দল। তার দলে সবাই সম্মান পায়, সবাই সমান ভাগীদার। একজন হারমোনিয়ামে ওস্তাদ তো আর একজন কেত্তনে কিস্তিমাত করে আসরে। শুখা, হাড়গিলে চেহারা বদলে গিয়ে শরীরে জেল্লা ফুটেছে, তার নাচের মুদ্রায় আসর অস্থির হয়। ভিড় করা কালো মাথাগুলো কী চায় তা বুঝে নিয়ে সে ছন্দ তৈরি করে। খুব প্রশংসা জোটে, বায়নার পর বায়না আসতেই থাকে। ভাগ্যিস সে লখার হাত ধরে চাঁপাশোল গাঁ ছেড়ে পালিয়ে এসেছিল। 


লখিন্দরও খাসা আছে। পুরনো একটা মারুতি ভ্যান সস্তায় কিনেছে। দিনের বেলা ভাড়া খাটে, রাতেও দূরে দূরে যায়। মাঝেসাঝে কয়েকটা রাতে নাচের আসরে সবিতার দলকে নিয়ে যায়। ঘরটা এখন মেডেলে ভর্তি। একটা চার বছরের মেয়ে হয়েছে। আসরে সবিতা যখন নাচে লখিন্দর বাচ্চামেয়েকে রাখে, সামলায়, খাইয়ে দেয়।


দেখতে দেখতে আরেকটা শীত চলে এল। দাওয়ায় গুটিসুটি মেরে আনমনা বসে থাকে সবিতা।লখিন্দর জিজ্ঞাসা করে, “কী হল তোর?’’সবিতা নিশ্বাস ফেলে বলে, “বাপটাকে একবার দেখতে মন করছে।’’সাত বছর দেখেনি সবিতা, চাঁপাশোল গাঁয়েও যায়নি। খবর কানে এসেই যায়। রবি বাগদি হাইরোডে ট্রাক চাপা পড়ে মারা গেছে। ভারতী খেমটির নাচের আর কদর নাই, সে এখন জমিতে কামিনের কাজ করে। রাখু মাহাতো বিছানা নিয়েছে দু’বছর, শরীরে বিস্তর রোগ, লাঠিতে ভর করে হাঁটে।লখিন্দর অবাক, “যাবি তুই?’’“হঁ। পোষ পরবে নাকি ইবার লাচের লড়াই হবেক। উখানে লাচব, পেরাইজ আনব।”“এত্ত পেরাইজ পায়েও চাঁপাশোলে লাচের লড়াই করবি?”“করব। ক’দিন আর আছে? জোর তালিম চলবেক,” সবিতা বলল, “নিজের গাঁ-কে দেখাতে মন চায়।”
চাঁপাশোলের বনবাদাড় পেরিয়ে মারুতি ভ্যান এগোচ্ছে।লখিন্দর জিজ্ঞাসা করল, “বাড়িতে যাবি তুই?’’“হঁ। ক’টা দিন উখানেই থাকব,’’ সবিতার ঠোঁটে মুচকি হাসি।লখিন্দর রেগে গিয়ে বলল, “যে তোকে দ্যাখে নাই, ফূর্তি কর‍্যেছে খালি, তার কাছে থাকবি?”“উয়াকে আজও আমি ঘেন্না করি।’’ “বটে?’’ লখিন্দর গাড়ির স্পিড বাড়ায়।লখিন্দরের কাঁধে মাথা এলিয়ে দিয়ে সবিতা ছলোছলো চোখে বলল, “বাড়িটা কী আর বাপের? মা বানাইছিল। উখানে মায়ের পায়ের ছাপ আর যতন আছে যে! মা লক্ষীর ভিটায় না গেলে মন ঠান্ডা হবেক নাই। তাই ছুট্যে আইলম এদ্দুর। তুই গাড়িটা থামা ইবার।”ভ্যান থেকে নেমে লাল মাটি ছুঁয়ে প্রণাম করে হাসিমুখে সবিতা লখিন্দরের দিকে তাকিয়ে বলল, “বাপ লয় রে লখা, ইখানকার মাটি বড় টানছিল। মা আর মাটিকে গড় করত্যেই আসেছি চাঁপাশোলে। ইবার গাড়িটা ঘুরাই লে। ফিরতে হবেক।’’হাসিটা অপূর্ব মনে হল লখিন্দরের। তবে সে বেশ অবাক হল। বিস্মিত গলায় লখিন্দর জানতে চাইল, “লাচের আসর? কাল যে হবার কথা! তুই যে সেজন্য আস্যেছিলি?’’“যে গাঁয়ে রাখু বায়না ধইরত আর ভারতী খেমটি লাচ কইরত সিখানে এই সবিতা কক্ষণো লাচতে পারে? কী করে ভাবলি রে তুই? পেরাইজে কী হবেক? অমন অনেক পেরাইজ আর মেডেল পাব বটে। উয়ার চাইতে মরণ হওয়া ভালো,’’ সবিতা চোয়াল শক্ত করল।লখিন্দর গাড়ি ঘুরিয়ে নিল। বেলাশেষের লাল ধুলো উড়ল গাড়ির চারপাশে। লখিন্দর মাহাতো সবি খেমটির বদলে সাত বছর আগের সবিতা মাহাতোকে দেখতে লাগল প্রাণভরে। 

শেয়ার করুন

ক্যাটেগরি বা ট্যাগে ক্লিক করে অন্যান্য লেখা পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরনো লেখা

ফলো করুন

Recent Posts

Recent Comments

আপনপাঠ গল্পসংখ্যা ২০২২