জীবনের কথা বলিতে ব্যাকুল (গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের আত্মজীবনী) – অনুবাদ: অরুন্ধতী ভট্টাচার্য ( পর্ব ৬ )

জীবনের কথা বলিতে ব্যাকুল (গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের আত্মজীবনী) – অনুবাদ: অরুন্ধতী ভট্টাচার্য ( পর্ব ৬ )

শেয়ার করুন

মূল স্প্যানিশ থেকে অনুবাদ: অরুন্ধতী ভট্টাচার্য

পর্ব – ৬

রাস্তা থেকেই প্রথম বাড়িটাকে দেখলাম। আমার স্মৃতির সঙ্গে সেই দৃশ্যের মিল খুবই কম আর নস্টালজিয়ার সঙ্গে তো একেবারেই কোনো সঙ্গতি নেই। বাড়ির সামনে যে দুটো বাদাম গাছ অভিভাবকের মতো বছরের পর বছর ধরে অভ্রান্ত চিহ্নস্বরূপ দাঁড়িয়েছিল তা মূল থেকে কেটে ফেলা হয়েছে। তার ফলে বাড়িটা হয়ে পড়েছে অনাবৃত। দগ্ধ সূর্যের নীচে যেটুকু বাকি পড়ে আছে তার সামনেটা বড়োজোর তিরিশ মিটার দীর্ঘ। তার অর্ধেক জুড়ে আছে টালির চালের ঘর যাকে দেখে পুতুলের বাড়ি বলেও মনে হতে পারে আর বাকি অর্ধেক অমসৃণ কাঠের তক্তা দিয়ে ছাওয়া। বন্ধ দরজায় মা মৃদু করাঘাত করলেন। কয়েক মুহূর্ত পরে আরেকটু জোরে। তারপর জানলা দিয়ে ডাকলেন:
—‘কেউ আছেন?’
দরজাটা ধীরে ধীরে অল্প একটু খুলে গেল। ছায়ার মধ্যে থেকে একজন মহিলা কথা বললেন:
—‘কী দরকার?’
এক ধরনের কর্তৃত্বের সুরে মা উত্তর দিলেন, সম্ভবত অসচেতনভাবেই:
—‘আমি লুইসা সান্তিয়াগা।’

তখনই সদর দরজাটা পুরো খুলে গেল। একজন শীর্ণকায়, শোকের পোশাক পরিহিতা মহিলা অন্য এক জগৎ থেকে আমাদের দিকে তাকালেন। পেছনে বসার ঘরে এক বয়স্ক ভদ্রলোক পঙ্গুদের চেয়ারে বসে দোল খাচ্ছেন। এঁরাই হলেন ভাড়াটে। বহু বছর পরে যাঁরা বাড়িটা কেনার প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের অবস্থা দেখে কিনতে পারবেন বলে মনে হচ্ছে না। আবার বাড়িটারও এমন অবস্থা যে অন্য কোনো ক্রেতা পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। আমার মা যে টেলিগ্রাম পেয়েছিলেন সেই অনুযায়ী ভাড়াটেরা দামের অর্ধেক টাকা হাতে হাতে দেবেন ও মা প্রাপ্তি স্বীকার করে সাক্ষর করবেন। তারপর বাকি অর্ধেক দেবেন সেই বছরের মধ্যেই, কোর্টের কাগজপত্রে সই-সাবুদ শেষ হওয়ার পর। কিন্তু ভাড়াটেরা বা মা কেউই মনে করতে পারলেন না দেখা করার দিনটা ঠিক কবে স্থির হয়েছিল। তারপর এক দীর্ঘ ও ব্যর্থ কথাবার্তার পর শেষ পর্যন্ত একটা ব্যাপারই নিশ্চিত হল যে, কোনো চুক্তিরই কোনো অস্তিত্ব নেই। সেই জঘন্য ও কুখ্যাত গরমের মধ্যে বসে ঘেমে-নেয়ে মা চারদিকে একবার চোখ বোলালেন। তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন:
—‘বাড়িটা একেবারে শেষ দশায় পৌঁছে গেছে।’
—‘তার থেকেও খারাপ,’ লোকটি বললেন, ‘বাড়িটা যে আমাদের মাথায় ভেঙে পড়ছে না তার কারণ এটার মেরামতির পেছনে আমরা অনেক টাকা খরচ করেছি।’

বাড়িটা সারানোর যে যে কাজ বাকি আছে তার একটা তালিকা তাঁরা দেখালেন। এছাড়াও অন্যান্য যে কাজ হয়েছে তা ভাড়ার টাকা থেকে বাদ গেছে। হিসেবের শেষে যা দাঁড়াল তাতে আমাদেরই তাদেরকে টাকা দিতে হবে। আমার মা, যিনি খুব অল্পেই কেঁদে ফেলেন, তিনি কিন্তু জীবনের সমস্যা মোকাবিলায় প্রখর তেজোদীপ্ত। বেশ ভালোই যুক্তিজাল বিস্তার করেছিলেন তিনি। আমি অবশ্য কোনো কথাই বলিনি। কারণ প্রথম ধাক্কাতেই বুঝে গিয়েছিলাম ক্রেতাদের দিকটাই সঠিক। টেলিগ্রামে বিক্রির কোনো তারিখ বা তা কীভাবে হবে সে বিষয়ে কিছু লেখা ছিল না। বরং সেটা পড়ে মনে হবে একমত হওয়া এখনও বাকি আছে। এটা আসলে কোনো কিছু আন্দাজ করে নেওয়ার ঘরোয়া প্রবণতার উদাহরণ। আমি বেশ বুঝতে পারছিলাম কেমন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দুপুরবেলার খাবার টেবিলে বসে, ঠিক যখন টেলিগ্রামটা এসেছিল তখন। আমাকে বাদ দিলে এই সম্পত্তির অধিকারী ছিল দশ ভাই-বোন। শেষ পর্যন্ত এদিক-ওদিক থেকে কিছু টাকা জোগাড় করে নিজের স্কুলের ব্যাগে ভরে নিয়ে মা রওনা দিয়েছিলেন, শুধুমাত্র ফেরার পয়সাটুকু সঙ্গে নিয়ে।
আমার মা ও ভাড়াটে মহিলা একই কথা আবার প্রথম থেকে বলে গেলেন এবং আধ ঘণ্টারও কম সময়ে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম যে বাড়ি বিক্রি হবে না। অন্যান্য অনতিক্রম্য বাধার অন্যতম হল আমরা কেউই মনে করতে পারলাম না যে বাড়িটা বন্ধক দেওয়া আছে। এই সমস্যার সমাধান হয়েছিল বহু বছর পরে যখন শেষ পর্যন্ত বাড়ি বিক্রির চূড়ান্ত ব্যবস্থা হয়। তাই ভাড়াটে মহিলা যখন আবার একবার তাঁর পুরোনো যুক্তিগুলো পুনরাবৃত্তির চেষ্টা করলেন মা তাঁকে থামিয়ে দিয়ে স্বভাবসিদ্ধ অদম্য ব্যক্তিত্ব সহ বললেন:
—‘বাড়ি বিক্রি হবে না। মনে রাখবেন আমরা এখানে জন্মেছি, এখানেই মরব।’
দুপুরের বাকি সময়টা, যতক্ষণ না ট্রেন এসে পৌঁছল, আমরা ওই আধিভৌতিক বাড়ির স্মৃতিচারণ করতে লাগলাম। গোটা বাড়িটাই আমাদের ছিল। এখন শুধু সামনের অংশ, যেখানে আমার দাদামশাইয়ের অফিস ছিল, তা ভাড়া দেওয়া হয়েছে বলে সেটুকুই ব্যবহৃত হচ্ছে। বাকি যা আছে তা হল এক ভগ্ন খোলস—নোনাধরা দেওয়াল ও মরচে পড়া অ্যাসবেসটসের ছাদে টিকটিকির আবাস। মা সম্পূর্ণ হতোদ্যম হয়ে যেন শেষ বাক্যটা বললেন:
—‘এ আমাদের বাড়ি নয়!’

কিন্তু কোন্ বাড়িটা তা উল্লেখ করলেন না। যদিও আমার পুরো ছোটোবেলা জুড়ে এই বাড়িটার এতরকম বর্ণনা শুনেছি যে নিদেনপক্ষে তিনটে বাড়ি বলে মনে হতে পারে। বিভিন্ন জনের বর্ণনায় বাড়িটার ভিন্ন ভিন্ন আকৃতি ও অভিমুখ পাওয়া যেত। আমার দিদিমাকে হতচ্ছেদ্দার সঙ্গে যা বলতে শুনেছি সেই অনুযায়ী বাড়িটা আদতে ছিল আদিবাসীদের কুঁড়েঘরের মতো। তারপরে দাদু-দিদিমা পাম গাছের পাতার ছাউনি দিয়ে বাঁশ ও মাটির দেয়ালের বাড়ি তৈরি করেছিলেন। সেই বাড়িটাতে ছিল একটা বড়ো আলোকজ্জ্বল বসার ঘর, ছাদের মতো একটা খাবার ঘর—রঙিন ফুলের গাছ দিয়ে সাজানো, দুটো শোবার ঘর, উঠোনে একটা বিশালাকৃতির বাদাম গাছ, যত্ন করে তৈরি একটা শাক-সব্জির বাগান আর একটা জন্তু-জানোয়ারের খোঁয়াড় যেখানে ছাগলেরা শুয়োর আর মুরগিদের সঙ্গে ভাবসাব করে থাকত। তারপরে যে কথাটা সবচেয়ে বেশি শোনা যেত তা হল এক ২০শে জুলাইয়ের স্বাধীনতা দিবসের উৎসবে (সেই অসংখ্য যুদ্ধের সময়ে ঠিক কোন্ বছর তা কারুরই মনে নেই) ওই বাড়ির চালে হাউই পড়ে আগুন লেগে গোটা বাড়িটা ভস্মীভূত হয়ে যায়। শুধুমাত্র বেঁচে গিয়েছিল সিমেন্টের মেঝে আর পাশাপাশি লাগোয়া দুটো ঘর যাদের একটাই দরজা ছিল রাস্তার দিকে মুখ করা। বিভিন্ন সময়ে সরকারের কর্মী থাকাকালীন পাপালেলোর অফিস ছিল সেইখানে।

সেই সদ্য ভস্মীভূত ধ্বংসস্তুপের উপর এবারে তাঁরা পাকাপোক্ত একটা বাড়ি বানালেন। তাতে পরপর সার দিয়ে আটখানা ঘর, তাদের সামনে টানা একটা বারান্দা যার লাগোয়া একটি অংশে বেগোনিয়া ফুলের গাছেদের মধ্যে বসে বাড়ির মেয়েরা ফুরফুরে বাতাসের বিকেলে সেলাই করত আর গল্প করত। ঘরগুলো ছিল খুব সাধারণ, একই রকমের দেখতে। কিন্তু এক ঝলকের দেখাই আমার বুঝে নেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট ছিল—ওই ঘরগুলোর অগণিত সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বর্ণনার প্রত্যেকটির মধ্যে লুকিয়ে আছে আমার জীবনের কোনো না কোনো গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।

প্রথম ঘরটা ছিল অতিথিদের জন্য আর ওখানেই ছিল পাপালেলোর অফিস। সেখানে ছিল একটা লেখার টেবিল যার একটা দিক কাঠ দিয়ে ঘেরা, গোল করে ঘোরানো যায় এমন একটা স্প্রিং দেওয়া চেয়ার যার পিঠের দিকটা অনেকটা উঁচু, একটা ফ্যান এবং একটা ফাঁকা বইয়ের আলমারিতে থাকত শুধু বিরাট মোটা ছিঁড়ে যাওয়া একটা স্প্যানিশ ভাষার অভিধান। ঠিক তার পাশেই ছিল দাদুর কর্মশালা। সেখানে দাদু তাঁর জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময়গুলো কাটিয়েছেন ছোটো ছোটো সোনার মাছ তৈরি করে। তাদের চোখ হত পান্নার। এই কাজটা তাঁকে খাওয়ার থেকেও বেশি আনন্দ দিত। বিশেষ বিশেষ কিছু ব্যক্তিকে তিনি সেই ঘরে ডাকতেন, যেমন, রাজনীতির মানুষ, বেকার হয়ে যাওয়া সরকারী কর্মী ও যুদ্ধ ফেরত সৈনিক। সেখানেই এসেছিলেন জেনারেল রাফায়েল উরিবে উরিবে ও জেনারেল বেঞ্জামিন এররেরা। দুই ভিন্ন সময়ে তাঁরা এসেছিলেন এবং দুজনেই পরিবারের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়েছিলেন। জেনারেল উরিবে উরিবের যে কথাটা দাদু সারা জীবন মনে রেখেছিলেন তা হল তাঁর মিতাহার: ‘তাঁর ছিল পাখির আহার।’

অফিস আর কর্মশালার সামনের অংশটায় মেয়েরা আসতে পারত না, ঠিক যেমন শহরের সরাইখানা তাদের জন্য আইনানুগভাবে নিষিদ্ধ ছিল। এ হল আমাদের ক্যারিবিয়ার নিজস্ব সংস্কৃতি। সে যাই হোক, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই জায়গাটা রুগির ঘরে পরিণত হল। সেখানে মারা গেলেন পেত্রামাসি। আর পাপালেলোর বোন ওয়েনেফ্রিদা মার্কেস তাঁর দীর্ঘ রোগভোগের শেষ সময়টাও ওখানে ছিলেন। আমার শৈশবে যতজন মহিলা ওই বাড়িতে সারাক্ষণ থাকতেন আর যাঁরা কিছুদিনের জন্য এসে থাকতেন সেই সময় থেকে তাঁদের নিয়ে তৈরি হল পৃথক এক দুর্ভেদ্য স্বর্গরাজ্য। আমিই ছিলাম একমাত্র পুরুষ যে দুই পৃথিবীরই সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতাম।

বারান্দা ও তার লাগোয়া যে অংশে বসে মেয়েরা সেলাই করতেন তারই সম্প্রসারিত অংশ ছিল খাবার ঘর। সেখানে ছিল ষোলজনের বসার মতো একটা টেবিল—আমন্ত্রিত অথবা অনাহুত অতিথিদের জন্য, যারা প্রতিদিন দুপুরবেলার ট্রেনে আসতেন। সেখানে দাঁড়িয়ে মা বেগোনিয়া গাছের ভেঙে যাওয়া টব, পচে যাওয়া শষ্যদানা আর পিঁপড়ে-কাটা জুঁইগাছের গোড়ার দিকে তাকিয়ে একটা নিশ্বাস নিয়ে বললেন:

—‘মাঝে মাঝে এই জুঁইয়ের উগ্র গন্ধে আমরা নিশ্বাস নিতে পারতাম না।’ তারপর উজ্জ্বল আকাশের দিকে তাকিয়ে হৃদয়ের গভীর থেকে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, ‘তবে সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে বিকেল তিনটের ঝড়ের কথা।’


মায়ের কথাটা আমায় নাড়া দিল। কেন-না আমারও সেই অভূতপূর্ব গর্জনের কথা মনে ছিল। যেন পাথরের ঝড় বয়ে যেত আর আমরা সিয়েস্তা থেকে উঠে পড়তাম। কিন্তু এর আগে কখনও ভাবিনি যে ঝড়টা আসত ঠিক তিনটের সময়।
করিডরের পরের ঘরটা বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য রাখা ছিল। অতিথিরা পুরুষ হলে তাদের অফিসে বসিয়ে ঠান্ডা বিয়ার দিয়ে অভ্যর্থনা করা হত আর মহিলারা আসলে বেগোনিয়া গাছের বারান্দায় বসতে দেওয়া হত। তারপর একটার পর একটা শোবারঘর—এক একটি উপকথার জগৎ। প্রথমটা ছিল দাদু-দিদিমার। বারান্দার দিকে মুখ করা তার বিরাট বড়ো দরজা আর ছিল একটা কাঠের উপর খোদাই করা ফুলের ছবি, তার মধ্যে লেখা তৈরির কাল: ১৯২৫। সেইখানে, আগে থেকে কিছুমাত্র আভাস না দিয়ে, আমাকে অপ্রত্যাশিতভাবে চমকে দিয়ে মা গর্বের সঙ্গে বললেন:
—‘আর এইখানে তুমি জন্মেছিলে।’

তখনও পর্যন্ত তা আমি জানতাম না। অথবা ভুলে গিয়েছিলাম। তবে পাশের ঘরে সেই দোলনাটা দেখতে পেলাম যাতে আমি চার বছর বয়স অবধি ঘুমিয়েছি। আমার দিদিমা সেটা সযত্নে রক্ষা করেছেন চিরদিনের জন্য। দোলনাটার কথাও ভুলে গিয়েছিলাম। কিন্তু যে মুহূর্তে সেটা দেখলাম আমার নিজেকে মনে পড়ে গেল। ছোটো ছোটো নীল ফুলের একটা নতুন ওভারঅল পরে আমি চিৎকার করে কাঁদছি যাতে কেউ এসে গুয়ে মাখামাখি আমার জাঙ্গিয়াটা খুলে দেয়। তখন আমি সেই ছোট্ট ভঙ্গুর দোলনাটার রডগুলো ধরে সবে একটু একটু দাঁড়াতে পারি। এই ঘটনাটা নিয়ে আত্মীয়-বন্ধুদের মধ্যে তখন প্রায়শই হাসাহাসি হত। তাদের মতে সেদিন পায়খানা করে ফেলায় আমার যে বিরক্তি প্রকাশ পেয়েছিল তা আমার বয়সের তুলনায় একেবারেই মানানসই নয়। তারা আরও হাসত যখন আমি বারবার বোঝাতে চাইতাম যে পায়খানা করে ফেলার জন্য আমি ভয় পাইনি, বরং তা ছিল নতুন জামাটা নোংরা করে ফেলার আতঙ্ক। অর্থাৎ, স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতনতা নয়, আসলে তা ছিল সৌন্দর্যবোধ সংক্রান্ত ভাবনা। যেভাবে ঘটনাটা আমার মনে গাঁথা হয়েছিল তাতে মনে হয় যে লেখক হিসাবে সেটাই ছিল আমার প্রথম অভিজ্ঞতা।

শেয়ার করুন

ক্যাটেগরি বা ট্যাগে ক্লিক করে অন্যান্য লেখা পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরনো লেখা

ফলো করুন

Recent Posts

Recent Comments

আপনপাঠ গল্পসংখ্যা ২০২২