ঘূর্ণি – মেঘালয়

শেয়ার করুন


কবিতাটা এইভাবে শুরু করা যাক।

ধরা যাক, বহুযুগ আগে এখানে একবার সন্ধ্যা হয়েছিল
ধরা যাক, বহুযুগ আগে এখানে একদল হাঁস ডানা মেলেছিল
ধরা যাক, বহুযুগ আগে এখানে মেঘের তলায় দাঁড়িয়ে
আমি এইসব দেখছিলাম–

কবিতাটা বোধহয় ঠিক পঞ্চায়েতের মতো হল না–
পঞ্চায়েত?
পঞ্চায়েত বলতে, ওই তো গো, কয়েকটা বৃক্ষরোপণ
মাটি চাপা দিয়ে বাড়ির ক্যাঁদালি পর্যন্ত ঢালাই রাস্তা
একশো দিনের কাজ
আর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ব্যাংক ব্যালেন্স।

এখনও অনেক মানুষ খাবারে পিঁপড়ে আটকানোর জন্য
লক্ষ্মণরেখা কিনতে পারেনি–
এখনও অনেক মানুষ শৃগাল দেখেছে
কিন্তু র-ফলা, ঋ-ফলা আলাদা করতে পারেনি।

এগুলো কবিতা?

এগুলো কবিতা নয় জানি
কিন্তু এসব ঘটনা মেঘের তলাতেই তো ঘটে।

শেয়ার করুন

Similar Posts

  • অবসাদ – তাপসকিরণ রায়

    হারাতে হারাতে আর অবসাদ নেই–চেনা জানারা ক্ৰমশ হারিয়ে যাচ্ছে অন্যপ্রান্তে…  এক মুখ দাড়িতে তোমায় অচিন লাগতেই পারে !কোথায় সরে যেতে চাও তুমি ?স্টেশনের সিগনালে তাকিয়ে আছে গাড়ি।একটা সকাল যেন কতকাল দেখিনি !হারিয়ে হারিয়ে ক্ৰমশ নিজের দিকে এগিয়ে আসছি।আগামী খরার ফাটলে বৃষ্টির অবসাদ দেখি।দুরন্ত ছেলেটা কেমন দম হারিয়ে থমকে যায় !কখনও চেনা পৃথিবী হারিয়ে যায়–কুয়াশা ও…

  • নিমাই জানার পাঁচটি কবিতা

    ভূমধ্যসাগর ও আইজাক নিউটনের পঞ্চম গতিসূত্র একটি বিষধর ভাইপার সুবর্ণ বালির ভেতরে ক্রমশ ডুবে যাচ্ছে, অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির গাঁদা ফুলের পাতায় একেকটা ভূমধ্যসাগর আর বাবার সাদা চুলের মতো নির্জন দরজা শুয়ে আছেআমি শুধু বৃষ্টিকে অপেক্ষা করি যার কোনো আলাদা লম্ব উপাংশ থাকে না, নীল প্লাইয়ের দোকানে আইজ্যাক নিউটন পঞ্চম গতিসূত্র আবিষ্কার করবেনহরপ্পাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখেছি প্রতিটি…

  • দয়াময় মাহান্তীর পাঁচটি কবিতা

    রাতের জামা অন্ধকার, তুমি কেমন আছো? জলের উপর কারা তাচ্ছিল্য ছুঁড়ে দিয়ে গেছেঢেউ তাকে ঠেলে সরিয়ে দিলে নির্লিপ্তির মুখভেসে উঠে, রাতের ফুলে সাদা চাহনিআনত হয় ভোরের স্পর্শে। আলোকে খুবলে কালো গর্ত করে ইঁদুরেরাঢুকে পড়েছে, তুমি কি শিকারি ঈগল, মনখারাপতোমার? তোমার প্রশ্নের অনেক ঊর্ধ্বেভোকাট্টা ঘুড়ি উড়ে… অন্ধকার, তোমার হৃদয়ে কার ছায়া পড়ে? ভয়ের সংবাদ বৃক্ষ জেনেছে…

  • পরিণাম – গৌরী সেনগুপ্ত

    দাও বেয়নেট ওকে হাঁটার সাথে ছুঁতে দাও ইস্পাত রক্ত মাখার দাও ওকে বুলেটই কিশলয় প্রাতে বিদ্বেষ শিখে যাক্‌ প্রথম শেখার। শিখে যাক্‌ সুখটুকু বয়েস চল্‌তে শিখুক না ভীতু শিরা হিম হতে পারে করণা পেতে পেতে ভাঁড়ামোর সাথে শয়তান হতে হবে সুতোর মোচড়ে। এইভাবে আত্মাকে বাতাসই শুষবে নিমেষেই জ্বালাবে সে সারাটা আকাশ অগ্নি বিস্ফোরণে যতো নরক…

  • পার্থজিৎ চন্দর পাঁচটি কবিতা

    হাসি আমি তো তেমন পথিক নই, শুধু বনের ভিতর বিস্ময়বাঁচিয়ে রেখেছি এ বনের মধ্যে কেউ সারাদিনস্তন খুলে গান গেয়ে নেচে নেচে ঘুরে বেড়িয়েছে গাছটি জড়িয়ে শুনি তার পায়ের শব্দকালো পাথরের গায়ে কান পেতে শুনিপায়ের পাতায় ফুটে যাওয়া কাঁটাজলের ভেতর টুপ করে ডুবে গেল তার নূপুরের ধ্বনি একটি হলুদ প্রজাপতি উড়তে উড়তে কাঁটাবনেপ্রবেশ করেছে। সে আসলে…

  • একটা সিগনাল – ঝর্ণা মুখোপাধ্যায়

    প্রাচীন মানুষটার কাছে জেনেছিলাম যুদ্ধ হাঁটছে অনমনীয় পুঁজি অমঙ্গলের দিকে সিলেবাসে ধোঁয়া-আগুন-পেশাদার রাজনীতি নেশাতুর হাওয়ায় ব্রেকিং নিউজ, খুনীদের বিচরণ অর্জুনের তীর লক্ষ্যভেদে। হাভাতে বিশ্ব, জল জমা উঠোন দুঃখের রাত পোহায় ভাঙা চোরামুখ, আপদ উদ্বাস্তু! ছপছপ পায়ের শব্দ উড়ে আসে টান টান বিবেক-বিশ্বাস-রাজপথ ভাসিয়ে অবিরাম- শব্দ ফেটে ফেটে পৃথিবী জাগায়। একটা সিগনাল – ‘যুদ্ধ নয় শান্তি…

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *