যারা অপমান করেছিল, তাদের ভুলে গেছি
যারা ভালোবেসেছিল, তাদের ভুলে গেছি
কে আমায় ঠেলে দিয়েছিল খাদের কিনারে?
কে বলেছিল,
যাও, ভোগ করো ন্যায়-অন্যায় ভুলে??
সে আমি, আমারই ক্ষমতা!
আজ এই নির্বাসন, আজ এই চামড়ার দাগ
সারাটা দুপুর আর সারাটা রাত্রি শুধু
অলিগলি দৌড়ে বেড়ানো
যাদের অপমান করেছি, তাদের কোথায় পাবো?
ভালোবেসেছিল যারা, তাদের কোথায় পাবো?
বিচিত্র অধরা বাহারী রেণু প্রভাতের নমস্য সূর্য মোম জ্বেলে বরণ করে ডুবন্ত মাতঙ্গিনী ‘কে পুনশ্চঃ তোমাদের বি- শুদ্ধ পুরাতন শ্লোক কাদম্বরী
জুলাই, ১৯৯৬’মিলেছে মিলেছে মিলেছে…’ সন্ধেবেলা বাড়ির ড্রয়িংরুমে পা দিয়েই শাম্মি কাপুরের চাহে মুঝে কোই জংলি কহের স্টাইলে একটা নাচ দিল মানস। দু’আঙুলের ফাঁকে ট্রান্সফার লেটারের কপি।’সত্যি!’ ইচ্ছাপূরণের বিস্ময় স্বস্তিকার গলায়।মানস বলল, ‘নিজের চোখে দ্যাখো।’স্বস্তিকা চোখ রাখল কাগজে। তাদের স্বপ্নের ছাড়পত্র। ট্রান্সফার হয়েছে ঘাটশিলাতেই। ওপরওয়ালার ভ্যানতাড়া দেখে মনে হচ্ছিল না শেষ অব্দি হবে। হল। অবশেষে হল।মানসের…
মাতৃজঠরের মধ্যে গুনগুনিয়ে ওঠে বাউলের একতারার সুর,হাজার হাজার নক্ষত্রের নীল সোহাগ এসে মিশে যায় স্বপ্নভেজা শহিদ মিনারে । পরিযায়ী পাখিরা মেখে নেয় পৌষের ধুপছায়া বিকেলের রোদের নির্যাস,কোপাই নদীর অসমাপ্ত বাঁকে ঘুরে মরে প্রেম ।শিশির হাওয়ার চুম্বনে লেপ্টে থাকা আলোর নুপূরে শুনি মহাকালের পদধ্বনি । মনের জটাজাল ভেদ করে বয়ে চলে অভিমানের চোরাস্রোত, ভাবনার চিরকুটে লিখতে…
তবে কেন মনে হয় তোমার শরীরময় ঈশ্বর এসেছেন স্বর্গীয় আর্তি শিথিল করে দিচ্ছে আমায় দেখাচ্ছে ধরিত্রীর মত কণ্ঠলগ্ন হয়ে মার্জনা চাইছ কৃতকর্মের উষ্ণ নিঃশ্বাসে মুছে দিচ্ছ অভিমান নিভৃত স্পর্শমাখা উত্তাপে এক অনবদ্য পুরুষ আমায় আদ্যন্ত নারী করে তুলছে ওই আনন্দময় রূপ আজন্ম ছায়া হয়ে লেগে থাকুক আমার নারী শরীরে।
বয়ঃবৃদ্ধ বৃক্ষের শুষ্ক শাখা, আকাশে আকাশ খোঁজে, শুধুই শূন্যতা । বসন্তের বাতাসেও, নেই ডালে সেই সজীবতা । ছায়া চায় — নীড়হীন নিরাশা, ছিন্ন ডানার প্রজাপতি , হায়! বটবৃক্ষ, তুমি বলো, সময় রয়েছে বাকি । সময় থমকে, মহীরুহর ঝুরির আড়ালে পাখিরা বাঁধেনা বাসা, ভাষা নেই কোকিলের চন্ডিমন্ডপের পাঠশালে । স্হবির পায়ের নীচে,জীর্ণ নকশিকাঁথা, লক্ষ্যহীন সময়ের —…
