চন্দনের ঝিল্লিময়তা – ঐন্দ্রিলা মহিন্তা
( প্রবাসের যাঁতিখেলায় একমাত্র অন্তমিলে যে ত্রিমুণ্ড ফাগ-আলপনা রচিত হয় , তারই কৃপাণের একফালি তারজালিতে আদিত্যর তপস্যা ধীর পায়ে প্রণাম করে )
নবীন কেতকী বেছানো হাসি , ভাঁজ করা এসরাজের আঙিনায় বিছিয়ে রেখেই — মেঘ থেকে একমুঠো শৈশব হাতড়ায় । রচিত হয় গ্রীস্মের কলতানে কদমের ভস্ম ।
ঘোমটাজড়ানো জাহাজ-ডেকে অস্তমিত ভানু জানান দেয় : পশ্চিমপারের তামাটে কোলাজ ।
আন্টার্কটিকার মরিচীকায় দেশলাই ও যে আগুন হয়ে ভেজাতে পারে — তা বোঝা যায় ফ্যাকাশে সেলোফিনের তিন নম্বর ধাক্কায় !
আয়নাপর্দা থেকে উপচে ওঠে ট্রাঙ্কপিপাসা। সেই স্বর — দূরবীনের বারিধারায় অস্তিত্বহীন — সেই স্বর । দুপুরগুলোর কামড় ভাঙা রেলিঙে বসন্ত ঝোঁকে ।
আলোর গভীরতায় — মন্দকরা আস্ফালনে — প্রগাঢ় সমসত্ব ব্যঞ্জনে ফাঁকা বাটিচচ্ছড়িতে শ্রাবণ আছড়ে পরে । তার চব্বিশতম ফেনা জানান দেয় : অমাবস্যার বাঁশি ।
আয়ুরেখার জটা বেয়ে
জালনাকিশোরী রোদ ভেজায়
হিলিয়ামে বাষ্পস্ফুটন । নদী শুকোলে
শ্যামলিমার গুল্মে : বিদূষক জন্ম
ঘড়ির হাতল বেয়ে সূর্য ঝুলতে থাকে
কড়িতে কড়িতে চিহ্ন আসে ভেসে
আফিমের ফেরিঘাটে ঘোড়া ওঠে হেসে
চিনচিনে নিলয়ের ভাঁজে মৃদঙ্গ
শুকোয় । ক্ষণিকের কবিতা জুড়ে
বকুল বকুল ক্ষোভ
পারের ধূপস্তুতি বেয়ে জোছনার আঁচলে শাঁখ ভেসে ওঠে । চোখকুয়াশা বিকোতে থাকে কচি মোমহাতে । নক্ষত্রের বাহুতে তিলের জীবাশ্ম । অর্ধমৃত চিতার মণিতে পুংকেশরীয় আতশবাজি — সখ্যতার ধারায়
অন্ধ শতাব্দীতে ফিরে আসে মাঘ ।
বাতাসে কেবলই ডাইনির ধুলোযাপন : যা চিরাচরিত লোহিতকণার অন্তিম স্বেদবিন্দু