তৃষাতুর পরমা : নীরবতার নীলকণ্ঠ পালক – ঐন্দ্রিলা মহিন্তা

তৃষাতুর পরমা : নীরবতার নীলকণ্ঠ পালক – ঐন্দ্রিলা মহিন্তা

যজ্ঞপথের প্রবাসী নাবিক চড়ে বসলেন বটমূলের প্রাচীন ঘূর্ণিতে । মধ্যরাতে আঙুল কেটে নতুনের আভাস — এশুধু অগরু নয় যেন আস্ত ব্রহ্মপুত্র… একে একে পেরোতে থাকলো বৃদ্ধ স্ফটিক । যুবকের দ্রোণাচার্য আকাশের বুকে এঁকে দিল হাহাকারের বাণিজ্য । এলো কিশোর পাতার মাতাল আঁচল , যে আঁচলে শঙ্কা নয় ‘ মায়ার খেলা ‘ য় স্নেহ বোনা ”…

আঁধার-প্রবাসী  – সাগর সূত্রধর

আঁধার-প্রবাসী – সাগর সূত্রধর

হেথা হতে যাও, পুরাতন। হেথায় নূতন খেলা আরম্ভ হয়েছে। আবার বাজিছে বাঁশি, আবার উঠিছে হাসি, বসন্তের বাতাস বয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চলে গেছি আমি, দূরে, বহুদূরে, শত-অভিমান ভরে ফিরবো না জেনো কোনোদিন, বিদায় চিরোতরে। শুভ্র মেঘ য্যামন অস্পৃর্ষনীয় সুন্দর সুদূর আকাশে তারা-ফুল শুধুই দেখা যায় নক্ষত্র প্রকাশে। শ্রান্ত দিঘিতে ফোটে যেমন ক্ষণিকের আলো-ছায়ার খেলা তোমার জীবনে…

চন্দনের ঝিল্লিময়তা – ঐন্দ্রিলা মহিন্তা
|

চন্দনের ঝিল্লিময়তা – ঐন্দ্রিলা মহিন্তা

( প্রবাসের যাঁতিখেলায় একমাত্র অন্তমিলে যে ত্রিমুণ্ড ফাগ-আলপনা রচিত হয় , তারই কৃপাণের একফালি তারজালিতে আদিত্যর তপস্যা ধীর পায়ে প্রণাম করে ) নবীন কেতকী বেছানো হাসি , ভাঁজ করা এসরাজের আঙিনায় বিছিয়ে রেখেই — মেঘ থেকে একমুঠো শৈশব হাতড়ায় । রচিত হয় গ্রীস্মের কলতানে কদমের ভস্ম । ঘোমটাজড়ানো জাহাজ-ডেকে অস্তমিত ভানু জানান দেয় : পশ্চিমপারের…

দুটি কবিতা – মহাদেবাশা

দুটি কবিতা – মহাদেবাশা

বাতাসে লতিয়ে ওঠা ঢেউ বাতাসে ঝড় উঠেছে, তুমি কুড়িয়ে রেখেছো নদী,তোমার & চাওয়া পাওয়ার সিঁড়িগুলো ছোটো হতে হতে দূরবীণ হয়ে উঠেছে, রাস্তার ঘরে ঘাসফুলের মলাট, ঘ্রাণে ঘ্রাণে ভরে যাচ্ছে আঁচল, আয়না হয়ে উঠেছে টিপ, একেই সংস্কার বলি, আর চোখকে নদী, বারান্দায় অনায়াসে পৌঁছে যায় রোদ, রোদের পেয়ালায় চুমুক উঠে ঘোড়ার, এসময় অন্ধকারে মেঘ উঠে, গম্বুজ…

সদুত্তর – অর্পণ কুমার মাজি

সদুত্তর – অর্পণ কুমার মাজি

যাকে তুমি পরকীয়ার বলো বিটনুন, মরিচগুঁড়ো মাখিয়ে সুস্বাদু গসিপ বিক্রি করো হাটে বাজারে মসৃণ মলাট, রঙ্গিন কভারে মুড়ে; তার পিছনের দহনের গল্প শুধু সেই ছাই হয়ে যাওয়া খড়কুটোই জানে। যা তুমি উপভোগ করো তারিয়ে তারিয়ে বাজারি গল্পের মতো, হঠাৎ করে কোনো ভোরে ডেকে না ওঠা একটা মোরগ নামিয়ে আনে যে চিরঘুমের রাত; সেই ক্ষতেও তুমি…

দুটি কবিতা – সৌগত দত্ত

দুটি কবিতা – সৌগত দত্ত

কর্দমাক্ত বর্ষাকে বৈশাখের চিঠি চিঠিগুলো ছড়িয়ে আছে দক্ষিণের চিলেকোঠায়, তাতে ঠিকানা লেখা হয়নি এখনও। কি নামে ইতিহাস উৎসর্গ হয়? বন্ধু, নাকি প্রিয়তম! তোমার প্রতিবেশী জানালাটায় আজও আমার কবিতা লেগে আছে; তুমি ছেড়ে গেছো না পাওয়ার অভিমান আর লাঞ্চনার বিজয়ে। তবু, কাঁটাতার আর কাটাকুটি খেলায় সিঁদুর মুছে যায়, প্রেম নেমে আসে, কোনো এক নাম না জানা…

কাদম্বরী… তোমাকে… – সুদীপ ব্যানার্জী

কাদম্বরী… তোমাকে… – সুদীপ ব্যানার্জী

সেভাবে দেখলে দীর্ঘশ্বাস ফেলে আগাছাও.. আত্মহত্যার আগের রাত… স্বপ্নের মাঝে মসগুল আমরা শব্দের ধ্বণি আবেগে খামচে ধরেছে বুক… সুখের বাতি সাবেকি চামড়ায় একা। এতো এতো আবেগের ভ্রূণ, খুন হয়েছে অভিজাত দোলনায়! তবু চুপ… মৃত্যুর বোবা প্রতিবাদ… বৌঠান… সেই গান ঠোঁটে লেগে…আর সুঘ্রাণ… ছায়াঘেরা জানলায় প্রশ্রয়ী মুখ… একান্ত… সব অভিমুখ ঘুরিয়ে ফেলেছি সঞ্জানে.. অভিমানে তুমি সরে…

ইউনিক মেনিয়া – ফারজানা মণি

ইউনিক মেনিয়া – ফারজানা মণি

সান্ত্বনা ছিলো রিবনের গোড়ায় ব্যাঙের ছাতা ছুঁয়ে এক ফোঁটা বরফগলা চোখ।ত্রিভুজ মেনিয়ায় কারো আত্মসমর্পণ সেতুর কাছে এক সারি নৌকা।আলোক পিদিমে পুড়ে যায় লাইফবোট গন্তব্য।কারো কম্বলের কোণায় বিবর্ণ ঘটনা – যেন কেউ ঘুমিয়ে আছে দোতলা সিঁড়িপথে জোড়াপুকুরের চাঁদ কেটে দেওয়া মধ্যরাত।রেখাবিন্দু আচ্ছন্নতার অবসর।গর্ভে বেড়ে উঠছে অণুজীব শূন্যতা।

গুচ্ছকবিতা  – সুদর্শন প্রতিহার

গুচ্ছকবিতা – সুদর্শন প্রতিহার

(১) সূর্য ওঠা থেকে ডোবা অবধি তুমি উজ্জ্বলা হৃদমাঝারে … কালির দোয়াতের সেই হামাগুড়ি আজও পঁচিশ বছরের ছবি আঁকে । (২) যে প্রশ্ন গুলো উত্তর খুঁজতে খুঁজতে আজও প্রশ্ন হয়েই বেঁচে রয়েছে সেখানেই তোমার অফিম মৃত্যু হয়েছিল । (৩) যাকিছু থেকে গিয়েছিল … অসম্পূর্ন সবই উড়িয়ে দিয়েছিলে নস্টালজিক হওয়াতে…নেশার ঘরে । (৪) যে মদিরা একটু…

কবিতাময় অলিন্দে ঝোলা বিকেল – স্বপ্না ভট্টাচার্য্য

কবিতাময় অলিন্দে ঝোলা বিকেল – স্বপ্না ভট্টাচার্য্য

আহত শেকলের সুখ কেনার দিনে আমাদের পাম পাম শোক মেঘ পোষা শিকড়ে আ-কারান্ত বিসর্জন অক্সিজেনে পালক আঁকে নীলাম্বরী সুতোয় হে র বালিঢালা গোধূলি কবিতায় পুতুল ঢালে ভেসে ওঠে তিনকোনা ঝুলন বিষণ্ণ ক্যাকাফনির জোছনাহাসি একটা বিকেলও আর ফিরিয়ে দেয়নি