তিনি অগ্নিশিখা, তিনি তরবারি ( পর্ব ২ ) – বনবাণী ভট্টাচার্য

শেয়ার করুন

প্রথম পর্ব

২.

হ্যাঁ, একেবারেই তাই— একেবারেই যেন শ্যুমপিটারের সেই কথার এক প্রামাণিক ব্যক্তিত্ব শ্রদ্ধেয়া সুকুমারী ভট্টাচার্য— খণ্ডাংশের যোগফলের থেকেও সমগ্র বড়ো। ব্যক্তি সুকুমারীর কিছুটা আদল পেলেও ভারততত্ত্ববিদকে এখনও ছুঁতে পর্যন্ত পারা যায়নি, অথচ আবিশ্ব আনত এই ভারতবিদের কাছেই।

সুবিখ্যাত লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের ইংরেজির অধ্যাপিকা এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপিকা, সুকুমারী এইসব নির্দিষ্ট বিষয়ে ডুব না দিয়ে বেরিয়ে পড়লেন মৌলিক ভারতের সন্ধানে। সুকুমারীর গবেষণালব্ধ ফল তাই ১৯৭০ সালের ‘দি ইন্ডিয়ান থিওগনি’। ‘ইন্ডিয়ান থিওগনি’ তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর অফ ফিলোসফির সম্মান এনে দিল— আর গোটা বিশ্বকে দিল ভারতের বিকল্প ভাষ্য।

খ্রিস্টান মিশনারী স্কুলের ছাত্রী, জন্ম-খ্রিস্টান সুকুমারী ভট্টাচার্যের সংস্কৃত ভাষায় অনুরাগ, খানিকটা ব্যতিক্রম। আবার নিষ্ঠাবান খ্রিস্টান সুকুমারীর ভারতাত্মার অনুসন্ধানে বেদের যুগ থেকে পুরাণ পর্যন্ত মাইথোলজির পরিক্রমা করাও সম্ভবত এক ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ। সন্দেহ নেই যে ভারতীয় সাহিত্য-সংস্কৃতিতে, বেদ-বেদান্ত-উপনিষদ, গীতা-ভাগবৎ, রামায়ণ-মহাভারত মহাকাব্য, পুরাণচর্চা এক স্বাভাবিক প্রবণতা, যেখানে বহু মনীষার উন্মেষ ঘটেছে। স্কটিশচার্চ-কলেজিয়েট স্কুলের ইংরেজি-ইতিহাস-বাংলার শিক্ষক সরসী দত্ত কন্যা সুকুমারীকে উজাড় করে দিয়েছেন তার সবটুকু সঞ্চিত জ্ঞান। বাংলা-ইংরেজি-সংস্কৃত সাহিত্য ও ভাষা দিয়ে পথ চলতে চলতে কার্ল মার্কস-ফ্রয়েডকে সঙ্গী করে, তর্কে-বিতর্কে জ্ঞানান্বেষণের খেলায় দিন কেটে যেত পিতা-পুত্রীর। পরবর্তীকালে, আচার্য সুনীতি চট্টোপাধ্যায়ের ল্যাটিন নির্ঘোষ— ‘Excesior’ বা ‘উৎকর্ষের দিকে এগিয়ে চলো’ তাঁকে ক্রমাগত শ্রেয়তরর দিকে চলতে প্রাণিত করেছে।

চরৈবেতি চরৈবেতি। তিনি কেবলই এগিয়ে চলেছেন আর এগিয়েছেন, জ্ঞানে আর মনীষায়। এই অবিরাম চলায় কমিউনিস্ট নেতা ভবানী সেনের লাইব্রেরিতে পেয়েছেন কার্ল মার্কসের তত্ত্ব, রুশ-সাহিত্য, দেশ-বিদেশের বিপ্লবের ইতিহাস আর শিক্ষক হিসাবে পেলেন এক অনন্যসাধারণ জ্ঞান-সাধক প্রেসিডেন্সি কলেজের ইংরেজি সাহিত্যের যশস্বী অধ্যাপক নাস্তিক এক ব্রাহ্মণ সন্তান প্রয়াত অমল ভট্টাচার্যকে। যাঁর সঙ্গে ১৯৪৮ সাল থেকে তাঁর বিবাহিত জীবন। নাস্তিক অমল ভট্টাচার্য সম্ভবত স্থায়ীভাবে ধর্মপ্রাণ খ্রিস্টান সুকুমারীকে নাস্তিকতায় দীক্ষা দিতে সমর্থ হলেন। প্রকৃত শিল্পী যেমন ‘আর্ট ফর আর্ট সেক’-কে মান্যতা দেন না, সুকুমারীর তাই বিদ্যাচর্চার জন্য বিদ্যাচর্চায় কোনো বিশ্বাস ছিল না, ফলে তাঁর অধ্যয়ন ও জ্ঞান লাভের কোনো সীমান্ত ছিল না। ভিন্ন স্বর–ভিন্ন বয়ান, তার আনুষঙ্গিক চিন্তা থেকে শুরু করে ইতিহাস-নৃতত্ত্ব-সমাজতত্ত্ব-ধর্মতত্ত্ব- প্রত্নকথা মথিত সংশ্লেষণী চিন্তার সাহায্যে তিনি ভারতীয় সাহিত্য-সংস্কৃতির বস্তুবাদী ভাষ্য উপস্থিত করেছেন। এই বস্তুবাদী–যুক্তিনিষ্ঠ মননের সাথে মেলবন্ধন ঘটেছে, প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের সমন্বিত মনীষার। মার্কসীয় বীক্ষা, তাঁকে জগৎ-জীবনকে ‘কার্য-কারণ’ সম্পর্কের প্রক্ষিতে বিশ্লেষণ করার দৃষ্টিদান করে। ডাউট অর্থাৎ যাচাই করা, মার্কসের সুবিখ্যাত নির্দিষ্ট বিশ্লেষণী প্রক্রিয়ার প্রাথমিক সোপানকে ভিত্তি করেই, তিনি শুরু করেছিলেন তাঁর প্রায়োগিক ক্রিয়াকলাপ।

‘দি ইন্ডিয়ান থিওগনি’ কোনো ধর্মপুস্তক নয়— মোক্ষলাভে অধীর বা পুণ্য সঞ্চয়ের জন্য ব্যাকুল ব্যক্তিরা এই বই পাঠ করে একটুও লাভবান হবেন না, যদিও হিন্দু ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী, সৃষ্টি-স্থিতি-লয়ের দেবতা ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর এই ত্রিমূর্তি সহ দেব-দেবী কুলের ইতিবৃত্ত বিধৃত হয়েছে যথেষ্ট বিস্তৃত বর্ণনায়। কিন্তু এই বই যে ভারততত্ত্বের প্রতীকী আলোকস্তম্ভে পরিণত হয়েছে তার কারণ— “if one wishes to explore the range of texts within which deities figure, their complex interrelationship, mutations in imagery and attributes, to move, in other words, beyond facile generalisations, The Indian Theogony remains indispensable”। হ্যাঁ, ঠিকই লঘু ও চিরাচরিত সাধারণত্বের থেকে আরও গভীর এবং বিশেষের অভিমুখে যেতে চাইলে সুকুমারীর এই সংস্কারমুক্ত দেব-লোক বীক্ষা এক ‘অপরিহার্য’। দেবসংঘের এই বিস্তারিত বিবরণ ও বিশ্লেষণ আসলে, আলো-আঁধার, সাদা-কালোয় তাঁর শ্রেণিবিভক্ত করা দেব-দেবী কুলের সঠিক উপলব্ধির জন্য যুক্তিগ্রাহ্য এক কাঠামো নির্মাণ এবং এই বোধ ও প্রত্যয় সঞ্চয় করা যে ঐ দেবলোক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের ঊর্ধ্বে নয় যে কেবল তা নয়, বরং তাদের ঘিরে যে রহস্য রচিত হয়েছে তাকেও উন্মোচন করা প্রয়োজন। বেদ-পুরাণ-মহাকাব্য থেকে শুরু করে, রোমান-চাইনিজ-সুমেরিয়ান-পুরোনো আইরিশ ইত্যাদির ধর্মীয় ধারা অবগাহন করে তিনি অবিশ্বাস্য সব মূল্যবান তথ্য সংগ্রহ যে দশ বছর ধরে করেছেন কঠোর পরিশ্রমে, তাই দিয়ে এক অসেতুসম্ভব রাস্তা নির্মাণ করেছেন ভারততত্ত্বের, উত্তরকালের জন্য। সুকুমারী সেই চিরকালের পথিকৃৎদের অন্যতম যারা উত্তরপুরুষদের পথ দেখান। বৈচিত্র্যময় ভারত ও তার তত্ত্বকে হৃদয়ঙ্গম করার পথে সবথেকে নির্ভরযোগ্য যিনি, শুধু অনুসন্ধানকারী নয়, সারাবিশ্বের সারস্বত সাধকদের কাছে, তিনি অদ্বিতীয়া সুকুমারী ভট্টাচার্য। গবেষক ও ছাত্রছাত্রী মহলে, তিনি ‘প্রাতিষ্ঠানিক মনীষার আশ্চর্য প্রতীক’।

সুকুমারী ভট্টাচার্যের অনুসন্ধান এত গভীর, রচনা-লোক এত ব্যাপ্ত যে, তা প্রবন্ধ তো দূরের কথা একটি-দুটি পূর্ণাঙ্গ বইতেও বোধহয় তা সম্পূর্ণ হয় না। কিন্তু তার সৃষ্টি যত হ্রস্ব অথবা যত আপাত তরলই হোক, সুকুমারীর অনুষঙ্গের শব্দগুলোর পরিবর্তন নেই, অর্থাৎ সধৈর্য পর্যবেক্ষণ–গভীর অনুসন্ধান–ক্ষুরধার যুক্তি–সূক্ষ্ম বিচারবোধ–বস্তুনিষ্ঠা–ব্যাপক মানবিকী প্রেক্ষিত বিচার–বিকল্প বয়ান এবং বিদ্রোহ সবসময়ই অপরিবর্তিত। প্রায় অর্ধ শতাব্দীর কাছাকাছি সময় ধরে তিনি অনুসন্ধান করেছেন আর লিখেছেন এবং সবথেকে বেশি ফলনশীল সময় নব্বইয়ের দশক। ‘ইন্ডিয়ান থিওগনি’ তো আছেই, আছে সংস্কৃত মৃচ্ছকটিকের বঙ্গানুবাদ, ‘লিটারেচার ইন দি ভেদিক এজ’, ‘প্রাচীন ভারত: সমাজ ও সাহিত্য’, ‘ধ্রুপদী সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাস’, ‘ইতিহাসের আলোকে বৈদিক সাহিত্য’, ‘উইমেন এন্ড সোসাইটি ইন এনসিয়েন্ট ইন্ডিয়া’, ‘নিয়তিবাদ: উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ’, ‘বেদের যুগে ক্ষুধা ও খাদ্য’, ‘বেদে সংশয় ও নাস্তিক্য’ ইত্যাদি ইত্যাদি। ইংরেজি-বাংলা-সংস্কৃত-পালি-ফরাসি-জার্মানবেত্তা সুকুমারী যিনি কথায় কথায় ল্যাটিন সংস্কৃত উদ্ধৃতি দিতে দক্ষ, তাঁর অনুসন্ধান, প্রত্যয় ও প্রজ্ঞার বিচ্ছুরণ ঘটিয়েছে তাঁরই কলম, এইসব অমূল্য রচনায়।

বৌদ্ধিক চর্চার এক অতি উচ্চ মার্গে তাঁর বিচরণ— এ এক সর্বজনীন সত্য— একই রকম সত্য তাঁর সাহিত্য-অনুরাগ। বৈদিক যুগের সাহিত্য বিচারে তিনি লক্ষ্য করেছেন, অতীতের মূল্যায়নে ধর্মীয় বিষয় নিয়েই থেকেছে এক ধরনের ‘অবসেশন’— সাহিত্যের গুণাবলীর কোনো মূল্যই তাতে ধরা পড়েনি। সুকুমারী চেহারাটা পুরো পালটে দিলেন, বৈদিক সাহিত্যের স্টাইল বা ভঙ্গি, শব্দচয়ন, ছন্দের তফাৎ, শব্দ ভাণ্ডার, ইত্যাদি গদ্য-পদ্যের দুইয়েরই সযত্নে পাঠকের সামনে নিয়ে এসে, ওই সব রচনা নির্মাণের একটা সার্বিক বোধ ও ধারণায় তিনি পাঠককে সচেতন করে দিয়েছেন বিশদ আলোচনার মধ্য দিয়ে— ঐ যুগের সাহিত্যের বিভিন্ন ধারার মধ্যে পার্থক্যগুলিকে নানা দৃষ্টান্তে তুলে ধরেছেন এমন ভাবেই যে প্রত্যয় সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয় কেবল বিশেষজ্ঞদের মধ্যেই আবদ্ধ থাকার নয়। অতি সাধারণ পাঠকেরও পড়তে পড়তে মনে হবে আরও এগিয়ে যাবার, আগে ভালো করে দেখা বোঝার জন্য প্রতি পদে পদে একখানা হাত কেউ বাড়িয়ে দিচ্ছে প্রত্যেক ধাপে ধাপে। অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে যা দাঁড়ায় তার তাৎপর্য বিশেষভাবে এখানেই, এই অসাধারণ বৌদ্ধিক চর্চার মানুষটি বৈদিক সাহিত্যকে একটা বিশেষ কোটরজাত না করে, তাকে সর্বসাধারণের সামগ্রীতে পরিণত করার লক্ষ্যে সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে এক অত্যন্ত দুর্বোধ্য, ভাবগম্ভীর সমালোচনার অবতারণা করেননি, যদিও তার জন্যে কোথাও কখনও অতীতকে রোমান্টিকতায় আচ্ছন্ন করেননি, বরং সাহিত্য সৃজনের কৃৎকৌশল, তার ব্যবহার এবং তাকে সজ্ঞায়িত করা সম্পর্কে অবহিত করার প্রয়াস গ্রহণ করেছেন। আর তার সাথেই অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে অসঙ্গত গৌরববোধকে এড়িয়ে চলেছেন। সুকুমারী মনে করতেন যে, মানুষের গর্ববোধ করার মতো সমৃদ্ধশালী ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটা সুস্থ নিরীক্ষণের ক্ষেত্রে একাংশের অতিরিক্ত গর্ববোধ বাধা সৃষ্টি করে। একটা অসুস্থ অহংবোধ, একটা বাঁকাচোরা অসঙ্গত উচ্চমন্যতা এবং বেদের সবকিছু সম্পর্কে অযথা বুক-ফোলানো, দৃষ্টিকে আবিল করে তোলে এবং এই অসঙ্গত গৌরববোধের উগ্রতা শেষ পর্যন্ত গবেষণার বিকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় অনেক সময়। ফলে বৈদিক যুগের প্রকৃত মেধা ও দক্ষতার বিপর্যস্ত মূল্যায়ন ঘটে। সুকুমারীর ঐতিহাসিক দ্বন্দ্বমূলক বিচারের দৃষ্টি, বস্তুনিষ্ঠ অনুসন্ধান এবং বিচার তাকে নির্মোহ দৃষ্টিদান করেছে। ওই নির্মোহ মনোভঙ্গির কারণেই তিনি যেমন বৈদিক সমাজ-সাহিত্য নিয়ে কিংবদন্তি-নির্ভর মিথ্যে গৌরববোধকে, যুক্তিতে-দৃষ্টান্তে ফালাফালা করেছেন তেমনি তিনি মানবিকী বিদ্যার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহু অবদানকে শিরোধার্য করে বিনম্র মন্তব্য করেছেন, যে প্রাচীন ভারতেও “my theological thinking existed, side by with rational thinking.”

নবজাগরণের ‘অ্যাংরি ইয়াং মেন’-এর মতো দ্বিখণ্ডিত সত্তা এবং ভাঙন-প্রবণ নয়, কিন্তু সুকুমারী ভট্টাচার্য প্ৰচলের বিপ্রতীপে দাঁড়িয়ে সবসময়। তাঁর গবেষণা-রচনা সবসময়েই প্রচলের বিকল্প ভাষ্য। তিনি ব্যক্তিজীবনে গণ্ডি পেরিয়েছেন, তেমনি তাঁর স্বাধীন চিন্তা কেবলই সমস্ত সীমারেখা পার করে ডানা মেলে উড়েছে। তাই ভারত-চিন্তার প্রাতিষ্ঠানিক অচলায়তনের দরজা-জানলা দিয়ে অনিরুদ্ধ বাতাস ঢুকে পড়ে তাকে প্রাণবান করে তুলেছে। তাঁরই যুক্তিনিষ্ঠ–বস্তুবাদী–নিরপেক্ষ ও সংস্কারমুক্ত মনন ও গবেষণায় ভারততত্ত্ব এখন অনেকখানি আগলমুক্ত এবং প্রাণময়।

তার অনুসন্ধান ও উপলব্ধি প্রমাণ করেছে একের পর এক প্রচলিত সত্য, ম্যানুফ্যাকচার্ড। যুগে যুগে আধিপত্যবাদী শক্তি সত্য ‘উৎপাদন’ করেছে শুধু নয়, প্রান্তিক মানুষের জীবন-অভিজ্ঞতা, আশা-আকাঙ্ক্ষাকে অবদমিত করে এই কর্তৃত্ববাদীরা নিজেরাই তাদের স্বরন্যাস সৃষ্টি করে নির্লজ্জ প্রচার করেছে। কিন্তু সত্যের শক্তি অনেক বেশি, তার উত্তাপও অনেক বেশি, ফলে সেই ‘উৎপাদিত’ সত্য একদিন বুদবুদের মতো ফেটে যায়।

সত্য কঠিন, সত্য দাহী। সুকুমারী, সত্যের এই দাহিকা শক্তি বুকে নিয়ে ভারত চিন্তাকে ঔপনিবেশিক মননজাত যুক্তির শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেছেন, আপাত অজড়–অমর–অক্ষয়ের দুর্গে তাঁর মুক্তির কুঠার দিয়ে সুকুমারী আঘাত হেনেছেন নির্ভয়ে।

[ক্রমশ]

সুকুমারী ভট্টাচার্য ট্যাগে ক্লিক করে ওনার সম্বন্ধে বা বনবাণী ভট্টাচার্য ট্যাগে ক্লিক করে ওনার লেখাগুলি পড়তে পারবেন।

শেয়ার করুন

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *