নবীর আগমনবার্তা – কাজী জহিরুল ইসলাম
|

নবীর আগমনবার্তা – কাজী জহিরুল ইসলাম

দূরত্বের চিৎকার শুনেছিলো ক্রাচের কিশোর তখনি অন্ধকারের সাহস দুপায়ে বেঁধে নেয় সূর্য লাল হয় চন্দ্র গোল হয় বালুর নিচ থেকে উঠে আসে উটপাখিদের ডিম, ডানা ঝাপটায় নিস্ফলা পৃথিবীতে আলো-প্রান্তরের রেখার ওপর দাঁড়িয়ে শেখায় মরুদৌড় হতাশ উটপাখিদের। গাধার কাফেলাকে বলে, মশক খুলে চুমুক দাও মনিবের রক্তে, কেননা এই অরণ্য শুধু স্টালিওনের নয়। সন্ধ্যাকে থামিয়ে দেয় সমুদ্রের…

গর্বিত বাঙালি – অলোকা

গর্বিত বাঙালি – অলোকা

বাড়িতে ফিরেই একটা দ্বন্দ্ব যুদ্ধ বেঁধে গেল। পরমা এমনিতে খুব একটা কথা বলে না। শান্তিতে থাকতেই ভালোবাসে। কিন্তু, অহেতুক অশান্তি একদম ভালো লাগে না। রান্নার লোককে ঝাল ছাড়া তরকারীটা করতে বলা হয়েছিল। ছেলেটা খেতেই পারছে না। আর শাশুড়ি মা, যত বয়স হচ্ছে কথাবার্তা খারাপ থেকে খারাপতর হয়ে যাচ্ছে। সারাজীবন ঝাল ঝোল খেয়ে এখন উনি নিজে…

সার্কাস – সৌগত দত্ত

সার্কাস – সৌগত দত্ত

১ম দৃশ্য- (স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে এল ছেলে, বাবা চেয়ারে বসে পত্রিকায় মনোনিবেশ করে আছেন। ছেলে ব্যাগ কাঁধ থেকে নামিয়ে ছুঁড়ে ফেলে) ছেলে- ড্যাড, ইউ নো কাল কি? বাবা – তোকে বলেছি আমায় ওই বিলাতী কায়দায় ড্যাড বলবি না। ছেলে- হোয়াটএভার, কাল ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাংগুয়েজ ডে, স্কুলে সেলিব্রেশন হবে। বাবা- তা বেশ, কিছু করবি কাল?…

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়

বাইবেলে কথিত আছে একসময় সারা পৃথিবী জুড়েই একটি মাত্র ভাষাই ছিল। মানুষ একে অপরের মনের ভাব বুঝতে পারতো সহজেই। ফলে তারা ঠিক করে বৃহত্তর মানব সমাজ তৈরী করবে। একটি নগরের পরিকল্পনা করে যেখানে একসাথে থাকতে পারবে তারা। এই ইচ্ছেতে ভিৎ গাঁথলো। ছড়িয়েছিটিয়ে না থেকে সমবেত বাসস্হানের জন্য নগর আর দূর্গ বানাতে শুরু করলো। কিন্তু ঈশ্বরের…

সমার্থক শব্দকোষ – অনির্বাণ ভট্টাচার্য

সমার্থক শব্দকোষ – অনির্বাণ ভট্টাচার্য

বাংলাভাষার দেয়াল। কয়েকদিন পরপর খোলনলচে পাল্টে যায়। কী ভাষায় প্রথম কথা বলেছিলাম? কিছু কি বলেছিলাম? কোনও স্মৃতি থাকলে ভাল হত। অন্ধকার ঘরের ভেতর আরেকটা অন্ধকার ঘর। শূন্যতা। গর্ভ। জীবন। জ্যোতি বসুর বাংলায় লোডশেডিং। আমাদের মফস্বলে বুকে হেঁটে শুয়ে থাকা একের পর এক রোয়াকের শ্বাস নেওয়া। শীতঘুম না। বড় বেশিই জ্যান্ত। আমার বাংলা ভাষায় সেই রোয়াকের…

সে দিনের কিছু সুর… – পিয়াল রায়

সে দিনের কিছু সুর… – পিয়াল রায়

বুদ্ধদেব বসু তাঁর ‘ সঙ্গ ও নিঃসঙ্গতা ‘ প্রবন্ধে বয়সজনিত উপলব্ধি প্রসঙ্গে এক চমৎকার কথা বলেছেন, “… এরই মধ্যে চোখদুটো এমন অভদ্র হয়ে উঠলো যে চশমা ছাড়া বিশ্বসাহিত্য অদৃশ্য, এবং চশমা সহ বিশ্বপ্রকৃতি ঝাপসা “। বাস্তবিকই এই চশমা আমার আর কিছুতেই ঠিকঠাক হয়ে উঠলো না। কিছুতেই বুঝে ওঠা গেল না আমি আসলে কী চাই। চশমা…

কারন বিপ্লব একটি মিথ – ঔরশীষ ঘোষ

কারন বিপ্লব একটি মিথ – ঔরশীষ ঘোষ

কিছুতেই বোঝাতে পারছি না আমি কী ভীষণ যন্ত্রণায় আছি: লেখার খাতাও দেখি কলম ছোঁয়ালে লাল হয়ে যাচ্ছে এক লহমায় পাথর চিবিয়ে যে পেট ভরে না সে কথা বলি কাকে, এখন সবাই পাথর চিবিয়ে দিন কাটাচ্ছে আমার মত শুধু মনে হয়ে যে যার বাড়ির রাস্তা ভুলে একদিন এক খোলা মাঠে জড় হবে আর স্লোগানে না- কবিতায়…

একুশে আইন আর গণেশ পাইন – প্রদীপ চক্রবর্তী

একুশে আইন আর গণেশ পাইন – প্রদীপ চক্রবর্তী

এক/ ভাষা হারানোর অন্ধ মাঠে বাঙালি কবির দেশ ছাড়ার দীর্ঘশ্বাস এখনো আমরা আহত আর্তনাদের মতো টের পাই। এ বঙ্গের বাঙালি আমি। আত্মপরিচিতিহীন হয়েও কতো নির্লিপ্ত! মাঝে মাঝে মধ্য নিশীথের অন্ধকারে খণ্ডহীন নীরবতার ভেতর, আকাশের নীচে এসে নিজের মুখোমুখি দাঁড়াই। মুখ তুলে দেখি, মাথার ওপর জ্বলজ্বল করছে বৃহস্পতি, কালপুরুষ, মৃগশিরা নক্ষত্রমন্ডল, সিংহ রাশি আর বাংলার আকাশ…

ভাষা, জগৎ, কবিতা – শৌভ চট্টোপাধ্যায়
|

ভাষা, জগৎ, কবিতা – শৌভ চট্টোপাধ্যায়

বিশ শতকের শুরুতে, মার্কিন নৃতত্ত্ববিদ ও ভাষাতাত্ত্বিক এডোয়ার্ড স্যাপির এবং বেঞ্জামিন লী হোর্ফ সাব্যস্ত করতে চেয়েছিলেন যে, একজন মানুষের বিশ্বদৃষ্টি, অর্থাৎ জগৎ-সম্পর্কে তার ধ্যানধারণা, পুরোপুরি নির্ভর করে তার মাতৃভাষার গঠনের ওপর। হোপি ইন্ডিয়ানদের নিয়ে কাজ করার সময়ে, তাদের ভাষা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে হোর্ফ দেখেছিলেন, সে-ভাষায় সময়ের কোনো নির্দিষ্ট একক নেই, নেই ‘সময়’-এর হুবহু-সমার্থক কোনো শব্দও;…

কবির ভাষাদিবস – শ্রীঅনির্বাণ ধরিত্রীপুত্র
|

কবির ভাষাদিবস – শ্রীঅনির্বাণ ধরিত্রীপুত্র

…যখন ভাঙচুর চলে খুব… বাহিরেই হোক, কি ভিতরে… কবি যে, কোথায়, দেয় ডুব… …   …একটি সূচনা। একটি শেষ-না-হওয়া রচনার। কী বলছে, এ সূচনাটি? কিছু কি বলছে?   …একুশে ফেব্রুয়ারী, আর ক’দিন পরেই, আবার। একটি গদ্যরচনার দাবী, সেই উপলক্ষে। এমন দাবী, যা ফেরানো যায় না। যা ভালবাসার দাবী। যা আবদার। কিন্তু কী লিখবে, এই কবি?…