বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট (পর্ব ১২) – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়
পর্ব ১২
১৯৪১-৪২ মরশুমের সময় আন্তর্জাতিক ও জাতীয় রাজনৈতিক পদ্ধতি ক্রমাগত জটিল হয়ে উঠছিল। বসু কংগ্রেসের সঙ্গে সরাসরি সমস্যা ব্যাপক আকার ধারণ করছিল। আসামে জরুরি অবস্থা জারি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওদিকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ফিলিপাইন প্রায় আত্মসমর্পণ করার জায়গায় চলে যায়।
কলকাতায় একফোঁটাও বিরাম ছিল না ক্রিকেটের। সেই সময় ২৫ ডিসেম্বর, ১৯৪১; কলকাতায় স্থানীয় ক্রিকেটে অজস্র ম্যাচ হয়েছিল।
মহামেডান স্পোর্টিং (১৬৪/৯) ও এরিয়ান্সের (১১৪/৬) ম্যাচটি ড্র হয়। কিন্তু ভবানীপুর (৯৫) পার্সি (১৯৪/৭) -র কাছে হেরে যায়। ভাজিফদার ৫৮, কে খাম্বাট্টা ৪১ ও ম্যাডান ৪০ (বিখ্যাত ম্যাডান পরিবারের সন্তান, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের ছাত্র) করেন। খাম্বাট্টা ২০ রানে ৪ উইকেট নেন।
ন্যাশনাল (১২৭) অতি সহজেই হাইকোর্ট (৭৮)-কে হারিয়ে দেয়। ন্যাশনালের কে দাস ৫৫ করেন। হাইকোর্টের কে আড্ডি ৫৭ রানে ৭ উইকেট নেন। ওইদিনই ডালহৌসি (১৮৮) অতি-সহজেই স্পোর্টিং ইউনিয়ন (১০০) কে হারিয়ে দেয়। ডালহৌসির গার্বিস ৫৫ করেন। স্পোর্টিং এর এস মিত্র ৫৩ রানে ৫ উইকেট নেন। স্পোর্টিং এর হয়ে পরবর্তীকালের ক্রিকেট ও হকি আম্পায়ার সন্তোষ গাঙ্গুলী ৪১ ছাড়া কেউ কিছুই করতে পারেননি। স্যামসন ডালহৌসির হয়ে ৩৫ রানে ৫ উইকেট নেন।
অন্য খেলায় শিবপুর (৮৮) কালীঘাটের (১৬৪) বিরুদ্ধে পরাজিত হয়। শিবপুরের এস দত্ত ৭১ রানে ৫ উইকেট নেন। হিন্দু জিমখানাও সেদিন (১৭৬) কলকাতা পুলিশকে (৮৯) বড়ো ব্যবধানে পর্যুদস্ত করে। হিন্দুর এস নারায়ণ ১২৪ করেন। এটাই বড়োদিনের ক্রিকেটে সেবার একমাত্র শতরান। পুলিশের অখিল ঘোষ ৭৫ রানে ৫ উইকেট নিলেও হিন্দুর সন্তোষ দত্ত (৬/৯) বিধ্বংসী বোলিং করলে পুলিশ দাঁড়াতেই পারেনি।
টাউন ক্লাব (১৮৯) সহজেই সেদিন বেঙ্গল ইউনাইটেড (৭৩) কে সহজেই হারিয়ে দেয়। যথারীতি আলেকজান্ডার ১০ রানে ৩ উইকেট নেন।
ওইদিন মোহনবাগানের প্রাক্তনী (১৫৯) ও মোহনবাগানের বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে খেলায় মোহনবাগানের প্রাক্তনীদের ব্যাটিংয়ের পরে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ক্লাবের বহু পুরনো সদস্য ও তৎকালীন কোষাধক্ষ্য রায়বাহাদুর ফণীন্দ্রলাল দে হঠাৎই মারা যান।
সেই সময় ডেকান ব্লু’জ নামে একটি দল কলকাতায় ক্রিকেট ও হকি খেলতে সফরে এসেছিল। ২৬ ডিসেম্বর ডেকান ব্লু’জ (১৬৩) অতি সহজেই মহামেডান স্পোর্টিং (৫৭)-কে হারিয়ে দেয়। প্রথমে মহামেডানের ওবেদ আলী ৩৪ রানে ৭ উইকেট নিলেও ডেকান ব্লু’জ দলের হায়দার আলি ১০ রানে ৬ উইকেট নিয়ে মহামেডানকে শেষ করে দেয়।
ন্যাশনাল (১৬৪) বনাম স্যার গুরুদাস ইনস্টিটিউট (১৩৫/৮) এর মধ্যে ম্যাচ ড্র হয়। ডালহৌসি (২৫৮) বনাম সিটি অ্যাথলেটিকস (২১২/৫) ম্যাচও ড্র হয়। সিটির বি ঘোষ ব্যাট হাতে ১০২ ও বল হাতে ৭ রানে ৩ উইকেট নেন। টাউন (১৩৫) ও হাওড়া (৮৬) কে হারিয়ে দেয়। টাউনের আলেকজান্ডার ৪০ রানে ৬টি ও বিখ্যাত উইকেট কিপার খোকন সেন ৩৫ রানে ৪ উইকেট নেন।
ট্রপিক্যাল (১৩৯/৯) ভবানীপুরের (১১৩/৬) ম্যাচও ড্র হয়। ভবানীপুরের ডি চ্যাটার্জি ৫৯ রানে ৫ উইকেট পান। মিলন সমিতি (৯৯)-র বিরুদ্ধে ইস্ট বেঙ্গল (৬০) চূড়ান্তভাবে পর্যুদস্ত হয়। মিলন সমিতির এস মুখার্জী (৫/২৮) এর বোলিংয়ের সামনে ইস্ট বেঙ্গল দাঁড়াতেই পারেনি। দক্ষিণ কলকাতা (১২১ ও ১৬৩) অ্যালবার্ট (২০৮ ও ১০৩/৩) এর বিরূদ্ধে ৭ উইকেটে হারে।
তবে ওইদিন দুটি ম্যাচ একপেশে হলেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। একদিকে কালীঘাটে (২৮২/৯) এর ডি পুরী ৭০ মিনিটে ১০টি চার ও ১৭টি ছয়ের মাধ্যমে ১৭৭ করেন। তারপর ক্যাবলা দত্ত (৩/২৫) ও বেরী সর্বাধিকারী (৩/১৫) পার্সি কে ৭৩ রানে ফেলে দেন।
অন্যদিকে রেঞ্জার্স (২৫৯/৩) মানিকতলা ইউনাইটেড (১১১) কে ১৪৮ রানে হারিয়ে দেয়। রেঞ্জার্সের জে এইচ ওয়ারেন অপরাজিত ১০০ ও আর এ গ্রীন ব্যাট হাতে ৮৬ ও বল হাতে ২৪ রানে ৪ উইকেট নেন।
২৭ ডিসেম্বর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল ডেকান ব্লু’জ বনাম কুচবিহারের মহারাজা একাদশ। ডেকান ব্লু’জ (২৪৫/৯) এর রান তাড়া করে কুচবিহার (২৪৪/৫) সামান্য ব্যবধানে ড্র করে। ডেকান ব্লু’জের হসা খাঁ ৬৫, আব্বাস খাঁ ৫৬ করেন। কুচবিহারের হয়ে পিয়ার্সন সুরিটা ৭১ রানে ৫ উইকেট নেন। কুচবিহারের এস রায় অপরাজিত ১২৫ করেন। ম্যাডান ৮২ করেন।
কুমারটুলি (১৫৫) ও অ্যালবার্ট (১৪৭) এর ম্যাচ ছিল দুদিনের। অ্যালবার্ট ৮ রানে হেরে যায়। প্রথম দিন কুমারটুলি ১১৪/৪ তুলেছিল। অ্যালবার্টের ডি সেন ২৫ রানে ৫ উইকেট পান। এম দাস কুমারটুলির বিরুদ্ধে ৩২ রানে ৫ উইকেট নেন।
ন্যাশনাল (৯৩) বনাম শ্যামবাজার (১১৮/৫) ম্যাচ ও দুই দিনের ছিল। শ্যামবাজারের জে দত্ত ১৯ রানে ও আর মুখার্জী ১৪ রানে ৫ উইকেট পান। একই রকম ভাবে দুদিনের খেলায় আলিপুর (১০২) গ্রিয়ারের (১৯২) বিরূদ্ধে দুদিনের খেলায় হেরে যায়। গ্রিয়ারের এন চ্যাটার্জি ব্যাট হাতে ৭০ ও বল হাতে ৪৪ রানে ৬ উইকেট পান।
মারোয়ারি (১৪৬) বনাম ইস্টবেঙ্গলের (২৪৪) দুই দিনের ম্যাচ ইস্টবেঙ্গল জিতে নেয়। ইস্টবেঙ্গলের এম গুহ ৬৬ ও গৌর ঘোষ ৬০ রান করেন। মোহনবাগান (১৮৬) বনাম অরোরা (৯৪)-র দুই দিনের খেলায় মোহনবাগান জয়ী হয় ধীরেন দে (৬/৩৮)-র বোলিং এর জন্য।
তবে হিন্দু জিমখানা (৬০ ও ৭৭) এক ইনিংস ও ১ রানে হেরে যায় শ্যামবাজারের (১৩৮) বিরুদ্ধে। শ্যামবাজারের এস ব্যানার্জি প্রথম ইনিংসে ২৮ রানে ৫ উইকেট ও পি সেন ৪৪ রানে ৫ উইকেট পান।
বাজে শিবপুর (১৮০; এস চ্যাটার্জি ৪৬, পি ঘটক ৫/৪৩) কলকাতা পুলিশ (১৭৭; এ ঘোষ ৮০) -কে ৩ রানে হারিয়ে দেয়।
তবে মহামেডান (১৪০/৯) বনাম সিটি অ্যাথলেটিকস (৭৩/৩), পোর্ট কমিশনার (১৮০/৩; জি পিক অপরাজিত ৮১) বনাম ওল্ড উইলিয়ামস (১৭৮/৫; এইচ এডওয়ার্ডস ৫৮), রেঞ্জার্স (১৫২/৭) বনাম ট্রপিক্যাল (১২৩/১) ম্যাচ গুলো সব ড্র হয়।
কিন্তু কালীঘাট (১৪৫/৯) বনাম স্পোর্টিং ইউনিয়ন (৪৭) ম্যাচ একতরফা হয়। তাছাড়া পি ব্যানার্জির শতরান (অপরাজিত ১০১) সালখিয়া (২০৭/৪) -কে বড়ো রান তুলতে সাহায্য করলে শিবপুর (৪৬) তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে।
২৮ তারিখ স্পোর্টিং ইউনিয়ন (২১৫/৪) নির্মল চ্যাটার্জির ৮০ ও ডি সেনের ৭৬ এর দৌলতে বড়ো রান তোলে ক্যাবলসের বিরুদ্ধে। ক্যাবলসের হয়ে লংফিল্ড ৪৭ রানে ৩ উইকেট নেন। ক্যাবলস ১৫৫/৮ তোলে। হার্কার ৪৫ রান করেন।
তবে সব থেকে বড় ঘটনা ঘটে ইন্টারন্যাশনাল (৭৬) বনাম এরিয়ান্স (৫৫/১) ম্যাচে। এরিয়ান্সের শিশির মুস্তাফি ৩০ রানে একাই ১০ উইকেট নেন। কলকাতার ক্লাব ক্রিকেটে এই ঘটনা সম্ভবত প্রথম। ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ ওয়াকওভার দেয়।
শ্যামবাজারের দ্বিতীয় দল (৭৯) হেরে গিয়েছিল স্টুডেন্ট ইউনিয়নের (১৫৭/৯) বিরুদ্ধে। জে দাশগুপ্ত ব্যাট হাতে ৬৭ ও বল হাতে ২৬ রানে ৫ উইকেট পান।
২৯ শে ডিসেম্বর এরিয়ান্স (১৫৩) ইস্ট বেঙ্গল (৮৯) হারিয়ে দেয়। ভবানীপুর (১৬৯/৯) ও শিবপুর (১৩১/৪) ড্র হয়। শিবপুরের এস চ্যাটার্জি ৫৫ রান করেন। এমনকি ভবানীপুরের দ্বিতীয় দল (৪৭) কারমাইকেল মেডিকেল কলেজ (বর্তমানে আর জি কর) করে ১২ রানে হারিয়ে দেয়। যদিও কারমাইকেলের এস সুর ১৭ রানে ৭ উইকেট পান।
ইন্টারন্যাশনাল (৮৩) হাইকোর্ট কে (৭৮/৯) হারিয়ে দেয়। হাওড়া ইউনিয়ন (১০২) হারিয়ে দেয় ইয়ং বেঙ্গল (৮৮) কে। ইয়ং বেঙ্গলের কে ব্যানার্জি ১৪ রানে ৫ উইকেট ও এ রায় ৩৫ রানে ৪ উইকেট পান। হাওড়ার বি বসু ২০ রানে ৬ উইকেট পায়।
আলিপুর (১৫৩) হারিয়ে দেয় কলকাতা পুলিশ (৮৩)। আলিপুরের এস সেন ৩৫ রানে ৬ উইকেট পান, পুলিশের অনিল ঘোষ ৫৮ রানে ৫ উইকেট পান। মোহনবাগান (২২১) জিতে যায় রেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে (১৫১)। মোহনবাগানের ধীরেন দে ৫০ করেন, এম সেন (৫/৬৫) ভালো বোলিং করেন মোহনবাগানের হয়ে।
বছরের শেষ দিন ক্যাবলস (১৮৯/৯) ও ইস্ট বেঙ্গল (১০২/৮) ম্যাচ ড্র হয়। ক্যাবলসের স্টাইল অপরাজিত ৬৫ করেন। শ্যামবাজার (১৫৬/৯) ও ইন্টারন্যাশনাল (১০৯/৬) ম্যাচ ড্র হয়। এস মন্ডল শ্যামবাজারের হয়ে ৫৭ করেন। ড্র হয় বালক সংঘ (১৩২) বনাম হলিউড (৯৭/৫) ম্যাচটি। এই নামে যে ক্লাব ছিল তা আগে জানতাম না।
এদিকে শিবপুর (৯৪) হারিয়ে দেয় ইউনিয়ন স্পোর্টিং (৬৬) কে হারিয়ে দেয়। ইউনিয়নের এন ঘোষ ৩০ রানে ৬ উইকেট পান। সালখিয়া (১৫৯) হেরে যায় মহামেডান স্পোর্টিং (১৬২/২) এর বিরূদ্ধে। সালখিয়ার এন চ্যাটার্জির অপরাজিত ৫২ কাজে লাগেনি নাহুমের ৭৩ রানে ৭ উইকেট, জামানের ৫০ ও ওবেদ আলির অপরাজিত ৬৯ করার জন্য।
মোহনবাগান একদিনে দুটো ম্যাচ হারে। প্রথমে কালীঘাটের বিরূদ্ধে ১৭০ তোলে, এ হাজরা ৫১ করলেও কালীঘাটের এস দত্ত ৬০ রানে ৫ উইকেট নেন। এরপরে কালীঘাট রান তুলে শেষ অবধি ব্যাট করে ১৯০/৯ তোলে। ভাসি দাস ৮৬ করেন। আর মুখার্জির ৩৪ রানে ৬ উইকেট কাজে লাগেনি। অন্য ম্যাচে মোহনবাগানের দ্বিতীয় দল ১২৮ করে কারণ গ্রীয়ারের এন চ্যাটার্জি ৩০ রানে ৬ উইকেট নেন এবং ডি মিত্র ৫৪ রানে ৪ উইকেট নেন। জবাবে বি ডি চ্যাটার্জি ৩৮ রানে ৪ উইকেট নিলেও গ্রীয়ার ১৪২/৫ তুলে ম্যাচ জিতে যায়।
মারোয়ারি (প্রাক্তণ) ২১০/৬ তোলে মারোয়ারি (বর্তমান) এর বিরুদ্ধে। প্রাক্তনীদের আইভ্যান ৭২ করে ও এন জালান নবীনদের হয়ে ৪৩ রানে ৬ উইকেট নেন। জবাবে মারোয়ারি (বর্তমান) ২২৫ তুলে ম্যাচ জিতে যায়। জি খৈতান ৬৫ করেন।
এছাড়া ডেকান ব্লু’জ এর সঙ্গে বাংলার গভর্নর দলের খেলা ছিল কিন্তু তার স্কোর বা রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
ইডেনে মরশুমের প্রথম শ্রেণির প্রথম ম্যাচ হয় বিশ্বযুদ্ধ তহবিলের জন্য রঞ্জি জয়ী মহারাষ্ট্র বনাম বাংলা গভর্নর দলের মধ্যে। বাংলা গভর্নর একাদশ ২৫৭ করে। সি এস নাইডু ৫৫ করেন। কার্তিক বসু অপরাজিত ৫৫ করেন। সারভাতে ৫৭ রানে ৩ উইকেট পান। গিরিধারি ৫১ রানে ৩ উইকেট পান। জবাবে মহারাষ্ট্র প্রথম ইনিংসে ৩০৮ করেন। ৭৩ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে বিজয় হাজারে (৮৩) হাল ধরেন। শুঁটে ব্যানার্জি ৯১ রানে ৪ উইকেট পান। এরপর গভর্নর দল ২৭৫/৭ তোলে। মুস্তাক আলী ৪৫, কার্তিক বসু অপরাজিত ৮৬, হেমু অধিকারী ৭৬ করেন। ২২৫ লক্ষ্য মাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে মহারাষ্ট্র ১৫৩/৫ তোলার পর ম্যাচ ড্র। সারভাতে ৩৮ করেন। হাজারে ৩৪ করেন। মুস্তাক ১৩ রানে ২ উইকেট পান।
সেবার রোহিন্টন বারিয়ার কোনো ম্যাচ কলকাতায় হয়নি। একটা রঞ্জি ম্যাচ খেলেই বাংলা সেমি-ফাইনালে যায়। সেটা অবশ্য ফেব্রুয়ারি মাসে খেলা হয়। মহীশূরের বিরুদ্ধে মাত্র ১৭ রানে হেরে বাংলা বিদায় নেয়।
বিশ্ব যুদ্ধের ডামাডোলে সরকারি আন্তর্জাতিক খেলা বন্ধ না থাকলে যে ফর্মে ছিলেন কার্তিক বসু, কমল ভট্টাচার্য ও শুঁটে ব্যানার্জি; নিশ্চিত তাঁরা টেস্ট খেলতেন।