কার্ল মার্কস ও বিশ্ব-সাহিত্যের অতিমানবেরা – শঙ্খদীপ ভট্টাচার্য (পর্ব ২ )

কার্ল মার্কস ও বিশ্ব-সাহিত্যের অতিমানবেরা – শঙ্খদীপ ভট্টাচার্য (পর্ব ২ )

শেয়ার করুন

কার্ল মার্কস ও বিশ্ব-সাহিত্যের অতিমানবেরা (কিছু মনন সমলয়ন কথা)

প্রথম অধ্যায়: কার্ল মার্কস ও বালজাক

‘দাস ক্যাপিটাল’ এবং ‘দ্য আননোন্ মাস্টারপিস’

পর্ব: ২


১৮৫২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মার্কস লিখেছিলেন, “সপ্তাহ খানেক আগে আমি এমন এক মজাদার জায়গায় পৌঁছেছিলাম যেখানে বন্ধক দেওয়া কোটগুলোর অভাবে আমি আর বাইরে যেতে পারছিলাম না, টাকার অভাবে আজকাল মাংসও খেতে পারি না।“(1) সেই বছরেরই শেষের দিকে তিনি এঙ্গেলসকে পারিবারিক অবস্থার কথা জানিয়ে বলেন যে “গত আট দশ দিন ধরে পরিবারের মুখে আমি রুটি আর আলুর বেশি কিছু তুলে দিতে পারিনি, কিন্তু আজকে সেটাও জুটবে কিনা সন্দেহ…এই নারকীয় বিশৃঙ্খলা থেকে আমি কীভাবে বের হব?”(2) বস্তুত, মার্কসের এই মাস্টারপিসটি গড়ে তোলার সুদীর্ঘ পরিক্রমায় এইসব প্রতিবন্ধকতা বারবার ফিরে ফিরে এসেছে।
১৮৫৮ সালের শুরুতে, ফার্দিনান্দ লাস্সাল্লে(Ferdinand Lassalle) বার্লিনের একজন প্রকাশকের সঙ্গে মার্কসের একটি চুক্তি করার প্রস্তাব দেন। মার্কস প্রকাশককে জানিয়েছিলেন যে তার “critical exposé of the system of bourgeois economy” ছটি খণ্ডে ভাগ হবে যা কিস্তিতে প্রকাশ করা গেলেই ভালো। খণ্ডগুলি হল, “1. On Capital (contains a few introductory chapters). 2. On Landed Property. 3. On Wage Labour. 4. On the State. 5. International Trade. 6. World Market.” এই সময়ে মার্কসের মানসিক শ্রমের পরিমাণ চূড়ান্ত এক মাত্রায় পৌঁছেছিল। এই অবিরাম পরিশ্রমের মধ্যে কঠিন সময়সীমার মুখোমুখি হলে মার্কসের শরীর প্রতিবাদে বিদ্রোহ করে উঠত। এপ্রিলে তিনি এঙ্গেলসকে জানান, “I’ve been so ill with my bilious complaint this week that I am incapable of thinking, reading, writing or, indeed, of anything, I have to lie quite fallow for a couple of days”।(3) দেখার মতো বিষয় হল, ‘দাস ক্যাপিটাল’ লিখতে মার্কসকে চল্লিশ বছর পরিশ্রম করতে হয়েছিল আর সে এমনই পরিশ্রম যা ছিল একমাত্র মার্কসের পক্ষেই সম্ভব। একথা বললে অত্যুক্তি হবে না যে, ওই চল্লিশ বছরে লেখার পারিশ্রমিক বা সেই শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানভিত্তিক-আর্থসামাজিক সৃষ্টির জন্য সমাজের কাছ থেকে ঋণ পরিশোধ বাবদ মার্কস মোট যে পরিমাণ অর্থ পেয়েছিলেন তা জার্মানির সবচেয়ে কম মজুরির দিনমজুরের চল্লিশ বছরের মোট মাইনের চেয়েও কম ছিল। এইরকম মন খারাপ করা পরিস্থিতিতেও মার্কস রসিকতা করতে কিন্তু ছাড়তেন না। মজা করে বলেছিলেন, “I don’t suppose anyone has ever written about “money” when so short of the stuff.”।(4)
নিজের শরীর নিয়ে প্রকৃতই তখন মার্কস প্রচণ্ড বিড়ম্বনায়। ১৮৬৫ সালের গ্রীষ্মে প্রতিদিনই প্রায় বমি করছেন। একইসঙ্গে কার্বাঙ্কেলের যন্ত্রণায় জেরবার। তাছাড়াও বাড়িতে হঠাৎ অতিথিদের আগমন, যেমন জার্মানি থেকে জেনির ভাই, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মার্কসের শ্যালক, মাস্ট্রিচ থেকে ভাগ্নি ইত্যাদি তাঁর কাজে আরও অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত বাধা তৈরি করেছিল। পাওনাদারদের পরিচিত সারি তো ছিলই। মার্কসের কথায়, “hammering on my door, becoming more and more unendurable every day”। এই এতসব বিরক্তিকর বিবিধ বিক্ষেপের মধ্যে মার্কসের অজানা মাস্টারপিসটি তখন শেষ হওয়ার খুব কাছাকাছি। সেই সময়ের লেখায় লেখায় দীর্ঘদিনের তাঁর শারীরিক যন্ত্রণার কিছু ছাপ তো পড়েই ছিল। এই প্রসঙ্গে ফ্রান্সিস হুইন বলছেন,

“Engels’s experienced eye immediately spotted certain passages in the text where the carbuncles had left their mark, and Marx agreed that they might have given the prose a rather livid hue. ‘At all events, I hope the bourgeoisie will remember my carbuncles until their dying day,’ he cursed. ‘What swine they are!” (5)

ফ্রান্সিস হুইন

হাজারো প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে অবশেষে ‘দাস ক্যাপিটাল’ দু মলাটে প্রকাশিত হয়। কমিউনিস্ট লীগ এবং ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার্কিং মেনস অ্যাসোসিয়েশনের পুরানো বন্ধু জোহান জর্জ ইকারিয়াসের(Johann Georg Eccarius) ভাষায়, “The Prophet himself is just now having the quintessence of all wisdom published.”(6)
একথা বলতে কোনও বাধা নেই যে দাস ক্যাপিটালে প্রকাশিত মার্কসের নিবিড় প্রজ্ঞার সারমর্মের প্রাসঙ্গিকতা শুধু তাঁর নিজের সময়ের ক্ষেত্রে নয়, তা সময়কেই সর্বার্থে অতিক্রম করে। অন্যভাবে বলতে গেলে বলা যায়, মার্কস তাঁর এই মাস্টারপিসে বিচক্ষণ দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদী বিশ্লেষণে ভরপুর এক ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক ফাঁদ তৈরি করেছিলেন। ব্যাপারটা অনেকটা এই রকম যে, ভবিষ্যতের কোনও এক সঠিক প্রশ্নের উত্তর মার্কস যেন ইতিমধ্যেই প্রস্তুত করে রেখেছেন দাস ক্যাপিটালে। সমকালীন পুঁজিবাদী সংকটের সমাধান খুঁজতে বিশ্বের তাবড় তাবড় অর্থনীতিবিদরা এখনও তো সেই দাস ক্যাপিটালের পাতা উল্টেই দেখেন। উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হল, ১৮৬৭ সালে প্রথম খণ্ড শেষ হওয়ার পরপরই দাস ক্যাপিটালের প্রতি ‘vulgar economist’-দের ভর্ৎসনা উগরে দেওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করে মার্কস এঙ্গেলসকে বলেছিলেন,

“If I wished to refute all such objections in advance, I should spoil the whole dialectical method of exposition. On the contrary, the good thing about this method is that it is constantly seeing traps for those fellows which will provoke them into an untimely display of their idiocy.” (7)

কার্ল মার্কস

এই সকল অর্ধশিক্ষিত অর্থনীতিবিদ ও সমালোচকদের মধ্যে যেন পাউসিন পোর্বাসেরই ছায়া। প্রকৃত অর্থে ফ্রেনহোফারের মাস্টারপিসের একমাত্র ব্যর্থতা হল, নিরাকার এলোমেলো আপাতদৃষ্টিতে বিভ্রান্তিকর তার সৃষ্টিটি সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে থাকার বাস্তবতা। কারণ মাস্টারপিসটি ছিল বিশ শতকের জনপ্রিয় বিমূর্ত শিল্পেরই একটি পরিপূর্ণ প্রতিফলন। একইভাবে মার্কসও এতদিনকার দর্শন, অর্থনীতি এবং ইতিহাসবোধে এমনই এক অভূতপূর্ব দৃষ্টিকোণের স্বাক্ষর রেখেছিলেন “which was of value to his time precisely in proportion as it was alien to it”। (8)
একজন আদ্যন্ত পারফেকশনিস্ট হিসেবে মার্কস চিরকালই তাঁর ক্যানভাসের জন্য প্যালেটে নতুন রঙ খুঁজেছেন। গণিত অধ্যয়ন থেকে শুরু করে মহাকাশীয় গোলকের গতিবিধি সম্পর্কে শেখা, রাশিয়ান পর্যন্ত শিখেছেন যাতে তিনি সেই দেশের ভূমি ব্যবস্থার ওপর বই পড়তে পারেন। রুশ সমাজতত্ত্ববিদ ম্যাক্সিম কোভালেভ্সকি(Maxim Kovalevsky) স্মৃতিচারণায় বলছেন,

“মার্ক্সকে একজন বহুভাষাবিদ[polyglot] হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। তিনি যে কেবল জার্মান, ইংরেজি এবং ফরাসি ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলতেন তা নয় বরং রাশিয়ান ইতালীয় স্প্যানিশ এবং রোমানিয়ানও পড়তে পারতেন”। (9)

ম্যাক্সিম কোভালেভ্সকি

পল লাফার্গের কথায়,

“মার্কস কখনই নিজের কাজের ব্যাপারে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তিনি সবসময়ই লেখায় কিছু না কিছু উন্নতি করতেন এবং তিনি যে ধারণাটি প্রকাশ করতে চাইতেন তার থেকে সবসময়ই তার নিজের রেন্ডারিংকে[rendering] নিকৃষ্ট মনে করতেন।”(10)

পল লাফার্গ

ঠিক যেমন ফ্রেনহোফার বলেছেন, “হায়! আমি এক মুহূর্তের জন্য ভেবেছিলাম যে আমার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে; কিন্তু কিছু বিবরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আমি নিশ্চয়ই ভুল করেছি, আমার এই সন্দেহ দূর না হওয়া পর্যন্ত আমার মন শান্ত হবে না। আমি ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মডেলের সন্ধানে তুরস্ক, গ্রীস এবং এশিয়া যাব, প্রকৃতির সঙ্গে আমার ছবিকে বিভিন্ন আকারে তুলনা করার উদ্দেশ্যে।”
কিন্তু মার্কসের মাস্টারপিসের অন্তত একজন বিখ্যাত এবং কৃতজ্ঞ পাঠক ছিলেন যে যে মানুষটি মার্কসের কাজকে প্রশংসার চোখে দেখেছিলেন। ১৮৭৩ সালের অক্টোবরে, ক্যাপিটালের দ্বিতীয় জার্মান সংস্করণ প্রকাশের কয়েক মাস পরে, মার্কস সেই মানুষটির কাছ থেকে চিঠি পান। চিঠিতে লেখা ছিল,

“Dear Sir:
I thank you for the honour which you have done me by sending me your great work on Capital; & I heartily wish that I was more worthy to receive it, by understanding more of the deep & important subject of political Economy. Though our studies have been so different, I believe that we both earnestly desire the extension of Knowledge, & that this is in the long run sure to add to the happiness of Mankind.
I remain, Dear Sir
Yours faithfully,
Charles Darwin “(11)

আমেরিকান লেখক মার্শাল বারম্যানের(Marshall Berman) মতে, ‘দ্য আননোন মাস্টারপিসে’ সবচেয়ে “delightful irony” হল এই যে, বালজাকের ছবির বিবরণটি তাঁর সময়ের অনেক পরের বিশ শতকের বিমূর্ত ছবির নিখুঁত বর্ণনা অথচ এই সত্যটি বালজাক নিজেই জানতেন না। বারম্যান আরও লিখছেন,

“মোদ্দা কথা হল যে, যেখানে একটি যুগ কেবল বিশৃঙ্খলা এবং অসংলগ্নতা দেখতে পায়, পরবর্তী বা আরও আধুনিক যুগ সেখানে অর্থ এবং সৌন্দর্য আবিষ্কার করতে পারে, এইভাবে মার্কসের পরবর্তী কাজগুলির যে খোলামেলা ভাব[open-endedness] তা আমাদের সময়ের সঙ্গে এমনভাবে যোগাযোগ করতে পারে যা উনিশ শতকের আরও পরিপূর্ণ [‘finished’] কাজগুলিও করতে পারে না: দাস ক্যাপিটাল মার্কসের শতাব্দীর সুনির্মিত রচনাগুলিকে অতিক্রম করে আমাদের নিজস্ব বিচ্ছিন্ন আধুনিকতাকে(alienated modernism)স্পর্শ করে”।(12)

আসলে কাজ করাটা ছিল মার্কসের নেশা। কাজে এমন ডুবে থাকতেন যে প্রায়ই খেতে পর্যন্ত ভুলে যেতেন। বেশ কয়েকবার ডাকাডাকির পর তবে তিনি খাবার ঘরে নেমে আসতেন, আর শেষ গ্রাস মুখে তোলা শেষ হতে না হতেই ফের ফিরে যেতেন পড়ার ঘরে। মস্তিষ্কের জন্য প্রায় সারা শরীরটাকেই বলি দিয়েছিলেন মার্কস। মস্তিষ্ক চালাতেই সবচেয়ে বেশি আনন্দ পেতেন তিনি। “নভোমণ্ডলের বিস্ময়ের চেয়ে যেকোনও অপরাধীর এমনকি অপরাধ চিন্তারও চমৎকারিত্ব আর মহত্ত্ব বেশি”, হেগেলের এই কথাটির পুনরাবৃত্তি করতে প্রায়ই তাঁকে দেখা যেত। মস্তিষ্কচালনার নিরন্তর এই প্রক্রিয়ায় নিমজ্জিত থেকে মার্কস নিজেকে একজন সৃজনশীল দ্বান্দ্বিক শিল্পী হিসেবেই দেখতেন। ১৮৬৫ সালের জুলাই মাসে মার্কস এঙ্গেলসকে লিখেছিলেন,
“এখন আমার কাজ সম্পর্কে আমি তোমাকে একটা সহজ সত্য বলব, যত ত্রুটিই থাকুক না কেন, আমার লেখার সুবিধা হল যে সেগুলি শৈল্পিক এক সমগ্র[artistic whole]”।(13)
মার্কস যখন মানুষের উদ্দেশ্যর বস্তুগত ভিত এবং স্বার্থ সম্পর্কে মানুষের অন্তর্দৃষ্টি অন্বেষণ করতেন তখন একজন দার্শনিক বা রাজনৈতিক প্রবন্ধকারের দৃষ্টিভঙ্গি যেভাবে কাজ করেছে ঠিক তেমনই কাজ করেছে মার্কসের অন্তঃস্থিত কবি এবং উপন্যাসিকের সত্তা। ১৮৬৮ সালের ডিসেম্বরে একটি চিঠিতে তিনি বালজাকের ‘দ্য ভিলেজ প্রিস্ট’ (The Village Priest) নামের একটি রচনা থেকে একটি অনুচ্ছেদ অনুলিপি করে এঙ্গেলসকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, এঙ্গেলস তাঁর নিজস্ব ব্যবহারিক অর্থনীতির জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে ছবিটি নিশ্চিত করতে পারেন কিনা। বস্তুত, মার্কস যদি প্রচলিত অর্থে আপাদমস্তক একটি অর্থনৈতিক গ্রন্থ লিখতে চাইতেন তিনি তা খুব সহজেই করতে পারতেন, কিন্তু লেখার ব্যাপারে মার্কসের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত।
মার্কসের চোখে তাঁর ডক্টরাল থিসিসের কেন্দ্রীয় দার্শনিক এপিকিউরাসের আবির্ভাব ছিল অনেকটা প্রমিথিউসের মতো, আর বালজাক যেন ফ্রান্সের সাহিত্য জগতের প্রমিথিউস। মার্কস বালজাককে কতটা অন্তর থেকে শ্রদ্ধা করতেন এবং তাঁর লেখার সঙ্গে কী পরিমাণ একাত্মবোধ করতেন তা ১৮৬৫ সালে এঙ্গেলসকে লেখা চিঠিতে স্পষ্ট ধরা পড়ে। মার্কস লিখছেন,
“I can write you but a few lines at this moment, as the landlords agent is here and I must play opposite him in the role of Mercadet in Balzac’s comedy. Apropos of Balzac, I advise you to read his Le Chef-D’Oeuvre Inconnu and Melmoth Réconcilié. They are two little chefs d’oeuvres full of delightful irony.” (14)
শ্রেষ্ঠত্বের দিকে শ্রেষ্ঠদেরই চোখ পড়ে সবার আগে। তাঁরাই প্রথম চিনতে পারেন। ভিক্টর য়ুগো সবার আগে চিনতে পেরেছিলেন বালজাককে। য়ুগোর পরে বোদলেয়ার। তারপর একে একে দস্তয়েভস্কি হয়ে মার্কস, এঙ্গেলস। শেষমেশ সারা বিশ্ব সচকিত হয়ে ওঠে। সম্পূর্ণ অন্য ধরনের এক আশ্চর্য প্রতিভার আভায় মুগ্ধ হয়ে তারা সকলেই চোখ ফেরাতে ক্রমশ বাধ্য হয়েছেন অনরে দি বালজাকের দিকে, কার্ল মার্কসের দিকে। বালজাকের কল্পনায় ফ্রেনহোফার আত্মহত্যা করেছিলেন তাঁর কালোত্তীর্ণ সৃষ্টির প্রাপ্য মর্যাদা না পেয়ে আর বাস্তবে কাল মার্কস থেকে যান তাঁর কালোত্তীর্ণ সৃষ্টির বিরামহীন বিস্তারে, নতুন সমাজ গড়ে তুলতে মানুষের নাছোড়বান্দা আকাঙ্ক্ষায়।


তথ্যসূত্র :
1. Marx’s Das Kapital a biography, Francis Wheen, Atlantic Books, London, Page -18
2. Ibid.
3. Ibid, Page- 20-21
4. Ibid.
5. Ibid, Page 25-26
6. Ibid- Page-27
7. Ibid, Page-76
8. Ibid, Page-77
9. Karl Marx, Interviews and Recollections, edited by David Mcclellan, The Macmillan Press, 1981, Page- 127, “Marx Could be considered a polyglot. He not only fluently spoke German English and French but could also read Russian Italian Spanish and Romanian.”
10. ibid. “Marx was never satisfied with his work-he was always making some improvements and he always found his rendering inferior to the idea he wished to convey.”
11. Marx and Darwin, quoted in Margaret A. Fay, “Marx and Darwin: A Literary Detective Story,” Monthly Review, vol. 31, no. 10 (March 1980), 41. This was the only contact between Marx and Darwin. For many years it was believed that Marx had written a letter to Darwin offering to dedicate a volume of Capital to the latter, based on an 1880 letter from Darwin found among Marx’s papers. Recent scholarship has proven, however, that the letter from Darwin was written not to Marx but to Marx’s future son-in-law, Edward Aveling, who, along with Eleanor Marx Aveling, was at one time in charge of Marx’s papers (after the death of Engels). Aveling, who had received a doctorate in zoology at the London University and had gone on to be a lecturer in comparative anatomy in London Hospital, met Darwin on a number of occasions, and offered to dedicate his book. The Student’s Marx (1881), to Darwin, who had earlier given his views on some of the articles from which the book was compiled. Darwin, however, refused, not wishing to be associated with Aveling’s radical secularism.
Marx and Engels, Collected Works, vol. 45, Page- 106-8.
12. Marx’s Das Capital A Biography, Francis Sheen, Atlantic Books, Page-3
“The point is that where one age sees only chaos and incoherence, a later or more modern age may discover meaning and beauty, Thus the very open-endedness of Marx’s later work can make contact with our time in ways that more ‘finished’ 19th-century work cannot: Das Kapital reaches beyond the well-made works of Marx’s century into the discontinuous modernism of our own.”
13. ibid.
“Now, regarding my work, I will tell you the plain truth about it, Whatever shortcomings they may have, the advantage of my writings is that they are an artistic whole.”
14. On Literature and Art, Marx Engels, Progress Publisher, Moscow, 1978, Page- 315

শেয়ার করুন

ক্যাটেগরি বা ট্যাগে ক্লিক করে অন্যান্য লেখা পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরনো লেখা

ফলো করুন

Recent Posts

Recent Comments

আপনপাঠ গল্পসংখ্যা ২০২২