এক আলোর পথযাত্রীকে লেখা চিঠি — সিদ্ধার্থ মজুমদার

এক আলোর পথযাত্রীকে লেখা চিঠি — সিদ্ধার্থ মজুমদার

শেয়ার করুন

‘মুগ্ধ স্কার্টের সাদায় তোমাকে দেখেছি
তুমুল দহন, মধ্যদুপুর একা
ঊর্মিমুখর চুলে,
অন্য কাহিনি, দারুণ লিরিক
বৃষ্টি দুপুর লেখা।

কিংস কলেজে
তিরিশ তখন তুমি …
তোমাকে দেখেছি
মেধাবী মোহনা চোখ
জীবন-রশ্মি কবি,
নাছোড়-আলোয় স্বপ্ন সৃজন
ডাবলহেলিক্স ছবি’।

শ্রীময়ী, মনে পড়ছে তোমার ওপরের এই লাইনগুলো? তোমাকে নিয়ে লেখা এই কবিতার পুরোটাই শুনিয়েছিলাম সেদিন। ২৫ জুলাই, তোমার জন্মদিনে। আবার লিখতে ইচ্ছে করল এই চিঠিতে। শুরুর দুটি স্ট্যাঞ্জ্যা লিখলাম। মনে আছে, তোমাকে যখন শুনিয়েছিলাম আমার এই লেখাটা, তোমার সারা চোখে মুখে কী অপরূপ এক দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল।

একটু অন্য ধরনের নাম শুনলেই তার মানে জানতে ইচ্ছে হয়। তাই তোমার ‘রোজালিন্ড’ নাম যখন প্রথম শুনেছিলাম তার অর্থ খোঁজ করেছিলাম। তোমাকে কখনও বলা হয়নি এই কথাটা। স্প্যানিশে Linda আর Rosa মিলিয়ে হয়েছে Rosalind। Linda মানে ‘সুন্দর’ আর ‘Rosa’ মানে গোলাপ (Rose)। Rosalind মানে হল ‘গোলাপের মতন সুন্দর’। সত্যিই তোমার নামের মতনই তুমি সুন্দর। যখনই আমার ‘রোজালিন্ড’ নামটি মনে পড়ে, চোখের সামনে দেখতে পাই তোমাকে। সারা চোখে মুখে গোলাপের মতন অনিন্দ্যসুন্দর হাসি ছড়িয়ে আছে। নিজের নামের মানে কি আর কেউ না জানে! তুমিও কি আর জানতে না?

মনে পড়ল, আমি আরও একটা কথা বলেছিলাম তোমাকে এই প্রসঙ্গে। বলেছিলাম, শেক্সপিয়ারের একটি নাটকের প্রধান চরিত্রের নাম ছিল ‘রোজালিন্ড’। সেখান থেকেই ইউরেনিয়াসের সাতাশটি চাঁদের মধ্যে একটি চাঁদের নামকরণ করা হয়েছিল ‘রোজালিন্ড’। এটাও কি জানতে?

তোমার ঝকঝকে মেধাবী চোখ দুটো আজও আমাকে মুগ্ধ করে রাখে। তোমার ঘাড় ছুঁয়ে থাকা চুল আর সাদা ধবধবে স্কার্টের ওই ছবিটা, আমাকে উদাস করে দেয়! তবে তোমার নামের মানে যত সুন্দরই হোক, তোমাকে একটা বাংলা নামে সম্বোধন করতে ইচ্ছে হয়েছিল একসময়। আমি ‘শ্রীময়ী’ নাম দিয়েছিলাম তোমার। মনে আছে, এই নতুন নাম শুনে তুমি প্রশ্রয়সূচক মুচকি হেসেছিলে? সবকিছু আজ আবার কেমন ছবির মতন মনে পড়ে গেল।

তোমার আঠারো বছর বয়সের একটা ছবিও আছে আমার কাছে। তখন তো তুমি ফিজিক্স আর কেমিস্ট্রি নিয়ে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োন্যাম উম্যেনস কলেজে ভর্তি হয়েছ। ওই সময়কার একটা ছবি আছে আমার কাছে। কী স্মার্ট আর বুদ্ধিদীপ্ত চেহারা ছিল তোমার। পিএইচডি করে তুমি প্যারিস গেলে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে তখন। ওখানে ‘এক্স-রে-ডিফ্রাক্সন’ পদ্ধতি শিখে কয়লার গঠন বিন্যাস উদ্ভাবনের ওপর দারুণ সব কাজ করেছিলে। ওই চারটে বছর প্যারিসে তোমার খুব ভালো কেটেছিল। তারপরে তো লন্ডনের কিংস কলেজে যখন যোগ দিলে। সেসময় এক্স-রে ক্রিস্টালোগ্রাফি বিশেষজ্ঞ হিসেবে তোমার ভালোই নামডাক। কিংস কলেজের মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের বায়োফিজিক্স ডিপার্টমেন্টে যোগ দিলে তুমি।

আজ আর ঠিক মনে নেই, কী করে যেন সেসময় তোমার সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। সাকুল্যে সাতাশ মাস ছিলে কিংস কলেজে। খুব খারাপ সময় কেটেছিল তোমার। অনেক পরে আমি জেনেছিলাম সে সব কথা। কী দুঃসহ টানাপোড়েনে কেটেছিল! শ্রীময়ী, এসব কথা ভাবলে এখনও আমার ভীষণ কষ্ট হয়। ওখানে পুরুষ সহকর্মীরা আড়ালে তোমার হাঁটা, চলা, কথা বলা সব কিছু নিয়ে কতো ব্যঙ্গকটাক্ষ, বিদ্রুপ, মশকরা করত। তখনই তোমার পেছনে ওরা ‘রোজি’ নামটা চালু করে। কখনও কখনও বলত ‘ডার্ক-লেডি’। ‘বদ-মেজাজী’, ‘নাকউঁচু, ঝগড়ুটে’ – তোমার কানেও হয়ত আসত এইসব ব্যঙ্গবিদ্রুপ। আসলে তুমি স্বাধীনভাবে গবেষণা করে যাচ্ছ। অনেকেই সহ্য করতে পারত না এসব। ওরা ধরেই নিয়েছিল ‘মেয়েদের মেধা ছেলে গবেষকদের সমতুল্য হয় না কখনও’। ‘নারী মানেই পুরুষের অধীনে কাজ করবে’ — এর বাইরে ভাবতেও পারত না। তোমাকেও ভেবেছিল, ওদের ‘হ্যাঁ’ তে ‘হ্যাঁ’ বলবে তুমি। ‘না’ তে ‘না’ বলবে। অথচ যখন তোমাকে দেখত, তুমি মাথা উঁচু করে করিডোর দিয়ে গটগট করে হেঁটে যাচ্ছ। মিটিং-এ নিজের কথা যুক্তি দিয়ে সবার সামনে উপস্থাপিত করছ। তখন ওরা সহ্য করতে পারত না সেসব। তাই আড়ালে আবডালে ওইসব বলত।

আজও ভাবতে আশ্চর্য লাগে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি ক্ষেত্র থেকে এসে নতুন বিষয় ‘ডিএনএ’ নিয়ে গবেষণা শুরু করলে। ‘ডিএনএ’-র মধ্যে ‘এক্স-রে’ পাঠিয়ে তার ছবি তুলে তা বিশ্লেষণ করে ডিএনএ-র পারমাণবিক ও জ্যামিতিক বিন্যাস বোঝার চেষ্টা। এই কাজে বেশ অনেকগুলি ছবি তুলেছিলে। ছবি তোলা আর সেগুলি নিয়ে বিশ্লেষণ করা, শুধু মেধা নয় দারুণ পরিশ্রমেরও কাজ ছিল এটি। টানা ঘন্টার পর ঘন্টা ল্যাবরেটরিতে কাটত তখন। এই ভাবে মাসের পর মাস কাজ করে একসময় চমৎকার একটি ছবি পেলে একদিন। আলোকচিত্রটির নাম দিলে Photo 51। যুগান্তকারী ওই আলোকচিত্রটিই আধুনিক আণবিক জীববিদ্যার ধ্যান ধারণার আমূল বদলে দিয়েছিল এক দশকের মধ্যে।

তুমি ঘুণাক্ষরেও জানতে পারনি যে তোমার অজান্তে ডিপার্টমেন্টের সহযোগী গবেষক মরিস উইলকিন্স Photo 51 আলোকচিত্রটি তুলে দিয়েছিল ওয়াটসনের হাতে। ওয়াটসন আর ফ্রান্সিস ক্রিক তখন কেমব্রিজে ডিএনএ-র আণবিক গঠন বোঝার জন্যে গবেষণা করছিল। তবে ওরা মডেলিং করে বোঝার চেষ্টা করছিল। Photo 51 হাতে পেয়ে ওয়াটসনের জহুরীর চোখ তৎক্ষণাৎ বুঝতে পারে, সব উত্তর ওই ছবিতেই ধরা রয়েছে। এ যেন ডিএনএ-র বর্ণলিপি আর গঠনের আন্দাজ! ডি এনএ র ‘ডাবল-হেলিক্যেল’ গঠন সম্পর্কে প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় ওরা। গবেষণাপত্র প্রকাশের ব্যাপারে দেরি করার ঝুঁকি নেয়নি ওরা। ১৯৫৩ সালের ২৫ শে এপ্রিল ওয়াটসন ও ক্রিকের সেই বৈপ্লবিক প্রবন্ধটি সুবিখ্যাত ‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশ পেল। ওই গবেষণাপত্রে লেখার শেষে দায়সারা ভাবে ‘আনপাবলিশড অবজারভেশন অফ’ তোমার নাম রেখেছিল। জীবন বিজ্ঞানের ইতিহাসে এই অবিচার ও অসততার উদাহরণ চিরকাল কালো অক্ষরে লেখা থাকবে। নেচার এর ওই একই সংখ্যাতে তুমি এবং তোমার সহকারী ছাত্র রেমন্ড গসলিঙের নামে তোমাদের গবেষণাপত্র প্রকাশ পেল।

‘নেচার’ এর সম্পাদকমন্ডলী বা রিভিউয়াররা সব কি চোখ বন্ধ করেছিল, তোমার অপ্রকাশিত এক্স-রে-ক্রিস্টালোগ্রাফির আলোকচিত্রের কথা জেনেও? জানি, এসব উত্তর চিরকালের জন্যে অজানাই থেকে যাবে!
তোমার তোলা ‘Photo-51’ ছবিটি দেখে তুমি তো প্রথমেই আঁচ করেছিলে ডিএনএ-র যে ‘ডাবল-হেলিক্স’ আকৃতি হতে পারে। অনেক পরে তোমার জীবনের কথা লিখেছেন ব্রেন্ডা মেডক্স – ‘Rosalind Franklin: The Dark Lady of DNA’ (২০০২)। ওখান থেকে অনেক কথা স্পষ্ট হয়েছে। তোমার ল্যাব নোটবুকের নথিপত্র ঘেঁটে ব্রেন্ডা ম্যাডক্স যা লিখেছে তা পড়ে আজও শিহরিত হই। তোমার গবেষণাপত্র লেখার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল! ডিএনএ অণুর স্ট্রাকচার যে ‘ডাবল-হেলিক্স’ এ বিষয়েও তুমি প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলে! ভাবতে অবাক লাগে ল্যাব-নোটবুকে তুমি লিখে রেখেছিলে ‘জিওমেট্রিকেল বেসিস ফর ইনহেরিটেন্স?’ এই কথাটিও। সব পড়ে সহজেই বুঝতে পারি, কতখানি চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছে গেছিলে তুমি! ওয়াটসন-ক্রিকের বেশ অনেকটা আগেই সিদ্ধান্তে পৌঁছে গিয়েছিলে তুমি, কেন না তোমার হাতে ছিল তোমার এক্স-রে আলোকচিত্র Photo-51!

আজ আর কারোর বুঝতে বাকি নেই তোমার কৃতিত্ব অস্বীকার করে তোমাকে ঠকানো হয়েছিল। ডিএনএ এর আণবিক গঠন আবিষ্কারের ইতিহাসে চাতুর্য, ছলনা,নির্লজ্জ শঠতা আর বৈষম্যের কালো দাগ লেপা হয়ে গেল। মাত্র সাঁইত্রিশ বছরে তুমি আকাশের তারা হয়ে গেলে। সত্য কখনও চাপা থাকে না। তাই তো দ্যাখো, কী প্রবলভাবে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মত বেঁচে আছো আজও। শুধু আজ কেন? আণবিক জীববিজ্ঞানের ইতিহাসে চিরকাল তোমার নাম উজ্জ্বল অক্ষরে লেখা থাকবে।

কিংস কলেজের ওই বঞ্চনার তীব্র মনস্তাপ! তোমার মুখ দেখে কিছু বোঝার উপায় ছিল না! তারপর তো কিংস কলেজ ছেড়ে লন্ডনের বিরকব্যাক কলেজে চলে এলে। আবার নতুন করে শুরু করলে ভাইরাস নিয়ে গবেষণা। চার বছরের মতন ছিলে ওখানে। ‘টোব্যাকো মোজেইক’ আর ‘পোলিও ভাইরাস’ নিয়ে কত গুরুত্বপূর্ণ সব গবেষণা করলে। তোমার ‘ডিএনএ’ কাজের মতনই দিগদর্শী সেসব গবেষণা। সাতেরটি উচ্চমানের গবেষণাপত্র প্রকাশ হল। যার মধ্যে ছিল চারটে নেচার’-এ। ভাইরাস গবেষণায় তোমাকে আজ পথিকৃৎ হিসেবে মানা হয়। অথচ শেষের দিকে কী যন্ত্রণা চেপে রেখে তুমি কাজ করে গেছ। ওভারিয়ান ক্যানসার ধরা পড়ল, অপারেশন হল। তারপরেও একটু সুস্থ হয়ে আবার ঝাঁপিয়ে পড়লে কাজে। শ্রীময়ী, তোমার ওই সময়টা আমি মনে করতে চাই না। আজও আমার দু চোখ ভিজে যায় অসুখে তোমার যন্ত্রণার কথা ভেবে। মাত্র সাঁইত্রিশ বছর বয়সে দূরের নক্ষত্র হয়ে গেলে তুমি। যখন তোমার কাজে তুমি সাফল্যের তুঙ্গে তখনই তোমাকে চলে যেতে হল এই গ্রহ ছেড়ে।

তোমার চলে যাওয়ার চার বছর পর ‘ডিএনএ-র আণবিক গঠন আবিষ্কার’-এর জন্য মেডিসিন ও ফিজিওলজি বিভাগে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছিলেন জেমস ওয়াটসন ও ফ্রান্সিস ক্রিক আর কিংস কলেজের উইলকিন্স। এমনকি নোবেল পুরস্কার নেওয়ার সময়ে বলা বক্তৃতাতে তোমার নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করেনি ওয়াটসন। নোবেল পাওয়ার বছর পাঁচ ছয় পরে ওয়াটসন ‘ডাবল হেলিক্স’ নামের একটা বই লেখেন। সেই বইয়ে পর্যন্ত তোমাকে নিয়ে কত রঙ্গ রসিকতা করেছে। ‘রোজি’ নাম দিয়েছিল তোমার। থাক ওসব কথা।

বেঁচে থাকলে ভাইরাস সংক্রান্ত দুর্দান্ত সব আবিষ্কারের জন্যেও তুমি যে নোবেল পেতে, এমনটাই মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ। নিয়ম অনুযায়ী নোবেল পুরস্কার মরণোত্তর দেওয়া হয় না। এই কারণেই নাকি, তুমি নোবেল পুরস্কার পাওনি। এরকম ই বলা হয়। কিন্তু আমার ধারণা, এসবই বাজে কথা। বেঁচে থাকলেও নানান অছিলায় তোমার নাম ঠিক বাদ পড়ত।

তোমার বোন জেনিফার তোমার জীবনের ওপর একটি বইয়ে পরম মমতায় তোমাকে তুলে ধরেছে। জেনিফারের লেখাতেই জানলাম, তুমি ঘুরে বেড়াতে খুব পছন্দ ছিল। পাহাড় তোমাকে খুব টানত। সূর্যাস্ত দেখতে সেখানে। মেঘের আনাগোনা। হাওয়ার গান শুনতে। জানো তো শ্রীময়ী, তোমার জীবন নিয়ে নাটকও লেখা হয়েছে। নাম ‘ফটোগ্রাফ-51’। অনেক কিছুই তুলে ধরেছে নাটকে। ওয়াটসনদের চাতুর্য, ছলনা, শঠতা, জেন্ডার বৈষম্য, উচ্চাভিলাষ। তবু আমার ভালো লাগেনি। কেন জানো? আসলে জীবনকে কি কখনও নাটকে ফুটিয়ে তোলা যায়? কখনোই যায় না।
আচ্ছা শ্রীময়ী, তোমার বাবাও নাকি চাননি, তুমি বিজ্ঞানের উচ্চ শিক্ষার জগতে ঢোকো? সম্ভবত তিনি আগাম অনুমান করতে পেরেছিলেন, মেয়ে হয়ে জন্মানোর জন্যে তোমাকে পড়তে হবে নানান প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে। তবু তোমার সাহস, জেদ তোমার বিজ্ঞান অনুরাগ তোমাকে নিয়ে এলো বিজ্ঞানের জগতে। না , তোমাকে কেউ হারাতে পারেনি। কোনো দিন পারবেও না। তুমিই আমাদের জীবনের ধ্রুবতারা চিনিয়েছ। বিজয়িনীর উজ্জ্বল মুকুটমণি তোমার মাথায় পড়িয়ে দিয়েছি আমরা। তোমার পায়ের কাছে লুটিয়ে আছে ওদের মিথ্যাচারিতা আর চালাকির হেলিক্সগুলি।

খুব ভালো থেকো শ্রীময়ী। আরও অনেক কথা ছিল। পরের চিঠিতে সেসব কথা লিখব। একটা মজার কথা বলে শেষ করি। জানো তো শ্রীময়ী একদিন মনে মনে তোমার ছবিটা ভাবছি, হঠাৎ মনে হল তোমাকে টীপ পরলে কেমন লাগে দেখি। ছোট্ট একটা কালো টীপ পরালাম মনে মনে। কী সুন্দর যে লাগছিল তোমাকে!
আমার ভালোবাসা জেনো।
ইতি

সিদ্ধার্থ

** রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিন (১৯২০ – ১৯৫৮)

শেয়ার করুন

ক্যাটেগরি বা ট্যাগে ক্লিক করে অন্যান্য লেখা পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরনো লেখা

ফলো করুন

Recent Posts

Recent Comments

আপনপাঠ গল্পসংখ্যা ২০২২