চাক্রাতা ভ্রমণ – শিবু মণ্ডল ( পর্ব ১ )

চাক্রাতা ভ্রমণ – শিবু মণ্ডল ( পর্ব ১ )

শেয়ার করুন

প্রথম পর্ব

টিফিন টাইমে ফাঁকা ক্লাসের জানলা ধরে বসে থাকা একলা ছাত্র কিংবা ছাত্রীটি যেন

ছুটির সকালে পড়শি বিনোদ কুমার তার একমাত্র ছেলেকে পড়াতে বসেছেন উঠোনের আমগাছের ছায়ায়। মাঝ এপ্রিলের তাপমাত্রা অন্যান্যবারের তুলনায় এবার একটু বেশিই মনে হয়। আরেক পড়শি কমলেশের পত্নি আবাসনের বেড়ার ফাঁকফোকরগুলো বন্ধ করতে তৎপর। পাড়ার পরিচিত কুকুরগুলি সামনের মাঠে এলোমেলোভাবে বসে আছে। তাদের মধ্যে থেকে ঘিয়ে রঙের কুকুরটি আমাদের হেজের বেড়ার ফাঁক গলে ভিতরে ঢুকে গেল। মাঠের ল্যাম্পপোস্টে রোজ সকালের মতো একটি ঈগল মাথা গুঁজে বসে আছে। আর আমরা এইসব প্রতিবেশীকে বাড়ি দেখভালের দায়িত্ব দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম পাহাড় ভ্রমণে। এপ্রিলের এই সময়টা দু-তিন দিন ছুটি থাকে। তাই ছোটোখাটো ঘোরাঘুরি দিয়ে তার সদ্ব্যবহার করা যায়। হরিদ্বারে থাকার এই একটা সুবিধা। ঘর থেকে পা-বাড়ালেই তিনদিকে লোভনীয় জঙ্গল ও পাহাড়। আর এবারের উদ্দেশ্য চাক্রাতা।

দেরাদুন থেকে বিকাশ নগর, কালসি হয়ে পাহাড়ি রাস্তার মুখেই সেনাবাহিনীর ব্যারিকেড। এখান থেকে মাত্র ৪০ কিমি চড়াই। গাছপালাবিহীন শুরুর পাহাড়গুলি চৈত্রের মারে কেমন রুখাশুখা। প্রায় অর্ধেক রাস্তা ওঠার পরেই চৈতীরোদে যেন সংক্রান্তি নেমে এল। ওই দূরে চাক্রাতার মাথায় মেঘের ঘোমটা। তার শীতল শ্বাসপ্রশ্বাস আমাদের স্বাগত জানায় এই জৌনসার-বাওর পাহাড়ি অঞ্চলে। একটু একটু সবুজ হাতছানি দিতে থাকে। সেনা বাহিনীর কাঁটাতার ও তটস্থ বন্দুকের ফাঁক গলে দেখা যায় পাহাড়ের এধারে ওধারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছবির মতো গ্রাম ও ঝুম চাষের ক্ষেত। মাঝখান দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মনোরমা একটি নদী। তার নাম জানতে ইচ্ছে হয় খুব। জানতে ইচ্ছে হয় গ্রামগুলির নাম। কার কাছে গেলে জানতে পারব নদীটির নাম? ওই গ্রামগুলির নাম? আঁকাবাঁকা এই জটিল পথের কাছে প্রশ্ন করব কি? নাকি গাড়িটি থামিয়ে নেমে যাব গ্রামটির দিকে। সেখানে পৌঁছে সেই নদীকেই শুধাব তার নাম? ক্ষেতে কাজ করা গ্রামবাসীদের শুধাব তোমাদের গ্রামের নামটি কী গো? নদী বয়ে যাবে কলকল স্বরে, মানুষগুলি কাজ করে যাবে আপন মনে। কেউ সঠিক উত্তর দেবে না। শুধু বলবে নামে কী আসে যায়! জীবনের ছন্দে কাজ করে যাওয়াটাই সব। নদী বলবে সাগরের দিকে বয়ে যাওয়াটাই সব। আমি অবাক হব। বিস্মিত হব। শেষে বিপন্ন এক ছবি নিয়ে ফিরে আসব নিজের পথে। ছন্দময় জীবনেও তো হোঁচট আসে, কর্মময় জীবনেও তো ক্লান্তি আসে! এই পথ থেকে মুক্তি খুঁজতেই তো আমরা কখনও কখনও একটু ভিন্ন পথে হাঁটি। হালকা বৃষ্টি আর হাওয়া শেষে সেই পথ আমাদের পৌঁছে দেয় আমাদের গন্তব্যস্থলে। মূল হাইওয়ে থেকে পিডব্লিউডি অফিসের সামনে দিয়ে একটি সরু পথ পাইনের বন চিড়ে নেমে গেছে হেরিটেজ বাড়িটির দিকে।

বাঁধন হারা মুক্তির আনন্দ মানেই আমরা ধরে নিই সব ঠিকঠাক আছে, সবকিছু নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আছে। এখানেই হয়তো ভুল করি আমরা। সবসময় সবকিছু ঠিকঠাক নাও হতে পারে। এবারে যেমন আমাদের সাথে হল। একটি অনলাইন ট্যুর প্ল্যান সাইটে দুদিনের হোটেল রুম বুকিং নিশ্চিত করেই এসেছিলাম ভ্রমণে। তবুও হোটেলে পৌঁছে দেখি কোন্ মন্ত্রবলে আমাদের রুম পরিবর্তিত হয়ে গেছে অ্যাডভেঞ্চার টেন্টে! হোটেল থেকে একটু উপরে জঙ্গলের কাছে সারি সারি রংবেরঙের টেন্ট। এর আগে একবার ডোডিতাল ট্রেকিং এ গিয়ে টেন্টে থেকেছিলাম। রাতের বেলা ভালুক এসে শুঁকেটুকে তাঁবুর চারপাশে ঘুরঘুর করে চলে গিয়েছিল। সে এক রোমাঞ্চকর যাপন। এবারও ইচ্ছে জাগলেও ছোট্ট কন্যাদ্বয়ের কথা ভেবে পিছিয়ে এলাম। ঝামেলাটা বাঁধল এইবারে। হোটেল ম্যানেজার আমাদের রুম দিতে মানা করে দিল। বলল রুম খালি নেই। এমনিতেই চাক্রাতার মতো ছোটো জায়গায় হোটেলের সংখ্যা খুবই কম। তার মধ্যে উক্ত হোটেলটি চাক্রাতা বাজার থেকে প্রায় তিন-চার কিমি দূরে এক নির্জন স্থানে। এখানে আর কোনও হোটেলও নেই। এমন সময় সহায় হলেন বিবেক অগ্রবাল। পাশেই তার নবনির্মিত হোটেলে একটি রুমের ব্যবস্থা করে দিলেন।

দেরাদুন থেকে ৯০ কিমি দূরের পাহাড়ি এই জনপদটির নাম হয়তো পর্যটকদের কাছে খুব একটা পরিচিত নয়। যেমনটি মুসৌরি। মুসৌরি যদি হয় ক্লাসের অফ টাইমে জটলা পাকিয়ে হইহট্টগোল করা ছাত্রছাত্রী, তবে চাক্রাতা হল ক্লাসের এককোণে জানলার দিকে মুখ বাড়িয়ে একলা নির্জনে বসে থাকা ছাত্র কিংবা ছাত্রীটি। আর এই নির্জনতার কারণও আছে। চাক্রাতা আসলে মুসৌরির মতো একটি জনপদ থেকে শহরে পরিণত হতে পারেনি। কারণ এটি একটি সেনা ক্যান্টনম্যান্ট এরিয়া। ভারতীয় সেনাবাহিনীর অধীনে এই অঞ্চলটি একটি নিয়ন্ত্রিত এলাকা। এই কারণে অঞ্চলটির বাণিজ্যিকিকরণ হয়নি। এমনকি এখানে কোনও বিদেশি নাগরিকের প্রবেশ নিষিদ্ধ। এমন একটি নিরিবিলি পাহাড়ি অঞ্চলে এসে যদি কেউ ভাবেন যে দার্জিলিং, মুসৌরি, সিমলার মতো ম্যাল রোডে সন্ধ্যায় পরিবার নিয়ে ঘুরে বেড়াব তারা কিন্তু হতাশ হবেন। এটি তো শহর নয়। শুধু চাক্রাতা বাজারেই যেটুকু ভিড় নজরে পড়ে। চাক্রাতা-মুসৌরি রোড থেকে একটি অপরিসর রাস্তা বিএসএনএল এক্সচেঞ্জ-এর পাশ দিয়ে উঠে গিয়ে মিশে গেছে কিছু হোটেল, রেস্টুরেন্ট, অফিস ও দোকান-পসরার মধ্যে। খুব বেশি হলে লম্বায় দু’কিলোমিটার পরিসর জুড়ে পাহাড়ের পৃষ্ঠদেশটি সেজে উঠেছে আধুনিক মানুষের প্রয়োজনীয় পসরা নিয়ে। ওই একটি মাত্র সরু রাস্তাতে লোকাল ট্যাক্সি, পুলিশের জিপ ও ট্যুরিস্টদের গাড়ির জ্যামের ফাঁক গলে হেঁটে যাচ্ছে মধুচন্দ্রিমা করতে আসা নবদম্পতি থেকে সন্তানের হাত ধরা মধ্যবয়স্ক দম্পতি। সামান্য দূরের মন্দির থেকে ভেসে আসছে হনুমান চালিশার গান। রাতের খাবার বাইরেই খাব বলে ঠিক করলাম। তবে ভালো খাবারের রেস্টুরেন্ট পেতে একটু বেগ পেতে হল। উত্তর ভারতের যে-কোনো শহরেই যাই-না-কেন একটি অন্তত শের-এ-পাঞ্জাব নামের ধাবা পাবোই। খুঁজে খুঁজে শেষে এখানেও একটি পেয়ে গেলাম। রাতে সেখানেই তন্দুরি রুটি ও মাংসের ঝোল খেয়ে হোটেলের পথে ফিরে গেলাম।

পরদিন যখন ঘুম ভাঙল দেখি প্রথম রবিকিরণ নিবিড়ভাবে চুম্বন করছে সকালের স্নিগ্ধ হিমালয়কে। আর সেই আদরের উষ্ণতায় গুনগুন করে গেয়ে উঠছে পাইনের বন, পাখিসব ও পতঙ্গকুল! মন কখন যে এসে দাঁড়িয়েছে বারান্দার রেলিঙে খেয়াল নেই আর। মনের মধ্যে আর কোনো দ্বেষ নেই, দ্বিধা নেই, দ্বন্দ্ব নেই। আছে শুধু ভেসে যাওয়া প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে। মনের আছে শুধু গড়াগড়ি খাওয়া প্রকৃতির শর্তহীন ভালোবাসার কাছে! পরিবর্তে তাকে আমি কী দিতে পারি? কিছু দেবার ক্ষমতা আছে কি আমার! ভাবতে ভাবতে একলাই উঠে যেতে থাকি পাহাড়ি বনের পথে। ভাবি মানুষ তাকে কী দিল বা না দিল সে নিয়ে প্রকৃতির কীই-বা আসে যায়? এই যে এখন আমি হেঁটে যাচ্ছি এটা তো কোনও পথ নয়। পড়ে থাকা শুকনো পাতা আমার চলার ছন্দে ছন্দে ধ্বনিত হচ্ছে! তাতে তারাও কি কোনও আগন্তুকের স্পর্শে-গন্ধে শিহরিত হচ্ছে? কী জানি? বুঝি না। তবে এটুকু বুঝি যে আমার এই মুহূর্তের চলা এক নৈসর্গিক চলা, এই নির্জন চলার মধ্যে অনুভব করছি প্রকৃতির যেমন মহিমা আছে তেমন মনেরও এক মাধুর্য আছে! এই মাধুর্যই তো খুঁজে ফিরি আমরা জীবনপথে। মন কথা বলে ওঠে জীবনের সাথে কবিতার সুরে, যেমনটি লিখে গেছেন শক্তি চট্টোপাধ্যায়— ‘প্রকৃতির থেকে তুমি দূরে গেছো চলে-/ বলেছে সে- শীত শেষ হলে/ একবার এসো তুমি ফিরে,/ বসন্তের আলো লেগে প্রাণ হবে উজ্জ্বল তিমিরে।’

সকালের খাবার খেয়ে আমরা বেরিয়ে পড়েছি টাইগার ফলসের দিকে। চাক্রাতার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে একটি। ট্রেকিং করে গেলে ৫ কিলোমিটার রাস্তা, আর গাড়ি করে গেলে ১৮ কিমি গাড়িপথ আর এক কিমি হাঁটা। টাইগার ফলস যাবার পথে পাহাড়ের রূপ যেন ফ্যাশন প্যারেডের মডেলের মতো। বিভিন্ন রূপের বিভিন্ন সাজে মডেলরা হাজির হয় দর্শকের সামনে। কোথাও পাহাড়ে সবুজ ঘন বন, কোথাও হলুদ ঘাসের শাড়ির ফাঁকে ফাঁকে শ্যামলা পাথর বুক ফুলিয়ে আছে। মাঝে মাঝে লাল ও সাদা রঙের নাম না জানা ফুলের গাছ মরূদ্যানের মতো চমক জাগায়। এপথে দেবভূমি এমনি মায়াময়। যেখানে শুধু ঘাস সেখানে পাহাড়ের শরীর জালের আকার ধারণ করেছে। এগুলো আসলে আলপথ বা পথচিহ্ন। এপথে লেখা আছে মেষ ও গবাদি পশুর নাচন। তাদের ক্ষুধা নিবারণের আনন্দ। মেষপালক বা মেষপালিকার সেই জালিকার মায়ায় বেঁধে বেঁধে থাকবার পরিণতি ও চারণগীতি। তাদের অনেক অনেক নীচে খাদের ধার ধরে যান শব্দে চলে যাচ্ছি আমি ও আমরা। যেতে যেতে মনে হয় আমরা কি আসলেই পর্যটক? আমরা কি পেরেছি ওই মেষ পালক বা মেষ পালিকার মতো খোলা আকাশে চেয়ে থাকতে। হাতে লাঠি ও চোখে উদাসীন চাহনি ও চলার মধ্যে ছন্দের আনন্দ!

যেখানে সবুজ ঘন বন সেখানে হিংস্র প্রাণী ঘুরে বেড়ায়।শুনেছি। বিশ্বাস হয় না। মানুষের চেয়ে হিংস্র আর কিছু হয় নাকি? শুনেছি সেখানে পশুজীবনে হিংসা আছে তবুও তারা শৃঙ্খলাবদ্ধ। তবুও সেখানে চক্ষুলজ্জা আছে। সেখানে একটা আড়াল আছে। তাদের এই শৃঙ্খলাবদ্ধ নিরুপায় হিংসাকে ঢাকা দিতে আছে অরণ্যরাজি। এও এক প্রকৃতির সৌন্দর্যবোধ। আমরা দেখি। দেখে শিখি। আবার শিখিও না। মনুষ্যসমাজে কত কিছুই জটিল অথচ উলঙ্গ। বিশেষ করে নাগরিক সমাজের। তবে যে-কোনো পাহাড়ের জীবনযাপন যতটা কঠিন মানুষগুলি কিন্তু তততা জটিল নয়। পথের বাঁকে-বাঁকেই দেখা হয় এমন পাহাড়ি গ্রামের, পরিচয় হয় পাহাড়ি মানুষের সাথে। তেমনই একটি স্থানে সাময়িক বিরাম। স্থানটির নাম দাওনপুল। একটি ঝোরার নাম দাওন। তার উপর একটি সেতু পাহাড়ের এপার আর ওপারের যোগাযোগ হেতু। সেতুটি পার করে যেখানে দাঁড়ালাম সেখানে এক নতুন অভিজ্ঞতা হল। পাহাড়ের ঝরনার স্রোতকে কাজে লাগিয়ে জায়গায় জায়গায় বানানো হয়েছে জল চালিত মিল। স্থানীয়রা বলে পনচাক্কি। পাহাড়ের উপর থেকে ঝরনার জল সরু কংক্রিটের চ্যানেলের মাধ্যমে নিয়ে এনে ফেলা হচ্ছে কাঠ দিয়ে বানানো ছোটো টারবাইনের উপর। সেই টারবাইনের শাফটের উপর ছোটো পাথরের ঝুপড়ির আড়ালে ফিট করা আছে পাথরের চাকা। সেই চাকায় পিষ্ট হচ্ছে গ্রামের গম ও ভুট্টা। এমনই একটি আটা মিলের মালিক পবনের সাথে আলাপ হল, কথা হল। সে-ই ঘুরে দেখাল কীভাবে কাজ করে এই জলমিল। বউ তো উৎসাহিত হয়ে দুকেজি আটা কিনেই নিল।

এখান থেকে আট কিমি গেলেই টাইগার ফলস। সংকীর্ণ পথে ভীষণ কুশলতার সাথে আমাদের ড্রাইভার উমেশ স্টিয়ারিং সামলাচ্ছে। একটি ছোটো গাড়ি কোনওমতে চলার মতোই পথ। সামনে থেকে যখন কোনও ফিরতি গাড়ি আসছে তখন যে-কোনো একটি গাড়িকে ব্যাক করে একটু চওড়া জায়গা দেখে সাইড করে তবে অন্য গাড়িকে জায়গা দিতে হচ্ছে। একটু অসাবধান হলেই খাদের অতলে তলিয়ে যাওয়া নিশ্চিত। এভাবেই এক দুর্গম স্থানে একটি ঝরনা নিজের সাম্রাজ্য বিস্তার করেছে। তার ভীষণ গর্জনের কাছে বাকি সব রব ফিকে হয়ে যায়।

চারিদিকে নির্জন বন, তার মাঝে ৫০ মিটার উঁচু থেকে লাফিয়ে পড়া একটি ঝরনা! বাকরুদ্ধ হয়ে শুধু দেখছি আর তার জলের ছাঁটে ভিজে যাচ্ছি। ঝরনা যেখানে পড়ছে সেখানে ছোটো একটি পুকুর তৈরি হয়েছে। চাইলে তার সবুজ স্বচ্ছ জলে চানও করা যেতে পারে লিরিল গার্লের মতো। তবে জলে পা ডুবিয়ে পারে বসে থাকাই ভালো। বাঘের মতো গর্জন করে নেমে আসা ভীষণ জলপ্রপাতে ভয় না পেয়ে তার রূপে মুগ্ধ হওয়া ভালো। একটি নদী ঝরনা হয়ে লাফিয়ে পড়ছে, পরক্ষণেই পুকুর হয়ে সাময়িক স্থিতি লাভ, তারপর আবার নদীরূপে বয়ে যাওয়া! আমরাও ফিরে চলেছি তার রূপ নিয়ে, মুগ্ধতা নিয়ে তার সাথে সাথে। বিস্মিত পথে…

শেয়ার করুন

ক্যাটেগরি বা ট্যাগে ক্লিক করে অন্যান্য লেখা পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরনো লেখা

ফলো করুন

Recent Posts

Recent Comments

আপনপাঠ গল্পসংখ্যা ২০২২