অয়ন মুখোপাধ্যায়ের পাঁচটি কবিতা

অয়ন মুখোপাধ্যায়ের পাঁচটি কবিতা

আত্ম উপলব্ধি প্রস্থছেদের কোনো জানালা- আরো কিছু নির্বাসনের নদী। শব ছুঁয়ে আছে ঢেউ। চিতার আগুন থেকে স্ফুলিঙ্গ; অস্থি কলস ভেসে যায় । রাতের অন্ধকার -নিস্তব্ধ নক্ষত্র -কেউ নেই…….. নির্বাসন। আর কেউ জেগে উঠবে না। অপলকের কাছাকাছি …. মনুষ্যত্বের নাম প্রেম। স্মৃতি তর্পনে রাত্রি নামে অন্ধ হওয়ার পর। আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি আমার চারপাশের বেঁটে মানুষের…

শুভদীপ মাইতির দশটি কবিতা

শুভদীপ মাইতির দশটি কবিতা

১.রোদ হলুদ বেড়ালের মতো জানলা দিয়ে ঢুকে আসে হিরন্ময় আভাপুড়ে যেতে যেতে, অন্ধকার কেটে কেটে প্রকট হনসূর্য দেবতা চলে যাওয়ার আগে এসো প্রণাম করি পবিত্র হৃৎস্পন্দনে ২.অসুখ মনখারাপের দিনে ভীষণ ছোঁয়াচে বসতহীন পাখিটির মেঘবাদলাপুরের সেতু ছুঁয়ে গুমোট আকাশ, চুপি পাখিরালয়সানাইয়ের করুণ সুরের মতো দরদ। ভিজে যাচ্ছে আনন্দনগর ও জন্মান্তর ৩.ভাঙন জিরানকাটের চিহ্ন নিয়ে শরীর। ভেঙে…

অরিত্র শীলের পাঁচটি কবিতা

অরিত্র শীলের পাঁচটি কবিতা

 শিথিল পেশির মেধাস্বত্ব এইমাত্র মৃত শ্রমিকের পিঠে, নামুক বৃষ্টি মাঠ নিঃশ্বাসে নেই অনুতপ্ত ক্রেন নিঃশ্বাসে নেই তলপেটের ঘ্রাণ বৃষ্টির জল ছুঁয়েছে কীর্তিহাট পেশিতে পেশিতে ইঁটের তাগাড় নুনমাখা ক্যাম্পখাট ডানাছিঁড়ে মরা মাসে একা একা পাখিদের চেয়েও উঁচু দিয়ে উড়ে বাতাসে দিয়েছে ছ্যাঁকা শূন্যের সব দুঃখকীর্তি ভরে বটের শিকড় এলেবেলে গেছে মরে চাতকের ঠোঁট, ঠোঁটের খিঁচুনি, উনুনের গায়ে স্যাঁকা নরম ঘাসের যেতে বসেছিল স্তম্ভবিন্দু…

শিশির আজমের পাঁচটি কবিতা

শিশির আজমের পাঁচটি কবিতা

  ভাসমান সুপার মার্কেটের যন্ত্রণা নরম লাল জুতোর ওপর মেয়েটা ভেসে রয়েছে সুপার মার্কেটে যখন আমরা কথা বলছি আমাদের কথাগুলো মহাশূন্যে ভেসে রয়েছে বাগানের ধাবমান বাতাসে পাথরে গড়া মুখ আর কিছু ব্যথা পৃথিবীতে শান্তি আসুক আমার যদি বিশ্রাম থাকত নিশ্চিন্তে সেখানে বসিয়ে দিতাম                        …

ওমপ্রকাশ বাল্মীকির কবিতা – অনুবাদ: শিবু মণ্ডল
|

ওমপ্রকাশ বাল্মীকির কবিতা – অনুবাদ: শিবু মণ্ডল

ওমপ্রকাশ বাল্মীকি: কবি পরিচিতি হিন্দি ভাষার বিশিষ্ট কবি ওমপ্রকাশ বাল্মীকির জন্ম ৩০ জুন, ১৯৫০ সালে উত্তরপ্রদেশের মুজফ্‌ফরনগর জেলার বারলা গ্রামে। প্রকাশিত কবিতার বই—‘সদিও কা সন্তাপ’, ‘বস্‌ বহুত হো চুকা’, ‘অব্‌ অউর নেহি’, ‘শব্দ্‌ ঝুট নেহি বোলতে’ ও ‘নির্বাচিত কবিতা-সংগ্রহ’। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ—‘সলাম’, ‘ঘুস্‌পেটিয়ে’, ‘আম্মা এন্ড আদার স্টোরিজ্‌’, ও ‘ছত্রি’। প্রবন্ধ সংকলন—‘দলিত সাহিত্য কা সৌন্দর্যশাস্ত্র’, ‘মুখ্যধারা অউর…

বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় -এর দশটি কবিতা
|

বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় -এর দশটি কবিতা

নিরাপদ মাননীয় মানব সমাজ ‘I smell dark police in the trees’. দীর্ঘ দেবদারু বীথি আজ কোনো আকাশ দেখে নাএখন আকাশ জুড়ে নষ্ট চাঁদ, শুরু হবে পিশাচের নাচ; এখন বাতাস দগ্ধ দুধকলা দিয়ে পোষা সাপের নিঃশ্বাসে… ভাল আছে—নিরাপদ—আমাদের মাননীয় মানব সমাজ॥ [রাস্তায় যে হেঁটে যায় / প্রথম প্রকাশ: ১৩৭৯] কবিতা পরিষদের ‘বইমেলায়’ আমরা সবাই চাঁদের আলোয়…

অরূপরতন হালদার-এর পাঁচটি কবিতা

অরূপরতন হালদার-এর পাঁচটি কবিতা

অর্ধেক জীবনে হলুদ পুকুর বোঝে জলের কামান ক্লান্ত হয়দূরের মেঘ এসে তোমাকে নিয়ে যায় ব্যর্থ প্রদেশেসেখানে শীতের অর্গ্যান বাজেসব স্বরলিপি গূঢ় নয়, মেধার ছোঁয়াচে আলোয় সারারাত হিম পড়েরক্তের ছেঁড়া বনপথে গোলাপের ডাল জেগে ওঠেস্মৃতির শহর কীটদষ্ট আজ – নক্ষত্রের এলোমেলো সাজআমাকে ট্র‍্যাপিজে নিয়ে যাবে, শাদা চাঁদ নড়ে উঠে হঠাৎজুগুপ্সায় ছুটে যায় পুরোনো ছুরিকা বেয়েছুরিতে মুগ্ধ…

শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়ের পাঁচটি কবিতা

শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়ের পাঁচটি কবিতা

বসন্ত পূর্ণিমা রোজ সকালকে বলছি আকাশের নামান্তরআমার তোমার মাঝের এই এক তীব্র প্রত্যয়এভাবে আমি ও তুমির সাংসারিক মিঠাতানবলি মাতৃত্ব বুঝিয়ে দাওবলে যাই দাম্পত্য কেন-নাবলা যায় না নীরবতাহাক্লান্ত বসন্ত!পূর্ণিমা খাচ্ছি এখন মাঝরাতক্ষুধা, অশ্রুর অস্তরাগএ বিচলন সময়ের হতদ্যমমাংস রান্নার রংটা তিতকুটেমাংস রান্নার স্বাদটা এমারল্ডবদ্ধ উঠানে মঞ্চ আবির, দোলের যাত্রাএত সোচ্চার! যেন নাভির উচ্চারণহাঁটু ভাঁজ করে ক্ষমা চাইছি…

মঙ্গল হাজরার পাঁচটি কবিতা

মঙ্গল হাজরার পাঁচটি কবিতা

মৃত জ্যোৎস্নায় ১। ঘুমের ভিতরে কোনো এক যুগের ঘোড়া-হরিণের ঘাস ভরে ওঠে কোনো এক ঘুমের ভিতরে; জ্বলন্ত আগুনে  আমরা হাঁটতে এসেছি আঁকতে শিখেছি নক্ষত্রের ঘর; যেখানে বাঘ আর বুনো মহিষের পরিভাষা আলাদা হয় তবুও ঘুম ভেঙে গেলে—উঠে দেখি,  মৃত নক্ষত্রের মাটিতে আমাদের বিছানা ভরে গেছে। ২। শব্দ শব্দের পাশে বসে রৌদ্র পোহায় অক্ষরে লেগে থাকে…

দুটি দীর্ঘ কবিতা – অর্ণব রায়

দুটি দীর্ঘ কবিতা – অর্ণব রায়

এ ক্লিন ডেথ   তারপর এক দুঃখ শেষ হইতে না হইতে অপর দুঃখ আসিল। সে বুঝিল জগতে ঢেউ কাহাকে বলে। বা জগৎরূপী ঢেউ সে বুঝিল। তাহার আতঙ্কের সম্মুখে দ্বিপ্রহরের ন্যায় মুখব্যাদান করিয়া সে গর্জন করিল, ‘চোপ্‌, চিৎকার করলে জ্যান্ত তুলে নিয়ে যাবো’। তখন তাহার পেছনে আরও তিন-চার লাইনের সেনা ছিল। আবছা অন্ধকার বলে তাদের পড়া যাচ্ছিল…