ভারতীয় নাস্তিকতার সূত্রপাত: দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণ – কনিষ্ক চৌধুরী
শব্দবিজ্ঞান ও ব্যবহারিক উভয়দিক থেকেই নাস্তিক (নিরীশ্বরবাদী শব্দটি বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে, কিন্তু নাস্তিক শব্দটি অনেক বেশি ব্যাপক। তুলনায় নিরীশ্বরবাদ সংকীর্ণ। কারণ এখানে মতবাদটি শুধু ঈশ্বর সম্বন্ধীয়।) শব্দটি নেতিবাচক। শব্দটি কেবল ঈশ্বরের অস্তিত্বকে অস্বীকার করেনা, পরকাল, জন্মান্তর, আত্মা, পূজা-অর্চনা, অলৌকিকতা, ভুত-প্রেত, ভাগ্য, নিয়তি ইত্যাদিকেও নস্যাৎ করে। অর্থাৎ সমস্ত ধরনের ধর্মতত্ত্বর সার্বিক বিরোধিতা করে। অন্য ভাষায় ঈশ্বরবাদ ও ধর্মতত্ত্বের নেতিকরণ ঘটায় নাস্তিকতাবাদ। তাই নাস্তিকতাবাদের প্রাক্ শর্ত হল ঈশ্বরবাদ ও ধর্মতত্ত্ব। সুতরাং নাস্তিকতাবাদের আবির্ভাবের পূর্বে অবশ্যই ঈশ্বরবাদ ধর্মতত্ত্বের আবির্ভাব ঘটতে হবে। দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় যথার্থভাবেই দেখিয়েছেন যে, বৈদিক সাহিত্যে নাস্তিকতাবাদের আবির্ভাবের পূর্বে সুসংবদ্ধভাবে ঈশ্বরবাদ ধর্মতত্ত্বের বিকাশ ঘটেছিল, তাঁর ভাষায় :
… since effusion does pre-suppose theism, the clear indication of the beginning of atheism in the Vedic literature is to be sought in those portions of it in which the theistic belief had already been fully crystallised and which moreover referred to some alternative world-view that threatened this theism.
(DPC. 2012: 45)
ঈশ্বরবাদী ধর্মতত্ত্ব বিশ্বজগতকে যেভাবে ব্যাখ্যা করে বা বুঝতে ও বোঝাতে চায়, তার বিকল্প একটি ব্যাখ্যা পাওয়া যায় নাস্তিকতাবাদের মধ্যে। জগত ও জীব সৃষ্টির কারণ কী—এ প্রশ্নের উত্তরে ঈশ্বরবাদী ধর্মতত্ত্ব ঈশ্বরকে কারণ হিসেবে বর্ণনা করেন। এখানে উল্লেখ প্রয়োজন অদ্বৈত ব্রহ্মবাদীরা জগতকেই স্বীকার করেন না। এ জগত সংসার তাদের কাছে মায়া বা অলীক। যা আসলে মানুষের ভ্রান্তজ্ঞান বা অবিদ্যার ফল। এখানে এটাও বলতে হবে যে বৌদ্ধধর্ম আদিতে নিরীশ্বরবাদী। একটি ঈশ্বরহীন ধর্ম। আরও কথা—বৌদ্ধ ধর্ম আত্মার নিত্যতাকে স্বীকার করে না, স্বীকার করে না বেদের স্বতঃ প্রামাণ্যকে। এত কিছু সত্ত্বেও এটি একটি ধর্মই, জন্মকালীন পরিচয় নিয়েই এর ঐতিহাসিক অবস্থান। স্বভাবতই বুদ্ধের অবস্থান ছিল অ-জড়বাদী। পুরাতন বন্ধনকে ছিন্ন করলেন ঠিকই, কিন্তু জন্ম দিলেন নতুন ধর্মীয় বন্ধনের। (সাংস্কৃত্যায়ন, ১৯৯৯: ৩৮)। প্রকৃতপক্ষে বৌদ্ধদের নিরীশ্বরবাদ ও নাস্তিকতা শেষ পর্যন্ত বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে কালের গতিতেই। ফলে আবির্ভাব ঘটে বুদ্ধ নামক ঈশ্বরের। বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাসে এ এক তাৎপর্যপূর্ণ আবর্তন—ব্রাহ্মণ্যতান্ত্রিক ঈশ্বরবাদী ধর্মতত্ত্বের প্রতিক্রিয়ায় নিরীশ্বরবাদী বৌদ্ধ ধর্মের আবির্ভাব এবং আবার তার ব্রাহ্মণ্যতন্ত্রের খপ্পরে পড়ে সেশ্বরবাদী ধর্মের রূপগ্রহণ।
একটু পিছিয়ে গিয়ে, জগৎ কারণ কী বা বিশ্বের স্রষ্টা কে—এই প্রশ্নের উত্তরে উপনিষদগুলির উত্তর জেনে নেওয়া যাক। প্রশ্নপোনিষদে প্রজাপতিকেই জগত সংসার ও প্রাণ সৃষ্টিকর্তা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে (১/৪/ ঘোষাল/ ১৩৯৯ বাংলা: ৫৩)। তৈত্তিরীয় উপনিষদে বিশ্বস্রষ্টা হিসেবে ব্রহ্মকে অভিহিত করা হয়েছে (২/৬/৪/ পূর্বোক্ত: ৮৭)। আবার ঐতরেয় উপনিষদ অনুযায়ী আত্মা হল জগৎসংসার ও প্রজা সকলের সৃষ্টিকর্তা (১/১/১–৩। গম্ভীরানন্দ। ২০১৫: ১: ৩৩১–৩৩)। লক্ষ করার বিষয় হল প্রতিটি ক্ষেত্রেই মানুষের প্রশ্ন, বিস্ময়, কৌতূহল-এর পরিপ্রেক্ষিতেই এই উত্তরগুলির আবির্ভাব ঘটেছে। এই সেশ্বর ধর্মতাত্ত্বিক ব্যাখ্যার পাশাপাশি যে বিকল্প উত্তরও ছিল তা দেখতে গিয়ে দেবীপ্রসাদ শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের উল্লেখ করেছেন। এই উপনিষদের কবি (বা কবিরা) ছিলেন সম্পূর্ণরূপে বৈদিক ধর্মতাত্ত্বিক। শুধু তাই নয় সবথেকে বেশি ধর্মতাত্ত্বিক। কারণ ধর্মতত্ত্বের সবকয়টি প্রয়োজনীয় শর্তই এর মধ্যে উপস্থিত। এখানে জগৎ সৃষ্টির সবকয়টি বিকল্প উত্তরকে নস্যাৎ করা হয়েছে। অস্বীকার করা হয়েছে সম্ভাব্য সকল বস্তুগত ও প্রায়-বস্তুগত কারণগুলিকে। এই লড়াইয়ের ক্ষেত্রটি প্রাক্–বুদ্ধপর্বেই ঘটেছে। এই শ্বেতাশ্বতর উপনিষদকে, ঋষি শ্বেত-অশ্বতর-এর রচিত বলে মনে করা হয়। ‘শ্বেত-অশ্বতর’ শব্দটির অর্থ করা হয়, বিশুদ্ধ ইন্দ্রিয়। (ঘোষাল, ১৩৯৯ বাংলা: ১১১)। এই অর্থ নিঃসন্দেহে ভ্রান্তিপূর্ণ। প্রথমত, ‘শ্বেতাশ্বতর’ শব্দটির প্রকৃত অর্থ হল সাদা খচ্চর (শ্বেত–সাদা এবং অশ্বতর–খচ্চর)। দ্বিতীয়ত, কোনো ব্যক্তির নাম হিসেবে এটা একেবারেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বরং এটি কোনো গোষ্ঠীর কুলপ্রতীক বা টোটেমের নাম, এমন সম্ভাবনাই অনেক বেশি। দেবীপ্রসাদ এই প্রসঙ্গে লিখেছেন: “সাদা খচ্চোর: আজকের দিনে আমি আপনি নিশ্চয়ই কোন ব্যক্তি বা বস্তু সম্বন্ধে সমীহ দেখাবার মনোভাব নিয়ে এমনতরো নাম ব্যবহার করবো না। কিন্তু একটা বইয়ের নাম যদি তাই দেওয়া হয়? তাহলে আজকের দিনে নিশ্চয়ই সরাসরি বলে দেওয়া যাবে, বইটার বিরুদ্ধে বিদ্রূপমূলক মনোভাব এর বিকাশ [প্রকাশ?] হিসেবেই এ-রকম নাম দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রাচীনকালের ব্যাপারটাই আলাদা। একটি উপনিষদের নাম সত্যিই সাদা খচ্চোর: শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ।” (দপচ। ১৪১৩ বাংলা:১২৮)। এরকম আরও বহু উদাহরণের উল্লেখ করে তাঁর সিদ্ধান্ত হল ‘শ্বেতাশ্বতর’ শব্দটির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে প্রাচীন গোষ্ঠীর টোটাম বিশ্বাসের স্মৃতি চিহ্ন (দ্রষ্টব্য পূর্বোক্ত: ১২৮-৪০)।
শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ শুরুই হচ্ছে এক ঝাঁক প্রশ্ন দিয়ে, ব্রহ্ম কি জগতকারণ? আমরা কোথা থেকে উৎপন্ন হয়েছি? কে আমাদের জীবিত রেখেছে? অবশেষে কোথায় আমরা অবস্থান করি? কার পরিচালনায় আমাদের সুখ-দুঃখ-ভোগের ব্যবস্থা হয়? (১/১, গম্ভীরানন্দ, ২০১৫,১:৩৬১)। প্রাচীন কবির কাছে এই প্রশ্নের উত্তর ঈশ্বর/ব্রহ্ম। এই প্রশ্নগুলির পরেই কবি চলে যাচ্ছেন বিকল্প উত্তরগুলোতে। যেগুলি হল: কাল, স্বভাব, নিয়তি যদিচ্ছা, ভূত(বস্তুগত উপাদান), নারীগর্ভ (যোনি) ও পুরুষ লিঙ্গ (১/২, পূর্বোক্ত: ৩৬২)। অর্থাৎ এই কারণগুলি প্রাণ ও জগৎ কারণ হতে পারে কিনা তা চিন্তার বিষয়। এই প্রশ্ন যেমন তোলা হয়েছে তেমনই উত্তর দেওয়া হয়েছে। আর তা হল: অদ্বিতীয় পরমাত্মাই জগৎ কারণ (১/৩, পূর্বোক্ত)। অর্থাৎ বিশ্বসৃষ্টির মূল কারণ হিসেবে ঈশ্বরবাদকে প্রতিষ্ঠা করাই শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের প্রকৃত লক্ষ্য।
দেবীপ্রসাদ ওই বিকল্প জগৎ কারণগুলোকে ধরে এগোতে চাইলেন। এগুলির মধ্যে তিনটি উপাদানের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন—মাতৃগর্ভ (যোনি), সময় বা কাল এবং স্বভাব।
যোনি: জগৎ কারণ হিসেবে মাতৃগর্ভ বা যোনিকে গ্রহণ করা প্রসঙ্গে দেবীপ্রসাদ রাধাকৃষ্ণণ-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শের উল্লেখ করেছেন। রাধাকৃষ্ণণ-এর মতে এই শব্দটি প্রাচীন সাংখ্য ধারণার কথাই নির্দেশ করে। আদি সাংখ্য অনুযায়ী মায়ের মতোই প্রকৃতি বা আদি বস্তু বিশ্বের জন্ম দিয়েছে (DPC.2012:48)। এটা দেখা যায় যে শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ এই আদি কারণকে নস্যাৎ করতে কতটা পরিমাণ আগ্রহী। শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের এই আগ্রহের পিছনে কাজ করেছে সৃষ্টির বিকল্প তত্ত্ব ও ধারণাগুলিকে নস্যাৎ করা। এটা ঘটনা যে কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা ও সন্তান উৎপাদনের একটি গভীর সাদৃশ্য প্রাচীনকালের মানুষ লক্ষ করেছিলেন। আর সেই কারণেই নারী-পুরুষের যৌন সম্পর্কটি তাদের কাছে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিবেচিত হত। এ বিষয়ে দেবীপ্রসাদ বিস্তারিত আলোচনা করেছেন তার লোকায়ত দর্শন(১৯৫৬) গ্রন্থে, (Lokayata – তেও এই বিষয়ে তাঁর সুসংবদ্ধ লেখা পাওয়া যায়)।
এ প্রসঙ্গে শুশ্রুত সংহিতার কথা তিনি উত্থাপন করেছেন। এটির রচনা শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের প্রায় ১০০০ বছর পর। সেখানেও সেই আদি কারণের (যোনি) উল্লেখ রয়েছে। অর্থাৎ ঈশ্বরবাদী সৃষ্টিতত্ত্বের বিপরীতে গড়ে ওঠা নিরীশ্বরবাদী সৃষ্টিতত্ত্ব বারংবার পূর্বোক্তটি দ্বারা আক্রান্ত হলেও, ভারতীয় দর্শনের ইতিহাসে বিকল্প সৃষ্টিগুলি হারিয়ে যায়নি। সুশ্রুত সংহিতাতেও পাওয়া যায় যোনি, সময় বা কাল, স্বভাব ইত্যাদি নিরীশ্বরবাদী বিকল্পের কথা, তবে এখানে দেবীপ্রসাদ একটি কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তা হল, সংহিতায় ‘যোনি’ শব্দটি (প্রত্নভাষা বিবেচনায়)-র বদলে সাংখ্য পরিভাষা ‘প্রকৃতির পরিণাম’ বা আদি বস্তু (primeval matter) ব্যবহার করা হয়েছে (DPC. 2012:50)।
সময় বা কাল: শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের ষষ্ঠ অধ্যায়ের প্রথম শ্লোকে বলা হয়েছে: “কোনও কোনও বিদ্বান বস্তুস্বভাবকে জগৎ কারণ বলেন। প্রকৃতপক্ষে সংসারমণ্ডলে ইহা স্বপ্রকাশ পরমেশ্বরেরই মহিমা যে, তদ্দ্বারা এই ব্রহ্মচক্র আবর্তিত হইতেছে।”(৬/১। গম্ভীরানন্দ। ২০১৫:১:৪২২)।
দেবীপ্রসাদ প্রশ্ন তুলেছেন যে, সময় বা কাল যে জগৎকারণ—এটা কার/কাদের মত। সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্তের মতে এটা একটি প্রাচীন বৈদিক মত। আর্যবেদে কাল/সময়-কে প্রথম দেবতা এবং সকল কিছুর ‘প্রভু’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে (DPC.2012:51)। কিন্তু অথর্ববেদের এই ধারণাকে শ্বেতাশ্বতর উপনিষদে প্রায় সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করা হয়েছে (৬/১)। শুধু তাই নয়, এই মতে যারা বিশ্বাসী তাদেরকে বিবেক জ্ঞানশূন্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
গোপীনাথ কবিরাজের মতটি ভিন্ন। কাল/সময়কে প্রাচীন জগৎ কারণ হিসেবে দেখানোর মতটি প্রাচীন জ্যোতির্বিদদের হতে পারে। এই মতটির সাদৃশ্য পাওয়া যায় নীলকান্তর সঙ্গেও (পূর্বোক্ত:51-52)। দেবীপ্রসাদের মন্তব্য হল কাল/সময়কে জগৎ কারণ হিসেবে দেখার ক্ষেত্রে এই দুটি মত সঙ্গতিসম্পন্ন যেহেতু অথর্ব বেদেও এর সমর্থন রয়েছে। কিন্তু পরবর্তীকালে বৌদ্ধ চিন্তা ছাড়া বা ন্যায়-বৈশেষিক ছাড়া কাল/সময়-এর বিশেষ উল্লেখ পাওয়া যায় না, আর সেই কারণেই ঈশ্বরবাদীগণ এই দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে খুব একটা উদ্বিগ্নও ছিলেন না (পূর্বোক্ত :52)।
স্বভাববাদ: ঋকবেদেই পাওয়া যায় স্বভাববাদের কথা। ঋষি পরমেষ্ঠি আকুলভাবে জগৎ সৃষ্টির কারণ জানতে চেয়েছেন। একসময় যখন কিছুই ছিল না তখন সকলই জলময় ছিল (ঋগ্বেদ। ১০/১২৯/৩)। এবং এই জড়স্বভাব জলকেই জগতের মূল কারণ নির্ধারণ করলেন (শাস্ত্রী, দক্ষিণারঞ্জন। ২০১৩:৯৮)। ঋষি বৃহস্পতি লৌক্য জগৎ সৃষ্টির কারণ হিসেবে জড়স্বভাবকে চিহ্নিত করেছিলেন (পূর্বোক্ত)। দেবীপ্রসাদের মতে, এই স্বভাববাদ বস্তুবাদী বা বস্তুবাদের কাছাকাছি। আর তাই লোকায়ত ও সাংখ্য দর্শনের মধ্যে এই স্বভাববাদ দেখতে পাওয়া যায় (DPC.2012:53-54)।
ঈশ্বরবাদের বিরুদ্ধে বারংবার তাই নানা প্রশ্ন উঠতে দেখা গেছে। কারণ ঈশ্বরবাদী ব্যাখ্যা অসম্পূর্ণ, স্ববিরোধী ও অলৌকিক। ফলে সেগুলি গ্রহণযোগ্য হয়নি অনেকের কাছে। তাই বিকল্প সৃষ্টিতত্ত্বের আবির্ভাব ঘটেছে। এটাই সেই সূত্র যা কবি/দার্শনিকদের নিরীশ্বরবাদের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে। শ্বেতাশ্বতর উপনিষদে নিরীশ্বরবাদী সৃষ্টিতত্ত্বকে নস্যাৎ করার চেষ্টা তারই প্রমাণ।